সুযোগের সৎ ব্যবহার!
24-02-2024
১১ ফাল্গুন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
বাঙালি কিছু পারুক আর না পারুক। একটা জিনিসই ঠিকই ভালো পারে। আর সেটা হলো সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে। আমি এখানে সদ্ব্যবহার ব্যবহার করেনি। কারণটা বলছি শুনুন তাহলে। সাধারণত পজিটিভ কাজে বলতে গেলে আমরা সুযোগের সদ্ব্যবহার কথাটি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু যখনই নেগেটিভ কিছু বুঝা তখন সৎ ব্যবহারই করা হয়। আমি এমনটাই বা কেন বলছি। আপনারা সবাই জানেন যে, ২১ শে ফেব্রুয়ারী রাষ্টীয় শোক দিবস। এ দিন সকল অফিস-আদালত বন্ধ থাকে। শহরের অনেক মানুষ কর্মের ছুটি পেয়ে ছুটে চলে আপনজনদের কাছে। ছুটি কয়েকদিনের হলেও আপন ঠিকানায় যেতে পারলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। নিজের গ্রাম, পরিবেশের মতো আর কোথাও নেই। এজন্যই তো শহরে বসবাস মানুষগুলো একটু সুযোগ পেলেই ছুটে চলে আপন ঠিকানায়!
ঠিক সুযোগটাই কাজে লাগায় গাড়ির চালকেরা। কিভাবে সেটা? বলছি শুনুন! ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে অনেক প্রতিষ্ঠান তিনদিন ছুটি দিয়েছে আবার কোনোটি দুদিন। তো বাড়িতে ভালোভাবে গেলেও আসার সময় হয় বিপত্তি। আমি নিজেও এর ভোগান্তির শিকার বলতে পারেন। কারণ হুটহাট করে যানবাহনের ভাড়া বেড়ে যাওয়া এটা মোটেও সুখকর নয়। আমিও গতকাল বাড়িতে গিয়েছিলাম। নরমালি ট্রেনে যাতায়াত করি। কিন্তু ট্রেনে সময় বেশি লাগে। ময়ননসিংহ ত্রিশাল হয়ে গেলে সময় বেশিক্ষণ লাগে না। তো যাওয়ার সময় সহিহ সালামতেই গিয়েছিলাম আসলে। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল। ভাবছিলাম রাস্তায় হয়তো মানুষজন তেমন একটা থাকবে না। কিন্তু রাস্তায় আসার পর দেখতে পেলাম অনেক মানুষ জন। কিন্তু কোনো বাসা নেই রাস্তায়। যা চলছে সব সিএনজি!
সিএনজি দিয়েই যাতায়াত করি। তবে আজকের দৃশ্যপট পুরো উল্টো! কারণ সিএনজির ভাড়া যেখানে ৬০ টাকা ছিল আজ হঠাৎ করেই ১০০ টাকা করে ফেলা হয়েছে! হঠাৎ করে ভাড়া বেড়ে যাওয়া সাধারণ জনগণ মোটেও ভালোভাবে নেয়নি। অনেকে দেখছি সিএনজি চালকের সাথে তর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। তবে সিএনজি চালকদের একটাই কথা! বাস ড্রাইভাররা আজকে বেশি ভাড়া নিলে আমরা নিতে পারবো না কেন? কিন্তু হুটহুাট ভাড়ার দাম বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। ঢাকা গামী অনেক মানুষই আসছিল ঢাকা যেতে। যেহেতু ত্রিশাল হয়ে ঢাকা যেতে সময় কম লাগে তাই মানুষজন নাদাইল থেকে কানুরামপুর থেকে সিএনজিকরে ত্রিশাল চলে যায়।
আমি যখন কানুরামপুর পৌছালাম তখন দেখলাম কোনো বাসও নেই। আজকে বাসস্ট্যান্ড পুরো ফাকাঁ ছিল। কানুরামপুর থেকে ত্রিশাল অবধি শালবন বিহার বাস চলে। যেহেতু বাস নেই তাই সিএনজি করেই যেতে হবে। কিন্তু অনেক যাত্রী সিএনজির ভাড়া বেশি চাওয়ায় উঠতে আগ্রহী না। আবার অনেকে বাধ্য হয়েই সিএনজিতে উঠছে। কারণ তাদের কাল সকালে অফিস আছে। যেহেতু সন্ধ্যা গিয়েছিল তাই কিছু করারও ছিল না। আমিও এক প্রকার বাধ্য হয়েই সিএনজিতে উঠে পড়লাম। আসলে হুটহাট এভাবে ভাড়া বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। এটা এক প্রকার জুলুম বলা যেতে পারে যাত্রীদের উপর। যাত্রীদের কষ্ট হয় বেশি ভাড়া দিতে। আসলে সুযোগটা ভালোই কাজে লাগায় বাঙালিরা। আর ভুগতে হয় আমাদের মতো সাধারণ পাবলিকদের। সামনে রমজান মাস আসছে। দেখবেন ধনিয়াপতা, ছোলা, মুড়ি ইত্যাদি দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে। কিন্তু আপনি বাধ্য হয়ে কিনবেন। কিছু করার থাকবে না আপনার।
