অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে!
14-01-23
০১ মাঘ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন! বছরের প্রথম মাসটাও উপভোগ করছেন! অথচ মনে হয় আমার কাছে সব একই দিনের মতো! নতুন বছরের যে একটা ফিলিংস সেটা যেন হারিয়ে গেছে! কোথাও যেন কি একটা মিসিং! জানুয়ারী মাসটা তো শুরু হতো নতুন বই, নতুন জামা দিয়ে! স্কু্লের প্রথমদিনের ক্লাসের প্রতি আগ্রহটাও থাকতো অনেক! এখন তো এসবের একটাও নেই! সুখের দাম যে বাড়িয়ে ফেলেছি! তাই হয়তো সুখ খুজেঁ পাওয়া যায় না! অল্পতেই যেখানে খুশি থাকতাম, এখন অনেক পেয়েও মনে হয় "এ তো অল্প!" জানুয়ারী মাসের সেই ফিলিংসটা আর কখনো হবেও কি না জানি না! তবে সেই সময়গুলো বড্ড মিস করি!
যাক, যে কথা বলতে চাচ্ছিলাম! আপনারা হয়তো জানেন যে, আমাদের কলেজ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল! কিন্তু আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কিন্তু তখনও শেষ হয়নি! সপ্তম সেমিস্টারের পর পাঠানো হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এ! যেটা পরে অষ্টম সেমিস্টারের আওতায়! আর আমাদের ডিপ্লোমা লাইফে টোটাল সেমিস্টার হলো আটটি! ডিপ্লোমার নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস অন্তর একটি সেমিস্টার শেষ হবে! কিন্তু মাঝে করোনা মহামারীর কারণে আমাদের সেমিস্টার পিছিয়ে যায়। তখন কলেজ খুলে দেয়ার পর ঠিকই আবার যথারীতি ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু সেমিস্টারগুলা চারমাস করা হয়! অর্থাৎ সিলেবাস শর্ট করা হয়! ১০০% এর পরীক্ষা আমরা দিয়েছিলাম ৫০% করে! অর্থাৎ অর্ধেক মার্কস করে!
৫০% আমাদের জন্য বলতে গেলে অনেক সুবিধা হয়েছিল! তবে বইয়ের সিলেবাস ছিল যথারীতি আগেরটাই! তখন ৫ম সেমিস্টার রানিং ছিল! করোনা মহামারীর পর তিনমাসের ও কম সময় পেয়েছি পড়ার মতো! খুব প্রেসার গিয়েছিল মাথার উপর দিয়ে। তার পরের সেমিস্টার আবার সহজ মনে হচ্ছিল! কারণ সিলেবাসটা তখন বুঝে গিয়েছিলাম! যেহেতু ৫০% মার্কসের পরীক্ষা দিতে হবে তাই একটু বুঝে শুনে পড়লেই হবে! সে অনুযায়ী পড়াশোনাই করেছিলাম! সেমিস্টারগুোর রেজাল্ট ভালোই এসেছিল! ডিপ্লোমা লাইফের গুরুত্বপূর্ণ সেমিস্টারগুলা হচ্ছে শেষের তিনটা! এই তিন সেমিস্টার যে ভালো করবে তার রেজাল্টও গড়ে ভালো আসবে! আসলে ফেনীতে যখন এসেছিলা এখানকার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতেই ছয়মাস চলে যায়!
কলেজের স্যারদের কাছে এতোটা পরিচিত মুখ হতে পারেনি! তবে ভালো কিছু বন্ধু পেয়েছি! পেয়েছি কয়েকজন ভালো শিক্ষক! তাদের গাইডলাইন সবসময় আমাকে সাহায্য করেছে! একটা কথা কি, আপনও যেখানেই পড়েন না কেন! আপনার মতোই কিছু টিচার পাবেন, যারা আপনার কথা শুনবে, বুঝবে! মজার ব্যাপার হলো, স্যারদের কাছে পরিচিত মুখ হতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে! খানিকসময়ের জন্য হলেও স্যারদের স্মরণে থাকতে পারবেন! ফেনী পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে দীর্ঘ এক বছর কাটিয়েছি! এক বছরে ক্যাম্পাসটা আপন করেই নিয়েছিলাম। কিন্তু সময় তো আর বসে থাকে না! কিভাবে কিভাবে একটা বছরও চলে গেল!
