রবিবারের আড্ডা-১৪ || ABB Stage Show: Episode-14

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

Abb Show-14.png

সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন রবিবারের আড্ডা-১৪তম পর্বে। আমরা শুরু হতেই বার বার বলে আসছি আমার বাংলা ব্লগ ব্যতিক্রম কমিউনিটি এবং আমাদের চিন্তাধারাও ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন নিয়ে আমার বাংলা ব্লগকে সাজানোর চেষ্টা করি। নতুন এই আয়োজনটি নিয়ে আমরা এখনো চিন্তা করছি, কাংখিত ক্ষেত্রে আরো কি কি পরিবর্তন আনা যায়, আশা করছি সময়ের সাথে সাথে কাংখিত পরিবর্তনগুলো ঠিক দেখতে পাবেন।

আমাদের এই আয়োজনটি চারটি সেগমেন্টে ভাগ করা হয়েছে, প্রথম সেগমেন্টে আমরা আমাদের অতিথির সাথে পরিচিত হবো এবং তার নিকট হতে আমাদের পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো। এ সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে সেটা আমরা দ্বিতীয় সেগমেন্টে জানার চেষ্টা করবো। অর্থাৎ আমাদের দ্বিতীয় সেগমেন্টেটি আপনারা যারা দর্শক সারিতে রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে। আপনারা নিজেদের কৌতুহল কিংবা আগ্রহ থেকে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং সেখান হতে অতিথি নিজে তিনজন সেরা প্রশ্নকারী নির্বাচন করবেন। যাদের জন্য থাকছে বিশেষ পুরস্কার।

এরপর আমার নিজের পছন্দের একটা গান শুনবো, তারপর শুরু হবে তৃতীয় সেগমেন্ট ঝটপট রাউন্ড, এখানে কমপক্ষে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে, অতিথি এক কথায় ঝটপট উত্তরগুলো দেয়ার চেষ্টা করবেন। সবশেষে আমরা যাবো চতুর্থ সেগমেন্টে অর্থাৎ শেষ পর্বে, যেখানে আমরা অতিথির নিকট হতে আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ বা দিক নির্দেশনা শুনতে চাইবো। এই হলো আমাদের রবিবারের আড্ডার টোটাল প্যাকেজ।

আসুন আমরা আমাদের অতিথির নিকট যাই এবং তার সাথে পরিচিত হই, তার সম্পর্কে কিছুটা জানি। স্বাগতম @rme দাদা, আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা। সংক্ষেপে যদি নিজের সম্পর্কে কিছু বলতেন? তারপর @rme দাদার সম্পর্কে কিছু কথা শুনি এবং এরপর আমরা শুরু করি প্রথম পর্বের পাঁচটি প্রশ্ন যা নিচে তুলে ধরা হলো।

14.png

স্ক্রিনশট ক্রেডিটঃ @alsarzilsiam সিয়াম ভাই

প্রশ্নঃ স্টিমিটে আসলেন কিভাবে?
উত্তরঃ আপনারা অনেকেই জানেন আমি আর্লি ইনভেস্টর অফ বিটকয়েন অর্থাৎ বিটকয়েন চালু হওয়ার সাথে সাথেই আমি এখানে কিছু ইনভেস্ট করি এবং সেই সুবাদেই এখান থেকে কিছু মানুষের সাথে আমার যোগাযোগ স্থাপন হয়। ২০১০ সালে বিট কয়েন সম্পর্কে জানতে পারি এবং তখনই এখানে কিছু বিনিয়োগ করেছি। এই বিটকয়েন ছিল সম্পূর্ণটাই ব্লক চেইনের উপর নির্ভরশীল। ব্লকচেইন বিষয়টি কি? তখন অনেকেই জানতো না। এই বিষয়গুলো নিয়ে তখন থেকেই আমি কাজ করে আসছি। এই ব্লকচেইন টেকনোলজি হলো ডিসেন্টালাইজ টেকনোলজি বেজড প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ এককভাবে এখানে কোন কিছুই পরিবর্তন করা যায় না। এই ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক এতটাই শক্তিশালী যা বন্ধ করতে হলে ২৫ হাজার থেকে এক লক্ষ মানুষকে দাঁড়িয়ে থেকে একসাথে তাদের ডিভাইসগুলো ধ্বংস করতে হবে। তাই বলা যেতে পারে এই ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক কোনদিনও ধ্বংস হবে না কারণ এর ডাটাবেইজ গুলো শুধুমাত্র একটি কম্পিউটারে থাকে না বরং অনেক গুলো কম্পিউটারে একসাথে অবস্থান করে।

