সবুজ প্রকৃতি ও আমাদের মানসিকতা || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি মোটামুটি আছি যদিও এখনো ঠান্ডা পুরোপুরি সারে নাই তবে আগের তুলনায় অনেকটা ভালো হয়েছে। তবুও আমি খুশি কারন হুট করে কোন কিছু ভালো হয়ে যাওয়া মানেই সেটা ভালো হয় নাই বরং ভেতরে তার কিছুটা ক্ষত রয়ে গেছে। তাই ধীরে ধীরে কিছু ভালো হওয়া মানে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য আমারও কোন তাড়াহুড়া নেই কারন আরো কিছু দিন হয়তো মসলা চা খাওয়ার সুযোগ পাবো। কারন ভালো হয়ে গেলো চা খাওয়াটা আর হবে না, তখন আবার এটা আমার কাছে বিরক্তকর কিছু মনে হবে।
তবে মনের মাঝে ভীতিটা অন্য কারনে ঠিকই জাগ্রত থাকছে। মাঝে হয়তো কিছু দিনের জন্য সেটা ভুলে গিয়েছিলাম, সোশ্যাল মিডিয়াও কয়েক দিনের জন্য মনে হচ্ছিল বিশ্রাম নিচ্ছিলো। কিন্তু ভয়টা বেড়ে গেলো আবার নতুন একটা খবর দেখে, রাসেল ভাইজানের আক্রমন এবার একদম বাড়ির কাছে মানে সাভারে। খবরে দেখলাম সাভারে তিনজন আক্রান্ত এবং হাসপাতালে ভর্তি। ব্যস যা হওয়ার হয়ে গেলো, খবরের লিংক একবার বউ পাঠায় তো আরেকবার শালী পাঠায়, আর ভয়ের মাত্রা হুড় হুড় করে উপরে উঠে যায়। তাকে এখন কে নামায় নিচে? ভয়ের বিষযটি একবার যদি উপরে উঠে যায়, তাকে আর সহজে নামানো যায় না।
আসলে সাভার এর পাশ দিয়েই গেছে নদী শুধু একপাশ দিয়ে না বরং দুই পাশ দিয়ে নদী আছে, সুতরাং সাভারে রাসেল ভাইজানের সাক্ষাত পাওয়াটা ছিলো অনেকটা নিশ্চিত, কিন্তু এভাবে খবরের মাঝে দ্রুত জায়গা করে নিবে সেটা ছিলো অনাকাংখিত। যেহেতু সাভারে খালের পরিমান এখনো বেশী তাই তার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশী। তুলনামূলকভাবে সাভার এখনো সবুজ প্রকৃতির ঘেরা এবং খাল বা জলাশয়ের পরিমানও অনেক বেশী। সুতরাং আতংকটা এখন আর শুধু আতংকের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকছে না বরং ভয়ের বিশাল রূপ নিয়ে হাজির হচ্ছে। দেখা যাক প্রকৃতির মাঝে সে কতটা শান্ত বা আতংক নিয়ে হাজির হয়। ভাইজানের ভালোবাসায় কয় জনই বা আবদ্ধ হয়, হি হি হি।
সাভার এর এরিয়াটা বেশ বড়, যদিও একটা পাশ গার্মেন্টস শিল্পের কারনে বেশ দ্রুত উন্নতি করেছে কিন্তু ভেতরের পরিবেশটা এখনো সবুজ এবং সতেজ রয়ে গেছে। অবশ্য মানুষ দ্রুত বাড়ছে তার সাথে সাথে বাড়ছে জমির দামও। আর এর প্রভাবটা পড়ছে সবুজ প্রকৃতির উপর। খাল কিংবা নিচু জমি যেগুলো জলাশয় এর মতো ছয় মাস ডুবে থাকতো পানিতে সেগুলোও এখন দ্রুত ভরাট করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বেশী দামে বিক্রি করে সেখানে বাড়ি তৈরীরও চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার অনেকেই কম দামে জমি কিনে সেগুলোকে ভরাট করে আবাসন প্লট তৈরী করে বেশী দামে বিক্রির চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরিবেশের কোন নিয়মই মানা হচ্ছে না এখানে।
