গ্রামীন পরিবেশে গাজর ক্ষেতে ভিন্ন রকম একদিন || My Original Photography
হ্যালো বন্ধুরা,
আজ আবারও ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সম্মুখে এসেছি। এখনতো শীতকাল নেই শীতের সবজিও নেই কিন্তু তবুও আজ শীতের অন্যতম একটা সবজি না আপনি শুধু সবজি না এটাকে ফলও বলতে পারেন কারন এর চমৎকার পুষ্টিগুন নামী দামী কোন ফলের তুলনায় মোটেও কম কিছু না। নামটা বলেই দেই তাহলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। জ্বী এটা হলো গাজর, পুষ্টির রাজা বলা হয় যাকে। আমাদের গ্রামে প্রচুর পরিমাণে গাজর চাষ করা হয়। খুব বেশী দূরে না আমাদের বাড়ীর চারপাশে অনেকগুলো খেত রয়েছে। দেখতে বেশ ভালো লাগে, না গাজর না গাজর খেতের কথা বলছি হি হি হি। কারন গাজর তো আর দূর হতে দেখা যায় না, এগুলোতে গাছের তলায় লুকিয়ে থাকে, টেনে টেনে তুলতে হয় তাদের।
কিন্তু একটা বিষয় আমার কাছে ভালো লাগে না আর সেটা হলো গাজর পরিস্কার করার বিষয়টি। আমি জানি না আপনারা কেউ সেটা দেখেছেন কিনা। মাঝ হতে মাটি উঠিয়ে অনেকটা খালের মতো কিংবা নালার মতো তৈরী করা হয়, তারপর দুই পাশে দুইজন পা সম্মুখে দিয়ে বসেন। সেই নালায় গাজর এবং পানি দেয়া হয় তারপর দুই পাশের দুইজন পা দিয়ে মাড়িয়ে সেগুলোকে পরিস্কার করা হয়। একবার আমার বউ দৃশ্যটি দেখেছে তারপর হতে সে গজর হতে দূরে থাকে। হয়তো আপনাদের গ্রামে এগুলোকে ভিন্নভাবে পরিস্কার করে।
সেই প্রসঙ্গ থাক, পরে আপনারা আবার গাজর খাওয়া ছেড়ে দিলে গাজর ব্যবসায়ীরা ক্ষেপে গিয়ে আমার নাকে মামলা ঠুকে দিবে হি হি হি। তাই এসব নিয়ে গবেষণা না করাই ভালো, যেভাবেই করা হোক না কেন পরিস্কার হওয়াটাই আসল কথা। পানি আর পা দিয়েই তো পরিস্কার করে অন্য কিছুতো ব্যবহার করা হয় না হি হি হি। তাই আমার কোন সমস্যা নেই। বেশ পরিমানে এবার গাজর নিয়ে আসছি গ্রাম হতে। না খুশি মনে আনি নাই বরং মা আর বউ দুইজনের ডরে ডরে আনছি। এক পাশে মা আর অন্য পাশে বউ, বাবারে বাবা আমিতো নিরীহ মানুষ তাই বাধ্য হয়ে সব নিয়ে আসি যা দেয়া হয় বস্তায় ভরে হি হি হি।
যাইহোক, এবার গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার সময় দেখলাম একটি খেতে গাজর তোলা হচ্ছে। তাই আর দেরী না করেই নেমে পরলাম খেতে মানে গাজর খেতে কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য। এই সুযোগ কি মিস করা যায়, আমার বাংলা ব্লগবাসীর জন্যও তো গ্রাম হতে কিছু নিয়ে আসা লাগবে। তাই ফটোগ্রাফিগুলো দ্রুত করতে লাগলাম। একজন মুরব্বি জিজ্ঞেস করলো বাবা কি করছেন? আমি উত্তরে বললাম গাজরের ফটোগ্রাফি করছি। তাই হেসে দিয়ে বড় সাইজের কিছু গাজর হাতে নিয়ে এগিয়ে আসলেন আর বললেন নেন ফটো তুলেন। বাহ! কি জোস চাচার, বুড়ো হলে কি হবে শখ এখনো কমে নাই। তাই আমিও দুটো শট নিয়ে নিলাম চাচার। না না ফটোগ্রাফির জন্য কোন ঘুষ টুষ নেই নাই, এমনিতেই করে নিয়েছি হি হি হি।
তবে এই গাজর খেতটা বেশ বড় ছিলো, সেখানে অনেকগুলো মানুষ গাজর উঠানোর কাজ করতে ছিলো। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বস্তা পূর্ণ করেছে গাজরে। আমি একদম কাছে চলে গেলাম এবং ঘুরে ঘুরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। যদিও তখন বেশ রৌদ্র ছিলো এবং রোদের অনেক তাপমাত্রা ছিলো। তাই বেশী সময় সেখানে থাকতে পারলাম না। ফটোগ্রাফিগুলো করেই দ্রুত কেটে পরলাম, পরে না আবার তারা ফি চেয়ে বসেন, হি হি হি। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফিগুলো দেখি-
