রবিবারের আড্ডা-০৬ || ABB Stage Show: Episode-06
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন রবিবারের আড্ডা-৬ষ্ঠ পর্বে। আমরা শুরু হতেই বার বার বলে আসছি আমার বাংলা ব্লগ ব্যতিক্রম কমিউনিটি এবং আমাদের চিন্তাধারাও ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন নিয়ে আমার বাংলা ব্লগকে সাজানোর চেষ্টা করি। নতুন এই আয়োজনটি নিয়ে আমরা এখনো চিন্তা করছি, কাংখিত ক্ষেত্রে আরো কি কি পরিবর্তন আনা যায়, আশা করছি সময়ের সাথে সাথে কাংখিত পরিবর্তনগুলো ঠিক দেখতে পাবেন।
আমাদের এই আয়োজনটি চারটি সেগমেন্টে ভাগ করা হয়েছে, প্রথম সেগমেন্টে আমরা আমাদের অতিথির সাথে পরিচিত হবো এবং তার নিকট হতে আমাদের পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো। এ সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে সেটা আমরা দ্বিতীয় সেগমেন্টে জানার চেষ্টা করবো। অর্থাৎ আমাদের দ্বিতীয় সেগমেন্টেটি আপনারা যারা দর্শক সারিতে রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে। আপনারা নিজেদের কৌতুহল কিংবা আগ্রহ থেকে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং সেখান হতে অতিথি নিজে তিনজন সেরা প্রশ্নকারী নির্বাচন করবেন। যাদের জন্য থাকছে বিশেষ পুরস্কার।
এরপর আমার নিজের পছন্দের একটা গান শুনবো, তারপর শুরু হবে তৃতীয় সেগমেন্ট ঝটপট রাউন্ড, এখানে কমপক্ষে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে, অতিথি এক কথায় ঝটপট উত্তরগুলো দেয়ার চেষ্টা করবেন। সবশেষে আমরা যাবো চতুর্থ সেগমেন্টে অর্থাৎ শেষ পর্বে, যেখানে আমরা অতিথির নিকট হতে আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ বা দিক নির্দেশনা শুনতে চাইবো। এই হলো আমাদের রবিবারের আড্ডার টোটাল প্যাকেজ।
আসুন আমরা আমাদের অতিথির নিকট যাই এবং তার সাথে পরিচিত হই, তার সম্পর্কে কিছুটা জানি। স্বাগতম @roy.sajib সজীব ভাই, আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত ভেরিফাইড সদস্য। সংক্ষেপে যদি নিজের সম্পর্কে কিছু বলতেন? তারপর সজীব ভাই সম্পর্কে কিছু কথা শুনি এরপর আমরা শুরু করি প্রথম পর্বের পাঁচটি প্রশ্ন যা নিচে তুলে ধরা হলো।
স্ক্রিনশট ক্রেডিটঃ @alsarzilsiam সিয়াম ভাই
প্রশ্নঃ আপনি স্টিমিটে কিভাবে আসলেন?
উত্তরঃ আপনারা অনেকেই আছেন তর্পণ কে চিনেন। আমার ভার্সিটি ফ্রেন্ড। আমার চার পাঁচ বছরের রুমমেট ছিল। Most probably ২০১৭ সালের দিকে আমি লক্ষ্য করলাম তর্পণ এবং আমার এক জুনিয়র আমাদের রুমে এসে কি সব ভোট নিয়ে কথা বলছে, বট এসে ভুল ধরেছে, এত ডলারের ভোট পরেছে এসব নানান বিষয় নিয়ে কথা বলছে। তো, তর্পণ একদিন আমাকে বললো, সজীব তুই কি কাজ করবি এই প্ল্যাটফর্মে? তুই তো ভালো লিখিস , মানুষের সাথে ভালো কমিউনিকেট করিস, এখানে কাজ করলে ভালো করতে পারবি। আমি তখন ওর কথায় রাজি হয়ে একটা আইডি খুলি। কিন্তু ১৫, ২০ দিনও বোধ হয় কন্টিনিউ করতে পারি নি। তখন স্টিম ইট প্ল্যাটফর্ম টা এত চমৎকার সাজানো গোছানো ছিল না।
