আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ আত্ম সম্মানবোধ ]

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকারই কথা কারন আপনারা যারা শীতকাল পছন্দ করেন না, তাদের জন্য এই সময়টা বেশ দারুণ। আসলে গত কয়েক দিন যাবতই শীত যেন কোথায় উধাও হয়ে গেছে। লেপতো দূরের কথা কাঁথা গায়ে দিলেও গরম লাগছে। বুঝতেছিনা বিষয়টি, আমারই শুধু গরম লাগছে নাকি সবার ক্ষেত্রেই একই অবস্থা! যাইহোক, শীতের দিনেও গরম তেমন ভালো লাগে, গরমের দিনে শীত যেমন ভালো লাগে। সুতরাং কথা না বাড়িয়ে সময়টা উপভোগ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ, কি বলেন আপনারা? যদিও আমার বরাবরই বুদ্ধিটা একটু কম, যার কারনে মাঝে মাঝে ধরা গেয়ে চুপ হয়ে যাই, হি হি হি।

আজকে কি শেয়ার করবো, সেটাই আমি চিন্তা করছি? অবশ্য আমি চিন্তা করার আগেই লেখা শুরু করে দেই। যদিও এখন চিন্তা করার খুব বেশী সময় পাই না, বেশ ব্যস্ততার মাঝে দিন যাপন করছি। এই জন্য লেখা শুরু করে তারপর বিষয় নিয়ে চিন্তা করি। অনেক সময় এই রকম হয়েছে প্রথম প্যারা লিখতে লিখতে একটা আইডিয়া পেয়ে গেছি লেখার ক্ষেত্রে। আজকে অবশ্য আবোল তাবোল জীবনের গল্প নিয়ে লিখবো, সেটা চিন্তা করেছি কিন্তু লেখার মাঝে কোন বিষয়টি উপস্থাপন করবো সেটা কিন্তু চিন্তা করি নাই। তবে এটা ঠিক যে, যে কোন বিষয় আমাকে দিলেই সেটা নিয়ে সুন্দরভাবে কিছু উপস্থাপন করতে পারবো, এটা আমার কাছে কোন ব্যাপারই না। শুধু একটা লেখা কেন একাধিক লেখা লিখতে বললেও আমার সমস্যা হবে না। আরে ভাই কথা আমার মাথায় খালি গিজগিজ করে, বের হওয়ার জায়গা পায় না, মাথায় চুল বেশী কিনা, হা হা হা।

ওকে আজকে তাহলে আত্ম সম্মান কিংবা আত্ম বিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা বলি। কম বেশী আমাদের সকলের মাঝেই আত্ম সম্মানটা একটু বেশী, কোন কথা কখনো আমাদের বিপরীতে গেলেই সেটার ব্যাপারে বেশ শক্তভাবে আমরা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি, চাই সেটা ভালো কিছু নিয়ে হোক কিংবা খারাপ কিছু নিয়ে হোক। হ্যা, আমি এই বিষয়টিকে অবশ্যই ভালো চোখে দেখি। কারন ব্যক্তি হিসেবে সকলের মাঝেই আত্ম সম্মানবোধ থাকাটা জরুরী। কেন জরুরী সেটা একটু পড়েই বলছি। দেখুন আপনার মাঝে যদি আত্ম সম্মানবোধ না থাকে তাহলে কখনোই আপনার মাঝে আত্মবিশ্বাস নামক শব্দটির উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে না। এটা আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি। যাদের মাঝে আত্ম সম্মানবোধ থাকে না, তারা কখনোই আত্ম বিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে না। কারন আত্ম সম্মানবোধ যাদের নেই, তাদের মাঝে কোন ধরনের জেদ কিংবা কিছু অর্জন করার মানসিকতা তৈরী হয় না।

