বইমেলা-২০২৪ ফটোগ্রাফি এবং প্রাসঙ্গিক কথা ( শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। যদিও মানসিক দিক হতে কতটা ভালো আছেন সেটা অনুমান করতে পারছি না, কারণ চারপাশের পরিবেশ এবং পরিস্থিতি হয়তো আমাদের মাঝে আতংক কিংবা সংশয় তৈরী করছে। বার বার ক্ষতগুলো নতুনভাবে চঞ্চল হয়ে উঠছে এবং পুরনো সেই ভয়গুলো আবার জাগ্রত হচ্ছে। আমরা সব কিছু জানি কিন্তু তবুও মানি না, আমাদের আইন আছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও আছে কিন্তু তবুও কেন জানি আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নেই। এর পেছনে সবচেয়ে বড় যে কারণটা রয়েছে সেটা হলো আইন না মানা এবং আইনকে শ্রদ্ধার চোখে না দেখা।
তাইতো, বার বার আগুন লাগার মতো এই রকম অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং আমাদের অনুভূতিগুলোতে নির্জীব করে দিচ্ছে। কিছু সময় কিংবা কিছু দিন পাড় করার পর সেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাই পুনরায়। আমরা আবেগে চঞ্চল হয়ে উঠি, আমরা আবেগে প্রতিবাদী হয়ে উঠি, আমরা আবেগে শোকাহত হয়ে উঠে কিন্তু দিন শেষে সেই আইন বা নিয়ম ভাঙ্গা দলেই থেকেই যাই, সেখান হতে আর বেড়িয়ে আসতে চাই না কিংবা বেড়িয়ে আসা সম্ভব হয়ে উঠে না। যার কারনে একই বিষয়ে আমরা বার বার আক্রান্ত হই, একই সমস্যায় আমরা বার বার শোকাহত হই এবং তারপর হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি।
যাইহোক, আজকে বইমেলা-২০২৪ এর তৃতীয় এবং শেষ পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো। এই যে দেখুন, প্রতি বছর নানা আয়োজন কিংবা নানা বিষয়ের লেখা নিয়ে আমাদের সম্মুখে হাজির হয় বইমেলা, না এটাকে শুধু বইমেলা বলা ঠিক হবে না বরং বলা যেতে পারে জ্ঞানের মেলা, নতুনভাবে নতুন কিছু শেখার এবং জানার মেলা। কারন প্রতিটি মেলার নতুন একটা প্রতিপাদ্য বিষয় যেমন থাকে ঠিক তেমনি বিখ্যাত লেখকদের নতুন অবিজ্ঞতা সম্বলিত নতুন অনুভূতির দারুণ সকল লেখার সমাহারও থাকে। কিন্তু তাতে কি? আমাদের মাঝে সে বিষয়ে কোন আগ্রহ নেই, আমরা সেসব জানতে কিংবা শিখতে আগ্রহী নই।
আমরা চাই বইমেলা প্রতি বছর হোক, নতুনভাবে প্রতি বছর আয়োজন করা হোক কারন আমরা উৎসব পছন্দ করি কিন্তু কিছু শিখতে অথবা জানতে পছন্দ করি না। নতুন লেখকদের বই নিয়ে সেলফি তুলতে পছন্দ করি কিংবা তাদের অটোগ্রাফ নিতে পছন্দ করি এরপর সেগুলোকে ফলাও করে ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে পছন্দ করি। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা কিংবা জ্ঞান নিতে পছন্দ করি না। এখানেই আমাদের সাথে বর্তমান প্রজন্মের পার্থক্য। আমরা নতুন লেখকের জনপ্রিয় পাওয়া নতুন বইয়ের যেমন খবর রাখতাম ঠিক তেমনি পুরনো লেখকের বইয়েরও খবর রাখতাম। আমরা তাদের বই কিনতাম এবং সেটা নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করার চেষ্টা করতাম।
আলোচনা কিংবা সমালোচনা দেখেও আমরা অনেক সময় বই কিনতাম, কে কিভাবে? কি ধরনের রিভিউ দিলেন সেটার খবরও আমরা রাখার চেষ্টা করতাম। পরিচিতজনদের নিকট জিজ্ঞেস করতাম কি কি বই এবার ক্রয় করেছেন? কোন বইটির বিশেষত্ব কি ছিলো এবং কোন বইগুলো আমাদেরও কেনা উচিত কিংবা পড়া উচিত? আমাদের সময় স্কুলের শিক্ষকরাও আমাদের নতুন বইয়ের খবর দিতেন, ভালো বইগুলো পড়ার ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন। বাস্তবতা ছিলো আমাদের পরিবেশ আমাদের বই কিনতে এবং পড়তে উৎসাহ যোগাতো কিন্তু বর্তমানে উৎসাহ যোগায় বইমেলায় যাওয়া এবং সেলফি তোলার মাধ্যমে বিনোদন করা। পরিবর্তন আসুক আমাদের ভাবনায়, পরিবর্তন আসুক আমাদের চেতনায় এবং হৃদয় চঞ্চল হোক ভাষার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ একুশে বইমেলা-২০২৪, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আমাদের দেশে আইন রয়েছে। তবে আইন বাস্তবায়ন বা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা খুব কম। যার কারণে আইন আমরা ঠিকভাবে পালন করি না। আগুন লাগার মত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু কিছুদিন পরে আমরা ভুলে যাই এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসি। আইনের প্রতি উদাসীনতার কারণে এমন হয়। যাইহোক বইমেলা শেষ পর্বে আপনি খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন এবং অনেক সুন্দর ভাবে সেই দৃশ্যগুলো তুলে ধরেছেন। আসলে আমাদের বই পড়া উচিত এবং নিত্য নতুন লেখকদের বই পড়ার মাধ্যমে অনেক জ্ঞান অর্জন হয়।