যখন প্রথম বিটকয়েন আসে তখন একটি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলাম যে, বিটকয়েনের দশমিকের পরেও যে আটটি ঘর রয়েছে এবং সর্বশেষ ঘরেরও একটি ভ্যলু হবে। আগে বিটকয়েনের দাম অনেকটাই কম ছিল এবং ফ্রী বিটকয়েন দেওয়া হতো, এমন একটি ফ্রি এয়ারড্রপ সাইডের নাম হচ্ছে Bitcoin Faucet (সাইডটির চিত্র নিচে সংযুক্ত করা হলো)। এই বিটকয়েন টক ২০১৬ সালে একটি ব্লগিং প্লাটফর্ম চালু করে যার নাম স্টিমিট। তখন সেটা বিট কয়েন বেইজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ছিল। এরপরে এটি ব্লগিং প্লাটফর্ম এ রূপান্তরিত হয়। প্রথম স্টিমিট সম্পর্কে ঘোষণা দেয়া হয় বিটকয়েনটক এ, সেখানেই আমাকে ইনভাইট করেন সেই সময়কার স্টিমিটের এ্যাডমিনিস্ট্রেটর। স্টিমিট চালু হওয়ার ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় আমি এখানে জয়েন করি।

Full Image.jpg

প্রশ্নঃ আমার বাংলা ব্লগে কমিউনিটি খোলার আইডিয়া কেন আসলো?
উত্তরঃ ২০১৬ - ২০১৭ -র দিকে যারা স্টিমিটে কাজ করেছিলেন তাঁরা অনেকেই জেনে থাকবেন, আগে ট্যাগ বেইজ পোস্ট করা হতো। ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং অনেক ভাষা ভিত্তিক ট্যাগ ছিল। ভিন্ন ভিন্ন দেশীয় অনেক ট্যাগ ছিলো কিন্তু বাংলা কোন ট্যাগ ছিলো না। তখন দাদা বাংলা ট্যাগের জন্য ড্যান’এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেছিলেন বাংলা কোন ইউজার আছে কিনা? তখন দাদা বেশ বড় একটা লেখা লিখেছিলেন বাংলা ভাষা নিয়ে, বাংলা পৃথিবীর কততম ভাষা, বিশাল জনগোষ্ঠি এই রকম একটা কমিউনিটিতে সংযুক্ত হবে। তখন উনি দাদার প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং অনেক ক্যালকুলেশন করেন দেখান যে, স্টিমিটে বাংলা ভাষাভাষির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১% এরও কম। তখন বাংলাদেশী কোন ইউজার ছিলো না, শুধুমাত্র ভারতের একটা পার্ট কোলকাতার ইউজাররাও ইংরেজীতে পোষ্ট করতো। বাংলা কোন ইউজার নেই তার কেন পোষ্ট ক্রিয়েট করবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেন।

