কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণ (পর্ব-৫)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। তবে সেই ব্যস্ত জীবনে আবার ঢুকে গেছি। খুব বেশী বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, চাপের মাত্রাও অনেক বেশী বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গত মাসের অনাকাংখিত পরিস্থিতির কারনে অনেকগুলো বিল আটকে গেছে অফিসের, যার কারনে এখনো অফিসে কারো বেতন হয় নাই, কবে হবে সেটারও কোন নিশ্চয়তা নেই কারন প্রাইভেট অফিস, মালিকের পকেট হতে বেতন দিতে চায় না কেউ। তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে বকেয়া বিলগুলো দ্রুত কালেক্ট করার, তবে আমাদের দেশ বলে কথা যেটা একবার আটকে যায় সেটা খুব সহজে আর ছুটতে চায় না। ঐ যে কথায় বলে না মাঝে মাঝে পরিস্থিতির কাছে আমরা খুব বেশী অসহায় হয়ে যাই। আমার হয়তো খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না, কারন আমার আছে আমার বাংলা ব্লগ, সকল বিপদে আপদে আপনজন হিসেবে।
যাইহোক, আজকে আর এই বিষয়ে কথা বাড়াবো না বরং বেতন হলে পরবর্তীতে খুশি মনে সেটা শেয়ার করবো হি হি হি। তার চেয়ে চলেন আজকে কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণের পঞ্চম পর্ব পড়ি। যেখানে শেষ করেছিলাম, সব কিছু সুন্দরভাবে সমাধান করে আমরা নিজেদের রুমে চলে গেলাম তারপর সবাই গোসল করে কিছুটা বিশ্রাম নিলাম, এটা সবচেয়ে বেশী জরুরী ছিলো তখন কারন সারারাত জার্নি করেছি আমরা। অবশ্য আমি ট্রেনেও বেশ ঘুমিয়েছিলাম, হি হি হি। বেশ কিছুটা সময় আমরা বিশ্রাম নিলাম, তারপর দ্রুত রেডি হলে রুম ছেড়ে বাহিরে চলে আসলাম, সমুদ্র দেখবো বলে কথা। রুমে বসে বসে বিশ্রাম নিলে কি হবে? তাই আমরা হালকা বিশ্রাম নিয়েই দ্রুত আবার বাহিরে চলে আসলাম।
তখন অবশ্য বেশ রোদ্রময় ছিলো পরিবেশ, আমরা কিছুটা চিন্তায় ছিলাম যদি এমন উষ্ণতা এবং রোদ্রময় পরিবেশ থাকে তাহলে তো সবাই পুড়ে একদম কয়লা হয়ে যাবো হি হি হি। রোদ উপেক্ষা করেই আমরা বিচে চলে গেলাম কারন রোদ যতই বেশী হোক না কেন বিচের শীতল হাওয়ার কাছে উষ্ণতা কোন ব্যাপারই না। দুপুরের সেই রোদের মাঝেও দেখলাম বেশ সংখ্যক মানুষ রয়েছে এবং সবাই সমুদ্রের শীতল ঢেউ উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। আমরাও বেশ কিছুটা সময় বিচে দাঁড়িয়ে রোদ উপভোগ করলাম না থুক্কু মানুষের আনন্দ উপভোগ করার দৃশ্য দেখলাম হি হি হি।
যার যার মতো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম, তারপর যখন বুঝলাম সমুদ্রের এই শীতল বাতাসেও রোদেও উষ্ণতার মাত্রা কমাতে পারছে না, তখন আবার হাঁটা ধরলাম না হোটেলের দিকে না, বরং ছাতা আছে যেদিকে সেই দিকে হি হি হি। এমনিতে ভরা পেট তারপর আবার রোদের তিব্রতা, যদিও তখন বেশ বড় বেড় ঢেউ ছিলো সমুদ্রের। সেফগার্ড সবাইকে ঢেউয়ের মাঝে নামতে দিচ্ছেন না এবং বার বার মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করছেন।