একটা বিষয় নিয়ে কেউ চিন্তা করছে না, এই নিচু জমিগুলো যেভাবে পানি ধরে রাখতো অনাকাংখিত পানি জম কিংবা বন্যার হাত হতে বাঁচিয়ে দিতো সেটার এখন কি হবে? একটু বেশী পরিমাণে বৃষ্টিপাত হলে পানিগুলো কোথায় যাবে কিংবা কোন দিক দিয়ে নেমে যাবে? আজকে ঢাকা যেমন দ্রুত জলাবদ্ধে আটকে যাচ্ছে, কয়দিন পর হয়তো আমরাও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো। তখন হয়তো ঢাকাবাসীর মতো আমরা আফসোস করতে করতে দুর্বল হয়ে যাবো কিন্তু কিছুই আর করার থাকবে না তখন।
তারিখঃ এপ্রিল ০৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যাক তাহলে বউ আর শালী মিলে আপনাকে ভয় দেখাতে পেরেছে🤣🤣,ভাই আপনি চিন্তা করিয়েন না রাসেল ভাইপার আপনাকে ধরবে না, ধরলে ধরবে আপনাকে রাসেল প্রেমিকাপার 😂😂।হ্যা সেই ভিডিও দেখলাম সাভারে নাকি রাসেল ভাইপার দেখা গিয়েছে,আসলে বাড়ির চারপাশ কার্বলিক এসিডের বোতল জায়গায় রেখে দিলে কিছুটা হলে তারা স্বস্তি মিলবে।
এই বোতল চারপাঁচটা কেউ ফ্রি দিলেই পারেন, খামোখা ভয় না বাড়িয়ে।
আমি ফ্রি দিলে রাসেল প্রেমিকাপার কোথায় পাবেন আপনি🤣।রাসেল প্রেমিকা আসলেই কবিতা লিখতে পারবেন😂😂
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভয়ের মাত্রা যদি একবার উপরে ওঠে, সহজে তা নিচে নামানো
কঠিন হয়ে যায়। আরে রাসেল ভাইপার আমারও একটা আতঙ্কের বিষয় রাতে হঠাৎ করে থেকে থেকে চমকে উঠি।
সাভারের ওই নিউজটা আমিও দেখেছিলাম।
আপনার বউ আর আপনার শালী মিলে ভালোই করেছে।বারবার লিংক পাঠিয়ে ভয়ের মাত্রা উপরে উঠে দিয়েছে। বেশ মজা পেলাম। হা হা হা।
আমি তো ভয়ে ভাইজান ডাকা শুরু করে দিয়েছি, এর আগে হাফ কিলো ব্লিচিং পাউডার কিনে এনেছি, হি হি হি।
আমি বার বার জানালার দিকে তাকাই, কি যে ভয়, ও মোর আল্লাহ!!
ভাগ্যিস ভাবি এবং আপনার শালী দুজনে আপনাকে রাসেল ভাইপারের খবর দিয়েছিল না হলে তো আপনাকে ভয় দেখানোই যেত না 😆। তবে ভাইয়া পরিস্থিতি যেমনই হোক সবকিছুতেই আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হবে। হয়তো মানিয়ে নেওয়ার নামই হচ্ছে জীবন। এভাবেই হয়তো জীবনের শেষ দিন চলে আসবে।
ভাই রাসেলস ভাইপারের ভালোবাসা আমার দরকার নেই 😂। যে ভয়ংকর সাপ এইটা,দেখলেই তো ভয় লাগে। যাইহোক আমাদের এখানেও একই অবস্থা। নিচু জমিগুলো ভরাট করে বাড়িঘর এবং মিল কারখানা তৈরি করা হচ্ছে। জমির দাম তো প্রচুর বেড়েছে। প্রচুর বৃষ্টি হলে তো পানি জমে যায় অনেক জায়গায়। সামনে যে কি হবে সেটাই ভাবছি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যাক যেহেতু মসলা চা খেতে পারেন তাহলে আপনার অসুখ সেরে যাচ্ছে তাতে অনেক ভালো লাগলো। আসলে রাসেল ভাইপার যেভাবেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এটা আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতোটুকু বাস্তব তার চেয়ে তিন গুণ আকারে ছড়িয়ে পড়তেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। তবুও আমাদেরকে সাবধানে থাকতে হবে যেহেতু আমাদের দেশটি নদীমাতৃক দেশ চির সবুজের দেশ তাই। আপনার লেখাগুলো সব সময় পড়ে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়।