গত এগারো তারিখে কলেজে গিয়েছিলাম! কলেজ থেকে আমাদের বলেছিল যাওয়ার জন্য! প্রেজেন্টেশন জমা দিতে হবে! না গেলে নাম্বার দিবে না! এই নিয়ে দুইটা দিন খুব প্যারার উপর গেছে! তা নিয়ে অন্য কোনো পোস্টে শেয়ার করবো! লাস্ট ডেইট ছিল এগারো তারিখে কলেজে প্রেজেন্টেশন জমা দিতে হবে! ট্রেনে করে এসে পড়ি কলেজে! এসে তো একদম বোকা হয়ে যায়! শুধুৃমাত্র একটা বই দিয়ে বললো চলে যাও! আর কিছুদিন পর একটা প্রেজেন্টেশন বানিয়ে নিয়ে আসনে পাওয়ার প্লান্টে যা শিখেছো তার উপর! এতো কষ্ট করে আসলাম! স্যারদের কথা শুনে হতাশ হলাম! কি আর করার আছে!
ক্যাম্পাসে তখন বন্ধুরা মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম! শুনেছি ক্যাম্পাসে নাকি রাজনীতি প্রবেশ করেছে! আমাদের জুনিয়র ব্যাচের ছাত্ররা রাজনীতি এনেছে কলেজে! ক্ষমতার অপব্যবহার তাহলে শুরু হয়ে গেছে কলেজে! কপাল ভালো আমাদের সময় ছাত্র রাজনীতি ছিল না! ছাত্র রাজনীতি ব্যাপারটাকে আমি প্রচন্ড রকমের ঘৃণা করি! যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি! কলেজের এমন বেহাল দশার কথা শুনলাম ইয়াসিন স্যারের কাছ থেকেও। ছাত্ররা এখন ঠিক মতো ক্লাস করতে চাই না ;ফাঁকি দেয় ক্লাস! পড়াশোনায় তেমন মনোযোগ নেই! যাও কয়েকজনের আছে কিন্তু বাকিদের জন্য তাদেরও পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে! কলেজের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে! তবে প্রাকৃতিকভাবে কলেজের পরিবেশ কিন্তু সুন্দর হয়েছে! ক্যাম্পাসের পাশের পুকুর পাড়ে অনেক রকমের ফুলের সমারোহ! আপনাদের সাথে অন্য কোনো পোস্টে তা শেয়ার করবো! কিছু গাছ তো অনেক ছোট দেখেছিলাম, এখন অনেক বড় হয়েছে!
স্যারেরা যে রাস্তা দিয়ে ক্যাম্পাসে হাটাঁ চলা করে সে রাস্তায় দেখলাম আলপনা করা! সম্ভবত পহেলা বৈশাখের কোন দিনে এটা এঁকেছে! তবে আলপনাটা ভীষণ সুন্দরকরেই এঁকেছে। কাজটি করেছে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এর স্টুডেন্টরা! ক্যাম্পাসে বেশিক্ষণ থাকেনি! কারণ সকাল ১০:৪৫ এ ট্রেন ছিল! দশটার দিকেই বেরিয়ে পড়ি ক্যাম্পাস থেকে!
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 10 January, 2023 |
যাক, আর বেশি কথা বাড়ালাম না! আবারো হাজির হবো নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে, সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন! আল্লাহ হয়ফেজ 🌼🦋
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
অনেক দিন পর ক্যাম্পসে অনেক সুন্দর একটি মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল । এটা ঠিক বলেছেন বর্তমান সুখের দাম অনেক তাই হয়তে অল্পতে সুখ খুঁজে পাওয়া যায় না। আর কলেজ ক্যাম্পসে পরিবর্তন হবে এটা স্বাভাবিক। ফুলের সমারোহ ও আলপনা সবকিছু মিলে অনেক সুন্দর ছিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু! কিছ সময়ের জন্য ক্যাম্পাসে সময় কাটিয়েছিলাম! অনেক পরিবর্তনই হয়েছে ক্যাম্পাসের!
