১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ || অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ

---

🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকতে পারলেই ভালো। তবে মাঝে মাঝে ভালো থাকতে হলে দরকার সুস্থ্য বিনোদন। আমি যেহেতু খেলাপ্রেমী একজন মানুষ, তাই খেলাধুলার খবর রাখা হয়। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন যে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হয়েছে। বিপিএল খেলাগুলোও আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তবে আজকে অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার খেলা নিয়ে আলোচনা করতে চলে এলাম। অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে। তো গত ৯ই তারিখে ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরু হয়।শুরুতেই টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু তাদের দলের বিগত পারফর্মেন্স মোটেও ভালো ছিল না। পুরাতন অনেক খেলোয়ার দলে ইন করা হয়েছে। সে হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমটাকে পারফেক্ট মনে হয়েছিল।

_{^{screenshot from Fox Sports HD}}

ব্যাটিং করতে নামে জশ ইংলিশ ও ডেভিড ওয়ার্নার। দুজনেই শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকে। জশ ইংলিশ নরমালি তিন চার উইকেট পর নামতো। ঐদিন দেখলাম ওপেনিং এ নামানো হয়েছে। আর ওপেনিং এ নেমে জশ ইংলিশ ভালোই ব্যাটিং করতে থাকে। ডেভিড ওয়ার্নার আর ইংলিশ স্ট্রাইক রোটেইট করেই খেলতে থাকে। তাদের দুজনের ওপেনিং পার্টনারশিপ টা বড় একটা রান করার সুযোগ করে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে ৯৩ রানে। জেসন হোল্ডার ইংলিশকে আউট করে প্রথম উইকেটের সূচনা এনে দেয়। তারপর মাঠে নামে মিচেল মার্শ। কিন্তু মিচেল মার্শ বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। ব্যক্তিগত ১৩ রান করেই সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে নামে ম্যাক্সওয়েল। আমি ভাবছিলাম ম্যাক্সওয়েল হয়তো কিছুক্ষণ মাঠে থেকে রান করবে। বিশ্বকাপে তার ইনিংসের কথা আপনারা সবাই হয়তো জানেন। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল সেদিন ব্যর্থ হয়। তার আগে অবশ্য ডেভিড ওয়ার্নার আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। ডেভিড ওয়ার্নার আর কিছুক্ষণ থাকতে পারলে সেঞ্চুরি করে ফেলতে পারতো।

_{^{screenshot from Fox Sports HD}}

তারপর আর তেমন কোনো পার্টনারশিপ দেখা যায়নি। তবে শেষের দিকে ম্যাথিউ ওয়েড ও টিম ডেভিড এর বিধ্বংসী ব্যাটিং এ শেষ অবধি শেষ অবধি অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাড়াঁয় ২০ ওভার শেষে ২১৩ রান। টি-টোয়েন্টিতে ২০০+ রান মানে একটা ফাইটিং স্কোর। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটার যদি মাঠে দাঁড়াতে পারে তাহলে এই রান চেইস করা সহজ। ২১৩ রানকে লক্ষ্য করে মাঠে নামে চার্লস ও কিং। অনেকদিন পর মনে হয় চার্লস জাতীয় দলে ডাক পেয়েছে। খেলা শুরু থেকে কিং ও চার্লস দেখেশুনে খেলতে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও ভালো হয়েছিল। কিং আর চার্লসের পার্টনারশিপ দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে পারবে। কিন্তু ২৫ বলে ৪২ রান করে চার্লস আউট হয়ে যায়।

_{^{screenshot from Fox Sports HD}}

তারপর তেমন কোনো পার্টনারশিপ দেখা যায়নি। কিছু রান করে একে একে সবাই সাজঘরে ফিরতে থাকে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল জেসন হোল্ডার। শেষের দিকে এসে ভালোই ব্যাটিং করেছিল। কিন্তু জেসন হোল্ডারের সাথে আর কেউ একটা পার্টনারশিপ গড়তে পারলে হয়তো খেলার দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যেত। শেষ অবধি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থামে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০২ রানে। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় ডেভিড ওয়ার্নার।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}