আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ পত্রিকা ]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আমার মতো আছি এবং সর্বদা ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু কি বলেন তো, আজকাল চাইলেও ভালো থাকতে পারছি না। পারবো কিভাবে বলেন পরিস্থিতি একটা ভিন্ন রকম পরিবেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেদিন কথা প্রসঙ্গে বাসের মাঝে এক ভদ্র লোকের সাথে পরিচয় হয় এবং কথা বলতে বলতে উনি একটা সময় বলেই ফেললেন বেঁচে যে এখনো আছেন সেটাই তো বড় বিষয়, যা অবস্থা ঠেকতে তাতে বেঁচে থাকাটাই তো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সত্যিই আমি এরপর আর কথা বাড়াই নাই কারন কিছুই বলার ছিলো না আমার। হ্যা, আজকেও আবার আবোল তাবোল জীবনের গল্প নিয়ে উল্টা পাল্টা কিছু বক বক করবো। কারন কাজের কথা বাদ দিয়ে আমি উল্টা পাল্টা কথা বলতে বেশী পছন্দ করি, হি হি হি।

আর এসব কথা না বললে আপনারা যেমন একটু মুচকি হাসি দিবেন না ঠিক তেমনি আপনাদের অনুভূতিগুলোও আমি জানার সুযোগ পাবো না। অবশ্য আজকাল এসব লেখায় মানুষ খুব একটা বেশী মন্তব্য করে না এবং পড়তেও চায় না। আচ্ছা শুরুতেই আমার একটা অভ্যেস এর কথা বলি, পত্রিকা পড়েন তো সবাই? আমি পড়ি নিয়মিত, সেই স্কুল জীবন হতে। তবে পয়সা খরচা করে না, ফ্রিতে পড়ার চেষ্টা করি, হি হি হি। স্কুল জীবনে স্কুল হতে ফেরার পথেই ক্লাবে চলে যেতাম, মানে এলাকার স্পোর্টিং ক্লাব অন্য কিছু ভেবে বসিয়েন না আবার, আপনাদের তো কোন বিশ্বেস নেই লাইন ছেড়ে কখন আবার অন্য লাইনে চলে যান। তারপর পত্রিকা পড়তাম, তবে আমার সমস্যা হতো না। কারন পত্রিকা পেলে সবাই যে বিষয়গুলো পড়ে আমি সেগুলো পড়তাম না, তাই আমাকে সিরিয়াল ধরতো হতো না কখনো। আমি ক্লাবে ঢুকেই চেয়ারে বসে পড়তাম, তারপর টেবিলে পড়ে থাকা পাতাগুলো নিয়েই মনোযোগি হয়ে যেতাম।

জ্বী আমি সেই স্কুল জীবন হতেই সম্পাদকীয় কিংবা বিশেষ লেখকদের বিশেষ নিবন্ধ পড়তে বেশী ভালোবাসতাম এবং তাদের লেখাগুলোর প্রতি আমার খুব বেশী আকর্ষণ থাকতো। তাদের লেখারগুলোর প্রতি আমার একটা অন্যরকম আবেগ কাজ করতো, সম সাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে লেখা কিংবা বর্তমান রাজনীতি নিয়ে তথ্যবহুল লেখাগুলো বেশী বেশী পড়তাম। হ্যা, ছোট বেলা হতেই রাজনীরিত প্রতি আমার একটা দারুন আকর্ষণ ছিলো, আমি নিজেও রাজনীরিত সাথে জড়িয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম এই দেশে রাজনীতি বলতে কিছুই নেই, সবই সারশূণ্য মুখোশের আড়ালে থাকা ভিন্ন চিত্র এবং বাহিরের জগতটা দারুণ একটা রঙ্গ মঞ্চ। তখন হতেই আমি চিরবিদায় জানাই রাজনীতিকে। তবে লেখাগুলোর প্রতি আকর্ষণটা এখনো বেশ কাজ করে। অফিসে গিয়েই আগে অনলাইনে পত্রিকার হেডলাইনগুলো পড়ি, তারপর চলে যাই আমার কাংখিত লেখাগুলোর দিকে।

