অনেক কিছুই নির্ভর করে মানসিকতার উপর - নদীর ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah

কেমন আছেন সবাই? আশা এবং বিশ্বাস সবাই ভালো আছেন। অবশ্য ভালো থাকার কারন থাকুক আর নাই থাকুক যদি মানসিকতা ঠিক রাখা সম্ভব হয় তাহলে হয়তো ভালো থাকাটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু যদি চারপাশে হাজারও কারন থাকে ভালো থাকার আর মানসিকতা যদি ঠিক না থাকে তাহলে ভালো থাকাটা সত্যি দুঃসাধ্য কিছু হয়ে যেতে পারে। বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরা প্রায় সময় একটা কথা বলে থাকেন, অবশ্য সেটা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা হতে কারন তারা বিশেষ মর্যদায় বিশেষ অবস্থানে পৌছানোর পর এটা বুঝতে বা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, ভালো থাকার সুখটা পাওয়ার জন্য এতো কিছু কিংবা এতো দূর পর্যন্ত আসা লাগে না বরং একটু ভালো মানসিকতা থাকলে অনেক ছোট খাটো বিষয় হতেও ভালো থাকার সুখ পাওয়া যায়।

কিন্তু আমাদের বিষয়টি ভিন্ন, আমরা অন্যের ধার করা কথা শুনতে একদমই পছন্দ করি না। যদি কেউ কখনো কোন সুযোগ পেয়ে আমাদের এই রকম উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমরা চোখ বন্ধ করে সুন্দর একটা উত্তর দিয়ে দেই, সেটা অনেকটা এই রকমভাবে আপনার জায়গা হতে আপনি সেটা করতে পেরেছেন কিন্তু আপনি যদি আমার জায়গায় থাকতেন তাহলে কখনো সেটা করতে পারতেন না। মানে আমি খুব খারাপ অবস্থানে তাই আমার পক্ষে হতে এই রকম উপদেশ মানা মোটেও সম্ভব না। কারন আমরা আমাদের অবস্থানটাকে সর্বদা শীর্ষে নিয়ে যাই এবং আমাদের কষ্টগুলোকে সর্বদা শ্রেষ্ঠ কষ্ট হিসেবে বিবেচনা করি, অথচ আমার থেকেও অন্যরা যে আরো বেশী কষ্টে কিংবা অসুবিধায় রয়েছে সেটা কখনো মানতে চাই না। যার কারনে আমরা অন্যের উপদেশগুলোকে একটু ভিন্ন চোখে দেখার চেষ্টা করি।

সুতরাং কি আর বলবো এই ক্ষেত্রে, কিছুই বলার নেই। তবে আমার কিছু ছোট ভাই আছেন একদম বন্ধুর মতো তারা, তাদের সাথে বেশ আন্তরিক সম্পর্ক আমার সাথে। যদিও তারা অনেক দূরেই থাকেন। কিন্তু কখনো ঢাকা আসলে আমার সাথে অবশ্যই দেখা করবেন তারপর তাদের বাস্তব জীবনের কিছু সমস্যার কথা শেয়ার করে পরামর্শ চাইবেন, আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করি কারন তারা সেগুলো হাসি মুখেই মেনে নেন এবং তারপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এটা কেন বললাম? কারন তারা মানতে চায় এবং মানার চেষ্টা করে বলেই আমি তাদের সময় দেই, তাদের সমস্যাগুলো শুনি তারপর নিজের মতো করে তাদের পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করি। এখানে একটা ভালো লাগা কাজ করে, তাদের প্রতি আন্তরিকতা যেমন বেড়ে যায় ঠিক তেমনি সম্পর্কটাও আরো সুন্দর হয়ে উঠে।

না না আমি মোটেও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি কিংবা খুব বেশী জ্ঞানী না কারন আমরা শিক্ষাগত যোগ্যতা খুবই সামান্য এবং সেটা নিয়ে কখনো উচ্চবাচ্য করি না। তবে হ্যা, একটা বিষয় বলতে পারি, মাঝে মাঝে নিজের ঢোল নিজেই পিটাই হি হি হি। কি করবো বলেন আমার ঢোল তো কেউ পিটায় না, যদি নষ্ট হয়ে যায় তাই নিজের টা নিজেই পিটাইয়া ঠিক রাখি হা হা হা। যে কথা বলতেছিলাম, কেন জানি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে আমি অনেক কিছুই করতে পারি, মানুষের গতিবিধি লক্ষ্য করে অনেক কিছুই অনুমান করতে পারি, হয়তো আমার সাথে আপনি দুইদিন মেলামেশা করলে আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই আইডিয়া করে বলে দিতে পারবো, হয়তো জিরো পার্সেন্ট মিলবে আবার না হয়তো ৯০ পার্সেন্ট। ঐ যে বললাম আন্দাজে বলে দেই, আপনারা আবার পুরোটাই সত্য ভেবে নিয়েন না, তাহলে কিন্তু ঢোল ফেটে যাবে, হা হা হা।

আজকে ভিন্ন কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এবং অভিজ্ঞতা কিংবা মানসিকতার বক্তব্য এখানে থামাবো। আসলে অতো বেশী বকবক কে পছন্দ করে বলুন, কেউ পছন্দ করে না সেটা কিন্তু আমি ভালোভাবেই জানি। তবে এটাও জানি যে সবাই ফটোগ্রাফি কিংবা রেসিপির পোষ্ট বেশী পছন্দ করেন, কারন সেখানে মুগ্ধ হওয়ার একটা বিষয় থাকে, ঠিক বলছি না। এর আগে অবশ্য কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছে, লাষ্ট গ্রামের বাড়ীতে যাওয়া আসার সময় বেশ ফটোগ্রাফি করেছি, হয়তো আরো কিছু দিন সেগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে পারবো। আশা করছি আজকের দৃশ্যগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।