আমরা বরাবরই অসহায়। যেখানে আমাদের প্রয়োজন সেখানে কম হোক বেশি হোক দিয়ে হলেও কিনতে হবে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ড্রাইভাররা সবাই কোনো একটা কিছু উপলক্ষ করে হঠাৎ-ই দাম বাড়িয়ে দেয়। এসব দেখারও কেউ নেই। তবে আমি বলবো তাদের মানসিকতার পরিবর্তন আসা জরুরি। মানবিক হওয়ার চেষ্টা না করলে কিভাবে আরেকজন মানুষের অবস্থা সম্পর্কে বুঝবে। আশা করছি তাদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হবপ। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সুযোগে সৎ ব্যবহার কাজটি আমাদের দেশে বেশি প্রচলিত। বিশেষ করে গাড়ির ভাড়া বেশি বাড়িয়ে দেয় বাস ড্রাইভার বা মালিক। যাক অবশেষে আপনি ৬০ টাকার দামের মধ্যে ১০০ টাকা দিয়ে গেলেন। আপনি ঠিক মত পৌছাঁতে পারলেন ভাল লাগলো।
ঠিকমতো পৌঁছাতে পেরেছি এটাও ভালো লাগার বিষয়। কিন্তু এভাবে হুটহাট দাম বাড়িয়ে জনগণকে এক প্রকারে চাপে ফেলার মতো
ভাই প্রতিটা ক্ষেত্রেই শুধু সাধারণ মানুষ এই জুলুমের শিকার হয়। বাস ড্রাইভার বাড়তি ভাড়া নেয় আবার যেদিন বাস ড্রাইভার থাকবে না সেদিনে সিএনজি ড্রাইভার আবার বাড়তি ভাড়া নেবে। মনে হচ্ছে দিনের পর দিন দেশের নিয়ম কানুন সব হারিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে মানুষের বিবেক ও হারিয়ে যাচ্ছে।
আসলেই ভাই, সাধারণ জনগণের সমস্যা হয় বেশি।
বাঙালি জাতি সবসময় সুযোগ সন্ধানীএই কথা আমিও বিশ্বাস করি ভাইয়া।আসলে মানবিক চিন্তা অনেক কমে গেছে মানুষের মধ্যে।হঠাৎ এভাবে যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়ে দিলে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে যায়।ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঠিকই।আসলেই মানসিকতার পরিবর্তন হোক এটাই প্রত্যাশা,ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি দিদি আমিও সেটাই প্রত্যাশা করি 🌼
আসলে বেশিরভাগ মানুষই সুযোগে সৎ ব্যবহার করে। তেমনি ড্রাইভার গুলো ও সুযোগে সৎ উপহার করা শুরু করে দেয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু-তিন দিন বন্ধ থাকায় অনেকেই বাড়িতে এসেছে। আর আপনিও এসেছিলেন। কিন্তু গাড়ি ভাড়া দেখছি অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। আসলে এই ধরনের মানুষগুলো সুযোগ এবং সময়ের অপেক্ষায় থাকে সব সময়। তারা এটা জানে যে বাধ্য হয়ে অবশ্যই তাদের গাড়িতে করে প্রত্যেকটা মানুষকে যেতে হবে। আর ঠিক তেমনটাই হয় এবং হয়েছে। এই মানুষগুলোর বিবেক-বুদ্ধির লোপ পাচ্ছে লোভের কারণে।
আসলেই ভাইয়া মানুষের মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে
আসলে সুযোগের সদ্ব্যবহার এর কথা বলতে গেলে আমাদের বাংলাদেশই সর্বশ্রেষ্ঠ৷ যেকোনো ধরনের কর্মকান্ড ঘটাতে যদি কেউ কোনো সুযোগ পায় তখনই সেই কাজটি সে ঘটিয়ে থাকে৷ এই দেশে প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনা ঘটে যাচ্ছে৷ যাইহোক আপনি আপনার নির্দিষ্ট গন্তব্য অনুযায়ী পৌঁছাতে পেরেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
প্রতিনিয়তই এমন হচ্ছে ভাই। তার ভুক্তভোগী আমরাই
আসলে বাঙালি সুযোগের সৎ ব্যবহার করা কখনো হাতছাড়া করে না। তারা এই সুযোগটাই সব সময় চায়। আর যখনই এই সুযোগ তাদের সামনে আসে, তখন এটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে, যার কারণে অনেকেরই ক্ষতি হয়। আর তেমনি সিএনজি ড্রাইভার, বাস ড্রাইভার সহ প্রত্যেকটা ড্রাইভার এইসব সময়তে ভাড়া অনেক বেশি বাড়িয়ে ফেলে। আর এর কারণে সাধারণ জনগণদের ক্ষতি হয়। কারণ তারা অনেক দিন পর বাড়িতে আসে, কিন্তু এরকম সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হলে কারো কাছেই ভালো লাগেনা।
একদম আপু! সুযোগ পেলেই একদম কাজ সেরে ফেলে। তবে সবার অবস্থা বুঝা উচিত
ভাই যেদেশে কোনো কিছুর জন্য জবাবদিহিতা করতে হয় না,সেদেশে আর কি বা আশা করা যায়। সিএনজি, বাস ড্রাইভাররা একেবারে সুযোগ সন্ধানী। তারা সুযোগ পেলেই ভাড়া বাড়িয়ে ফেলে। তাছাড়া রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন দাম বাড়তে থাকে। আসলে বাজার মনিটরিং করা হয় না সেভাবে। সেজন্য বিক্রেতারা সুযোগ নিতে পারে ভালোভাবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।