একটু চিন্তা করে দেখুন, আপনার আত্ম সম্মানবোধ কতটা প্রকট কিংবা কতটা শক্তিশালী, যদি সেটার ভালো অবস্থা থাকে, তাহলে আপনার আত্ম বিশ্বাসটা অধিক। ওকে একটু বিস্তারিতভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছি। ধরুন কোন একটা অনুষ্ঠানে, মানে আপনার পরিচিত কেউ একটা সম্মান অর্জন করেছে এবং তারপর বিষয়টিকে উপভোগ করার জন্য পরিচিত সবাইকে নিয়ে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আপনি সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে কেউ একজন আপনার সেই বন্ধুকে সম্মান দেখাতে গিয়ে আপনাকে কোনভাবে একটা অপমানের খোঁচা দিলেন, আপনি সেটা বেশ ব্যথিত হলেন এবং কষ্ট পেলেন। এই আত্ম সম্মানবোধ হতে একটা কষ্ট বা আঘাত পেলেন, তার দরুণ আপনার মাঝে একটা জেদ তৈরী হবে এবং নিজেকে সেই কাজের বা অর্জনের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মানসিকতা তৈরী হবে। একটু চিন্তা করে দেখেন বিষয়টি আমি ভুল না সঠিক বলেছি?

মাঝে মাঝে এই রকম অনাকাংখিত আঘাত বা কষ্ট আমাদের মাঝে নানা ধরনের পরিবর্তনের সূচনা করে। এই রকম একটা বাণী কোন একটা স্যোসাল মিডিয়ায় আমি পড়েছিলাম, কষ্ট বা আঘাত মানুষকে পরিবর্তন করে দেয় এবং আরো বেশী শক্তিশালী করে তোলে। সুতরাং আপনার মাঝে যদি আত্ম সম্মানবোধ থাকে এবং সেই আত্ম সম্মানবোদ হতেই আপনার মাঝে আত্মবিশ্বাস নতুনভাবে তৈরী হবে আর সেই জেদটাকে আরো বেশী শক্তিশালী করে তুলবে। যে কোন পরিস্থিতিতে নতুন কোন চ্যালেঞ্জ কিংবা নতুন কিছু অর্জনের জন্য আপনার মানসিকতা আপনাকে নতুনভাবে গড়ে তুলবে এবং শেষ পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জে আপনাকে বিজয়ী করে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন, এই রকম অসংখ্য ঘটনা আমাদের সমাজে কিংবা চারপাশে দেখতে পাবেন। আত্ম সম্মানবোধ হতে আত্মবিশ্বাসী হয়েছে এবং তারপর নিজের অর্জনকে সহজ করে তুলেছে।

সুতরাং আত্ম সম্মানবোধ থাকাটা জরুরী, তাহলে নিজেদের মাঝে আত্ম বিশ্বাস যেমন তৈরী হবে ঠিক তেমনি তৈরী হবে যে কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার মানসিকতা এবং সেটাকে অর্জনে নতুন ধরনের জেদ নিজের মাঝে তৈরী করা। দেখুন আপনার মাঝে যদি আত্ম সম্মানবোধ থাকে এবং আপনি যদি সেটাকে ধরে রাখতে পারেন, তাহলে আর কিছুই করতে হবে না আপনাকে। আপনার এই আত্ম সম্মানবোধ হতে আত্ম বিশ্বাস আরো বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠবে। একটু লক্ষ করে দেখুন, আমাদের চারপাশে যারা বর্তমানে রাজনীতি করেন তাদের আত্ম সম্মানবোধ কতটা বেশী। না না না থাক এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে না, তাহলে আবার বিদপ ঘাড়ের উপর চলে আসবে। আমি আত্ম সম্মানবোধ নিয়ে যা বুঝানোর চেষ্টা করেছি কিংবা যে উদাহরণ দিয়েছি, আশা করছি সবাই সে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন দিন অন্য কোন বিষয়ে আবোল তাবোল কথা বলতে চলে আসবো।