আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ বৃষ্টির নিরানন্দ অনুভূতি ]
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। আমিও বেশ আছি তবে চিল চিল অবস্থায় নেই কারন যেভাবে বৃষ্টি চার দেয়ালে বন্দি করে রাখছে তাতে আর যাইহোক চিল চিল থাকা যায় না। আসলে বৃষ্টি আমি ভালোবাসি না শুধু ভালোবাসি না বরং বেশ ভালোবাসি এবং সব সময় উপভোগ করার চেষ্টা করি। কারন বৃষ্টির শীতলতা দারুণ একটা অনুভূতি তৈরী করে এবং অন্য রকম একটা চঞ্চলতা তৈরী করে হৃদয়ের মাঝে। এটা যে শুধু আমার কথা কিংবা অনুভূতি সেটা কিন্তু নয় বরং বিখ্যাত সকল কবি কিংবা সাহিত্যিকদের অনুভূতিও কিন্তু সেম।
তবে কথা হলো কতটা বৃষ্টি ভালো লাগে? কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো লাগে না, যে কোন জিনিস যতক্ষণ সেটা সীমার মাঝে থাকে ততক্ষন সেটা উপভোগ্য থাকে এবং ভালো লাগে। কিন্তু যথন সেটা অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন সেটা অস্বস্তিকর পর্যায়ে পরে যায়। এবারের ঈদের ছুটিতে বৃষ্টির পরিমানটা অত্যধিক পর্যায়ে হয়েছিলো। আসলে ঈদের ছুটিতে সবাই সময়গুলো একটু ভিন্নভাবে উপভোগ করতে চায় এবং সেই রকম একটা পরিকল্পনা সবার মাঝে থাকে। যেহেতু গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম ঈদের ছুটি উপভোগ করতে, সেহেতু একটু ভিন্ন রকম কিছু পরিকল্পনা আগ হতেই করে রেখেছিলাম।
কিন্তু সমস্যা হয় বৃষ্টিকে নিয়ে, যে বৃষ্টিকে এতোটা ভালোবাসি, সেই বৃষ্টি এবার আটকে রাখে আমাকে চার দেয়ালের মাঝে। অস্বস্তিকর একটা পরিবেশ তৈরী হয়। সকালে বৃষ্টি, দুপুরে বৃষ্টি, বিকালে বৃষ্টি এবং রাতে বৃষ্টি, সারাক্ষন শুধু বৃষ্টি আর বৃষ্টি। এই রকম ঝুম বৃষ্টিতে সত্যি বলতে বাহিরে বের হওয়ার তেমন একটা সুযোগ থাকে না। বৃষ্টির মাঝেই কোন রকমে ঈদের নামাজ পড়েছিলাম, তাও মসজিদে গিয়ে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন অনুভূতিটা কেমন হয়েছিলো তখন। কারন বছরের এই একটা নামাজ ঈদগাহ মাঝে গিয়ে পড়তে হয় এবং সেটার মাঝেও একটা অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে। কিন্তু বৃষ্টির কারনে সবটাই এবার মিছ হয়ে গেছে।
যদিও এমনটা হওয়ার কথা ছিলো, কোরবানীর ঈদের দিন বৃষ্টিপাত হয় সেটা আমরা সবাই জানি এবং সকলের নিকট সেটা বেশ কাংখিত হয়ে থাকে। কিন্তু সকাল হতে সারাদিন এবং সারা রাত যেটা হলো তা মোটেও কাংখিত হতে পারে না। এই পোষ্টটি যখন লিখছি তখনও কিন্তু বেশ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সীমাহীন বৃষ্টিপাতের কারনে চারপাশের অবস্থা সত্যি খুবই নাজুক। আমি একটু বাহিরে গিয়েছিলাম বৃষ্টির মাঝেই, চারপাশ একটা ফাঁকা, খুব একটা মানুষজন নেই বাহিরে। কারন এতো বৃষ্টি এবং রাস্তা ঘাটের যে অবস্থা তাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরে বের হতে চায় না, এটাই স্বাভাবিক বিষয়।
তবে একটা বিষয় চিন্তা করে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছি। সেটা হলো ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থা। খবরে যা দেখতেছি তাতে আগের সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেছে। মাঝে মাঝে হাঁটু অবদি পানি থাকতো আমি যে এলাকায় ছিলাম, বাড়ির নিচের সিঁড়ির চার/পাঁচ ধাপ পর্যন্ত পানি উঠে যেতো। হয়তো কিছুটা বেঁচে গিয়েছি ঢাকা শহর ছেড়ে, হয়তো বৃষ্টির মাঝেও কিছুটা স্বস্তির কারন এটি। কিন্তু অন্য বাকি দিকগুলো বিবেচনায় নিলে মোটেও সুখকর ছিলো না এবারের ঈদের ছুটির দিনগুলো। তাছাড়া শারীরিক ভাবে কিছুটা অসুস্থও ছিলাম। পুরো শরীর বেশ ব্যাথায় জমাট বেধে ছিলো। শুধু ঘুমাতে ভালো লাগতো, তাই বৃষ্টির শীতলতা গায়ে জড়িয়ে সারাদিন শুধু ঘুমিয়েছি আর ঘুমিয়েছি।
তাই এটা বলতে পারেন যে, এবারের ঈদের ছুটি বৃষ্টির অনুভূতি নিয়ে শুধু ঘুমের মাঝেই কেটেছে। না চাইলেও মাঝে মাঝে আমাদের এই রকম ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে সময় ব্যয় করতে হয়, না চাইলেও বৃষ্টির শীতলতা নিয়ে এভাবে ছুটির দিনগুলো নষ্ট করতে হয়। কারন পরিবেশ এবং পরিস্থিতি এই দুটো বিষয়ের উপর আমাদের কোনরূপ নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই বাধ্য হয়েই অনেকটা বাড়ির চার দেয়ালের মাঝেই এভারের ঈদের ছুটির দিনগুলো আটকে ছিলো। হয়তো আপনাদের দিনগুলো ভালো ছিলো, হয়তো বৃষ্টি উপেক্ষা করে আপনারা ছুটির দিনগুলো ঠিক উপভোগ করেছেন, যা আমি মোটেও পারিনি।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্ষার সৌন্দর্য বৃষ্টি।এবার স্বরুপে হাজির হয়েছে বর্ষা। যা প্রাণ-প্রকৃতির জন্য অনেক ভালো কিন্তু এবার আমাদের ঈদের আনন্দ-প্লান মাটি করে দি্যেছে।ভাইয়া ঠিকই বলেছেন,বৃষ্টির কারণে এবারের ঈদের ছুটির দিনগুলো সুখকর ছিলনা। ঘরবন্দি ঈদ। তবে ভালো ঘুম দিয়েছেন এটা ভালো খবর। বৃষ্টির নিরানন্দ অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হা হা হা স্বরূপে হাজির হয়েছে শুনে বেশ হাসি পেলো আর আমাদের চার দেয়ালের মাঝে বন্দি করে রাখলো।
আসলে ভাইয়া অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো লাগেনা । যদিও বৃষ্টি আমরা সবাই পছন্দ করি কিন্তু একটানা বৃষ্টি কারোরই কাম্য নয়। আর ঈদের দিনে একটানা বৃষ্টি সে তো খুবই অস্বস্তিকর একটা ব্যাপার । যদিও আমাদের এখানে দুপুর থেকে আকাশ পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল আর বৃষ্টি হয়নি । তবে ঈদের পরের দিন সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে । যেখানে আমার বাইরে ঘুরতে যাবার কথা ছিল, দু দুবার বের হতে যেয়েও বের হতে পারিনি । অবশেষে রাগে আর বেরই হয়নি । আপনারও ঈদের ছুটি গুলো চার দেয়ালের মধ্যে থেকেই শেষ হয়ে গেল জেনে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগছে । কি আর করার পরবর্তী ঈদে নিশ্চয়ই ভালোভাবে ছুটি কাটাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।
ঈদের দিন বিকালের দিকে কিছুটা পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ছিলো না হলে সারাদিনই বেশ বৃষ্টি ছিলো।
ঈদ মোবারক ভাইয়া। খুব সুন্দর লিখেছেন।সত্যি কোন কিছু খুব বেশি ভালো না।আর এই বৃষ্টির কারনে খুব বাজে ভাবে এবারের ঈদ কেটেছে।যখন বৃষ্টি উপভোগ করার চাইতে কষ্টের কারন হয়ে দাঁড়ায় তখন সত্যি ই খুব খারাপ লাগে।আপনি তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ঈদ কাটালেন।আমিতো ঘরে বসে থেকেই ঈদ কাটালাম কিন্তু ঘুমাইনি।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
মোটেও বৃষ্টি এবার উপভোগ্য ছিলো না বরং যন্ত্রনার কারন ছিলো, ছুটির দিনগুলো একদম বাজেভাবে কেটেছে এবার।