তারপর দাদা স্টিমপি’র সাথে কথা বলেছিলাম যার কাছে তখন প্রায় ১৫ লক্ষ্যের মতো পাওয়ার ছিলো। প্রথম দিকে দুইভাবে মাইনিং করা যেতো স্টিমিটে, ব্লগিং করে আর মাইনিং করে গ্রাফিক্স কার্ড সিস্টেম। এটা নিয়ে দাদা বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। তারপর দাদা যোগাযোগ করেন ক্লবট্রেডারর্স এর সাথে কারন তার সাথেও দাদার সুসম্পর্ক ছিলো। তাদের দুইজনের সহযোগিতায় বাংলা ট্যাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। দাদা তখন ট্যাগ নিশ্চিত করেন এবং যারা ব্যবহার করতো তাদের ৫-১০ ডলার সমমানের ভোট দিতেন। বাংলা ট্যাগ আসার পরেই আমারই আইডি থেকে প্রায় ৫৭০০ আপভোট দিয়েছিলেন সাত মাসে। অবশ্য সব বাংলা ট্যাগ ছিলো না। তখন স্টিমের বেশ ভালো দাম ছিলো, দাদা ভোট দিলেই সেই দুই আইডি হতে অটোমেটিক ভোট পড়তো। কিন্তু চাইলে সুযোগটি দাদা নিজেই নিতে পারতেন।

কিন্তু কিছু দিন পরই সেটা বন্ধ করতে বাধ্য হন। কারন এতো চেষ্টা করার পরও সেই বাংলা ভাষায় কোন ভালো ইউজার পান নাই। ২০১৭ সালের দিকে বেশ কিছু বাংলাদেশী ইউজার পেয়েছিলেন কিন্তু তাদের কনটেন্টগুলোর অধিকাংশ ছিলো চুরি করা। একটা ব্লগ সাইড ছিলো বাংলাদেশী যেখান হতে সব ব্লগ কপি করা হতো, বাংলা হতে ইংরেজী ট্রান্সলেট করে কিছু শব্দ পরিবর্তন করে পোষ্ট করা হতো। পরবর্তীতে বিষয়টি ধরতে পেরে বাংলাদেশীদের ব্যান করে দেন। তারপর দাদা স্টিম ছেড়ে চলে যান। এটা ছিলো দাদার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি খোলার প্রথম দিকের চিন্তা ভাবনা। তখন কমিউনিটি ছিলো না কিন্তু ট্যাগ সিস্টেম ছিলো।

প্রশ্নঃ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি ওপেন করাটা কি সার্থক হয়েছে?
উত্তরঃ যদি এক কথায় বলতে হয়, তাহলে সার্থক হয়েছে বলবো। স্টিমিট ছেড়ে যাওয়ার পর পুনরায় যখন ২০২১ সালে আবার ফিরে আসেন তখন স্টিমিটের প্রাইজের বিশাল পতন দেখেন। দাদা অভ্যস্ত ছিলেন ৫-৬ ডলারে কিন্তু দাদা যখন ফিরে আসেন তখন ছিলো ১.৪০ ডলারের মতো। তখন বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন এবং দেখেন যে নতুন ব্লকচেইন হাইভ তৈরী হয়েছে, তখন দাদা জানতে পারলের এর মূল কাহিনী কি ছিলো। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন দাদা। তারপরও দাদা স্টিমিটকে বেছে নেন কাজ করার জন্য, হাইভ অনেকগুলো ইউজারের সমন্বয়ে তৈরী আর স্টিমিট একটা কোম্পানী যার পিছনে রয়েছে জাস্টিন সানের মতো সফল লোক। যেহেতু দাদার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো বাংলা লেখা, কবিতা গল্প ইত্যাদি সেহেতু দাদা স্টিমিটকেই বেছে নেন পুনরায়। মূলত শখের বসে এই কমিউনিটি খোলার চিন্তা ভাবনা করেছিলেন দাদা।

