প্রয়োজনে 'না' বলি

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। যাক, ভালো থাকতে পারার চেষ্টা করাটাই বরং ভালো। আপনারা নিশ্চয় জানেন যে মানুষের ছয়টি মৌলিক অধিকার। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা। আমাদের সময় অবশ্য মৌলিক অধিকার পড়েছিলাম পাচঁটি। সর্বশেষ নিরাপত্তাটাও যোগ হলো। বর্তমানে নিরাপত্তাটাও মানুষের মৌলিক অধিকারের মাঝে। দিনকে দিন টেকনোলোজি যত উন্নতির দিকে যাচ্ছে সে সাথে নিরাপত্তার কথাটাও গুরুত্ব পাচ্ছে। টেকনোলজির এ যুগে আমরা সবাই সোস্যাল মিডিয়া সহ বেশ কয়েক জায়গায় কাজ করছি। হতে পারে সেটা বিনোদনের জন্য অথবা টাকা আয়রে জন্য। যাক, আমার আজকের টপিক অবশ্য এটা না। তবে বর্তমানে মানুষের মৌলিকা চাহিদার মধ্যে নিরাপত্তা অধিকারটা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

বিশেষ করে মেয়েরা এ সমস্যাটায় বেশি পরছে। প্রতিনিয়ত কিছু কুচক্রমহল মেয়েদের নিরাপত্তার ক্ষুন্ন হবে এ ভয় দেখিয়ে নানান ধরনের অপকর্ম করছে। প্রতিনিয়ত লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে মেয়েরা। এর থেকে রেহাই কিভাবে সম্ভব আসলে! আসলে না বলার অভ্যাসটা গড়ে তোলা! আমরা ছোটবেলা থেকেই হ্যা বলার অভ্যাসটাই করে আসছি। যেহেতু বাক স্বাধীনতা আমাদের রয়েছে তো চাইলেই আমরা 'না' বলার অধিকারটুকুও রাখি। অনেক মেয়েরা ভয়ে না বলতে পারে না।তাদেরকে দেয়া হয় নানান ধরনের প্রস্তাব। সে প্রস্তাবগুলো না রাখতে পারলে তাদেরকে হুমকি পর্যন্ত দেয়া। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরে এ বিষয়টা আমি সোস্যাল মিডিয়ায় দেখছি। আমি সাধারণ যতটা সম্ভব সোস্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। আমার মনে হয় না সুস্থ্য মস্তিষ্কের মানুষেরা সোস্যাল মিডিয়া চালিয়ে মজা পায়। বেশিরভাগ মানুষই যোগাযোগের জন্য অথবা বিনোদনের জন্য ইউজ করে।

সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও অনেক অপকর্ম ছড়িয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বেশি সমস্যায় পরছে মেয়েরা। এজন্য উচিত আসলে সোস্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে অবগত থাকা। যেহেতু এখানে কে রিয়েল বা কে ফেইক সেটাও যেন কষ্টের হয়ে যাচ্ছে। খুব সহজেই কারো আপন হয়ে যাওয়ার চেয়ে কয়েকবার ভাবা উচিত! আপনাকে কেউ আপত্তিকর মন্তব্য করলে না বলার অধিকারটুকুও আপনার। তাই আমাদের উচিত প্রয়োজনে না বলা। হতে পারে সেটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরেও। এতে করে আমাদের মাঝে না বলার একটা ভালো অভ্যাস তৈরি হবে।

আমি অনেককেই দেখেছি এই 'না' বলার অভ্যাসটাকে নেগেটিভভাবে নেয়। ছোট্র একটা না বলার মাঝে যে অনেক বৃহৎ একটা অর্থ লুকিয়ে থাকে তারা হয়তো সেটা ভুলে যায়। আসলে না বলতে পারার প্রভাবটা আমার উপরেও যে পরেনি তা কিন্তু নয়! স্বভাবতই অনেক বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করেছি। এখনও করছি প্রতিনিয়ত! মাঝে স্পেশাল দিনে তাদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দেয়া হয়। তবে সেই বন্ধুদের মাঝে এমন কজন থাকবে যারা যে কাজটা করছে আপনাকেও সেটা করতে বলবে। যেমন ধরেন অনেকেই সিগারেট খায়, তারা কিন্তু আপনাকেও সিগারেট খেতে বলবে! এখন ডিসিশনটা পুরোপুরি আপনার উপরে। অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা করলেন, এখন সিগারেট না খেলে কেমন দেখায়! আপনি যদি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে ভুল করছেন। আপনার হ্যা বা না বলার অধিকার আছে। যেটা আপনার জন্য ভালো সেটাই বলতে হবে আমাদের।

যাক, ছোট্র একটি বিষয় নিয়ে কিছু কথা লেখার চেষ্টা করলাম। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ ☘️🦋

ধন্যবাদ সবাইকে

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}