খুব বেশী মানুষ যে ঢেউ উপেক্ষা করে ভিজতে নেমেছিলো সেটা বলাও ঠিক হবে না, কারন ফটোগ্রাফিগুলো দেখলেই আপনাদের আইডিয়া হয়ে যাবে। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কতা জারি ছিলো সেহেতু আমরা আশা করেছিলাম খুব বেশী মানুষের উপস্থিতি দেখতে পাবো না, সেই তুলনায় মানুষের উপস্থিতি যথেষ্ট ছিলো বলে আমার মনে হয়েছে। আসলে অনেক ফাঁকিবাজ আছে আমাদের মতো যারা অফ সিজনে গিয়ে একটু ভিন্নভাবে সব কিছু উপভোগ করতে চায়, হি হি হি। আমরাও ছাতার নিচে বসে একটু ভিন্নভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি পরের কয়েক ঘন্টা।
তারিখঃ মে ২৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ কক্সবাজার।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সঙ্গে টিপস দিতে ভুলবেন না কিন্তু☺️☺️.আসলেই পরিস্থিতির কাছে আমরা সবাই ধরা।যাইহোক আপনারা ও তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের সময় কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলেন।এই সময় জল খুবই উত্তাল থাকে, তারপরও আশা করি আপনারা দারুণ সময় পার করেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আচ্ছা ঠিক আছে সবার জন্য মুলোর পায়েস থাকবে ট্রিট হিসেবে হি হি হি। হ্যা, সাগর বেশ উত্তার ছিলো, আর ফাঁকা পরিবেশ থাকায় বেশ ভালোই এনজয় করেছিলাম।
☺️☺️
প্রাইভেট সেক্টরগুলোতে এই এক সমস্যা বেতন আটকে গেলে আর সহজে তোলা যায় না। কি আর করার ভাইয়া জীবন এভাবেই চলবে জীবনের মত। ভাইয়া আপনি কক্সবাজার ভ্রমণের দারুন একটি পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলেন ঘূর্নিঝড়ের সময়টাতে।এই সময়ে সাগর বেশ উত্তাল থাকে।তখন রেড সিগন্যাল জারী করা হয়।এরপরেও মানুষের কমতি দেখছি না।অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সতেজ অনুভূতি নিয়ে শেয়ার করার জন্য ।
রোদ যতই তীব্র হোক না কেনো,সমুদ্রে না নেমে থাকা যায় না। আমার কাছে মনে হয়, আমি কক্সবাজারে থাকলে সমুদ্র আমাকে চুম্বকের মতো টানে😂। আর আমি তো সমুদ্রে নামলে সহজে উঠতে চাই না। যাইহোক আপনারা যে সময়ে এবার কক্সবাজার গিয়েছেন,তখনকার অবস্থাটা সত্যিই খুব খারাপ ছিলো। তবুও তো দেখছি মোটামুটি কিছু মানুষ সমুদ্রে নেমেছিলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আহরে বেতন । কেউ খেয়ে শেষ আর কেউ পায় না। যাই হোক দোয়া করি অতি তাড়াতাড়ি বেতন পেয়ে ভাবীকে একটি সুন্দর গিফট দিতে যেন পারেন। তবে আপনাদের তো বেজায় সাহস। এমন রেড সিগনালের মধ্যে আবার সমুদ্র সৈকতে ঘুরাঘুরি করেন। অবশ্য আপনাদের দোষ দিয়ে কি লাভ মানুষ তো আর কম দেখছি না। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জীবন মানেই ব্যস্ততা। কয়েকদিন বিশ্রাম নিলে ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। ভাইয়া আপনি কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ট্রেনে ঘুমানো টা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার। আপনি তো দেখছি বেশ চালাক। ভালোই ঘুমিয়ে নিয়েছেন।