ক্রিয়েটিভিটি শো করবো, বাংলা মাতৃভাষায় টুকটাক লেখালেখি করবো, এসবের জন্যই কমিউনিটি খোলা। কিন্তু তখন দাদা দেখলেন যে স্টিমকিউরেটরের যে ফালতু অবস্থা, অনেক আবোল তাবোল নিয়মকানুন, এসব বিষয় দেখে দাদা আর সেদিকে যান নাই এবং চিন্তা করেন যা করার তিনি একাই করবেন। কারোর উপর নির্ভরশীল হওয়াটা দাদার কোন ইচছা ছিলো না। সে জন্য দাদা কমিউনিটি ওপেন করেন জুন মাসে, এ ব্যাপারে আরো কিছু তথ্য শেয়ার করেন। সেই থেকে শুরু এই কমিউনিটির যাত্রা, প্রচুর স্টিম ক্রয় করেন দাদা সাপোর্ট দেয়ার জন্য, আস্তে আস্তে কমিউনিটি বড় হতে থাকলো। কিন্তু প্রথম কমিউনিটি ছিলো বিউটি অব ক্রিয়েটিভিটি, যার নেতৃত্বে ছিলেন ব্ল্যাকস (দাদার ছোট ভাই)। তারপরে আমার বাংলা ব্লগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর আমার বাংলা ব্লগের বর্তমান পজিশন নিয়ে তথ্য শেয়ার করেন। এসব দিক বিবেচনায় আমার বাংলা ব্লগ সফল কমিউনিটি বলা যায়।

প্রশ্নঃ আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
উত্তরঃ আমার বাংলা ব্লগের মেইন যে বেইজমেন্ট যার উপর দাঁড়িয়ে আছে মানে আমরা স্বনির্ভর, সেক্ষেত্রে আমরা যেহেতু শতভাগ স্বনির্ভর আর কখনো কারো নিকট ধরা নেই, আমাদের ইউটনেস স্টিসেমটাও সেভাবে সাজানো হয়েছে। বাংলা ইউটনেসের বর্তমান র‌্যাংকিং এগারো। একটা ইউটনেস এগারো নাম্বারে যাওয়া মোটেও সহজ বিষয় না। তারপর এ সম্পর্কে কিছু কথা উপস্থাপন করেন। তারপর দাদার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন, যেখানে প্রথমে ইউটনেস থাকবে সেটা আছে, নিজেদের ডেভলোপমেন্ট সেক্টর থাকবে সেটাও আছে, নিজেদের কিউরেশন সার্ভিস থাকবে (আমরা শুরুর দিকে জাস্টি, আপভো’র সিস্টেম ব্যবহার করতাম) সেটাও আমাদের আছে। প্রসঙ্গক্রমে এবিবি কিউরেশন নিয়ে কথা বলেন দাদা এবং এ সম্পর্কে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন।

আমাদের আরো একটা ব্যাপার ছিলো যে আমরা একটা কমিউনিটির চেইন গড়ে তুলবো যেখানে সবাই সকলের সাথে সংযুক্ত থাকবে, সেজন্য স্টিম এলায়েন্স গঠন করা হয়েছে। সব আমার বাংলা ব্লগ নেটওয়ার্কের আওতাধীন। এরপর স্টিম ডেভলপমেন্ট নিয়ে কথা বলেন, আমাদের এ্যাপটি লঞ্চ করলেই স্টিমিটের একমাত্র আনঅফিসিয়ালী এ্যাপ হবে এই স্টিমপ্রো। কারন আর কোন মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন নেই এখানে। এই ক্ষেত্রে আমরা সাকসেস। আরো ছোট খাটো অনেক প্রজেক্ট আমরা তৈরী করছি, যেমন স্টিম ওয়ান। অনেক প্রজেক্ট এনেছি আমরা যেখান হতে ইউজারদের হেল্প করা হয়েছে, এবিবি চ্যারিটি সেখান হতে প্রচুর মানুষদের সহযোগিতা করা হয়েছে, এ বিষয়ে দাদা বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন করা করেন, মোটামোট পরিকল্পনা মাফিক অনেক কিছুই করা হয়েছে এখন এগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেহে হবে, যেমন আপগ্রেডেশন এ জাতীয় কাজগুলো বাকি আছে। এ দিক হতেও ভবিষ্য যে সকল পরিকল্পনা করা হয়েছে সেগুলোও সফল।

