হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। জ্বী আমি মোটামোটি ভালো আছি, অতিরিক্ত গরম এবং হুট করে আবার ঠান্ডা, মাঝখানে পড়ে আমার লেগেছে সর্দি, বুঝতেই পারছেন পানি মুছতেই মুছতেই কাহিল। আরে না আমি মোটেও কাহিল হই নাই হি হি হি। তবে হ্যা, এটা সত্য অফিসের কাছে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে, অফিসে যাওয়ার পর খুব একটা সময় পাচ্ছি না অনলাইনে থাকার। দুটো কারন রয়েছে এর পেছনে, প্রথমত অতিরিক্ত লোডশেডিং, তাই লোডশেডিং শুরু হওয়ার আগেই দ্রুত কাজগুলো সম্পন্ন করার তাড়া। আর দ্বিতীয়তটা হলো সামনে কোরবানীর ঈদ, তাই প্রয়োজনীয় খরচ আগে হতেই সংগ্রহ করার প্রচেষ্টা।
আসলে বেসরকারী চাকুরীদের এই একটাই সমস্যা, কোন না কোন কারণে সর্বদা অতিরিক্ত প্রসার নিয় কাজ করে যেতে হয়। হয়তো ঈদ চলে যাবে এবং এরপর নতুন আরো একটু ইস্যু সামনে চলে আসবে, তাই শান্তভাবে কিংবা শীতল মনে কাজ করার সুযোগটা আর ফিরে আসে না। প্রথম আলোর একটা নিউজে পড়েছিলাম জাপানের একটা কাহিনী। যেখানে কর্মীদের অফিসে ঘুমানোর আলাদা ব্যবস্থা আছে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে বিশ্রাম নিতে হয়। কারন শান্ত মন যতটা সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারে অশান্ত মন তার অর্ধেকও পারে না। জাপানীজরা বিষয়টি যতটা সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন, আমাদের মতো দেশের ব্যবসায়ীদের ততো সহজভাবে বুঝার মানসকিতা নেই। ফলে আমরা যান্ত্রিকমানব হচ্ছি কম সৃজনশীলতার আর তারা সৃজনশীলতার সাথে শ্রেষ্ঠ দক্ষতা প্রদর্শন করছে।
যাইহোক, এসব বলে কোন লাভ নেই, জীবন মানেই যন্ত্রণা, না না না সব সময় সেটা বলা যাবে না। কারন ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে সব যন্ত্রণাই কোমলতায় পরিবর্তন হয়ে যায় হি হি হি। আজকে চলুন গরমের শান্তি স্বাদের একটা রেসিপি দেখি, একদম সহজ রেসিপি। তবে এটা আমি সেই ছোটবেলা হতেই ধরে রেখেছি কারন ঐ যে স্বাদের ও পুষ্টির প্রতি দুর্বলতা।
রেসিপির উপকরণসমূহঃ
- পাকা বেল
- গুড়
- বিট লবন
- সাদা লবন
- আইস কিউব
- পুদিনা পাতা
- পানি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে জমিয়ে রাখা সব রাগ বেলের উপর ঝেড়ে সেটাকে ফাটিয়ে নিয়েছি হা হা হা। আপনারা চাইলে শান্তভাবেও সেটা করতে পারে কোন নিষেধ নেই হি হি হি।
তারপর একটা ছোট বাটিতে সেগুলো নিয়েছি, পানি দিয়েছি এবং তার সাথে সাদা লবন ও বিট লবন দিয়েছি।
তারপর গুড় ও পুদিনা পাতা দিয়েছি এবং হাত দিয়ে ভালোভাবে কচলিয়ে মিক্স করে নিয়েছি। ব্লেন্ডার মেশিন আসার আগে এভাবেই শরবত বানানো হতো।
এরপর একটা ছাকনি দিয়ে ভালোভাবে ছেকে নিয়েছি, তারপর গ্লাসে ঢেলে নিয়েছি।
তারপর আইস কিউব দিয়েছি, এটা না দিলে একদমই স্বাদের মনে হয় না আমার নিকট। অবশ্য চাইলে আরো একটু পুদিনা পাতা দিতে পারেন তাতে অবশ্য মন্দ হবে না খেতে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জাপানা সৃজনশিলতাকে প্রাধান্য দেয় কিন্তু আমাদের দেশে কপি পেস্ট প্রাধান্য পায়। তাইতো কর্মীদের বিশ্রামের দিকে মালিক পক্ষের খেয়াল নেই। তা যাইহোক আপনি বেশ স্বাস্থ্যকর একটি শরবত এর রেসিপি শেয়ার করেছেন। যে কেউ সহজে বানিয়ে নিতে পারবে আপনার ধাপগুলো অনুসরন করে। ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
