অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-১১)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। আমি বেশ আছি এবং বেশ থাকার চেষ্টা করছি। যদিও কিছু সমস্যা রয়েছে এবং সেগুলো থাকবেই, কিন্তু তবুও আমাদের এসব মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আজকে পুনরায় চিন্তা করলাম আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো কলকাতা ভ্রমণের। সর্বশেষ শেয়ার করেছিলাম বিখ্যাত সেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পার্ক এর। যদিও ভিতরে এখনো ঢোকা হয় নাই। দেখি আজকের ফটোগ্রাফিতে আপনাদের ভিতরে নিয়ে যেতে পারি কিনা? যদি না পারি তাহলে কেউ রাগ করবেন না, সেটা আগেই বলে দিলাম, হি হি হি।

আসলে এটা বিশাল পরিসরে অবস্থিত এবং চারপাশে প্রচুর জায়গা রয়েছে, না না সেগুলো একদমই অবহেলায় পড়ে নেই বরং দারুণভাবে সেগুলোকে সাজিয়ে পরিবেশটাকে আরো বেশী উপভোগ্য রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা ছিলো দারুণ ভালো লাগার একটা পরিবেশ, যদিও আমরা যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখন ভর দুপুর, তাই হয়তো খুব বেশী উপভোগ করতে পারি নাই, কারন চারপাশটা বেশ ফাঁকা ছিলো। না হলে মনে হয় সেদিন আর বের হতে চাইতাম না, হা হা হা। এতো বিশাল আয়োজনের সাথে সুন্দর পরিবেশ, তারপর যদিফ্রিতে কিছু উপভোগ করার সুযোগ থাকে, তাহলে কে আসতে চায় বলুনতো? আরে ভাই ফ্রি ফ্রি তো আর ভিতরে যাই নাই টাকা খরচা করে গিয়েছি, সেটাকে তো উসুল করতে হবে নাকি? হি হি হি।

IMG_20230326_145011.jpg

IMG_20230326_144856.jpg

IMG_20230326_144924.jpg

IMG_20230326_145057.jpg

যাইহোক, আমি সবার আগে ছিলাম, কারন ভালো জিনিষের ক্ষেত্রে আমি কখনো পিছনে থাকি না, হি হি হি। না না না ফটোগ্রাফি ঠিকঠাক করার জন্য আমি আগে ছিলাম, আপনারা আবার অন্য কিছু মনে করিয়েন না। আমি এমনিতে খুবই ভালো এবং ভদ্র ছেলে, সেটা আপনারা সবাই জানেন, এটা আমিও জানি হি হি হি। তো সবার আগে আগে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ করেই আমি বোকা হয়ে গেলাম। মানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভবনটিকে প্রবেশ করার গেট যে পিছনের দিকে, সেটা আমার না শুধু আমার না আমাদের জানা ছিলো না। হয়তো কিংপ্রস ভাইয়ের জানা ছিলো কিন্তু উনি ছিলেন সুমন আর আরিফ ভাইয়ের সাথে পিছনে। আমি সামনে গিয়ে দেখলাম, আমার মতো অনেকেই বোকা হয়ে ফিরে আসছেন এবং পেছনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর পেছনে দিকে যাওয়া মানে পুরো ভবনটিকে ঘুরে যাওয়া।

IMG_20230326_145344.jpg

IMG_20230326_145021.jpg

IMG_20230326_145228.jpg

IMG_20230326_145359.jpg

সে আবার বিশাল রাস্তা, কি আর করার। আমি পিছনের দিকে চলে আসলাম এবং সবাইকে মানে আমার টীম মেম্বারদের জানালাম যে এদিক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ নেই, প্রবেশ করতে হলে পেছনের দিকে যেতে হবে, এটা ঠিক উল্টো সাইডে। এদিক দিয়ে ঘুরে যেতে হবে। তারপর আমি আবার এগিয়ে যেতে লাগলাম। অবশ্য ফাঁকা থাকার কারনে ভদ্র ছেলের মতো পার্কের দিকে একটু উঁকি মেরেছিলাম। না না না না অন্য কিছুর জন্য না, জাস্ট ফটোগ্রাফি করার জন্য হি হি হি। বেশ ভালো লাগছিলো পার্কের খালি বেঞ্চগুলো দেখতে এবং সুন্দর ও সবুজ পরিবেশের সজীবতা। যদিও এই পার্ক আমাদের রমনা পার্কের মতো না, পরিবেশটা আরো বেশী সুন্দর এবং দারুণ। হ্যা,সময় এবং ফটোগ্রাফি দুটো করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, এটাতে কোন সন্দেহ নেই।

