হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন, আমি আমার মতো একদমই নেই কারন লোডশেডিং এর যন্ত্রণায় অনেকটাই অসুস্থ্য হয়ে যাচ্ছি। কাজ করার কিংবা কমিউনিটিতে সময় দেয়ার খুব একটা সুযোগ পাচ্ছি না। অফিসেও বিদ্যুৎ থাকে না, বাড়িতেও বিদ্যুৎ থাকে না, যার কারনে সময় ব্যয় করার সুযোগ অনেকটাই কমে গেছে। এতো দিন দেখলাম বৃষ্টিকে খুঁজে পাওয়া যায় না কিন্তু এখন দেখছি বৃষ্টির সাথে বিদ্যুৎও লাপাত্তা, দুইজনের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, হি হি হি।
যাইহোক, মুল আলোচনায় ফিরে আসি। আমার বাংলা ব্লগের ভেরিফাইড ইউজারদের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ প্রতিযোগিতার বিষয়টি দারুণ একটা আইডিয়া ছিলো এবং এটার প্রতি আমার বেশ সমর্থনও ছিলো। আসলে শুরু হতেই আমি একটা বিষয়ে বেশ সোচ্চার ছিলাম আর সেটা ছিলো কমিউনিটির প্রতিযোগিতা সমূহে সকল এ্যাডমিন এবং মডারেটরদের অংশগ্রহণ। আমি নিজেও শুরুর দিকের সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম, এটা বেশ ভালো লাগতো এবং অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করতো। কিন্তু আস্তে আস্তে আমিও অনুৎসাহিত হয়ে গেলাম, কারন এ্যাডমিন মডারেটরদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে এখন, যার কারনে তেমন একটা উৎসাহ পাই না এখন।
![IMG_20230604_145728.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmSxeeP7Svon5gujXU9UN9qTNSLQHzJkV5HzYDMEcrcA7s/IMG_20230604_145728.jpg)
তবে আমার বাংলা ব্লগের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ইউজারদের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ এই প্রতিযোগিতা পুরনো সেই উৎসাহটাকে আবার জাগিয়ে দিয়েছে এবং অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে দারুণ একটা উৎসাহ পেয়েছি। তাইতো অফিস ফাঁকি দিয়ে দারুণভাবে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। বাড়ির সামনের সড়কে থাকা ব্যানার কেটে বাঁশের কঞ্চি সংগ্রহ করেছি। ছোট বেলায় কত করেছি এই রকম, নতুন নতুন পোষ্টার ছিড়ে কিংবা কাপড়ের ব্যানার নামিয়ে পাড়ার মোরে আগুন জ্বালিয়ে আড্ডা দিতাম শীতকালে হি হি হি, কি ভাবছেন? আরে না, আমি অতো খারাপ ছেলে না একদমই ভদ্র, এসব জাষ্ট বয়সের দোষ হা হা হা।
তো, মেলা কায়দা করে ছোট বেলার একটা প্রিয় খেলনা বানিয়ে ফেললাম। স্কুল জীবনে আমি এই বিষয়ে বেশ দক্ষ ছিলাম, গুলতি বন্দুক তৈরীর ব্যাপারে। ম্যাচের বক্স বা কাঠের টুকটা দিয়ে অথবা চিকন বাঁশের কঞ্চি দিয়ে দারুণভাবে গুলতি বন্দুক তৈরী করতে পারতাম। ঐ যে ভদ্র ছেলে ছিলাম, তাই একটু আধটু এসব তৈরী করতাম সময় ব্যয় করার জন্য, হি হি হি। শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেলো, ভাবছি শৈশবের ভদ্রতামাখা সেই স্মৃতিগুলো নিয়ে কিছু পোষ্ট লিখবো। তবে কথা হলো বিদ্যুৎ কতটা সহযোগিতা করবে সেটার উপর সব কিছু নির্ভর করে। কারণ এখনো কলকাতার সবগুলো পর্ব লিখতে পারি নাই। চলুন তাহলে বিশেষ প্রতিযোগিতার জন্য তৈরী করা বিশেষ গুলতি বন্দুক তৈরীর ধাপগুলো দেখি-
![IMG_20230604_132926.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdsfnvpeqVjSyHFdvA4XCqLJy9cfWaaGo1C9GT6McYfDy/IMG_20230604_132926.jpg)
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- ম্যাচ বক্স
- বাঁশের কঞ্চি
- আইসক্রিমের কাঠি
- রাবার
- সূতা
- বোতাম
- ডাবল গাম টেপ
- সিজার
- ছুরি ও হাতুড়ি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
![IMG_20230604_150834.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVaSQftZaiiFj5uPSiEfnwwDCMkLUF8Ar9eJ4KUwPoawm/IMG_20230604_150834.jpg)
