সবুজের সাথে হৃদয়ের অনুভূতি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। তবে কাজের চাপে বেশ চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছি। ছোটবেলায় স্কুল জীবনে দেখেছিলাম, যতদিন পড়া শিখে গিয়েছি শিক্ষক কেন জানি পড়া ধরতেন না কিন্তু হঠাৎ যেদিন পড়া না শিখে স্কুলে গিয়েছি ঠিক সেদিনেই কেন জানি শিক্ষক আমার পড়া সবার আগে জিজ্ঞেস করতেন, এটা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় থাকতাম ব্যাটা বুঝে কেমনে পড়া শিখে আসি নাই হি হি হি। ঠিক একই ঘটনা চাকুরী জীবনেও বেশ কয়েকবার টের পেয়েছি, মাঝে মাঝে এটা নিয়ে বেশ দ্বিধায় পড়ে যাই, কেমন সম্ভব এসব। বস কোন কাজ দিলে সেটা সাথে সাথে করার চেষ্টা করি, করার পর আর সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করে না কিছু। কিন্তু দেখা গেছে যেদিন অন্য সকল কাজের চাপে সেটা করতে ভুলে গেছি, ঠিক স্যার সেটার কথা জিজ্ঞেস করছেন, এক অদ্ভুত সমীকরণ।
আবার দেখুন, গত পরশু তাড়াহুড়া করে অফিস হতে বের হতে গিয়ে আইডি কার্ড ভুলে অফিসে রেখে এসেছি, কাল সকালে ডিওএইচএস এ ঢোকার সময় ঠিক সিকিউরিটি আটকে দিয়েছিলেন আইডি কার্ড কোথায় বলে, বুঝেন এইবার ঠ্যালা, না ঠ্যালা প্যারা। সাথে সাথে মানিব্যাগ বের করে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের একটা পুরাতন আইডি কার্ড ছিলো সেটা দেখিয়ে রক্ষা পেয়েছি, মানে সেদিনের মতো ইজ্জত বাঁচিয়েছি হি হি হি। স্কুল জীবনে ভাবতাম স্যার বুঝি ম্যাজিক জানে, না হলে মুখ দেখে কিভাবে বুঝে নিতো যে পড়া শিখে আসি নাই, তারপর ভাবলাম বস বুঝি অভিজ্ঞতার কারনে ফেস দেখেই বুঝতে পারেন যে কাজটি হয় নাই। কিন্তু কথা হলো ডিওএইচএস এর সিকিউরিটি কিভাবে বুঝলো যে আমার সাথে আইডি কার্ড নেই?
নাহ! আমার মাথায় এসব একদমই ঢুকে না, ছোট মাথা তো! হয়তো সে জন্য কিছু ঢুকে না। কিন্তু আপনারা যদি কোন কিছু পেয়ে থাকেন মানে আইডিয়া তাহলে অবশ্যই আমার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর বাড়ির বউ কথাতো বললামই না, সেটা তুলে রেখেছি আলমিরাতে সুযোগ ও সময় করে একদিন ঠিক সেটাও বলে দিবো নে হে হে হে। আজকে অবশ্য প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো, প্রকৃতি মানেই সবুজ গ্রামীন দৃশ্যাবলী। যেহেতু এখনো নিয়মিত গ্রামে যাতায়াত আছে সেহেতু যতবারই গ্রামে যাই ততোবারই কিছু না কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আসি।
আসলে সবচেয়ে বেশী মুগ্ধকর মনে হয় গ্রামীন পরিবেশের সড়কগুলো, দুই পাশে কৃষি জমি থাকে আর তার মাঝ দিয়ে পিচঢালা সড়ক, অন্য রকম একটা মুগ্ধতা ছড়িয়ে যায় হৃদয়ে, দারুণ ভালো লাগে দেখতে। আর এই দৃশ্যগুলোর মাঝে আপনি যতবার যাবেন ঠিক ততোবারই মুগ্ধ হবেন। অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় একই জিনিষ বার বার দেখার ফলে একটা অভুক্তি চলে আসে। কিন্তু গ্রামীন পরিবেশ কিংবা সবুজ প্রকৃতির মাঝে তেমনটা কখনোই অনুভব করবেন না। আর এই কারনে আমি বেশীর ভাগ সময় এই সড়কগুলোতে রিক্সা নিয়ে যাতায়াত করার চেষ্টা করি, যাতে দৃশ্যগুলো দারুণভাবে উপভোগ করা যায়।