adult-g7cfaa2b08_1920.jpg

অফিসে কাজের চাপ থাকলে, এক নজর দেখেই রেখে দেই। তারপর দুপুরের খাবারের সময় সেই অংশগুলো পড়ে নেই। কারণ লাঞ্চের যে সময় পাওয়া যায়, তাতে সেই কাংখিত লেখাগুলো পড়া এবং লাঞ্চ শেষ করা দুটোই দারুণভাবে সম্পন্ন করা যায়। তবে সত্যি বলছি আগের মতো পত্রিকা পড়ে এখন আর মজা পাই না। কারন স্কুল জীবনে বিশেষ ব্যক্তিদের বিশেষ নিবন্ধনগুলো যেমন নিরপেক্ষ থাকতো, ঠিক তেমনি তাদের লেখাগুলোর মাঝে উপস্থাপন করার তথ্যগুলো শতভাগ সত্য থাকতো। কারন তখন মানুষের মাঝে যেমন কিছুটা হলেও নৈতিকতা ছিলো ঠিক তেমনি সাংবাদিকগুলোর মাঝেও নৈতিকতা বিদ্যমান ছিলো। তারা একটা নিরপেক্ষ অবস্থান হতে লেখাগুলোকে বাছাই করতেন এবং সাহসিকতার সাথে তা পত্রিকায় ছাপাতেন। সাধারণ মানুষ পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থাটা জানার সুযোগ পেতো।

তখন কিন্তু এতো এতো পত্রিকা ছিলো না, অল্প কিছু স্বনামধন্য পত্রিকা ছিলো এবং মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ছিলো। কিন্তু আজকাল সেদৃশ্যটা না সেই চিন্তাটা সুদূর অতীত হয়ে গেছে। কারন এখন মেলা পত্রিকা রয়েছে, সংখ্যাটাও অনেক বড় এবং এগুলোর মালিকও বড় বড় নামকরা ব্যবসায়ী। এখন আর সৎ সাংবাদিকদের পত্রিকা থাকে না, বরং সাংবাদিকরা চাকুরীর মতো পত্রিকার জন্য কাজ করে এবং মাস শেষে বেতন নিয়ে খুশি থাকে। নৈতিক নীতি কথার বিষয়টি এখন আর প্রাধান্য পায় না। ফলশ্রুতিতে আমরাও আগের মতো সত্যটা মানে প্রকৃত অবস্থাটা জানতে পাই না। যার কারনে পত্রিকা লিখে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক কিন্তু আম জনতা বলে আমাদের অবস্থা খুবই নাজুক, বেঁচে থাকা দায়।

coffee-gc7e9ef2e1_1920.jpg

তবুও পত্রিকা পড়ি, সত্য কিংবা মিথ্যা যাইহোক অভ্যেসটাকে ধরে রেখেছি। আসলে যেটা আমি বলতে চাচ্ছিলাম তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সত্যটা জানতে খুব বেশী কষ্ট করতে হয় না, কয়েকটি পত্রিকা পড়লেই পার্থক্যটা সহজেই বুঝে আসে। আসল বিষয় হলো আমি এখনো পত্রিকা পড়ি কারন নিজের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের সীমানা বৃদ্ধি করার । আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা এই বিষয়েও আমাদের উৎসাহ দিতেন এবং মাঝে মাঝে জিজ্ঞেসও করতেন পত্রিকা কে কে পড়। যার কারনে বাড়ীতে পত্রিকা রাখা না হরেও পত্রিকা পড়ার অভ্যেসটা ঠিক হয়ে গিয়েছিলো এবং সযত্নে সেটা এখনো ধরে রেখেছি। জানার আগ্রহটা এখনো রয়ে গেছে, নানা বিষয়ে জানার চেষ্টাটা এখনো ধরে রেখেছি। কিন্তু আপনারা কি করেন, রোজ পত্রিকা পড়েন? আনন্দ খোঁজার জন্য নাকি কিছু জানার জন্য?