বেশ সময় নিয়ে বাঁশের কঞ্চিটিকে টুকরা করে নিয়েছি, তারপর সেগুলোকে সুন্দর করে ছোট ছোট টুকরা করে নিয়েছি। যদিও প্রথমে চিন্তা করেছিলাম আইসক্রিমের কাঠি দিয়েই হয়ে যাবে কিন্তু পরে দেখলাম সেটা সম্ভব না।
![IMG_20230604_142408.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZqYrmVG2vdr1mrHUq4ozCUDpKPtT9gRdoV3Hh36SbEoa/IMG_20230604_142408.jpg)
![IMG_20230604_142702.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV59UYoE5Fm7sxcB6tM8EKZn76HHdtPuddL6h6aZB6TSq/IMG_20230604_142702.jpg)
তারপর রঙিন কাগজ কেটে ম্যাচ বক্সগুলোকে সুন্দর করে মুড়িয়ে নিয়েছি যাতে দেখতে কিছুটা সুন্দর লাগে। আপনারা চাইলে বাঁশের কঞ্চির কাঠিগুলোকেও রং করে নিতে পারেন।
![IMG_20230604_143007.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmebSDiNq8Qjb8xW8zfCx94mnmCm4G648iRyq7YCjV1oEq/IMG_20230604_143007.jpg)
![IMG_20230604_143258.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQWNXqUvRYzKetyyCWNMdcZSXDpfBcQmUXZed4A8Qn2E3/IMG_20230604_143258.jpg)
![IMG_20230604_143743.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmSYNEDCfzwxmJm3NdZCvKTSHfdX4Hg3i4AupgZ5JBBGZn/IMG_20230604_143743.jpg)
তারপর কঞ্চিগুলোকে তিন পাশে এবং আইসক্রিমের কাঠি এক পাশে দিয়ে গাম টেপ ব্যবহার করে বসিয়ে নিয়েছি। সবশেষে রাবার দিয়ে সেগুলোকে সুন্দর করে পেঁচিয়ে নিয়েছি যাতে ছুটে না যায়।
![IMG_20230604_144103.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbu6CAhcfebNLyn4cMNF2e74H3LkZ1sE83rrh7tS4t5em/IMG_20230604_144103.jpg)
![IMG_20230604_144200.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPYKC6DaLbxnuJCTLbR6ahLQ1BKJEReiV5oeQ3wkCNKnQ/IMG_20230604_144200.jpg)
![IMG_20230604_144306.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW5DHwxasGhqAxmK1yetSVKkMMfydUm32xPpNuWrzPmxy/IMG_20230604_144306.jpg)
তারপর একটা রাবার নিয়ে বোতামের ভিতর দিয়ে সেটাকে আটকে নিয়েছি এবং রাবারের অপর প্রান্তের সাথে সুতা বেঁধে সেটাকে বন্দুকের নলের সাথে বেঁধে দিয়েছি।
![IMG_20230604_144426.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbht6aNZ5g7PWa2iyos1ZGbZsodPsLhZ8gNcKEP58Bi6P/IMG_20230604_144426.jpg)
![IMG_20230604_144649.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUYEFdEXRmdkMddgBd5cBrDuvxDFgrzadXo58q2QQwEg6/IMG_20230604_144649.jpg)
![IMG_20230604_144728.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbYXnJYaUi2bDbfJvy5d2BmNNma5KbvB2NbfczRJ79kik/IMG_20230604_144728.jpg)
ব্যস হয়ে গেলো আমাদের গুলতি বন্দুক তৈরীর ধাপগুলো, যদিও আমার এটা তৈরী করতে মোট দুই ঘন্টা সময় লেগেছিলো শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সবগুলো ধাপ কমপ্লিট করতে। অবশ্য এটা পেয়ে আমার মেয়ে সবচেয়ে বেশী খুশি হয়েছে কারন একটা ভিন্ন ধরনের খেলনা সে পেয়েছে। আশা করছি আপনাদের কাছেও এটা ভালো লাগবে।
এ্যাকশনের ছোট একটা দৃশ্য দেখুন এখানে-
https://www.youtube.com/shorts/ESiqd5op3AY
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
![break .png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYmTSi2ShPh8faMHKWEEyCqA8mRJ49QNv9wW9eihGc2oy/break%20.png)
![Leader Banner-Final.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmf1vVwFwpbswCdJTFjNtstUPoKMfUCMZQR9pXrdHbFYDk/Leader%20Banner-Final.png)
![break .png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYmTSi2ShPh8faMHKWEEyCqA8mRJ49QNv9wW9eihGc2oy/break%20.png)
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