উত্তরঃ আপনারা অনেকেই আছেন তর্পণ কে চিনেন। আমার ভার্সিটি ফ্রেন্ড। আমার চার পাঁচ বছরের রুমমেট ছিল। Most probably ২০১৭ সালের দিকে আমি লক্ষ্য করলাম তর্পণ এবং আমার এক জুনিয়র আমাদের রুমে এসে কি সব ভোট নিয়ে কথা বলছে, বট এসে ভুল ধরেছে, এত ডলারের ভোট পরেছে এসব নানান বিষয় নিয়ে কথা বলছে। তো, তর্পণ একদিন আমাকে বললো, সজীব তুই কি কাজ করবি এই প্ল্যাটফর্মে? তুই তো ভালো লিখিস , মানুষের সাথে ভালো কমিউনিকেট করিস, এখানে কাজ করলে ভালো করতে পারবি। আমি তখন ওর কথায় রাজি হয়ে একটা আইডি খুলি। কিন্তু ১৫, ২০ দিনও বোধ হয় কন্টিনিউ করতে পারি নি। তখন স্টিম ইট প্ল্যাটফর্ম টা এত চমৎকার সাজানো গোছানো ছিল না।
পরবর্তীতে করোনা যখন শুরু হয়ে গেল, চারদিকে লক্ ডাউন, আমি তখন বাড়িতে বসে। তর্পণ আমাকে ফোন দিয়ে বললো ,সজীব আমি তো বাংলাদেশের CR হয়ে গেছি এখন, তুইও কাজ কর। এখন আর আগের মত নেই এই প্লাটফর্ম। মজা পাবি কাজ করে। তো শুরুতে আমি একদমই রাজি হতাম না। আজ না কাল , কাল না পরশু এসব করেই এভয়েড করতাম। তারপর বলা যায় একরকম নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েই স্টিমে নতুন আইডি খুলি। আমি বলতাম তর্পণ কে যে, প্রতি মাসে যদি আমার ফোনের খরচের বিল না আসছে তো তোর খবর আছে। তবে আরেকটা কথা না বললেই নয়, আমি শুরুতে নিজের জন্য স্টিমে জয়েন করি নি একদমই। পাস্ট টা পাস্ট হয়েই থাক। ওসব আর নাই বললাম। এই হলো আমার স্টিমে আসার ছোট্ট গল্প।
প্রশ্নঃ আমার বাংলা ব্লগের সন্ধান কিভাবে পেলেন?
উত্তরঃ প্রথমদিকে আমি শুধু মিউজিক ফর স্টিমে পোস্ট করতাম। আর প্রতিটা পোস্টে বেশ ভালো ভোট পেতাম। তারপর কিছুদিন স্টিম বাংলাদেশে কাজ করি। কিন্তু সেখানকার অনেক কিছুই আমার ভালো লাগে না। তাই একটা পর্যায়ে পোস্ট করা বন্ধ করে দেই। অন্যদিকে স্টিম কিউরেটররাও আগের মত সাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তো তর্পণ যখন দেখলো আমি আর নিয়মিত কোন কাজ করছি না, তখন একদিন আমাকে আমার বাংলা ব্লগের লিংকটা দিল। আমাকে বলল তুই চাইলে এখানে কাজ করতে পারিস, মনে হচ্ছে কিছুদিন পর বেশ ভালোভাবে দাঁড়িয়ে যাবে এই কমিউনিটি টা। আমি শুরু থেকে খুব একটা গায়ে লাগাই নি। এর দুই সপ্তাহ পর আবার আমাকে তর্পণ ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, আমার বাংলা ব্লগে কাজ করে কেমন লাগছে! আমি বললাম, বন্ধু আমি তো এখনও একটা পোস্ট ই করি নি। বুঝব কি আর ! এরপর একদিন ছোট্ট একটা ইন্ট্রো পোস্ট দিয়ে আমার বাংলা ব্লগের সাথে আমার যাত্রা শুরু করি।
উত্তরঃ প্রথমদিকে আমি শুধু মিউজিক ফর স্টিমে পোস্ট করতাম। আর প্রতিটা পোস্টে বেশ ভালো ভোট পেতাম। তারপর কিছুদিন স্টিম বাংলাদেশে কাজ করি। কিন্তু সেখানকার অনেক কিছুই আমার ভালো লাগে না। তাই একটা পর্যায়ে পোস্ট করা বন্ধ করে দেই। অন্যদিকে স্টিম কিউরেটররাও আগের মত সাপোর্ট দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তো তর্পণ যখন দেখলো আমি আর নিয়মিত কোন কাজ করছি না, তখন একদিন আমাকে আমার বাংলা ব্লগের লিংকটা দিল। আমাকে বলল তুই চাইলে এখানে কাজ করতে পারিস, মনে হচ্ছে কিছুদিন পর বেশ ভালোভাবে দাঁড়িয়ে যাবে এই কমিউনিটি টা। আমি শুরু থেকে খুব একটা গায়ে লাগাই নি। এর দুই সপ্তাহ পর আবার আমাকে তর্পণ ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো, আমার বাংলা ব্লগে কাজ করে কেমন লাগছে! আমি বললাম, বন্ধু আমি তো এখনও একটা পোস্ট ই করি নি। বুঝব কি আর ! এরপর একদিন ছোট্ট একটা ইন্ট্রো পোস্ট দিয়ে আমার বাংলা ব্লগের সাথে আমার যাত্রা শুরু করি।
প্রশ্নঃ আমার বাংলা ব্লগের মজার কোন অনুভূতি শেয়ার করুন?
