অনুভূতির বিশৃঙ্খলা - আবেগের সাথে বাস্তবতার সূত্র
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং মানসিকভাবে ভালো থাকার চেষ্টা করছি। তবে দেশ এবং দেশের আগামী প্রজন্ম কতটা ভালো আছে সেটা হয়তো বলার অপেক্ষা রাখছে না। না আমি সেই বিষয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না কারন ইতিহাস কখনো বদলে যায় না, কালের বিবতর্নে কিংবা মুছে ফেলার প্রচেষ্টার মাঝেও সেটা সূর্যের মতো ঝল ঝল করে জ্বলে উঠে আপন মহিমায়। তাই সত্যটা প্রকাশিত থাকবেই, নিষ্ঠুরতা ধিক্কার এর চাপে আস্তকুড়ে পরবে, সেটা নিয়ে চিৎকার করা হোক কিংবা না হোক।
আজ আশুরা, পবিত্র একটা দিন, পুরো মুসলিম জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ এক দিন। যদিও আমরা আমাদের সঠিক অবস্থান হতে সরে গেছি, তাৎপর্যের বিষয়টি এখন নানা ধরনের বিতর্কিত আয়োজনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের উচিত ছিলো প্রকৃত বিষয়টি জানার চেষ্টা করা এবং নিজ নিজ অবস্থান হতে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আমল করার চেষ্টা করা। ধর্মীয় বিষয়গুলো সর্বদা এমনই হয়ে থাকে, নিয়মের বাহিরে কিছু করতে গেলে সেখানে প্রাপ্তির বিষয়টি শূন্যেতে নেমে আসে। আশুরার ইতিহাস সুপ্রাচীন, এর অতীত সকল ইতিহাস আমাদের জানা উচিত, জানা উচিত এর সাথে জড়িয়ে থাকা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো।
হৃদয়ের স্নিগ্ধতা ফুরিয়ে গেছে
কান্নারা যেন অবরোধে বসেছে,
নতুন করে আবার নিঃসঙ্গ হলাম
পরিচিত বৃত্তে আবার অচেনা হলাম।
উপরের লাইনগুলো পড়েই হয়তো বুঝতে পারছেন আমাদের আজকের অনুভূতি, হৃদয়ের গভীরে থাকা ভিন্ন কিছুর আকুতি। আমরা সত্যি পরিবর্তন হয়ে গেছি, নিজেদের অধিকারের কথা ভুলে গেছি, ভুলে গেছি স্বৈরচারীতার নিষ্ঠুরতম দিকের কথা। যুগে যুগে এটা নির্মমভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা হয়তো সুখের আবর্তনে বার বার সেটা ভুলে যাই কিন্তু পরিস্থিতি সেটা আবার আমাদের সামনে নিয়ে আসে এবং স্মরণ করিয়ে দেয়। মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে এবং সেটা সময়ের সাথে সাথে অটুঁট থাকবে।
এ কোন দৃশ্য দেখছি আমি
সব কিছুই নীরব নিস্তব্ধ,
বিমর্ষ কেন সকলের হাসি
অন্ধকারে লুকাচ্ছে আহাজারি!
আজ সত্যি কিছু লেখার আগ্রহ পাচ্ছি না, অন্য রকম একটা পীড়া বার বার হৃদয়ের মাঝে জাগ্রত হয়ে উঠছে, ভালোবাসার মাঝে থাকা কিছু হাসি বার বার মলিন হয়ে ফিরে আসছে। আমাদের সমস্যা হলো আমরা সত্যটা সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারি না, আমাদের সমস্যা হলো আমরা সুবিধাভোগের নীতি হতে সরে আসতে পারিনা। কে কি পেলো বা না পেলো সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করতে চাই না বরং আমি কিছু পেয়েছি এবং ভালো সুবিধার মাঝে আছি সেটা নিয়ে আমরা তৃপ্তি ঢেকুর তুলতে চাই এবং আনন্দে চিত্তে সেটা নিয়ে থাকতে চাই।
কিন্তু বাস্তবতা বড্ড বেশী নিষ্ঠুর, সে সুখের আবর্তে আজ আমি সুখের উল্লাসে মেতে উঠার চেষ্টা করছি সেটাই হয়তো কাল আমার জন্য নির্মম নিষ্ঠুর কিছু হয়ে দাঁড়াবে। অতীত এবং ইতিহাস সেটারই স্বাক্ষী বহন করছে এবং করবে। প্রকৃতির নিয়মের বাহিরে আমরা কেউ আসতে পারবো না এবং সুযোগও নেই। সুতরাং সৎ সাহসের সাথে সঠিক কিছুর পাশে থাকাই হয়তো বুদ্ধিমানের কাজ, হকের সাথে সৎ সাহস নিয়ে ঐক্য ধরে রাখাটাই হলো প্রকৃত মনুষ্যত্বের কাজ। আমার কথা এবং হৃদয়ের ব্যথা হয়তো কেউ বুঝতে পারবে না, কিন্তু বাস্তবতা হলো আমরা সঠিক বিষয়টি কখনো বুঝার চেষ্টা করি না।
Image taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাস্তবতা সত্যি অনেক বেশি নিষ্ঠুর। আশুরার ইতিহাস কয়জনেই বা তেমনভাবে জানে। কিন্তু আমাদের সবারই এটা জানা উচিত। আমরা সত্যি নিজেদের অধিকারের কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছি। বাস্তবতা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে এটা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমরা কি ভালো কিছু এখনো করতেছি?? প্রকৃত মনুষ্যত্ব এখন কয়জনের কাছেই বা রয়েছে?? তবে নিজেদের মধ্যে প্রকৃত মনুষ্যত্বটাকে জাগিয়ে তোলা উচিত। আর সঠিক বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করতে হবে প্রত্যেকটা মানুষকেই। বাস্তবতার বিষয়গুলোকে সুন্দর করেই আপনি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে পুরোটা পড়তে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, প্রকৃত বিষয়টি না জানার কারনেই যত ভুল কিছু আমাদের মঝে বসবাস করছে।
বর্তমানে আমাদের আসলে ভালো কিছু জানার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। গত জুম্মায় মসজিদে হুজুর বারবার বলে দিলো আশুরার দিন রোজা রাখতে পারলে খুব ভালো। তাছাড়া আশুরার ইতিহাস সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু মনোযোগ সহকারে তেমন কাউকে দেখলাম না কথাগুলো শুনতে। যাইহোক আমরা তো একটু সুখে থাকলে আল্লাহ তায়ালার নাম ই ভুলে যাই। আবার যখন বিপদে পড়ে যাই,তখন আল্লাহ তায়ালার নাম উচ্চারণ করতে করতে গলা শুকিয়ে ফেলি। আমাদের মন-মানসিকতা আসলেই কেমন যেনো হয়ে গিয়েছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি ভাইয়া বুকে সাহস নিয়ে সবকিছুর সাথে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা যদি নিজেদের বিবেক কাজে না লাগাই তাহলে সবকিছুই শেষ হয়ে যাবে। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। দারুন ভাবে কথাগুলো উপস্থাপন করেছেন।