অনুভূতির যত ব্যথা- প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। ঈদের কেনাকেটা বেশ আনন্দ নিয়ে করার চেষ্টা করছেন, সুন্দর মুহুর্তগুলোকে আরো সুন্দর করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি, তাই সকল উৎসবগুলোকে কেন্দ্র দারুণভাবে যেমন ব্যস্ত হয়ে যায় ঠিক তেমনি উৎসবগুলোকে আরো বেশী রঙিন করার জন্য নতুন পোষাকে রং ছড়াতে চেষ্টা করে। আমি সেই ছোট বেলা হতেই দেখেছি যাদের অনেক পয়সা তারা যেমন হাজার টাকা খরচা করে নতুন পোষাক কেনার চেষ্টা করেন, ঠিক তেমনি যারা গরীর মানুষ তারাও শত টাকা খরচা করে নতুন পোষাক ক্রয় করার চেষ্টা করেন, নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী সবাই বেশ দারুণভাবে গতিশীল থাকেন এই ক্ষেত্রে।
কিন্তু ঈদ সামনে আসলেই একটা বিষয় ভিষণ খারাপ লাগে আর সেটা হলো অনেকেই নিজেদের দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন, তাদের মুখ্য উদ্দেশ্যই থাকে কিছু দেয়ার পরিবর্তে নিজের সেলফি তোলা এবং সেটা স্বগৌরবে সেই লেভেলে প্রচার করার। সত্যি এটা অনাকাংখিত এবং দুঃখজনক। হ্যা, সেলফি তোলা কিংবা নিজের প্রচার করার বিষয়টি মোটেও আমি খারাপ চোখে দেখি না, দেখার সুযোগও নেই। আপনি নিজেকে যে কোনভাবেই প্রচার করতে পারেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করতেই পারেন, তাতে আমাদের আপত্তির বিষয় থাকবে কেন?
কিন্তু যখনই আপনি কোন গরীব কিংবা নিঃস্ব মানুষদের কিছু দেয়ার নামে তাদের নিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ি করবেন তখন সেটা অবশ্যই কাংখিত কিছু হবে না। ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে এই বিষয়টির ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে, মানুষ মাত্রই মানুষ কিছু দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের ছোট বড় কিংবা অহংকার মন নিয়ে এভাবে ট্রল করা মোটেও ঠিক না। হ্যা, পয়সার গরিমায় আপনার যেমন খুব বেশী স্ট্যাটাস হয়েছে ঠিক তেমনি নিঃস্ব হলেও তাদের নিজেদের দুনিয়ায় তাদেরও একটা স্ট্যাটাস আছে, সেটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাই আসুন এই রকম পরিস্থিতি এড়িয়ে চলি এবং সৎ নিয়তে যদি পারি কাউকে সহযোগিতা করি, সেলফির মাধ্যমে নিজের প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে নয়।
যাইহোক, বাস্তবতা হলো আমরা অল্প কিছু টাকার মালিক হলেই পিছনের কথা ভুলে যাই এবং নিজের অতীতকে মুছে ফেলার চেষ্টা করি। আমি আমার পরিচিত লেভেলে অনেক মানুষকেই দেখেছি এমনটা করতে আর সেটা দেখে নিজেই আফসোস করেছি তার অতীতের অবস্থান কল্পনা করে। এই জন্যই হয়তো বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল, তারা নিজেদের অবস্থান খুব দ্রুত পরিবর্তন করে ফেলে।
আজকে অবশ্য ফটোগ্রাফি শেয়ার করার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম কিন্তু শুরুর অনুভূতিটা একটু বেশী লিখে ফেলেছি, হয়তো আবেগে বিষয়টির পুরো ব্যাখ্যা না করে থামতে পারছিলাম না তাই এতোগুলো কথা বলে ফেলেছি। সত্যি বলতে আমাদের নিজেদের দিকে একটু তাকানো উচিত, আমাদের নিজেদের অতীতকে একটু সামনে আনা উচিত। কারন নিজের শেকড়কে ভুলে গেলে চলবে না, আমি যতই উপরের দিকে উঠি না কেন? আমার শেকড় কিন্তু মাটিতেই থেকে যাচ্ছে সেটাকে উপরের দিকে তোলা মানে নিজের ভবিষ্যত অন্ধকার করা।
প্রকৃতির সজীবতায় আমাদের হৃদয়ের সকল অন্ধকার সজীব ও আলোকিত হয়ে যাক, শেষের এই কথাগুলো আমাদের হৃদয়ে আলোড়ন তৈরী করুক, তবেই হয়তো আমরা অতীতকে আকঁড়ে ধরতে পারবো, নিজের শেকড়কে আপন মনে করে সঠিক কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। পরিবর্তন আসুক আমাদের মানসিকতায়, এই প্রত্যাশায় শেষ করছি আজকের লেখা।