উত্তরঃ সত্যি কথা বলতে আমার বাংলা ব্লগ বা এই পরিবারকে হয়তো আমি তেমন কিছুই দিতে পারিনি তবে এ পরিবারের সাথে যুক্ত হওয়ার পর নিজের প্রতিটা কর্মকান্ডেই আমি ভীষণ মজা পেয়েছি। যখনই মন খারাপ লাগে বা কোন কাজ করতে গিয়ে একঘেয়েমি লাগছে, আমি সাথে সাথে জেনারেল ডিসকাশনে চলে আসি। এই পরিবারের সদস্যরা এতটাই আন্তরিক যে মন ভালো হয়ে যেতে বাধ্য। আর আমি নিজেও সব সময় সবার সাথে মজা করে মেশার চেষ্টা করি। তাই এই পরিবারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই আমার কাছে অনেক মজার।
উত্তরঃ সত্যি কথা বলতে আমার বাংলা ব্লগ বা এই পরিবারকে হয়তো আমি তেমন কিছুই দিতে পারিনি তবে এ পরিবারের সাথে যুক্ত হওয়ার পর নিজের প্রতিটা কর্মকান্ডেই আমি ভীষণ মজা পেয়েছি। যখনই মন খারাপ লাগে বা কোন কাজ করতে গিয়ে একঘেয়েমি লাগছে, আমি সাথে সাথে জেনারেল ডিসকাশনে চলে আসি। এই পরিবারের সদস্যরা এতটাই আন্তরিক যে মন ভালো হয়ে যেতে বাধ্য। আর আমি নিজেও সব সময় সবার সাথে মজা করে মেশার চেষ্টা করি। তাই এই পরিবারের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই আমার কাছে অনেক মজার।
একবার একটা প্রতিযোগিতা হয়েছিল, নামটা ঠিক মনে পড়ছে না , বিষয়বস্তু ছিল এমন যে, শেয়ার করো তোমার স্টিম প্ল্যাটফর্মে আসার অনুভূতি, নিজের প্রথম পোস্ট এবং সব চেয়ে বেশি ভোট পাওয়া পোস্ট টাও শেয়ার করতে হয়েছিল। তো আমি আমার বাংলা ব্লগে এসে প্রথম এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। বৃহস্পতিবার হ্যাংআউটে শুভ ভাই যখন রেজাল্ট অ্যানাউন্সমেন্ট করছিলেন, দেখলাম এক এক করে পঞ্চম চতুর্থ তৃতীয় দ্বিতীয় সবার নাম নিলেন, কিন্তু কোনবারেই আমার নাম আর উঠল না। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। ভাবছিলাম, এত কিছু ঘেটে লিখলাম, আর কিছুই হলো নাহ্, সব জলে গেল। জেনারেল ডিসকাশন আর চ্যাটিং করছি না। এমন সময় হঠাৎ করেই প্রথম বিজয়ীর নাম হিসেবে আমার নাম চিৎকার করে ডাকলেন শুভ ভাই। আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। হিহিহিহি। ঐ মুহূর্ত টার কথা মনে পরলে যেমন খুব ভালো লাগে , তেমন বেশ হাসিও পায়। প্রথমবার আমার বাংলা ব্লগের কোন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেই প্রথম হয়েছিলাম। এটা দারুন মজার ছিল আমার কাছে।
তাছাড়াও আমাদের প্রথম বর্ষপূর্তি তে পাগলামো করে একটা গান বানিয়েছিলাম। যার পেছনের পুরো ক্রেডিট ছিল দিদিভাইয়ের। তো ঐ গানটা দাদার বেশ পছন্দ হয়েছিল। দাদা নিজে থেকেই আমার নাম পরের দিন এন্টারটেইনমেন্ট পর্বের জন্য দিয়ে দেন। আর আমি গান টা গাইতে নিয়ে নার্ভাসনেসেই ভুল করে ফেলেছিলাম। ঐ দিনটার কথা মনে হলে বেশ মজা লাগে। পরে অবশ্য আমার আপলোড করা ভিডিও টাই সবাইকে বাজিয়ে শোনানো হয়। এই অনুভূতি গুলো সত্যি বেশ মজার আমার জন্য।
প্রশ্নঃ আপনার স্কুল জীবনের কোন স্মৃতি/ঘটনা শেয়ার করুন?