IMG_20230326_145535.jpg

IMG_20230326_145835.jpg

IMG_20230326_145904.jpg

IMG_20230326_145914.jpg

আমি সোজা হাঁটতে থাকলাম, এদিক সেদিক তাকিয়ে সাথে ফটোগ্রাফিও চলতে থাকলো। সত্যি বলছি বেশ ফটোগ্রাফি করেছি আমি, কারন অবশ্য আমার মোবাইলে বেশ জায়গা ফাঁকা ছিলো। পেছনের দিকে যেতে যেতে দেখলাম বেশ সুন্দর ও সবুজ ঘাস রয়েছে প্রচুর, কিছু সাদা বক জাতীয় পাখিও দেখলাম, দারুণ একটা মুগ্ধকর পরিবেশ। যদিও আমাদের এদিকে এসব কল্পনা করা যায় না। পাখিগুলো নিজের মনের আনন্দে হাঁটছেন আর কি জানি খাওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি কিছুটা সময় সেখানে দাঁড়ালাম তারপর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। তখনও আরিফ ভাই, সমুন ভাই এবং কিংপ্রস ভাই বেশ পেছনের দিকে রযেছেন।

IMG_20230326_145838.jpg

IMG_20230326_145843.jpg

IMG_20230326_145931.jpg

IMG_20230326_150037.jpg

আমি অবশ্য একদম পেছনের দিকে গিয়ে চিন্তা করলাম না, ভেতরে একা ঢোকার রিস্ক নেয়া যাবে না, হি হি হি। তারপর আরিফ ভাই, সমুন ভাই এবং কিংপ্রস ভাইয়ের জন্য সেখানে কিছুটা সময় দাঁড়ালাম। কারন আবার টিকেট কাটতে হবে কিনা? সেটাও জানতে হবে। তারা আসলেন তারপর আমরা একসাথে আবার সিরিয়ালে দাঁড়ালাম ভেতরে প্রবেশ করার জন্য। ততোক্ষনে আমার বেশ ফটোগ্রাফি করা হযেছে, লাইনে দাঁড়িয়ে সেগুলো এক এক করে চেক করতে লাগলাম।

তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server

Manually curated by @ abiga554
r2cornell_curation_banner.png

Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আপনি ভালো ছেলে সেটা তো আমরা জানি।তবে আপনি জানেন এটা জানতামনা। হাহা বেশ ভালো লিখেছেন ভাইয়া।আগে গিয়ে ফিরে আসতে হলো গেইট পিছনে থাকায়।তারপরেও ফটোগ্রাফি তো করে নিয়েছিলেন।জায়গাটি আসলেই অনেক সুন্দর,রমনা পার্ক তো কিছুইনা এটার কাছে।ফটোগ্রাফি তেই এতো সুন্দর লাগছে বাইরের এরিয়া না জানি সামনে থেকে আরও কতো সুন্দর ছিল।তাছাড়া ভিতরেও নিশ্চয় অনেক ভালো ছিল দেখতে।আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

হা হা হা ভালোই বলেছেন, পুরো পোষ্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ভাইয়া এতো দেখতেছি এক বাংলাদেশের সমান ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের সীমানা। সম্পূর্ণ পার্ক ভবন ঘুরে দেখতে এক দিন সময় লাগবে। রাস্তা গুলোও বিশাল বড়। পরিবেশটা দারুণ ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 87860.55
ETH 3367.68
USDT 1.00
SBD 3.10