প্রশ্নঃ পছন্দের একটি গানের কথা বলুন, যেটা সব সময় শুনতে ইচ্ছে করে?
উত্তরঃ সাধারণত আমার সবচেয়ে পছন্দের যে গানটা সেটা আসলে আজকের পরিবেশের সাথে তেমন একটা মানানসই হবে না। দ্বিতীয় পছন্দের গানটাই আজকে বাজাতে বলেছি। প্রথম পছন্দের গানটি হলো রবীন্দ্রনাথের সেটা হলো বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা। কিন্তু আজকে বাজাতে বলবো আমার পরান যাহা চায় এই গানটি এটা আমার দ্বিতীয় পছন্দের প্রিয় গান এবং আজকের পরিবেশের সাথে একদম মানান সই।

"আমার পরান যাহা চায়
তুমি তাই, তুমি তাই গো
আমার পরান যাহা চায়"


এরপর শুরু করা হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, অর্থাৎ দর্শক সাড়িতে যারা রয়েছেন তাদের নিয়ে এই সেগমেন্ট। অতিথিকে সরাসরি প্রশ্ন করার এবং উত্তর শোনার দারুণ একটা সুযোগ। আমরা ইউজারদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং তার উত্তরগুলো অতিথির নিকট হতে শুনি। তারপর বিজয়ী নির্বাচনের জন্য কিছুটা সময় দেয়া হয় অতিথিকে এবং সেই ফাঁকে আমার পছন্দের একটা গান সবাই মিলে উপভোগ করি।

এখন আমরা @rme দাদার কাছে জানতে চাইবো আজকের প্রশ্নোউত্তর পর্বে সেই ভাগ্যবান তিনটি বিজয়ী কারা? যেহেতু সবাই মিলে অনুষ্ঠানটি বেশ উপভোগ্য করে তুলেছেন এবং সুন্দর সুন্দর প্রশ্ন করেছেন, সেহেতু আজকে সবাই বিজয়ী। উপস্থিত সবাইকে দাদার পক্ষ হতে দশ স্টিম করে মোট ৪৪০ স্টিম প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। যা পরবর্তীতে দাদা কর্তৃক সকলের কাছে পৌঁছে যাবে। রবিবারের আড্ডার স্পন্সর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা। তারপর প্রসঙ্গক্রমে আমরা ভিন্ন কিছু অনুভূতির কথা শুনি এবং সবাই মিলে সেই মুহুর্তটি দারুণভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করি। ভালো লাগা এবং ভালোবাসার কিছু অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করি।

সবশেষে আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে চলে যাই অর্থাৎ চতুর্থ সেগমেন্টে। এখানে আমরা @rme দাদার কাছে জানতে চাই আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিংবা ইউজারদের উদ্দেশ্যে উনার পরামর্শ বা সাজেশন। @rme দাদা ভবিষ্যতে আমার বাংলা ব্লগের সেরা ক্রিয়েটিভ লেখকদের লেখাগুলোকে বই আকারে পাবলিশ করার সাজেশন দেন এবং পরামর্শ দেন দুই বাংলা ব্লগে আলাদা আলাদা বই প্রকাশের ব্যবস্থা করার, পুরো বিষয়টির স্পন্সর করবেন দাদা নিজে। তারপর আমরা শেষ করার পূর্বে অনুষ্ঠানটির সম্পর্কে দাদার অনুভূতি শুনার চেষ্টা করি।

সবশেষে আজকের এই বিশেষ আয়োজন রবিবারের আ্ড্ডায় যারা উপস্থিত ছিলেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ, তবে যাওয়ার আগে আরো একটা বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ করবো, এই শো’টি সম্পর্কে আপনাদের কোন আইডিয়া কিংবা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই আমাকে অথমা মডারেটরদের ডিএম করবেন, আমরা চেষ্টা করবো শোটিকে আরো সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করে তোলার, আপনাদের কাংখিত পরামর্শগুলো নিয়ে। তারপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শো সমাপ্ত ঘোষণা করি। পরবর্তী পর্বে আমাদের অতিথি আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @swagata21 দিদি।

আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে ট্যুরে থাকার কারনে এই সপ্তাহের রিপোর্টটি প্রকাশে দেরী হয়েছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  
 2 years ago 

