টক্সিক মানুষদের থেকে দূরে থাকুন!
04-06-2024
২১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
মানুষ সৃষ্টির আদিকাল থেকেই সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করছে। একই সমাজে বসবাসের সুবাধে পরিচয় হয় নানা শ্রেণী পেশার মানুষদের সাথে। তবে আমাদের বাস্তবিক জীবনে আমাদের উঠাবসাটা হয় বেশি সমবয়সী বন্ধুবান্ধবদের সাথে। তাদের সাথেই আমাদের যত আলাপচারিতা, কথোপকথন হয়ে থাকে। তবে মজার ব্যাপার হলো আমার বয়সের সমবয়সী অনেকেই টক্সিক লেভেলের থেকেও বেশি! এখন কথা হচ্ছে টক্সিক লোকজন আসলে কারা? আপনি তাদেরকে চিনবেনই বা কেমন করে?
টক্সিক মানুষগুলো বলতে গেলে অনেকটা স্বার্থকেন্দ্রিক। এই ধরুন, বন্ধুদের সাথে সবার একটা আড্ডা হচ্ছে। সেই আড্ডার ফাকেঁ তারা এমনভাবে খোঁচা মেরে কথা বলবে! কথাটা একদম গায়ে লেগে যাবে। কথাটা হতে পারে সে হেসে হেসে বলে ফেলছে। কিন্তু আপনি ঠিকই বুঝতে পারছেন কেন সে এমন কথা বলছে! অথচ আপনি যখন তার বিরুদ্ধেই খোচাঁ মেরে কথা বলতে যাবেন তখন দেখবেন সেই আপনার সাথে উঠে পরে লেগে যাবে। মানে হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কোনে কথায় বলা যাবে না। শুধু সেই বলে যেতে পারবে। আপনার কোনো ভেল্যু নেই। সে যা বলবে তাই ঠিক।
আবার, দেখবেন টক্সিক টাইপের মানুষগুলো নিন্দামন্দ করতে পছন্দ করে বেশি। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় হয়তো আপনি সেখানে উপস্থিত নেই। আপনার অনুপস্থিতিতে নানরকমের নিন্দামন্দ ছড়াবে সে! এমনভাবে আপনার নামে নিন্দামন্দ ছড়াবে যেন আপনিই ভুল আর সে ঠিক! মান হচ্ছে সে যে ঠিক সেটাই প্রমাণ করা। আরেকটা বিষয় খেয়াল করলে দেখতে পাবেন! টক্সিক টাইপের মানুষগুলো মানুষদের মাঝে নেগেটিভ এনার্জি তৈরি করে করে দেয়। ধরুন, আপনি একজন এডমিশন ক্যান্ডিডেট! সামনে আপনার এডমিশন পরীক্ষা। তার সামনে আপনি বললেন, " ইনশাআল্লাহ আমি পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাবো! " তারা দেখবেন এমনভাবে আপনাকে নেগিটিভ কথা বলবে আপনি দূর্বল হয়ে যাবেন! তাদের কথা হলো পরিশ্রম করলে চান্স হবে না। ভালো করে পড়তে হবে! ভাগ্যে থাকতে হবে! ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলা শুরু করে দিবে।
টক্সিক মানুষগুলো দেখবেন নিজের দোষ স্বীকার করতে চাই না। একটা অন্যায় করলো। এখন ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু ক্ষমা চাইলে তো সে ছোট হয়ে যাবে। মানুষ তাকে নিয়ে নানান ধরনের কথা ভাববে। এটা ভেবে সে ক্ষমা চাই না। সে মনে করে সে যা করেছে তারটাই সঠিক, বাকি সবারটাই ভুল! অন্যায় করলেও তারটাই সঠিক ছিল! জোর কাটিয়ে হলেও সে প্রমাণ করতে চাইবে তারটাই সঠিক! আবার দেখবেন, তারা যদি মানুষের কোনো একটা উপকার করে বসে তাহলে দেখবেন সেটা সে ঢাকঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানায়! সে মহৎ একটি কাজ করে ফেলেছে! অথচ সে ভুলে যায় নিজের ভালো নিজে নয় বরং অন্যরাই প্রশংসা করবে!
