যমুনা ফিউচার পার্কে একদিন || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সময়গুলোকে রাঙিয়ে রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা পানি কিংবা নাই পারি চেষ্টা থামানো যাবে না কিন্তু। আমি সব সময় শুরুতে এই কথাটি বলার চেষ্টা করি কারণ হয়তো শুনতে শুনতে আপনাদের মাঝে কথাটির প্রতি একটা বিশ্বাস বা আশ্বাস চলে আসবে এবং আপনারাও আমার মতো এই বিশ্বাসটি নিয়ে চেষ্টাকে গতিশীল রাখবেন। সত্যি বলতে দেখুন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোকে আমরা শুনতে শুনতেই শুধু মাত্র বিশ্বাস করেছি, যেটার বাস্তবতা কিংবা গভীরতার ওজন নিয়ে কখনো আমরা চিন্তা করি নাই, কারন যারা বলেছেন বা যাদের মুখে শুনেছি তাদের অবিশ্বাস করার কোন কারণ ছিলো না।
এই জন্যই তো আমাদের স্কুল জীবনে শিক্ষকরা বার বার নানাভাবে অনুপ্রাণীত করতেন এবং গুনীজনদের কথা বেশী বেশী পড়তে কিংবা শুনতে নির্দেশ দিতেন। যাতে শুনতে শুনতে কিংবা পড়তে পড়তে একটা সময় এই কথাগুলো আমাদের হৃদয়ে গেঁথে যায় এবং একটা বিশ্বাস চলে আসে আমাদের মাঝে। লক্ষ্য করে দেখুণ আমাদের সমাজে প্রচলিত এই রকম অনেক বিশ্বাস রয়েছে, যার কোন ভিত্তি নেই কিংবা পুরোটাই কুসংস্কার কিন্তু মানার ব্যাপারে সবাই শতভাগ প্রস্তুত। কারণ টা কি, কেন তারা সেগুলো মানছেন কিংবা বিশ্বাস করছেন? এই বিষয়টি বুঝতে পারলেই হয়তো কেবল আপনি আমার উপরের কথাগুলোর সাথে সহমত পোষণ করবেন।
<div class="text-justify" যাইহোক, শুরুতে প্রায় আমি হয়তো খুব বেশী কঠিন কঠিন শব্দ বলে ফেলি, হয়তো মাঝে মাঝে তা অনেকের বোধগম্য হয় না কিন্তু কি আর করার আমার স্বভাবটাই এমন, যা নিজের মাঝে থাকে কিংবা উপলব্ধি হয় তা প্রকাশ না করলে ভালো লাগে না। তবে এটাও সত্য যে মাঝে মাঝে আপনাদের সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণীত করে। আজকে অবশ্য ভিন্ন কিছু অনুভূতি শেয়ার করবো এবং তা অবশ্যই ফটোগ্রাফি নিয়ে। বেশ কিছু দিন পূর্বে ঢাকার অন্যতম বড় বানিজ্যিক শপিং সেন্টার যমুন ফিউচার পার্কে গিয়েছিলাম। যা শেয়ার করার সুযোগ হয়ে উঠেনি আর, আজকে চিন্তা করলাম সেগুলো শেয়ার করি।
আসলে বাস্তব জীবনে আমি খুবই ব্যস্ত থাকি এবং অনেক কিছুই সময় মতো করতে পারি না, যা নিয়ে আমার পরিবারের মাঝেও বেশ চাপে থাকি। যদিও আমি শতভাগ চেষ্টা করি সময়ের কাজ সময়ের মাঝে সমাধা করার জন্য, কারন যে সময়টা চলে যায় সেটা সহজ থাকে কিন্তু যে সময়টি আসছে সেটা অবশ্যই আরো বেশী কঠিন হবে, এই বাস্তবতাটা আমি বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। তাই ব্যস্ততা সত্বে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি সব কিছু সঠিক সময়ের মাঝে সম্পন্ন করতে। কিন্তু কি জানেন তো আমরা মানুষ, কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের মাঝেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যার কারনে চাইলেও আমরা সব কিছু নিজেদের মতো করে করতে পারি না।
তবে হ্যা, যখনই কোন সুযোগ পাই কিংবা সুযোগ আসে, ঘোরাঘুরি করতে মোটেও কার্পণ্য করি না আমি। যদিও সবুজ প্রকৃতি কিংবা গ্রামীন পরিবেশ আমাকে বেশী টানে এবং মুগ্ধ করে, তথাপিও শহরের জীবনের মাঝে থেকে একটা বিষয়ের প্রতিও দুর্বলতা তৈরী হয়েছে আর সেটা হলো আধুনিক নির্মাণ কৌশলে তৈরী শপিং সেন্টারগুলোর প্রতি একটা আকর্ষণ বোধ করি এবং যার কারনে মাঝে মাঝে সেগুলোতে দেখতে কিংবা সময়গুলোকে ভিন্নভাবে উপভোগ করতে ছুটি যাই।