তারিখঃ এপ্রিল ৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কথা গুলো যথার্থ বলেছেন ভাই ৷ আসলে উৎসব বাঙালির মনে নতুন উদ্দিপনা ৷ যে যার সামার্থ অনুযায়ি কেনাকাটা করে ৷ দিনশেষে আনন্দ নিয়ে কাটায় ৷ কমবেশি সেটা তো থাকবেই ৷
তবে এটা ঠিক বলেছেন ভাই যে বর্তমান একটু দান সাহায্য করলে নিজেকে বড় ভাবে ৷ পোষ্ট ছবি সেলফি সবমিলে অস্তির অবস্থা ৷ তবে আপনার একটা কথা আমার মনে অবেকটা অনুপ্রাণিত করেছে ৷
দিন শেষে আমরা নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উৎসবগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু মানুষের ভিন্ন ব্যবহার মাঝে মাঝে আমাদের হতাশ করে।
বেশ দারুন কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করেছেন। সেই সাথে আমাদের সাথে কিছু মুগ্ধ করা কথাও শেয়ার করেছেন। অবশ্য আপনি এমনিতেই সব সময় বেশ মন ছুঁয়ে যাওয়া কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেন। তবে কি ভাইয়া জানেন? প্রকৃতির এমন সবুজ এবং নির্মল ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতি সব সময়ই মুগ্ধ কর, মানসিক সতেজতা বৃদ্ধি করে। তবে সবুজ প্রকৃতি এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। ধন্যবাদ
বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি, তাই সব সময় উৎসব কে কেন্দ্র করে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আপনি ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিটা পরিবার তাদের ইচ্ছামত আনন্দ উৎসব করে থাকেন। এখন কিছু দেওয়ার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে প্রকাশ করার প্রতিযোগিতা বেড়েই চলতেছে। এমনভাবে দান করুন যে ডান হাতে দিলে বা হাত জানতে পাবে না। গ্রামাঞ্চলের প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করলো। শহরের থেকে গ্রামের এমন সুন্দর মুহূর্ত সত্যিই মুগ্ধ করার মত। সর্বোপরি দারুন অনুভূতি শেয়ার করেছেন নিজের।
একদমই, উৎসবমুখর জাতি মানেই বাঙালি, উৎসবের সাথে সম্পর্কগুলো থাকে মিলেমিশে। তবে এখন আর সম্পর্কগুলো প্রধান্য পায় না বরং সেলফিগুলো বেশী প্রধান্য পায়। অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট গুলো লেখা গুলো এইজন্যই বেশি ভালো লাগে। একেবারে জীবন মুখি কিছু দারুণ শিক্ষা পাওয়া যায়। এসব হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলো এক ধরনের ফিতনা যারা দান করে এবং সেটা সেলফি তুলে প্রচারও করে। আমার মনে হয় তারা ঐ অসহায় মানুষ গুলোর অসহায়ত্ত্বের সুযোগ নিয়ে নিজেদের বিজ্ঞাপন দেয়। আপনার করা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ ছিল ভাই।
বাঙালি জাতি ঈদ বা অন্যান্য উৎসবকে কেন্দ্র করে সাধ্যমতো কেনাকাটা করার চেষ্টা করে থাকে। ঈদের সময় কিছু কিছু ব্যক্তিরা গরীব-দুঃখীদেরকে যাকাতের নামে শাড়ি,লুঙ্গি দেয় ঠিকই, কিন্তু সেটা লোক দেখানো। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাই। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। এখনকার বেশিরভাগ মানুষ ই নিজের শেকড়কে ভুলে যায়। প্রকৃতপক্ষে এটা মোটেই উচিত নয়। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
টাকার গরম বেশিদিন থাকে না। একটা সময় যাদের কাছে টাকা ছিল না! আজ যখন তাদের কাছে টাকা হয়েছে, তারাই আজ দাম্ভিকতা নিয়ে সমাজে চলছে। অথচ তারা ভুলে গেছে তাদের একটা অতীত ছিল। মানুষ বড়ই অদ্ভূত। কতো সহজে সবকিছু ভুলে যায়। আমাদের অতীত ভুলে গেলে চলবে না। সেলফি দিয়ে নিজের স্ট্যাটাস দেখানোর মাঝে আমি কোনো গৌরবময় কিছু দেখছি না। হতে পারে তার অঢেল টাকা পয়সা।