সবুজের সাথে হৃদয়ের সন্ধি, প্রকৃতির সাথে ভালোবাসার সন্ধি, এই বিষয়গুলো আমরা দারুণভাবে দেখতে পেতাম আগের দিনের মানুষগুলোর মাঝে এবং তাদের ব্যবহার ও মানসিকতায়। অড়হর গাছ হয়তো সবাই চিনেন, আমাদের গ্রামের বাড়িতে খুব আগ্রহ নিয়ে দাদা এগুলোর চারা লাগাতেন এবং যত্ন নিতেন। নিজের না হোক অন্তত অন্য মানুষের কাজে তো লাগবে। কম বেশী সবাই তাদের বাড়ির চারপাশে এমন প্রয়োজনীয় এবং উপকারী গাছগুলো লাগানোর চেষ্টা করতেন। আর এখন আমরা যে কোন গাছ একটু বড় হলেই সেটাকে দ্রুত কেটে বেঁচে দেয়ার চেষ্টা করি, নগদ কিছু পয়সার লোভে, কতটা পরিবর্তন হয়েছে আমাদের মানসিকতায়, আফসোস।
তারিখঃ এপ্রিল ০৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনার মত আমারও স্কুল জীবনের এমন অনেক মজার ঘটনা আছে। যেদিন পড়া কমপ্লিট করে যেতাম সেদিন আমাকে পড়া জিজ্ঞেস করত না আর যেদিন ফাঁকি দিয়ে পড়া কমপ্লিট না করে স্কুলে যেতাম সেদিন সবার আগে আমাকে পড়া জিজ্ঞেস করত। যখন পারতাম না তখন ঠিকই মাইর খেতে হতো 😆😆
হুম, মাইরের মাঝেও ভিটামিন আছে এটা স্যাররা বেশী বিশ্বাস করতো হা হা হা। ধন্যবাদ
পাঠক কে আকৃষ্ট করার কায়েদাটা মনে হয় সেই ছেলেবেলা হতেই রপ্ত করেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা পড়তে বসলে আর বেড়িয়ে আসতে পারি না। কিন্তু আমারও কথা সেই গার্ড কি করে বুঝলো যে আপনি কার্ড নেননি। সব মিলিয়ে পোস্টটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো।
আপনারা পড়েন বলেই তো লেখায় সাহস করি, অনেক ধন্যবাদ আপু।
তাদের নাম হচ্ছে শিক্ষক! ছাত্র-ছাত্রীদের চেহারা দেখলে বুঝতে পারে। কথায় বলে চেহারা মনের কথা বলে। কারণ সে সময় দুশ্চিন্তায় থাকেন আমাকে যেন না ধরে সেই চিন্তায় থাকেন। যখন আপনার মনের চিন্তা চেহারায় ভেসে ওঠে তখন স্যার আপনাকে দিয়ে পড়াটা ধরে ফেলেন। ঠিক সেটাও চাকরির ক্ষেত্রে একই অবস্থা হা হা হা। প্রকৃতির সতজতা নিয়ে আপনি ভালো লিখেন। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি।
হুম, বুঝেছি আপনার মাঝে মাঝে সেই দক্ষতা কিছুটা আছে, তাইতো এভাবে সব বলে দিতে পারলেন। ধন্যবাদ
এরকমটা কিন্তু আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে। প্রত্যেকদিন পড়া শিখে গেলে ওই দিন স্যার আর পড়া ধরতো না। কিন্তু হঠাৎ করে যখন একদিন পড়া শিখতাম না তখনই স্যার পড়া জিজ্ঞেস করতো। আর আপনার সাথে ছোটবেলায় যেমনটা হয়েছে, বড় হওয়ার পরও ঠিক তেমনটাই হচ্ছে দেখছি। বাড়ির বউ এর কথা এখন যেহেতু আলমারিতে গুছিয়ে রেখেছেন তাহলে ওইভাবেই থাক। আশা করছি কয়েকদিন পর শেয়ার করবেন। আপনার তোলা সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে মনটা একেবারে ভালো হয়ে যায়।
কথায় আছে চোরের মন পুলিশ পুলিশ। স্যার স্টুডেন্টদের দেখলেই বুঝতে পারে কার পড়া হয়েছে আর কার হয়নি। তাই তো যেদিন পড়া না হয় সেদিনই পড়া ধরে। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
এই সমীকরণটা আসলেই অদ্ভুত। পড়া না শিখে স্কুলে গিয়ে আমিও বেশ কয়েকবার স্যারের কাছ থেকে মার খেয়েছিলাম😂। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে ভাই। গ্রামীণ পরিবেশে রিকশা দিয়ে চড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে বিকেল বেলা আরও বেশি ভালো লাগে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।