বাহ! দারুণ বলেছেন তো আপনি, তবে কপি পেষ্টের মাঝে কিন্তু সেই মজা, হা হা হা।
ঠান্ডা লাগা সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল নাক মোছা। নাকের আগাটা জলে যায় ভাই 😂। কাজের মধ্যে চাপ বেশি থাকলে, সেই কাজের নির্ভরযোগ্যতা কমে যায়। জাপানেরা উন্নত দেশের কর্মী তারা তাদের নিজের কাজের মূল্য বোঝে। কিন্তু বাঙালিরা মনে করে বেশি কাজ করে নিতে পারলেই মনে হয় লাভজনক। যাহোক ভাই আপনার বেলের রেসিপি টা আমার কাছে দারুন লেগেছে। বেল আমার খুবই প্রিয় একটি ফল। আর আপনি যেভাবে বেলের শরবত তৈরি করেছেন তা দেখে তোমাকে খেতে ইচ্ছে করছে। এখান থেকে অল্প কিছু খাওয়া সম্ভব হলে এতক্ষণ খেয়ে নিতাম ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি বেলের শরবতের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যে কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ থাকলে সেখানে কাংখিত দক্ষতা আসে না, এটাই স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে চাই না।
বেশ মজার পাকা বেলের শরবত পুরো রমজান মাসে জুড়ে অনেক খাওয়া-দাওয়া হয়েছে বেলের শরবত। বেলের শরবত খেতে যেমন মজার হয় তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যদি ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে দারুণ হয়। আপনি তো দেখছি অনেক লোভনীয় ভাবে শেয়ার করেছেন খেতে ইচ্ছে করছে।
বাহ! আপনি দেখছি আমার থেকে বেশ এগিয়ে, না আমি রমজানে বেশী তরমুজ খেয়েছি।
এই গরমে বেলের শরবত শরীর, মন একেবারে জুড়িয়ে দেয়।এই শরবত শরীরের জন্য বেশ উপকারীও বটে। মজার এই রেসিপিটি শেয়ার ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন, গরমে লেবু আর বেল এই দুটো ফলের শরবত বেশী খাওয়া হয় আমার।
পাকা বেলের শরবত আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। রমজান মাসে ইফতারের সময় কয়েকদিন খেয়েছিলাম। এই গরমে এক গ্লাস পাকা বেলের শরবত খেলে খুব তৃপ্তি পাওয়া যায়। আপনি বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে মজাদার বেলের শরবত তৈরি করেছেন। কালারটা খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ভাইয়া, জীবন মানেই যন্ত্রনা। আর জীবনের যন্ত্রণা দূর করতে বেলের শরবত বেশ ভূমিকা রাখে। তীব্র গরমের মাঝে একটু প্রশান্তির সুখ অনুভব করতে হলে পাকা বেলের শরবত পান করতে হবে। আপনি খুবই চমৎকারভাবে পাকা বেলের শরবত তৈরি করেছেন। পাকা বেলের শরবত তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমার খুবই পছন্দের একটি শরবত তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যে গরম। তার মধ্যে এই মেঘ এই বৃষ্টি। এখন চারদিকে শুধু জ্বর , কাশি আর ঠান্ডা। তবে দোয়া করি এই পানি মুছার ঝামেলা হতে আল্লাহ আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি দেন। শত ব্যস্ততা আর অসুস্থ্য শরীর নিয়ে আপনি তো দেখছি আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর করে ইউনিক একটি বেলের শরবত তৈরি করে উপহার দিলেন। মনে হয় রেসিপিটি খেয়ে বেশ স্বাদ পেয়েছেন ভাইয়া।