আইনকে শ্রদ্ধার চোখে মানুষজন কিভাবে দেখবে, আইন তো টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়। একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটে চলেছে, কিন্তু এটা নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। মাঝখান দিয়ে আমরা বলির পাঠা হচ্ছি। যাইহোক বর্তমানে বইমেলায় বেশিরভাগ মানুষ যায় বিনোদনের জন্য। কারণ বইমেলায় পুরোপুরি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সবাই ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করা নিয়ে ব্যস্ত। বই কেনা তো দূরের কথা, বই হাতে নিয়েও দেখে না। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকায় আগুনের যে দুর্ঘটনা এই নিউজটি দেখার পর সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে। কিন্তু আমাদের কারণেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যায় । হ্যাঁ ভাই আইনকে যদি সবাই শ্রদ্ধার চোখে দেখতো সবাই মেনে চলত তাহলে সবকিছুই সুন্দর হতো। কিন্তু বর্তমানে আইন শুধু নামে কাজে নয়। অনেকদিন আগে বইমেলায় গিয়েছিলাম উপচে পড়া ভিড়। সেখানে শুধু ঘুরাঘুরির জন্যই বেশিরভাগ মানুষ যায়। বই কিনা বা পড়ার আগ্রহটা খুব কম মানুষের মধ্যেই রয়েছে। এত পরিমান ভিড় ছিল বইমেলায় গিয়ে খুবই অস্বস্তি কর লাগছিল। শেষ পর্বটি ভালই উপভোগ করলাম।
আসলে আমরা প্রত্যেকে আইনের প্রতি উদাসীন। আইনকে আমরা সম্মান করি না শ্রদ্ধা করি না। যার কারণে আইনের প্রতি আমরা উদাসীন হয়ে যায় এবং এই আইন আমরা পালন করি না। দেশে অনেক মানুষই এখন আইন অমান্য করে যার কারণে এরকম দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে। আর এই ঘটনার জন্য দায়ী আমরাই। তো আপনি বইমেলাতে এসে শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আর শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আসলে বই মেলাতে গিয়ে বই পড়া এবং বই কেনার অভ্যাস করতে হবে। তাহলে নতুন নতুন লেখকদের সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো এবং আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে।
বইমেলা নিয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফি ও আপনার ভাবনা আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। অনেক ভালো লেগেছে আমার। গতকাল মেলা শেষ হয়েছে। প্রকাশকদের আবেদনে এবার দুদিন বেশী ছিল মেলার ব্যাপ্তি। বই প্রেমীরাও দুদিন বাড়তি সময় পেয়েছে ,পছন্দের বই সংগ্রহ করতে।এবার মেলায় ৬০ লাখের উপর দর্শক মেলায় গিয়েছে। আপনার সাথে একমত ভাইয়া অধিকাংশই গিয়েছে সেলফি তুলতে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করে ভাবনার খোরাক যোগানোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যিই ভাইয়া চারিদিকের পরিস্থিতি দেখে,শুনে মনটা বেশ খারাপ।আমরা আমাদের নিশ্চয়তা কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।সামনের দিনগুলোতে কি যে আর অপেক্ষা করে আছে তা জানা নেই।শুধু বলবো আল্লাহ সবাইকে হেফাজতে রাখুন।
আপনি আজ বই মেলার বেশকিছু ফটোগ্রাফি ও বই মেলা নিয়ে নানা চিন্তা ভাবনা শেয়ার করেছেন। এটা খুব সত্যি আজকাল মানুষ বই কেনার চেয়ে বই নিয়ে সেলফি তুলতে বেশী পছন্দ করেন।আজকাল শুধু বই মেলা কেন বলছি সবকিছুতেই সবাই সেলফি তুলে আনন্দ পায়।কেউ হয়তো বিপদে আছেন মৃত্যুমুখে সেটার ও ভিডিও করতে সবাই ব্যস্ত থাকেন।
আসলে বই মেলা কে শুধু মাত্র ব ই মেলা বলা যায় না, এটাকে জ্ঞানের মেলা ও বলা যেতে পারে।কারণ ব ইয়ের মধ্যে জ্ঞানের ভান্ডার লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আজকে আপনি ব ই মেলার তৃতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমরা শুধু মাত্র নিজেকে মানুষের ভিড়ের মধ্য থেকে বড় মনে করার চেষ্টা করি, কিন্তু কখনো জ্ঞান আরোহণ করার চেষ্টা করি না। আসলে প্রকৃত জ্ঞান মানুষ সম্মানিত করে তোলে।