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিক বলছেন ভাইয়া ছোটকালের ফিলিংস এবং বড় হয়ে ফিলিংসটা ভিন্ন ধরনের।তখন তো জানুয়ারি মাসে নতুন একটা আনন্দ উপভোগ করতাম নতুন বই ও নতুন ড্রেস নিয়ে।তবে আপনি কলেজে প্রেজেন্টেশন জমা দেওয়া নিয়ে বেশ প্যারায় ছিলেন।সাথে অনেক মূল্যবান সময়ও কাটিয়েছেন শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন নতুন বছরের শুরুতেই নতুন বইয়ের স্পর্শ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম। সেই সময় প্রথম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পুরোপুরি নতুন বই দেওয়া হত শেষের দিকে যারা থাকত তাদের অর্ধেক নতুন বই বাকি অর্ধেক পুরাতন। আমি সবসময় চেষ্টা করতাম আমার সব কয়টা বই যেন নতুন হয়। আসলেই ভাই সেই অনুভূতি এখন আর পায় না স্কুলের পেরিয়ে এখন ভেবাচেকা ময় জীবনের মধ্যে বন্দী হয়েছি । করোনা মহামারীর কারণে আমাদের একটি বছর হারিয়ে গেছে অর্থাৎ পিছিয়ে গিয়েছে। যাইহোক, অনেকদিন পর ক্যাম্পাসের অনুভূতিটা অবশ্যই একটু ভিন্ন ছিল আপনার জন্য শুভকামনা ভাই।
আসলেই ভাই! তখন নতুন বইয়ের সাথে কিছু পুরাতন বই দেয়া হতো এজন্য আগে-ভাগে বই সংগ্রহ করে নিতাম! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই 🌼
অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে গিয়ে চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। রাস্তায় আলপোনা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এধরনের আলপোনা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিলো।
জি ভাইয়া! আলপনাগুলো অনেক সুন্দর ছিল দেখতে!
twitter share link
ছোটবেলার ডিসেম্বর মাস গুলো বেশ আনন্দের ছিল। আর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন বই হাতে পেতাম। সত্যি সেই আনন্দ কাউকে বলে বোঝানোর মত নয়। তবে সময়ের সাথে সাথে সব আনন্দই হারিয়ে গেছে। এখন পরীক্ষার চাপ, পড়াশোনার চাপ সব সময় লেগে রয়েছে। এবার যেহেতু করোনা মহামারির কারণে সবার সমস্যা হয়েছে তাই তো পরীক্ষা শর্ট সিলেবাসে হয়েছে কিংবা টাইম এলোমেলো হয়ে গেছে। যাই হোক অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
এখন নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দটা যেন হারিয়ে ফেলেছি! শৈশবের সেই সময়টুকু ভীষন মিস করি! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু 🌼
অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আমরা সবাই ছোটবেলায় নতুন বছরের নতুন দিনে বই এবং নতুন জামা কাপড়ের জন্য বেশ ভালই অপেক্ষায় থাকলাম সেদিন গুলো ছিল অন্যরকম সত্যি বলতে হয়। অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে গিয়েছেন সেই মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লেগেছে। খুবই ভালো একটি মুহূর্ত ছিল ধন্যবাদ।
জি আপু! ছোটবেলা আর এখনকার সময়ের মাঝে অনেক পার্থক্য! সময়গুলো খুব মিস করি! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ভাইয়া আপনার অনেক দিন পর ক্যাম্পাসে যাওয়ার অনুভুতি পড়ে অনেক ভাল লাগলো। সেমিস্টার সম্পর্কে ভাল একটি ধারনা পেলাম। আপনাদের ক্যাম্পাস টা অনেক সুন্দর। সময় এভাবেই স্মৃতির পাতায় সাক্ষী হয়ে থাকে । ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুমম ভাই! সময়গুলো যে কিভাবে চলে গেল টেরই পেলাম না! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🌼