সুপার ফোরে বাংলাদেশ
04-09-2023
১৯ ভাদ্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। তবে ভালো থাকার মাত্রাটা তাদের বেলায় আরেকটু বেশি যারা ক্রিকেট খেলা বুঝেন। বলতে গেলে অনেকদিন পর বাংলাদেশের একটি দূর্দান্ত ম্যাচ দেখলাম। আগের খেলা দেখে মোটামোটি আমরা সবাই যারা খেলাপ্রেমী আছি ডিপ্রেসড হয়ে গিয়েছিলাম। শ্রীলংকার কাছে এতো অল্প রানেই যে গুটিয়ে যাবে কে জানতো। তবে বাংলাদেশ যে বাচাঁ মরার ম্যাচ ছিল গতকাল সেটা বলাই যায়। হারলেই এবারের এশিয়া কাপ থেকে খালি হাতে ফিরতে হতো বাংলাদেশকে। যাক এবার ম্যাচের কথায় আসা যাক।
বাংলাদেশ ওপেনিং জুটি নিয়ে গত কয়েকবছর ধরেই যেন সমস্যা! কাকে রেখে কে ওপেন করবে। কখনো লিটনের সাথে তামিম, কখনো বা নাইম আবার মাঝে দুবার মিরাজকেও খেলতে দেখা গেছে। তবে গতকালকের স্কোয়াড দেখে ভালো লেগেছিল। নাইম শেখকে আরেকটা সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ যে করতে পারবে আমার কাছে মনে হয়নি। গাদ্দাফি স্টেডিয়াম সাধারণত ব্যাটিং পিচ হয়ে থাকে। যারা প্রথমে ব্যাটিং করে এভারেইজ রান ৩০০+ হয় এ মাঠে। তো সাকিব কাজের কাজটাই করেছে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুতেই নাইম শেখ তার ফরমাল ক্রিকেট খেলা শুরু করে সাথে তাকে সায় দেয় মিরাজ। নাইম শেখের সংগ্রহ যখন ২৮ তখনই মুজিবের বলে বোল্ড সাজঘরে ফেলে। তবে দশ ওভারে ভালো একটা সংগ্রহ হয়েছিল বাংলাদেশের।
তারপর ব্যাটিং করতে আসে তৌহিদ হৃদয়। গত ম্যাচেও ভালো করতে পারেনি হৃদয়। আশা করেছিলাম এ ম্যাচে কিছু একটা করবে। কিন্তু না, গুলবাদ্দিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরে। তারপর আসে নাজমুল শান্ত। বর্তমানে বাংলাদেশ তার উপর অনেক আস্থা রাখছে। আস্থার প্রতিদানও সে দিয়ে আসছে। গত ম্যাচেও সে ৮৭ রানের একটি ইনিং আমাদের উপহার দিয়েছিল শ্রীংলকার বিপক্ষে। শান্তর ব্যাটিং স্টাইলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফেয়ারলেস ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় শান্তকে। শান্ত আর মিরাজ দুজনে তুলে নেই হাফ সেঞ্চুরি । মুজিব, রশিদ আর ফারুকীকে ভালোই সামলিয়েছে দুজন। খেলা দেখে মনে হচ্ছিল আজ ৩০০+ রান হবে। রান রেইট ৫.৩০ এর উপরই ছিল তখন।
তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ২৭৮ তখন হাতের ফিঙ্গারের ইনজুরিতে মিরাজ ১১২ করে মাঠ ছাড়ে। তারপর নামে মুশফিক। মুশফিক নেমেই রশিদদের ভালোভাবেই সামলে নেয়। এদিকে নাজমুল শান্ত সেঞ্চুরি করে। ব্যক্তিগত সংগ্রহ যখন ১০৪ তখন রান আউট হয় শান্ত। তারপর সাকিব আর মুশফিকের বিধ্বংসী ব্যাটিং এ বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৩৪। এতো বড় টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপের মুখে পড়ে যায় আফগান ব্যাটাররা। শরীফুলের বলে এল ডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরে গুরবাজ। আমি ধরেই নিয়েছিলাম গুরবাজকে তাড়াতাড়ি আউট করতে পারলেই বাংলাদেশ জিততে পারবে। সেই কাজটি যেন করে। তারপর ইবারীহীম আর রহমত শাহ পার্টনারশিপ তৈরি করলেও সেটা বেশিদূর যেতে পারেনি। রহমত শাহকে সাজঘরে ফেরায় তাসকিন। তারপর হাসমুতল্লাহ শহীদি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেই। শরীফুলের বলে আউট হয়ে ফেরে শহীদি। তারপর থেকে শুরু হয় আফগানদের যাওয়া আসার খেলা।