![break .png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYmTSi2ShPh8faMHKWEEyCqA8mRJ49QNv9wW9eihGc2oy/break%20.png)
যাক এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছোট্টবেলার স্মৃতি বিজড়িত গুলতি বন্দুক তৈরীর বিষয়টিতে আপনি অনেক দক্ষ সেটা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ।প্রতিটা মানুষের ছোট্টবেলার অনেক স্মৃতি থাকে খেলনা বিষয়ের প্রতি আসক্ত থাকতো । খুব ভালো লাগলো গুলতি বন্দুক তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই দিলেন তো সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে এখন যুদ্ধ হলে থামাবে কে? হাহাহা। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া আপনার ডাই প্রজেক্ট টি।যে কেউ দেখেই নস্টালজিক হয়ে যাবে৷ শুভ কামনা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
ভাইয়া ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আপনার এই গুলতি বন্দুক তৈরি দেখে। এর ধাপ গুলো কমপ্লিট করতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছিল, এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি এই গুলতি বন্দুক তৈরি করতে ম্যাচবক্স তৈরি করেছেন। ছোটবেলায় সবাই যখন একসাথে হতাম, তখন একে অপরকে মারার জন্য এগুলো তৈরি করতাম। শৈশবের কথা মনে করিয়ে দিলেন এটি দেখিয়ে। আর আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া খুবই সুন্দর একটি পিস্তল তৈরি করছেন আপনি। ম্যাসের বাক্স এবং অন্যান্য উপকরণ এর সমন্বয়ে খুবই চমৎকারভাবে সুন্দর একটি পিস্তল তৈরি করেছেন। আপনার এই পিস্তল তৈরি করার ক্ষেত্রে রাবারের ব্যবহারটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ছোটবেলা ভাইয়াদের গুলতি বানাতে দেখতাম।আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে গুলতি বন্দুক দেখতে পেলাম।আপনি সময় নিয়ে খুব সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক অনেকশুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আশা করি ভাই ভালো আছেন? গুলতি বন্দুক তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে ভাই আপনার বন্দুক দেখে শৈশবের সে সোনালী দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। শৈশবের সেই দিন গুলোতে পাড়ার বন্ধুদের সাথে কত সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে বন্দুক নিয়ে। গুলতি বন্দুক তৈরি করা ধাপ গুলো আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এত চমৎকার ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ভাই প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমার বাংলা ব্লগের বিশেষ প্রতিযোগিতায় আপনি গুলতি বন্দুক ডাই তৈরি করেছেন। আপনি খুব দক্ষতার সাথে ধাপে ধাপে চমৎকার ভাবে বানানো চেষ্টা করেছেন। এবং সর্বশেষে আপনি সফল হয়েছেন। আপনার ডাই প্রজেক্টি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি তো খুবই ভদ্র ছেলে ভাইয়া।যাইহোক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই ভাইয়া।আপনার তৈরি diy টি একদম ভিন্ন ধরনের ছিল।যেটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে👌আপনি দুই ঘন্টা সময় নিয়ে খুব সুন্দর একটি গুলতি বন্দুক তৈরি করেছেন।আমি ভেবেছিলাম প্রথমে পাখি মারা ফিতাকল হবে কিন্তু ভিতরে ঢুকেই বুঝতে পারলাম না।বেশ ভালো লাগলো diy টি,ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলায় এরকম কত খেলা দিয়ে যে খেলেছি এবং কত খেলনা যে তৈরি করেছিলাম তার হিসেব নেই। ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল ভাই। সেই সাথে এ্যাকশনের দৃশ্যটি দেখেও অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাই।