হারের মাঝেও জিত লুকিয়ে থাকে ( জীবনের গল্প )

in আমার বাংলা ব্লগlast year

IMG_20230526_121220.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি আমার মতোই আছি, কখনো হারের রূপে আবার কখনো বিজিতের রূপে। সত্যি বলতে এটাই আমাদের জীবন, কখনো হারের মাঝেও জয় খুঁজে নিতে হয় আবার কখনো বিজয়ের মাঝেও নিজেকে প্রকাশ করতে হয়। কখন, কোথায়, কিভাবে নিজেকে প্রকাশ করবো সেটা কেউ আগ হতে বলতে পারে না কিংবা অনুমান করতে পারে না। কারন পরিস্থিতি সব কিছু নিমিষেই পাল্টে দিতে পারে, পরিস্থিতি হুট করেই আমাদের অপ্রস্তুত করে দিতে পারে, যার কারনে আমাদের অবস্থান দারুণভাবে পরিবর্তন হয়ে যায় বা হতে বাধ্য হয়, এটাই হয়তো নির্মম বাস্তবতা।

আসলে বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কেউ এগিয়ে যেতে পারে না কিংবা পারবেও না। আমরা যতটা সহজভাবে এ বিষয়টিকে মেনে নিতে পারি ঠিক ততো দ্রুত নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হতে পারি। আর যদি সেটা অস্বীকার করি তাহলে নিজের অবস্থান ধরে রাখার সক্ষমতা দিন দিন হ্রাস হতে থাকবে। আসলে কোন কিছুই হুট করে হয় না, আস্তে আস্তে তার পরিবেশ তৈরী হয় এবং তারপর চূড়ান্ত অবস্থায় সেটা পৌঁছায়। আপনি যদি একটু লক্ষ্য করেন, আপনার নিজের যে কোন অবস্থান অবনতির কারন অনুসন্ধান করেন, তাহলে তার অনেকগুলো যোগসূত্র বা ধারণা পাবেন, যেগুলোর কারনে ধীরে ধীরে সেই অবস্থানটা তৈরী হয়েছিলো।

যাইহোক, ভূমিকা ছেড়ে আসল কথায় ফিরে আসি। কিছু দিন পূর্বে একটা শখ পূরণ করার চেষ্টা করেছিলাম তাও নিজেদের বাড়ি হতে মানে গ্রামের বাড়ি হতে ছোট কিউট একটা বিড়ায় নিয়ে এসেছিলাম। আসলে এটা অনেক দিনের শখ আমার, বাড়িতে বিড়াল এবং খরগোশ পালন করার। বিড়াল পোষার একটা সুযোগ দারুণভাবে তৈরী হয়েছিলো এবং সেখানে নিজের সন্তানের দারুণ সমর্থনও ছিলো। তাই ভেবেছিলাম এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছি এবং শখটাকে পূর্নতা দেয়ার আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। কিন্তু হায়! কথায় বলে না সব বিজয় কিন্তু বিজয় না, কিছু বিজয় থাকে স্বপ্নের মতো, যত দ্রুত সেটা পূর্ণ হয় ঠিক ততো দ্রুত সেটা আবার হারিয়ে যায়।

IMG_20230526_121227.jpg

ছোট বেলায় অনেকের মুখে খোয়াব শব্দটা বেশী শুনতাম, বিশেষ করে বয়স্করা মাঝে মাঝে উদাহরণ দেয়ার জন্য এই শব্দটা ব্যবহার করতো এবং বলতো খোয়াব দেখা ছেড়ে দাও, সেটা হবার নয়। যা হবার নয় তা নিয়ে খোয়াব না দেখাই উত্তম। এই জাতীয় নানা কথা আমরা শুনতাম, যা মানুষদের বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হতো। ঠিক সেই বিষয়টি নির্মমভাবে আমার সাথে ঘটেছে, বউ বিদ্রোহ করার কারণে রনাঙ্গনে শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য হই এবং নিজেকে শান্তি চুক্তির নিবেদিত প্রাণ হিসেবে প্রমাণ করার জন্য শখের বিড়ালটিকে পুনরায় গ্রামের বাড়িতে রেখে আসি। যদিও আমি অন্য কাউকে সেটা দিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম কিন্তু না, বিদ্রোহী পক্ষের মূল শর্ত ছিলো একটাই, যেখান হতে আনা হয়েছে সেখানে সেটাকে রেখে আসতে হবে।

হারতে নাহি চায় হৃদয়
তবুও হার স্বীকার করতে হয়,
বাস্তবতার নির্মমতা মানতে হয় কভু
পরাজয়ের মাঝেও সুখ খুঁজি তবু।
জীবনের গল্পগুলো থাকে হার জিত নিয়ে
শান্তির আড়ালে বাঁচিয়ে রাখতে হয় নিজেকে।

কবিতার পংতিগুলোর মাঝে হয়তো অনুভূতি উপস্থাপিত হয়েছে আমার। শান্তির বলয়ে আটকে রেখে নিজেকে বিড়াল ছানাটিকে রেখে আসি তার মায়ের কাছে। সেই মুহূর্তটা সত্যি দারুণ ছিলো। সেটাকে আবার রেকর্ড করে আনতে হয়েছে আমাকে। সঠিকভাবে সঠিক জায়গা তাকে রেখে আসছি কিনা সেটা প্রমাণ দেয়ার জন্য। তবে আমি হেরে যাইনি, শান্তির চুক্তির বিজেতা হিসেবে নিজের বিজয় দেখছি ভিন্নভাবে। গত মাসেই বিড়ালটিকে গ্রামের বাড়িতে দিয়ে আসি। আজ প্রায় এক মাস হতে চলেছে, বিজয়ের সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে কিছু অনুভূতি শেয়ার করলাম আজ। তবে আগেই বলে দিচ্ছি কেউ উল্টা পাল্টা কিছু বলবেন, হি হি হি।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

ভাইয়া আপনি শান্তি চুক্তিতে বিশ্বাসী নাকি ভাবীকে ভয় পান সেটাই ভাবছি🤭🤭। যাইহোক অনেক সময় আমাদের অনেক কিছুই ইচ্ছে করে। কিন্তু পরিবারের অন্য কারো সমর্থন না থাকলে সেই কাজটা করা হয়ে ওঠে না। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে।

 last year 

ধুর আপনারা আসলেই ভালো না, ভয় পাবো কেন? আমি মোটেও ভীত নই কিন্তু হি হি হি।

 last year 

ভাইয়া কিছু কথা এমন ভাবে উপস্থাপন করেন যে নিজের মনটা আপনার লেখার দিকে স্থির হয়ে থাকে। আসলে জীবনে চড়াই আর উতরাই থাকবে। এর মধ্যেই নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। হুম খুব সখ করে বিড়ালটি এনেছিলেন। আজ হেড কোয়াটারের বিদ্রোহ ঘোষনা করার কারনে আপনাকে সেই বিড়ালটি আবার বাড়িতে দিয়ে আসতে হলো। ভালোই করেছেন ভাইয়া। তা না হলে আবার ভাত বন্ধ হয়ে যেত। হি হি হি

 last year 

ইস ভাত না খেলে বুঝি মানুষ বাঁচে না? শান্তি চুক্তিতে বিশ্বাস করি বলে সব মেনে নিয়েছি না হলে আমিও বিদ্রোহ করতাম হি হি হি।

 last year 

একথা কি ভাবি জানে ভাইয়া?

Posted using SteemPro Mobile

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

 last year 

হিহিহি ভিডিও করে আনতে হয়েছে?? তা ভালোই করেছেন।না, আমি উল্টো কিছুই বলবো না।তবে বলবো একটি সুন্দর পরিবার করতে আপনি একজন পারফেক্ট মানুষ ঠিক ভাবীর মতোই।তাই আপনারা সুখী থাকবেন অলয়েস।কিছু দিনের জন্য হলেও ভাবী আপনার শখ পূরন করেছে বিড়ালটিকে রেখে।আর আপনিও রেখে এলেন ভাবীর শখ পূরন করে।খুব ভালো। আপনারা দুজনই খুব ভালো।👌👌👌

 last year 

জীবনের গল্পে দারুণ বিষয় তুলে ধরেছেন ভাইয়া।আসলেই জীবনে হার-জিৎ থাকবেই।তার মাঝেই বাস্তবতা ও পরিস্থিতি সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।আমার খুবই খারাপ লেগেছে যে আপনি গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা বিড়াল আবার গ্রামে ফেরত দিয়ে এসেছেন।অল্প কিছুদিনের জন্য হলেও বিড়াল ছানাটি যেহেতু আপনার বাড়িতে ছিল সেহেতু একটি মায়ার সৃষ্টি হবে মনে।একদিকে ভালোই হয়েছে বিড়াল ছানাটি তার মাকে খুঁজে পেয়েছে পুনরায়।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

কোন দিক ধরে যে কমেন্ট করবো বুঝতে পারছি না---। তবে আপনার স্ত্রীর ডরে আপনার শখের বিড়ালটি যেখান থেকে নিয়ে এসেছিলেন ঠিক সেই জায়গায় রেখে এসেছেন, আবার বিড়ালটির সঠিক জায়গামতো রেখেছেন কিনা তার সঠিক প্রমাণ দেওয়ার জন্য রেকর্ডও করেছেন। আবার বলছেন যে আপনি চুক্তির বিজেতা। আমি মনে করি এখানে আপনার শখের পরাজয় ঘটেছে। আপনার শখটা দুর্বল ছিল, বিড়ালটি সরাতে তাই আপনার স্ত্রীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে বাধ্য হয়েছেন। কোনভাবেই এটাকে বিজেতা বলা সম্ভব না। আগামী যে কোন পোস্টের মাধ্যমে আপনার শখের চূড়ান্ত বিজয় রূপ দেখতে চাই। আর বিজয়টা হতে হবে কিন্তু আপনার স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে,হা হা হা ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56560.74
ETH 2390.02
USDT 1.00
SBD 2.34