উত্তরঃ স্কুল লাইফ টা বেশ মজা করে কেটেছে। একটা দুষ্টুমির কথা শেয়ার করছি। আমাদের ছিল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। স্কুলে নতুন এক ম্যাডাম জয়েন করেছেন। তার নাম বনশ্রী ঊর্মি। আমরা বন্ধুরা সবাই ফিদা বলা যায়। ম্যাম এর ক্লাস খুব বেশি পাই নি। পরীক্ষার হলে যখন গার্ড দিত ম্যাডাম, সবাই যা শুধু হাঁ করে ম্যাডামকে দেখতাম। হিহিহিহি। কলেজে ওঠার পর আমার বায়োলজি ক্লাস ছিল দুপুরে টিফিনের পর। মজার ব্যাপার হলো, টিফিনের শেষের দিকে বনশ্রী ঊর্মি ম্যাডাম ক্যান্টিনে আসতো রোজ। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে ক্যান্টিনে টিফিনের পরেও বসে থাকতাম রোজ ম্যাডামকে দেখার জন্য। এতে করে বায়োলজি ক্লাসে লেট হতো রোজ। আর বায়োলজি ম্যাম আমাদের কয়েক বন্ধুকে ক্লাসের বাইরে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতো রোজ। একদিন আমাকে বাইরে কান ধরিয়ে দাড়িয়ে রেখে ম্যাম বলছে, সজীব রোজ কেন লেট করো ? আর এমন হবে? আমার তো মাথা নিচু। তারপর ম্যাম কে বললাম, ম্যাম বিশ্বাস করুন আর বেশি এমন করবো না। ম্যাম অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে উত্তর শুনে। তারপর আমাকে বললেন,, এই যে বাইরে কান ধরে দাড়াও, লজ্জা করে না তোমার! উত্তরে বললাম, ম্যাডাম লজ্জার কি আছে, আমরা আমরাই তো। হাহাহাহা। এই স্মৃতি গুলো মনে পড়লে সব সময় হাসি পায়।
উত্তরঃ স্কুল লাইফ টা বেশ মজা করে কেটেছে। একটা দুষ্টুমির কথা শেয়ার করছি। আমাদের ছিল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। স্কুলে নতুন এক ম্যাডাম জয়েন করেছেন। তার নাম বনশ্রী ঊর্মি। আমরা বন্ধুরা সবাই ফিদা বলা যায়। ম্যাম এর ক্লাস খুব বেশি পাই নি। পরীক্ষার হলে যখন গার্ড দিত ম্যাডাম, সবাই যা শুধু হাঁ করে ম্যাডামকে দেখতাম। হিহিহিহি। কলেজে ওঠার পর আমার বায়োলজি ক্লাস ছিল দুপুরে টিফিনের পর। মজার ব্যাপার হলো, টিফিনের শেষের দিকে বনশ্রী ঊর্মি ম্যাডাম ক্যান্টিনে আসতো রোজ। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে ক্যান্টিনে টিফিনের পরেও বসে থাকতাম রোজ ম্যাডামকে দেখার জন্য। এতে করে বায়োলজি ক্লাসে লেট হতো রোজ। আর বায়োলজি ম্যাম আমাদের কয়েক বন্ধুকে ক্লাসের বাইরে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতো রোজ। একদিন আমাকে বাইরে কান ধরিয়ে দাড়িয়ে রেখে ম্যাম বলছে, সজীব রোজ কেন লেট করো ? আর এমন হবে? আমার তো মাথা নিচু। তারপর ম্যাম কে বললাম, ম্যাম বিশ্বাস করুন আর বেশি এমন করবো না। ম্যাম অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে উত্তর শুনে। তারপর আমাকে বললেন,, এই যে বাইরে কান ধরে দাড়াও, লজ্জা করে না তোমার! উত্তরে বললাম, ম্যাডাম লজ্জার কি আছে, আমরা আমরাই তো। হাহাহাহা। এই স্মৃতি গুলো মনে পড়লে সব সময় হাসি পায়।
প্রশ্নঃ পছন্দের একটি গানের কথা বলুন, যেটা সব সময় শুনতে ইচ্ছে করে।