গাজর সত্যি খুবই পুষ্টিকর একটি উপাদান কারন এর মাঝে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা উপকরণ। বিশেষ করে সকল ধরনের ক্যান্সার এর বিপক্ষে লড়াই করার গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে গাজরের মাঝে। আমি অবশ্য প্রচুর পরিমানে গাজর খাই এবং ভিন্নভাবে খেতে পছন্দ করি। এবার হয়তো খুব এটা রেসিপি শেয়ার করা হয় নাই, তবে পরবর্তীতে গাজরের কিছু ভিন্ন রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো।
তবে সবচেয়ে বেশী ভালো লাগে গাজরের হালুয়া এবং পায়েস। হালুয়াটা একটু বেশী ভালো লাগে। আমাদের বাড়ীতে হালুয়া তৈরী করা হলে সেটাকে ফ্রিজে কয়েক দিন পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়, যেন একটু একটু করে স্বাদ নিতে পারি। বুঝেন না ক্যা, সবুরে মেয়া ফলে তাই অল্প অল্প করে খেলে স্বাদটা বেশী পাওয়া যায় হি হি হি।
আশা করছি আজকের গাজরের খেতের দৃশ্যগুলো আপনারা উপভোগ করেছেন। আর না করলেও কিছুই করার নেই, কারন ফটোগ্রাফি করার সময় আমি বেশ উপভোগ করেছি হি হি হি।
তারিখঃ মার্চ ১৯, ২০২২ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
গাজর আমার অনেক প্রিয় একটি সবজি। গাজর আমাকে রান্না করে খাইতে ভালো লাগে নাহ, তবে কাঁচায় খাইতে খুবেই ভালো লাগে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে গাজরের ছবি গুলো ক্যাপচার করেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। অনেক সুন্দর হয়ে পোস্ট টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে আপনার পোস্ট টি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক ভালোবাসা ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা রইল।
আমি গাজর বেশীর ভাগ সময় কাঁচা বেশী খেয়ে থাকি, তবে গাজরের হালুয়া আমার দারুণ প্রিয়।
সামনাসামনি কখনো গাজরের ক্ষেত দেখিনি। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম ভাইয়া। এমনিতেই গাজর খুব কম খাই। আর এই কম খাওয়ার জন্য ছোটবেলায় আম্মুর অনেক বকাও খেতাম। যদিও সেই বকা আমার কাজে লাগেনি। হিহিহি 😁😁
তবে আপনি যেই কথা শুনালেন যেভাবে এটিকে পরিষ্কার করা হয়, এই কথা শুনে তো ভাবির মতো আমিও আর গাজরের সাথে নাই।
পোষ্ট টি পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে ধন্যবাদ।
তাহলে তো আমার পোষ্ট বেশ স্বার্থক হয়ে গেলো, অনেকেই গাজর খেত দেখার সুযোগ পেলো।
চাচামিয়ার ছবি তোলার আগ্রহ দেখছি ভালই আছে। ভাই গাজর গুলো তো খুবই হৃষ্টপুষ্ট। আমি কিন্তু গাজর পছন্দ করি। সেটা সবজি বা সালাদ যেভাবে বলেন। গাজর আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।তবে ধোয়ার ব্যাপারটা শুনে একটু অন্যরকম লাগলো। আগে এটা সম্বন্ধে কোনো ধারণা ছিল না। আপনার পোস্টটা পড়ে খুব মজা পেলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আমার ফটোগ্রাফি দেখে উনি কিছু ভালো ভালো গাজর বেছে তারপর বলে ভাতিজা আমার ছবি তুলো একটা হা হা হা। আমিও কায়দা করে ক্যাপচার করে নিয়েছি।
আমার অঞ্চলে গাজরের চাষ করা হয় না। তাই গাজরের ক্ষেত দেখার সৌভাগ্য হয়নি কখনো। তবে আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে নিলাম এবং জানতে পারলাম কিভাবে গাজর পরিষ্কার করা হয়। আসলে আমাদের চোখের আড়ালে অনেক কিছুই হয়। যেগুলো দেখলে অনেকটা ইতস্ত বোধ হয়। কি আর করার তবুও তো খেতে হবে। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💓💓
হ্যা, ভাই প্রথমবার দেখে আমিও বেশ অবাক হয়েছিলাম, তবে পদ্ধতিটি দেখে বেশ মজা পেয়েছিলাম সত্যি।