সত্যিই এই আড্ডাটি অনেক স্পেশাল ছিল আমাদের জন্য।দাদার মুখ থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেও ভালো লেগেছে।তাছাড়া আমাদের মজার মজার প্রশ্নের উত্তর পেয়েও বেশ জমেছিল আড্ডাটি।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও,সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

দাদা স্টিমিতে কখন কিভাবে যুক্ত হয়েছেন, কখন থেকে তার যাত্রা শুরু, ব্লক চেইন ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রবিবারের ঝড় বৃষ্টি হওয়ায় আমার নেটওয়ার্ক একদমই ছিল না। অনেক জয়েন করার জন্য ট্রাই করেছিলাম। যাইহোক পোস্টের মাধ্যমে সব জানতে পারলাম। পরবর্তীতে স্বাগতা দিদির সম্পর্কে জানতে পারবো সেই অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

রবিবারের আড্ডা মানেই হলো আনন্দ অনুভুতির কথা ৷ সব আড্ডার চেয়েও এবারের আড্ডা বেশ জমজমাট ছিল ৷ বিশেষ করে আমদের সবার প্রিয় বড় দাদা অতিথী হিসেবে ছিলেন ৷ তিনি অনেক গুরত্বপূর্ন কথা গুলো বলেছেন ৷ তার এই স্টিমিট জগৎ তে আসে ৷ এরপর কিভাবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি করেছেন ৷ অনেক কিছু যা আমাদের অজানা ছিল ৷ এরপর সুমন ভাই, হাফিজ ভাই , এবং আরিফ ভাই তিনজনে বড় দাদার সাথে দেখা করতে গেছে ৷ তা নিয়ে কথা
সর্বোপরি জমিয়ে আড্ডা হয়েছিল ৷

 2 years ago 

রবিবারের আড্ডা আমার কাছে ভালো লাগে। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি আড্ডায় থাকার জন্য। এবারের আড্ডায় দাদা চমৎকার কিছু কথা বলেছেন। আবার ও আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

এইবারের রবিবারের আড্ডাটি ছিল অনেকটাই স্পেশাল ছিলো। দাদা এখানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন এবং অনেক মূল্যবান কথা এবং তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সাথে শেয়ার করেছেন। সেই সেথে আপনার উপস্থাপনাটি চমৎকার ছিলো।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

এই সপ্তাহে রবিবারের আড্ডায় দারুন মজা হয়েছে ।আমাদের প্রিয় দাদার জীবনের অনেক গল্প অনেক স্মৃতি বিজড়িত বিষয় খুব সুন্দরভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছে‌। আসলেই মানুষের জীবন এতটা মধুর হয় সেটা দাদার জীবনের গল্প শুনে অবাক হয়েছি ।সত্যিই এই প্লাটফর্মে প্রত্যেকটা উদ্যোগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভালো দিক বয়ে আনে।

 2 years ago 

এবারের রবিবারের আড্ডা দারুন ছিল। আমাদের সকলের প্রিয় দাদা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। আসলে এই আয়োজনটি সত্যি দারুন একটি উদ্যোগ। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছেন। সত্যি ভাইয়া আপনার উপস্থাপনা কিন্তু দারুন ছিল।👌

 2 years ago 

এই সপ্তাহের রবিবারের আড্ডা ঘরের আড্ডাটা একটু অন্যরকম ছিল কারণ বিশেষ মানুষটি ছিল আমাদের আড্ডা ঘরের অতিথি। তবে এই সপ্তাহে ইস্টিমেট সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানতে পেরেছি দাদার মাধ্যমে। আর সবশেষে দাদা যখন বললেন যারা প্রশ্ন করেছে তারা বিজয়ী তখন আরো খুশি লাগছিল। যাইহোক এমন সময় উপভোগ করতে তো ভালো লাগবেই পরবর্তী রবিবারের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68804.96
ETH 2441.52
USDT 1.00
SBD 2.33