উত্তরঃ সত্যি বলতে অনেকেই জানেন আমি ভীষণ গান পাগল একটা ছেলে। শুধু গান পাগল বললে ভুল হবে, আমি মিউজিক পাগল। আর আমি সব ধরনের গান শুনতে খুব ভালোবাসি। হোক ক্লাসিকাল, বা ফোক, বা ব্যান্ড। আমার পছন্দের গানের তালিকা কত লম্বা হবে নিজেও জানি না। তবে আমি জার্নি করার সময় একটা গান আছে যেটা দুই তিন বার শুনি, সেটা হোল সোলসের "এ এমন পরিচয়"। এই মুহূর্তে ওটা হলে মন্দ হয় না।
উত্তরঃ সত্যি বলতে অনেকেই জানেন আমি ভীষণ গান পাগল একটা ছেলে। শুধু গান পাগল বললে ভুল হবে, আমি মিউজিক পাগল। আর আমি সব ধরনের গান শুনতে খুব ভালোবাসি। হোক ক্লাসিকাল, বা ফোক, বা ব্যান্ড। আমার পছন্দের গানের তালিকা কত লম্বা হবে নিজেও জানি না। তবে আমি জার্নি করার সময় একটা গান আছে যেটা দুই তিন বার শুনি, সেটা হোল সোলসের "এ এমন পরিচয়"। এই মুহূর্তে ওটা হলে মন্দ হয় না।
এবার আমরা শুরু করি উপস্থিত ইউজারদের নিয়ে দ্বিতীয় সেগমেন্ট অর্থা প্রশ্ন-উত্তর পর্ব- যারা প্রশ্ন করতে চায় তাদের স্টেজে আসার সুযোগ দেয়া হয়, এছাড়াও যারা জেনারেল চ্যাটে লিখে প্রশ্ন করতে চায় তাদের বলা হয় যে কোন মডারেটরকে ট্যাগ দিয়ে প্রশ্ন করার জন্য। যারা প্রশ্ন করেন সজীব ভাই তাদের সকলের প্রশ্নের কাংখিত জবাব দেন। তারপর প্রশ্নকারীদের মাঝ হতে তিনজন বিজয়ী নির্বাচন করার জন্য সজীব ভাইকে কিছুটা সময় দেয়া হয় এবং আমরা সেই ফাঁকে আরো একটা পছন্দের গান শুনি।
এখন আমরা সজীব ভাইয়ের কাছে জানতে চাইবো আজকের প্রশ্নোউত্তর পর্বে সেই ভাগ্যবান তিনটি বিজয়ী কারা? সজীব ভাইয়ের বিবেচনায় বিজয়ীরা হলেন- @nevlu123, @tania69 এবং @selinasathi1 । অভিনন্দন আপনাদের যারা প্রশ্ন করে বিজয়ী হয়েছেন, যথা নিয়মে আপনাদের ওয়ালেটে পুরস্কার পাঠিয়ে দেয়া হবে।
অতিথি এবং প্রশ্ন পর্বে বিজয়ীদের যথা নিয়মে রিওয়ার্ডস প্রেরণ করা হয়েছে-
রবিবারের আড্ডার প্রাইজ পুলের পৃষ্ঠপোষক @rme দাদা, ফাউন্ডার-আমার বাংলা ব্লগ।
এরপর শুরু করা হয় তৃতীয় সেগমেন্ট ঝটপট রাউন্ড, মজার কিছু প্রশ্ন করা হয় এবং সেগুলোর তাৎক্ষনিক উত্তর শুনা হয় সজীব ভাইয়ের কাছ হতে, একটু ভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে চেষ্টা করা হয় তাকে আটকানোর জন্য। সবশেষে আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে চলে যাই অর্থাৎ চতুর্থ সেগমেন্টে। এখানে আমরা সজীব ভাইয়ের কাছে জানতে চাই আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিংবা ইউজারদের উদ্দেশ্যে উনার পরামর্শ বা সাজেশন। সজীব ভাই তার অভিজ্ঞতা ভিত্তিতে সকলের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কথা বলেন । তারপর আমরা শেষ করার পূর্বে অনুষ্ঠানটির সম্পর্কে তার অনুভূতি শুনার চেষ্টা করি।
