অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকার জরুরি!
26-10-2023
১১ কার্তিক , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। আমাদের চাওয়াটা থাকে সবসময় ভালো থাকার। সে চেষ্টাটা হয়তো অব্যাহত থাকবে মৃত্যু অবধি। তবে কথা হলো কি পেলে আমরা ভালো থাকি আর কি পেলে ভালো থাকি না। সর্বপ্রথম যে কথাটা আসে তাহলো সুস্বাস্থ্য। অর্থাৎ আপনার শরীরের যদি রোগ ব্যধি বাসা বাধেঁ, কোনো কিছু করতে পারেন না তাহলে সেটা ভালো না থাকার কারণ হয়ে দাড়াঁয়। অঢেল টাকার মালিক হোন না কেন সুস্থ্য না থাকতে পারলে এতো টাকাও তখন মূল্যহীন। এজন্য আমাদের সর্বপ্রথম নিজেকে ভালো রাখতে হবে, নিজের শরীরকে ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে।
মানুষের চাওয়ার কোনো শেষ নেই। যার দুই টাকা আছে সে চাইবে পাচঁ টাকা হোক। আবার যার কাছে দশটাকা আছে সে চাইবে পনেরো টাকা হোক। এ চাওয়া পাওয়ার হিসেব যখনই না মিলে তখনই আমরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরি। কেনই বা আমার চাওয়া পূরণ হলো না। মানসিকভাবে ভালো থাকতে হলে অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকার জরুরি।
আবার আমাদের ভালো না থাকার আরও একটি কারণ হচ্ছে অন্যের কাছ থেকে কোনো কিছু প্রত্যাশা করা। হতে পারে সেটা আপনার আপন কেউ। আপনি চাইছেন, আপনজন আপনাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করবে আপনার বিপদের সময়। অথবা সান্তনা দিয়ে হলেও পাশে থাকবে। কিন্তু যখন দেখবেন দুটোর কোনোটাই হচ্ছে না তখন দেখবেন আপনার ভালো না থাকার কারণ হয়ে যাচ্ছে সেটা। আসলে এ ভুলটাই আমরা বেশি করে ফেলি বাস্তব জীবনে। এই যে যেমন, পরীক্ষার সময়ের কথাই বলি না কেন! ধরুন আপনার ফাইনাল পরীক্ষা। আপনার ভালো একজন বন্ধু আছে। যার সাথে আপনি আপনার সবকিছু শেয়ার করেন। তাকে আপনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।
আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার বন্ধু তো আছেই পরীক্ষার সময় সে আপনাকে দেখাবে। সে আশায় পরীক্ষা দিতে গেলেন। কিন্তু পরীক্ষার হলে এমন অবস্থা হয়েছে যে দেখার মতো অবস্থা নেই। যদি সে দেখায় তাহলে তার খাতা নিয়ে নিবে। ফলশ্রুতিতে পরের আশা করে যাওয়াতে দেখবেন আপনার পরীক্ষাও ভালো হয়নি। এজন্য অন্যের উপর আশা করাটা বোকামি। নিজে যদি কিছু পড়ে যেতেন তাহলেও কিছু না কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন। আমার মা প্রায়ই একটা কথা বলে, ' পরের আশা বনবাসা! ' মায়ের কথাটা এ পর্যন্ত হারে হারে টের পাচ্ছি।
এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা মাত্রাতিরিক্ত চাই। একটু পেয়েও তাদের মন ভরে না। তারা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আরও চাই। এই মাত্রাতিরিক্ত চাওয়াটাও ভালো নয়। আপনার সাধ্যের ভিতরে যতটুকু আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারলে ভালো থাকা যায়। সৃষ্টিকর্তা আসলে আপনার যতটুকু প্রয়োজন সেটা বুঝে। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন। ভালো থাকতে হলে অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আপনার চাহিদার লেভেল বেশি হলে দেখবেন সেটা পাওয়ার আশাও থাকবে বেশি। যদি সেটা না পান তাহলে একধরনের লোভের জন্ম হবে আপনার মনে। অসাধু উপায়ে হলেও সেটা আদায় করার স্পৃহা তৈরি হবে মনে। আর সেখান থেকেই মনে নেগেটিভ চিন্তাভাবনার জন্ম হয়।
ভালো থাকতে হলে আমাদের উচিত নিজের অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা। আমরা অনেক সময় আমাদের দিকে যারা ভালো আছে তাদের দিকে খেয়াল করি। যার ফলে আমরা আফসোস করি! ইশ! আমি যদি তার মতো হতে পারতাম! মনে একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। তবে আমরা যদি আমাদের নিচের দিকে যারা আমাদের থেকেও খারাপ অবস্থানে আছে তাদের দিকে খেয়াল করি তাহলে কিছুটা হলেও নিজের ভিতর উপলব্ধি তৈরি হবে ' ভালো আছি! ' এজন্য আমাদের সমাজে যারা খারাপ অবস্থানে আছে তাদের দিকে খেয়াল করলে সন্তুষ্টি লেভেলটা আশা করি ঠিক হবে। মনে কোনো স্পৃহাও তৈরি হবে না। শেষ কথা হলো, ' আমার আপনার যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার নামই জীবন! '