আমি আনন্দ খোঁজার জন্য না বরং মনের খোরাক পাওয়ার জন্য পত্রিকা পড়ি, জানার সীমানা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করি। কারন জানার কোন বয়স নেই, শেখার কোন সময় নেই। যতটুকু সুযোগ পাই তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। কারন আজকের সুযোগটা হয়তো আগামী দিনের জন্য বড় কিছু প্রাপ্তির পথ প্রশস্ত করতে পারে। তাই আবোল তাবোল জীবনের গল্পের মাধ্যমে আজকে আপনাদের নিকট যে বানীটি পৌছাতে চাচ্ছি সেটা হলো, যতটুকু সুযোগ পান শেখার কিংবা জানার চেষ্টা করুন, নিজের জানার পরিধি বৃদ্ধি করুন, জ্ঞানের সীমানাটা বড় করুন। সুযোগ যতটা সুন্দর করে ব্যবহার করবেন, ফলাফল ততোটা সুন্দর হয়ে আপনার সম্মুখে আসবে।

Image Taken from Pixabay 1 and 2

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  
 2 years ago 

বাসের ওই ভদ্রলোক আসলে ঠিকই বলেছিল বর্তমান অবস্থায় আমরা বেঁচে আছি এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।স্কুল জীবন থেকেই আপনি নিয়মিত পত্রিকা পড়েন একদম ফ্রিতে।তবে অন্য কিছু মনে করিনি আপনি ক্লাবে বসেই সাধারণত অনেকেই যে পত্রিকার পাতাগুলো পরতেন না আপনি সেগুলোর প্রতি আকর্ষিত থাকতেন বেশি এবং সেগুলি আপনি পরতেন মনোযোগ সহকারে।এবং পত্রিকা পড়ার অভ্যাস থেকে আজও ধরে রেখেছেন।জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।♥♥

 2 years ago (edited)

বলতে পারেন এটাও একটা নেশা হয়ে গেছে আমার, বাড়িতে থাকলে পত্রিকা না পড়া পর্যন্ত ভালো লাগে না। হ্যা বর্তমানে পত্রিকাগুলো আর পত্রিকা নেই বিজ্ঞাপনের আড়ালে ডুবে যাচ্ছে।

 2 years ago 

বিজ্ঞান নাকি বিজ্ঞাপনের আড়ালে ভাইয়া,,,যেটাই হোক না কেন ঠিকই বলেছেন,,,
ধন্যবাদ,,,,

 2 years ago 

না না ভুল হইছে বিজ্ঞাপনের আড়ালে।

 2 years ago 

হা হা হা,,,

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

 2 years ago 

পত্রিকা পড়া অনেক ভাল একটা অভ্যাস।আমি পত্রিকা পড়া বাদ দিয়েছি।সারাদিন হানাহানি,দাঙ্গা হাঙ্গামার খবর দেখে ডিপ্রেশনে চলে যেতাম।আপনি এখনো এই ভাল অভ্যাস টি ধরে রেখেছেন দেখা ভাল লাগল।আমার কিন্তু আপনার এই সিরিজ টি ভালই লাগছে।

 2 years ago 

হ্যা এটা একটা খারাপ দিক অবশ্যই বলতে হয়, কারন আমরা যতটা আগ্রহ নিয়ে খবরগুলো হতে সত্যটা জানতে পেরেছি বর্তমান প্রজন্মের কাছে সেই সুযোগটা নেই। তাছাড়া আকাশ মিডিয়ার নামে এখন পত্রিকায় যা ছাপা হয় সেগুলোও উঠতি বয়সিদের জন্য মানানসই না।

Hi, @hafizullah,

Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.


Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP

 2 years ago (edited)

আপনার আজকের লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো, হ্যাঁ, এ কথা সত্যই যে ইদানিং পত্রিকা গুলো একেবারে পড়ার মতো নয় । আগে পত্রিকা পড়ে একটা অন্যরকম তৃপ্তি পাওয়া যেত। নৈতিকতা এখন অনেকটাই হারিয়েছে। তাই পত্রিকা পড়ার স্বাদও আসে ভাবে পাওয়া যায় না।

 2 years ago 

পত্রিকা আমিও পড়ি,তবে ভাইয়া এখন আর আগের মতো পড়া হয়না। তবে আগে অনেক পড়তাম কারণ আমাদের একটা খেলার ক্লাব ছিল এবং আমাদের স্কুলের পাশেই একটি চায়ের দোকান ছিল সেখানে পত্রিকা থাকত, আমিও ফ্রিতে পড়তাম হাহা। তবে আমি প্রথমে গিয়ে পড়তাম খেলার পেজ যাইহোক আপনার পত্রিকার পড়ার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে পত্রিকা আগের মত পড়ে আর পরিতৃপ্তি পাওয়া যায় না। কারণ আগে পত্রিকাতেই অনেক খবর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সরাসরি সবাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারে। যার কারণে পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। তার পরেও পত্রিকা পড়া যেন একটা নেশায় পরিনত হয়।পত্রিকা দেখলেই পড়তে ইচ্ছা করে, আপনার পত্রিকা পড়ার গল্প জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।

 2 years ago (edited)

প্রথমে বলবো ভাইয়া ভালো না থাকলেও ভালো থাকতে হবে ৷
আর. এখন এই প্রযুক্তি যুগে প্রত্রিকা দেখার প্রচলন প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে৷বেশি দিন নয় কয়েক বছর আগে আমার বাড়ির পাশের বাড়ির এক বড় লোক বাড়ি সেখানে প্রতিদিন প্রত্রিকা এসে দিয়ে যেতো ৷কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আজ দেখতেই পাই না ৷যদিও সময়টা আগের মতোই আছে কিন্তু মানুষের মন মনোসিকতা অনেক বদলে গিয়েছে ৷
এখনো মুহূর্তের মধ্যে সারা বিশ্বের খবর ৷
আর এটা একটা রঙ মঞ্চের দুনিয়া ৷

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া সত্যি কথা বলতে পত্রিকা একদমই পড়া হয় না। আসলে সময়ের সাথে সবকিছুই দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে। সবাই তো এখন ইন্টারনেট থেকেই সব খবরাখবর জেনে যাচ্ছে। আপনি একদম স্কুল থেকেই পত্রিকা পড়ার অভ্যাস সেটা যেনে ভালো লাগলো। যদিও সব সময় ফ্রিতে করার চেষ্টা করেন। ক্লাবের কথা শুনে আমি কিন্তু অন্য কিছু মনে করিনি। আমার কাছে কিন্তু এমনিতে যেকোনো লেখা কিংবা গল্প সবকিছুই পড়তে ভালো লাগে।

 2 years ago 

আচ্ছা শুরুতেই আমার একটা অভ্যেস এর কথা বলি, পত্রিকা পড়েন তো সবাই?

সত্যি ভাইয়া এখন আর পত্রিকা পড়ে আনন্দ খুঁজে পাই না। হয়তো মনের খোরাক জোগানোর জন্য মাঝে মাঝে পড়া হয়। তবে নিয়মিত পড়া হয় না। আগেরকার সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পত্রিকায় ছাপানো হতো। অনেক সাহসী সাংবাদিক সত্য ঘটনাগুলো তুলে ধরতেন। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সবকিছুই বদলে গেছে। এখন স্বনামধন্য পত্রিকার সাংবাদিকেরাও অনেকটা বিক্রি হয়ে গেছে। শুধুমাত্র কারো প্রশংসা করতেই ব্যস্ত আছে। আগেকার সময়ে সংবাদপত্র পড়লে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো জানা যেত। অনেক সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকরা এই সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করত। তবে এখন আর তা দেখতে পাওয়া যায় না। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। একেবারে বাস্তবিক চিন্তাধারা থেকে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

সময়ের সাথে সাথে আমাদের মানসিকতা যেমন পাল্টে যাচ্ছে ঠিক তেমনি সাংবাদিকরাও আধুনিক হয়ে উঠছে, হা হা হা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 64344.02
ETH 3142.36
USDT 1.00
SBD 4.01