তবে রশিদ খান কিছুক্ষণ বিধ্বংসী ব্যাটিং করে। কিছুটা সামনে আগায় রান। তবে বেশিদূর আর যেতে পারেনি রাশিদ খান। তাসকিনের বলে আউট হয় এবং আফগানরা অলআউট হয় ২৪৫ রানে। ৮৯ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ জয় পায়। যেহেতু এ ম্যাচে রান রেটের একটা বিষয় ছিল। তাই বাংলাদেশ এখন সুপার ফোর নিশ্চিত বলা যায়। কারণ পরের ম্যাচে শ্রীলংকা বা আফগান যারাই জিতুক বাংলাদেশের রানরেইট এগিয়ে থাকবে। অনেকদিন পর উপভোগ্য একটি ম্যাচ দেখলাম। আশা করছি পরের ম্যাচগুলোও ভালো করবে বাংলাদেশ।
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবারো হাজির হবো নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গত কালকের ম্যাচটা তে আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছে। এখন সামনে সেমিফাইনাল ভালো খেলে যদি ফাইনালে যেতে পারি তাহলে তো অনেক বেশি দুর্দান্ত হবে। আমি গতকালকের শেষের দিকে খেলা দেখেছিলাম। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই ভাই ফাইনালে যেতে পারলে আরও ভালো লাগবে। দেখা যাক কোন পর্যন্ত যায় 😊
পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনেকদিন পরে বাংলার দামাল ছেলেদের গর্জন দেখতে পেলাম।
কি দুর্দান্তই না খেললেও গতকালকের ম্যাচটা। মিরাজ শান্ত ডাবল সেঞ্চুরি জয়ের পথ সুগম করে দিয়েছে।
তাছারা বোলিংয়েও শরিফুল এবং তাসকিন অনেক ভালো করেছে।
সুপার ফোর নিশ্চিত এখনও বেঁচে আছে এশিয়া কাপের আশাটা।
সুপার ফোরে আমরা উঠে গেছি ভাইয়া। দেখা যাক কতদূর যাওয়া যায়।
গতকালের ম্যাচটা জাস্ট দুর্দান্ত ছিল। বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচটি দেখে মনে অনেক শান্তি পেয়েছি এবং আত্মবিশ্বাস জাগ্রত হয়েছে যে সুপার ফোরে গিয়ে আমরা অনেক ভালো একটি ম্যাচ খেলে আমরা ফাইনালে যাবো, ইনশাল্লাহ। আজকে সেই ম্যাচটির এত সুন্দর এনালাইসিস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আমিও আশা করি ভাই বাংলাদেশ ফাইনালে যাবে 😍
অবশেষে স্বস্তির জয়। আর এ জয়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ সুপার ফোরে চলে গেল। ভাই যদি এই ম্যাচটা কোনভাবে হেরে যেত বা কম রানে জিততো তাহলে তাদের আরো কিছু সমীকরণে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। যাহোক বাংলাদেশ টিমের জন্য শুভকামনা রইলো।
জিতে তো চলে গেল, এখন হারা চিন্তা না করি,,, 😊।
বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের ম্যাচটি আমার সরণ থেকে যাবে।সাকিব, মেহেদীকে নামিয়ে খুব ভালো করছে।তবে বাংলাদেশের একটায় সমস্যা তারা সঠিক ওপেনিং নামাতে পারে না। কালকের ম্যাচ টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
আমিও এই খেলাটি দেখেছিলাম ভাই। খেলাটি দেখে প্রচুর মজা পেয়েছি। অবশেষে বাংলাদেশ সুপার ফোরে পৌঁছে গেল। বাংলাদেশ টিমের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা ভাইয়া আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছিল 🦋