আপনি যদি জীবনে সফল হয়ে যান সেটা তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না। বরং চেষ্টা করবে কিভাবে আপনাকে টেনে নিচে নামানো যায়। সেই পায়তারা তারা শুরু করে দিবে। আপনাকে নিচে নামাতে পারলেই তাদের শান্তি। আপনার সাফল্য তাদের কাছে একদমই সহ্য হয় না। তাদের মনে আপনার জন্য ঈর্ষার জন্ম হয়! টক্সিক মানুষদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো তারা মানুষকে ইমোশনালি দূর্বল করে দেয়। আপনি যদি সফট হার্টেড একজন পার্সন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যদি তাদের সাথে মিশেন কথার ছলে আপনাকে এমনভাবে হার্ট করে ফেলবে আপনি আজীবন মনে রাখবেন! আমার কথা হলো এমন টক্সিক মানুষ থেকে দূরে থাকাই ভালো। জীবনে পদে পদে শিখছি! যত দূরে থাকবেন এমন টক্সিক মানুষগুলো থেকে তত ভালো থাকতে পারবেন আপনি! তবে খেয়াল রাখার বিষয় হলো আপনি যেন কারো চোখে টক্সিক হয়ে না উঠুন!!
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময়ই এধরনের টক্সিক মানুষ বা বিষাক্ত মানুষদের থেকে দূরে থাকতে হবে। এরা আত্মকেন্দ্রিক এবং স্বার্থপর টাইপের হয়ে থাকে। তাছাড়াও যেকোন সময় যে কারো বড় ধরনের ক্ষতি করতে পিছপা হয় না। তুমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এ ধরনের বন্ধুদের থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার। এদের থেকে কোন উপকার পাওয়ার আশা করা একদমই ভুল। বরং যেকোনো সময় তোমার ক্ষতি করে বসবে তাই সাবধান থাকতে হবে তোমার।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি এমন টাইপের মানুষ থেকে দশহাত দূরে থাকার।
আপনি এখানে যে মানুষগুলোর কথা বলেছেন, এই মানুষগুলো আসলেই অনেক খারাপ হয়ে থাকে। কথায় আছে না "হেসে হেসে বাঁশি বাজানো" তারাও ঠিক এরকমটাই করে। এরকম মানুষ গুলো অন্যকে নিয়ে নিন্দা পরামর্শ করতে সব থেকে বেশি পছন্দ করে থাকে। প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত এই ধরনের মানুষের কাছ থেকে অনেক বেশি দূরে থাকা। কারণ এরকম মানুষের কাছাকাছি থাকলে আমরা অনেক কিছু শিকার হতে পারি। তাই এদের কাছ থেকে যত বেশি দূরে থাকা যায় ততই ভালো।
একদম আপু। যতবেশি দূরে থাকবেন তত ভালো থাকবেন আপনি। আপনাকে নিয়ে দেখবেন কোনো সমালোচনায়ও হবে না।
শেষের কথাটা খুব সুন্দর বলেছেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করি টক্সিক মানুষদের থেকে দূরে থাকার জন্য তবে আমরা কখনো এই জিনিসটা চিন্তা করি না যে আমরা কারো চোখে একজন টক্সিক পারসন কিনা। সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন আজকের পোস্টে। প্রত্যেকটা কথাই বাস্তব জীবনের সাথে রিলেটেড। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হুমম, এই বিষয়টাও আমাদের খেয়াল রাখা জরুরি! কারো কাছে আমরাই আবার টক্সিক হয়ে যাচ্ছি না তো!
আমাদের চারপাশে এমন টক্সিক মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।এরা আপনার সামনে এমন কি আপনার পেছনে বসেও নানা কথা বলে।এরা কারো উন্নতিও দেখতে পারে না।এ ধরনের টক্সিক মানুষ থেকে আমি সব সময় দূরে থাকি।আপনার লেখার বিষয়টি খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
একদম আপু! তাদের মানসিকতা অনেক ছোট হয়। কারো ভালো তো দেখতেই পারে না। তাই এদের থেকে দূরে থাকাই ভালো।
আসলে আমাদের আশেপাশে এরকম মানুষ অনেক বেশি রয়েছে। হয়তো অনেকে এই মানুষদেরকে চিনতে পারেনা। কিন্তু তারা ঠিকই সুযোগের সৎ ব্যবহার করে থাকে সবসময়। কখন কাকে কোন জায়গায় বাঁশ দেওয়া লাগবে তারা ওইটা ঠিকভাবেই জানে। এই টক্সিক টাইপের মানুষগুলো মানুষকে নিয়ে নিন্দা মন্দ করতে একটু বেশি ভালোবাসে। তারা হেসে হেসে ও মানুষকে অপমান করে দেয় সামনাসামনি। যেটা হয়তো অন্যরা একেবারে মেনে নিতে পারে না। আবার অনেকেই এর জন্য অপমান বোধ করে। তাই সব সময় এদের থেকে দূরে থাকাই বেস্ট।