তবে একটা কথা যদি সত্যি বলি, এই যমুন ফিউচার পার্কটা আমার কাছে অতোটা ভালো লাগে না, কেমন জানি গোডাউন গোডাউন মনে হয়। তাছাড়া মানুষের উপস্থিতি দেখেছি অনেক কম। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বসুন্ধরা শপিং সেন্টার আমার কাছে বেশী ভালো লাগে এবং এখানেই আমি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী সময় ব্যয় করেছি। না না অন্য কিছু আবার মনে করিয়েন না, আমি একা না আপনাদের ভাবিকে নিয়েই এখানে বেশী এসেছি, হি হি হি। আশা করছি আপনাদের কাছেও ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লেগেছে।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার শুরুর কথাগুলোর সাথে আমিও একদম সহমত। চেষ্টা করলে যে কোন জিনিসই পারা যায়। তাছাড়া কোন একটা জিনিস শুনতে শুনতে আসলেই বিশ্বাস চলে আসে সেই জিনিসটার প্রতি।
আমার বাসার পাশ থেকে ঘুরে গেলেন ভাইয়া আমাকে একবার ডাকলেও তো পারতেন গিয়ে দেখা করে আসতাম। আপনার মত আমারও প্রথম যখন যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েছিলাম তখন কেন যেন একদমই ভালো লাগেনি। খুবই ফাঁকা ফাঁকা মনে হয়েছে তখন । আমারও মনে হতো এর থেকে বসুন্ধরা সিটি অনেক সুন্দর। কিন্তু এখন যমুনাতে এত যাওয়া হয় যে এখন যমুনা ফিউচার পার্কই ভালো লাগে। বসুন্ধরা সিটিতে গেলে মনে হয় যে অনেক বেশি মানুষের আনাগোনা। হাঁটাচলার জায়গা পাওয়া যায় না। সময় করে অন্য এক সময় আসবেন ভাইয়া। আর তখন দেখবেন ভালো লাগবে। আসলে কিন্তু অবশ্যই আমাকে ডাকতে ভুলবেন না। ফুডকোর্টে বসে কিছু সময় কাটাতাম😋😋।
একদম আমার মনের কথা বলেছেন ভাই। তবে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত লোকজনের ক্ষমতা নেই সেখানে গিয়ে ভরপুর কেনাকাটা করা কারণ পকেট শূন্য হয়ে যাবে।
ভাইয়া, সবুজ প্রকৃতি কিংবা গ্রামীণ পরিবেশ দেখতে সত্যিই দারুণ হয়। আর সেজন্যই হয়তোবা আপনাকে টানে এবং মুগ্ধ করে। যাই হোক যমুনা ফিউচার পার্কে আমিও গিয়েছিলাম। তবে কেন জানি আমার কাছে ভালোই লেগেছিল। কারণ ওই যে আপনার মত আধুনিক নির্মাণ কৌশলে তৈরী শপিং সেন্টারগুলো আমাকেও বেশ আকর্ষণ করে। সময় সুযোগ পেলে এই শপিং সেন্টারে আমাদের ভাবিকে নিয়ে বেড়াতে যান, জেনে ভালোই লাগলো। ভাইয়া,যমুনা ফিউচার পার্কে কাটানো সময় টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রায় প্রতিটি মানুষকেই সবুজ প্রকৃতি টানে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের বেশিভাগ আর্টিফিশিয়াল জিনিসের প্রতি বেশি আকর্ষনবোধ করে। যমুনা ফিউচার পার্ক অনেক বড় দেখে মানুষ বোঝা যায় না। কিন্তু আমার কাছে যমুনা ফিউচার পার্ক বেশি ভাল লাগে। কেননা ফাকা ফাকা থাকে সবসময়। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই ঠিকই বলেছেন আমরা জীবনটাকে রঙিন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছি। হয়তো এই চেষ্টার সফলতা কমবেশি সবাই পেয়ে থাকে তবুও জীবনের এই সংগ্রামে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই হবে। আর মাঝে মাঝে এভাবে কোথাও ঘুরতে গেলে মনটা ভালো হয়ে যায়। মন কে ফ্রেস করতে হলে ঘোরাঘুরির বিকল্প নেই। যেমন আপনি ইন্ডিয়ায় ঘুরতে চলে গিয়েছেন।😐
ভাইয়া আপনি বাস্তব জীবনে যে খুবই ব্যস্ত থাকেন সেটার বাস্তব প্রমাণ হলো আপনার পোস্টে মার্ক ডাউনের ব্যবহারটি:-
যমুনা ফিউচার পার্কে আপনার ভালো লাগে না সেটা আমরা জানতে পারলাম কিন্তু আমাদের ভাবির কি ভালো লাগে সেটা তো বললেন না।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ঠিক বলেছেন ভাই আমাদের সমাজে এমন অনেক বিশ্বাস বা কথা চালু আছে যেগুলোর কোনো ভিওি নাই হা হা। বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় এগুলো বেশি। আপনার কথাগুলো ভালো ছিল।
আজ মনে হচ্ছে অনেক দ্রুত পোস্ট করেছেন। বেশ কিছু বানান ভুল ছিল যেগুলো আগে কখনোই আপনার পোস্টে দেখি নাই।