সবশেষে আজকের এই বিশেষ আয়োজন রবিবারের আ্ড্ডায় যারা উপস্থিত ছিলেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ, তবে যাওয়ার আগে আরো একটা বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ করবো, এই শো’টি সম্পর্কে আপনাদের কোন আইডিয়া কিংবা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই আমাকে ডিএম করবেন, আমরা চেষ্টা করবো শোটিকে আরো সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করে তোলার, আপনাদের কাংখিত পরামর্শগুলো নিয়ে। তারপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শো সমাপ্ত ঘোষণা করি। পরবর্তী পর্বে আমাদের অতিথি @tania69 আপু।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
রবিবারের আড্ডায় অনেক মজা হয় চেষ্টা করি এই আড্ডায় উপস্থিত থাকার। এই সপ্তাহে নিজের ব্যক্তিগত কিছু কারণে উপস্থিত থাকতে পারিনি। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে রবিবারের আড্ডার সকল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পেলাম অনেক ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া কেমন আছেন? রবিবারের আড্ডার পর খুব ধুম তারাকা আছেন মনে হচেছ। যাই হোক আপনার সঞ্চলনায় খুব সুন্দর একটি আয়োজন রবিবারের আড্ডা। যদিও আড্ডায় অংশ গ্রহণ করি তারপরও আপনার রিপোর্টটি পড়ার জন্য উদগ্রীব থাকি। তবে এবারের অতিথি যেন একটু বেশীই বুদ্ধিমান। খুব সু কোৗশলে এড়িয়ে গেল আমার প্রশ্নটিকে।
গত রবিবার আড্ডাটি আসলেই বেশ চমৎকার এবং স্পেশাল ছিল। বিশেষ করে বড় দাদা এবং ছোট দাদা দুজনকেই সেখানে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ রয় সজিব ভাইকে আমার প্রশ্নকে সেরা বলে বিজয়ী করার জন্য।
রবিবারের আড্ডা একটি ব্যতিক্রম ধরনের আড্ডা। এই আড্ডায় অনেক ইনজয় হয়। এবার সজিব ভাই অতিথি হিসেবে অনেক ভালো ভাবে তার কথা গুলো উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে আপনার উপস্থাপনা ও অনেক চমৎকার ছিলো।
রবিবারের আড্ডা আসলে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। এর ফলে আমরা এক একটি ইউজার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। অনেক মজা হয় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। আগামী সপ্তাহে আমার নাম দেখেইতো কেমন ভয় লাগছে। জানিনা ঐদিন কিভাবে কথা বলবো। আশা করি ভাইয়া আপনার সহযোগিতায় সকল ভয় কাটিয়ে উঠতে পারবো।
আরে ধুর এতো টেনশনের কিছুই নেই, এটা জাস্ট একটা ফান হিসেবে বিবেচনা করেন, তাহলে দেখবেন সব একদম পানির মতো পরিস্কার।
আমার বাংলা ব্লগ একটি ব্যতিক্রম কমিউনিটি এবং চিন্তা ধারাও ব্যতিক্রম। সৃজনশলতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে এই কমিউনিটি।গত রবিবার এর আড্ডা অনেক উপভোগ করেছিলাম।সজীব ভাই সব প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিয়েছিলেন।তাছাড়া দুই দাদা ছিলেন অনেক বিষয় জেনেছি।ধন্যবাদ এই আড্ডার সকল বিষয় পোস্ট আকারে তুলে ধরার জন্য ভাইয়া।
রবিবারের আড্ডার ষষ্ট পর্বে অনেক মজা হয়েছে। সজিব ভাই যদিও সব গুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে তবে বেচারা সবসময় লজ্জায় ছিল,হি হি হি। আড্ডার শেষ দিকে দাদা আর আরিফ ভাইয়া এসে অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.