নাটক রিভিউঃ " মায়াবী "
9-06-2024
২৬ জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। যাইহোক, আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। নাটকটির নাম হচ্ছে মায়াবী। আশা করছি নাটকটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাম | মায়াবী। |
---|---|
পরিচালনা ও গল্প | শহীদ উন-নবী। |
প্রযোজক | সোহাগ তালুকদার। |
অভিনয়ে | ফজলুর রহমান বাবু, ইয়াশ রোহান, কেয়া পায়েল, সিয়াম নাসির, খান আনিক, আজম খান, কামরুন্নাহার রুনা, সানজিদ তায়েফ, মিরা সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | সাদ শাহ। |
দৈর্ঘ্য | ৪৮ মিনিট ০৪ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ০২ই জুন , ২০২৪ ইং |
ধরন | সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
মাস্টারঃ
ফজলুর রহমান বাবু।হাসানঃ
ইয়াশ রোহান।জয়াঃ
কেয়া পায়েল।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, এলাকার চেয়ারম্যানের ছেলে কিছু ছেলেদের নিয়ে জুয়া খেলছে। ঠিক তখন একই এলাকার মাস্টার কিছু ছেলেদের দেখতে পায় জুয়া খেলছে। মাস্টার মশাই সেখানে যেতেই তড়িঘড়ি করে জুয়া খেলে বন্ধ করে দেয়। তারপর মাস্টার চলে আসার পর চেয়ারম্যানের ছেলে বলে উঠে নিজের ছেলেকেই ঠিক রাখতে পারেনা আবার জ্ঞান দিতে এসেছে! মাস্টারমশাইয়ের ছেলে ও নেশা করে! মাঝে মাঝে খারাপ ব্যবহার করে। চেয়ারম্যানের ছেলের সাথে মিশে সেও জুয়ায় আসক্ত হয়ে যায়। জুয়ার টাকার জন্য মাস্টারের সাথে প্রায়ই খারাপ ব্যবহার করে! তো একদিন মাস্টারের ছেলে হুট করেই লাখ টাকা চেয়ে বসে! তখন মাস্টার মশাই রেগে যায় এবং বলে তাকে এক টাকাও দিবে না। কিন্তু মাস্টারের ছেলে রেগে গিয়ে বাবার গায়েই হাত তুলতে যায়! আর তখন জয়া তার ভাইকে গালে ঠাস করে চড় মেরে বসে। ছেলে হয়ে বাবার গায়ে হাত! তখন মাস্টারের ছেলে রেগে গিয়ে জয়াকে গলা টিপে ধরে মেরে ফেলতে চাই!
এক পর্যায়ে বাড়ির যত সম্পত্তি সব ছেলের নামে লিখে দেয়! মাস্টার এবং তার মেয়ে জয়াকে নিয়ে চলে আসে শহরে! শহরে আসার পর জয়ার বাবাও অসুস্থ হয়ে যায়। আর তখন কি করবে ভেবে না পায়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষদের সাহায্য করতে বলে! আর তখন দেখা হয়ে যায় হাসানের সাথে! হাসান জয়াদের বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করেছে! হাসানের বাবা মা কেউ নেই। ছোটবেলা থেকেই জয়ার সাথে পড়ালেখা করে বড় হয়েছে। তো স্যারের এমন অবস্থা দেখে হাসান স্যারকে নিয়ে যায় তার নিজ বাড়িতে। সেখানে নিয়ে স্যারের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে জয়ার বাবা স্ট্রমাটাইজড হয়ে গিয়েছিল। তারপর হাসানের বাসায় থাকতে শুরু করে। হাসান বর্তমানে পুলিশের একজন অনেক বড় কর্মকর্তা। তার এমন হওয়ার পিছনে স্যারের যে অবদান অনেক সেটা সে বিশ্বাস করে। সেদিন স্যারের বাড়িতে আশ্রয় না দিলে এমন অবস্থানে কখনোই আসতে পারতো না।
ছোটবেলা থেকেই যেহেতু হাসান ও জয়া একইসাথে পড়ালেখা করেছে। তাই হাসানের জয়ার প্রতি ভালো লাগা কাজ করতো। একদিন জয়ার বড় ভাই মিথ্যা চিঠি বানিয়ে তার বাবাকে দেখায়। তারপর থেকে তার বাবা হাসানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়! আজ হাসান একজন সরকারি কর্মকর্তা। তবে জয়ার কাছ থেকে জানতে পারে তার বড় ভাই নেশায় আসক্ত! তাদের ঘরবাড়ি সব লিখে নিয়ে গিয়োছে। হাসান জয়াদের গ্রামে যায় এবং গ্রামে গিয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে সহ জয়ার বড় ভাইকে গ্রেফতার করে। জয়ার বড় ভাই পরে বুঝতে পারে। সে অনেক বড় অন্যায় করেছে! জয়ার বাই চেয়ারম্যানের ছেলের পাল্লায় পরে সে এমন করেছে। তারপরে জয়া ও তার বাবাকে গ্রামে নিয়ে আসে হাসান। জয়ার বাবা নিজের বাড়ি দেখে আবেগআপ্লুত হয়ে পরে। আর তখন জয়ার বড় ভাইও সেখানে আসে! জয়ার বড় ভাই এসে তার বাবার কাছে ক্ষমা চাই। তার বাবা ছেলেকে ক্ষমা করে দেয়। তারপর কি হয়েছিল জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে।
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগতভাবে নাটকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। নাটকের গল্প ও লোকেশন ভালো ছিল। বিশেষ করে ফজলুর রহমান বাবু স্যারের মতো একজন গুণী মানুষ যেখানে থাকে সে নাটকের গল্প ভালো হবেই! নাটকটিতে বেশ কিছু দিল তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এক, আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত নেশাগ্রস্থ ও জুয়া খেলা বাড়ছে। প্রতিনিয়ত অনেকেই এমন কাজ করছে। এতে করে পরিবারের সাথেও খারাপ ব্যবহার করছে! জুয়া বর্তমানে অনেক বড় একটা ব্যধি। নিমিষেই নিঃস্ব করে দিচ্ছে যে কাউকে! দুই, শিক্ষকের সম্মান সবসময় উপরে! একজন শিক্ষক বাবার সমতুল্য! একজন শিক্ষক চাই তার ছাত্র যেন অনেক বড় হয়! কেয়া পায়েল ও ইয়াশ রুহান ভালোই অভিনয় করেছে নাটকটিতে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯.৩/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই নাটক টি এখনো দেখা হয় নি। তবে আপনার বর্ণনার মাধ্যমে নাটকটি আমার অনেক ভালো লাগলো। নাটকটি অনেক শিক্ষনীয়। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই 🌸
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আপনার শেয়ার করা সুন্দর এই নাটক রিভিউ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ ছিল এখন আর আজকের এই নাটক। অবশ্য নাটকটা আমার দেখা নেই তারপরেও দেখার চেষ্টা করব যে কোন মুহূর্তে।
আশা করছি উপভোগ করতে পারবেন নাটকটি দেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য 🌸
আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। ইয়াশ রোহানের নাটক গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি।তবে নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি, নাটকটি দেখতে পারেন ভালোই লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🌸 ৃ