আপনার ভাষ্যমতে গাজর যেভাবে পরিষ্কার করার কথা বললেন বিষয়টি আমার কাছেও খুব একটা ভালো লাগেনি। তবে আপনার কথায় ঠিক যেভাবেই হোক পরিষ্কার হওয়া টাই আসল। আমি কখনো গাজর ক্ষেত দেখি নাই। কারণ আমাদের দিকে গাজর চাষ করা হয় না। তবে গাজর আমার অনেক পছন্দের খাবার। বিশেষ করে আমি ফল হিসেবে এটাকে বেশি খাই। ক্ষেতের এইরকম টাটকা গাজর দেখা হয়নি। গ্রাম থেকে আমাদের জন্য গাজরের ফটোগ্রাফি এনেছেন এতে করে আমরা অনেক খুশি হি হি।
ভালো মন্দ বিচার করতে গেলে গাজর খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে ঈদের সেমাইয়ের মতো হি হি হি।
অস্থির😂😂👌👌
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
ভাইয়া আমি সরাসরি গাজর ক্ষেত কখনো দেখি। এভাবে একসাথে এতগুলো গাজর দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখছে এতে বুঝতে পারলাম গাজরের গাছগুলো লম্বা লম্বা হলেও গাজরগুলো থাকে মাটির নিচে । গাজর পরিষ্কার করার পদ্ধতি জানতে পেরে একটু হাসি পাচ্ছে।পা দিয়ে নেড়ে নেড়ে কাপড় পরিষ্কার করা হয় আগে জানতাম না।আপনার এলাকায় বেড়াতে যাওয়া দরকার তাহলে অনেক গাজর নিয়ে আসা যাবে হা হা হা।যাই হোক গাজর সম্পর্কে এত গুলো তথ্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের গ্রামে প্রচুর গাজর, আখ, সরিষা, ভুট্টা চাষ করা হয়, বেশ দারুণভাবে আমি সবকিছু উপভোগ করি।
আমি এমনিতেই গাজর খাইনা। আর আজকে গাজর পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া শুনে তো আরও বেশি বুঝতে পারলাম আমি কেন গাজর খাইনা 😅😅। যদিও এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানতাম না। আজকে জেনে নিলাম। তবে ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। গাজরগুলো দেখতেও বেশ তরতাজা। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বলেন কি? আপনি জানেন গাজর খেলে মানুষ দ্রুত ফর্সা হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি গাজর খাওয়া ধরেন আপু, তাহলে আর ফেয়ার এন্ড লাভলী ব্যবহার করা লাগবে না হি হি হি।
তাইতো বলি আপনি এত ফর্সা হলেন কি করে। তার মানে আপনি গাজর খেয়ে ফর্সা হয়েছেন।😅😅
এই রে, সিক্রেট তথ্যটা বুঝি এই ফাঁস হয়ে গেলো, হা হা হা হা।
ভাইয়া গাজর ক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালোই করেছেন। আমার কাছে ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লাগছে। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে এবারে গাজরের ফলন মনে হচ্ছে খুব ভালোই হয়েছে। গ্রামে গিয়ে গাজরের ক্ষেত পরিদর্শন করে বেশকিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে গাজর ধোয়ার পদ্ধতির অভিজ্ঞতাটা আমার মজা লেগেছে। কিন্তু গাজর ধোয়ার পদ্ধতি শুনে আমার একটু কেমন যেন লাগলো। এখন আমারও গাজর খাওয়ার সময় সেই কথাটা মনে পড়বে। আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যা, আমাদের এই দিকে গাজর বেশ ভালো ফলন হয় প্রতি বছরই। আসলে একেক অঞ্চলে একেক পদ্ধতিতে পরিস্কার করা হয়। আমাদের এই দিকে পুকুরের পরিমান খুবই কম, তাই হয়তো এভাবে করা হয়।
আমি কখনো গাজর খেত দেখি নি। যদিও গাজর আমার খুব প্রিয় একটি সবজি। বিশেষ করে গাজরের হালুয়া আমার খুবই প্রিয়। আপনার পোষ্টের কল্যাণে আজ গাজর সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। তবে গাজর ধোয়ার প্রক্রিয়া আমার মোটেই ভালো লাগলো না। যাই হোক সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই গাজরের হালুয়ার কথা শুনলে জিবে জল চলে আসে, বেশ লাগে খেতে সত্যি।