যাক, ক্ষুদ্রজ্ঞানে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🍃🦋
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে প্রত্যেকটা মানুষের উচিত অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকা। কিন্তু সবাই কখনো সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। একটা মানুষের যদি অর্থ থাকে তবুও সে শুধু চায় আর চায়। আপনি একেবারে বাস্তবিক একটা টপিক তুলে ধরে আজকের পোস্টটা লিখেছেন দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে জাস্ট অসাধারণ ছিল পুরোটা এটাই বলতে হয়।
জি আপু এটা ঠিক বলেছেন আপনি। মানুষের যতই থাকুক না কেন, তবুও সে চাইবেই আরও
বেশ কিছুক্ষন ধরে আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর বুঝার চেষ্টা করছিলাম যে আমরা যদি সমাজের নিচু মানুষগুলোর দিকে একটু করে প্রতিদিন তাকাই তাহলে মনে হয় আমাদের চাওয়া গুলো অনেক কমে আসতো। দারুন লিখেছেন কিন্তু ভাইয়া। তবে আমরা যদি আমাদের জীবনের চাওয়া গুলো কে কিছুটা ছোট করতে পারি, আর অল্পতেই নিজেকে সন্তোষ্ট রাখার অভ্যাস করতে পারি তাহলে মনে হয় আমাদের মনের অনেক কষ্টই কমে যাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আপনি ঠিক ধরেছেন। সমাজের নিচুদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবো আমাদের অবস্থান সম্পর্কে
আসলে একটা মানুষের যত কিছুই থাকুক না কেন সেই আরো চায়। প্রত্যেকটা মানুষ কখনো নিজের যা কিছু আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। আর যারা নিচু জাতির মানুষ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা কোনরকম বাঁচলেই হয়েছে ভালোভাবে দিন কাটিয়ে। তাদের চাওয়া পাওয়া থাকে না। আর ওই মানুষগুলোর কথা বিবেচনা করলে হয়তো অন্য মানুষগুলোর চাওয়া পাওয়া কিছুটা কমে আসতে বলে আমি মনে করি। খুব ভালো লেগেছে সম্পূর্ণ পোস্ট।
একদম ঠিক বলেছেন
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরীক্ষার হলে অনেক সময় দেখা যায় প্রিয় বন্ধুরাই দেখাতে চায় না। তাই আমার মনে হয় অন্যের খাতা দেখার আশায় থাকা সত্যিই বোকামি। অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকার জরুরী অনেক সুন্দর একটি টপিক আপনি আজকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আপনি একদন ঠিক ধরেছেন। পরের থেকে আশা করাও বোকামি
মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা টা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। ওটা ঠিক না থাকলে ভালো থাকা যায় না। মানুষের চাহিদা থাকবে এটা স্বাভাবিক। সবাই চাইবে যা আছে আরও বেশি হোক। কিন্তু এই বেশি করার নেশাটা অতিরিক্ত হয়ে গেলেই শান্তি টাই হারিয়ে যায় কিন্তু। একজন মানুষের আশা প্রত্যাশা যত কম থাকবে ঐ মানুষ ততটাই সুখি এবং খুশি থাকবে এটা কিন্তু একেবারেই বাস্তব। পরীক্ষায় বেশি নাম্বার পাওয়ার বিষয় টাও কিন্তু এরমধ্যে রয়েছে হা হা হা। সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আসলেই ভাই সবার আগে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভালো থাকাটা জরুরি। তারপর অন্যকিছু
আমাদের এই সমাজে যার যতটুকু আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।তার চাওয়ার মাত্রাটা বেড়েই চলে।সুন্দর উদাহরণ দিলেন যার দুই টাকা আছে সে পাঁচ টাকা পেতে চায়।এটা ঠিকই বলেছেন। চাওয়ার যেনো মানুষের শেষ নেই। অল্পতে তুষ্ট থাকা মানুষ খুব কমই মেলে।আমাদের সকলের উচিত অন্যের আশা না করে যার যা কিছু আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা।এর মাঝেই প্রকৃত সুখ নিহিত।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু । আমাদের উচিত অন্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ফেলা