আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ আত্ম তৃপ্ততা ]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

sunset-3156176_1920.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আশা করছি সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুক সকল পরিস্থিতিতে সেই প্রার্থনা করি। যদিও সময়ের প্রভাবে কতটা ভালো অবস্থানে থেকে আপনাদের জন্য প্রার্থনা করতে পারবো সেটা হয়তো জানি না। কিন্তু বিশ্বাস করেন, আমার জীবনের শুরু হতেই মানে বুঝ হওয়ার পর হতেই খুব কম মানুষই বলতে পারবে যে তাদের আমি কোন উপকার করি নাই কিংবা তারা আমার কাছে কোন ধরনের সহযোগিতা চেয়ে নিরাশ হয়েছেন। কিন্তু সত্যিটা কি জানেন, যাদেরই উপকার করেছি তারা সবাই কমবেশী সেটা অস্বীকার করেছে এবং একটা সময় পর উল্টো আমার বিপক্ষে অভিযোগ দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। আমি জানি এটাই বাস্তবতা, এটাই হয়তো আমাদের মানুষদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। সুযোগ পেলেই আমরা অকৃতজ্ঞ হয়ে যাই।

আমার একটা সমস্যা আছে, হ্যা, এটা আমার অনেক বড় সমস্যা। আমি মানুষের সাথে খুব বেশী রাগ করতে পারি না কিন্তু যেটা পারি সেটা মোটেও ভালো না আর সেটা হলো অভিমান। আমার কেন জানি এই অভিমানের পরিমানটা তুলনামূলকভাবে খুব বেশী। এখন পর্যন্ত যতগুলো চাকুরী আমি ছেড়েছি সবগুলোই অভিমান করে, চুপ করে সেখান হতে চলে আসছি। আমার একটা বিষয় আছে এখানে, যেটা আমি সর্বদা মেনে চলার চেষ্টা করি। যেখানে বা যাদের সাথে আমি কাজ করি, তাদের ব্যাপারে কোন অভিমান তৈরী হলে সেখান হতে চলে আসি কিন্তু কখনো তাদের বিরুদ্ধে কোন আওয়াজ তোলার চেষ্টা করি না, কারন আমি প্রকৃতিতে বিশ্বাসী, সব কিছুকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়ায় বিশ্বাসী।

হ্যা, কমবেশী প্রতিটি মানুষই বিশ্বাসী, কেউ হয়তো একটু বেশী আবার কেউ হয়তো একটু কম, এটাই বাস্তবতা। যে কথা বলতেছিলাম আমার সমস্যা, কেন জানি আমার মাঝে অভিমানটা খুব দ্রুত তৈরী হয়ে যায়। আসলে এর আগেও আমি আপনাদের বলেছিলাম মানুষকে কেন জানি খুব বেশী বিশ্বাস করি, কেন জানি মানুষের দুর্বলতাগুলো আমাকে আঘাত করে, কারো সহযোগিতা করতে পারলে কেন জানি আমার কাছে এক ধরনের তৃপ্ততা কাজ করে, যার কারনে ব্লকচেইনের যাত্রা শুরুর লগ্ন হতে কারো সহযোগিতা না পেলেও আমি কিন্তু কারো সহযোগিতা হতে কখনো বিরত থাকি নাই এবং এখনো পারছি না। যে কাজটা নিজে করি না বা করতে পারি না সেই কাজটাও অন্যদের জন্য করে দেয়ার চেষ্টা করি। কারন একটা বিশ্বাস নিয়ে কেউ আমাকে নক দিয়েছে, সে যাইহোক তার ফলাফল সে নিশ্চত ভোগ করবে কিন্তু যেহেতু বিশ্বাস নিয়ে আমার কাছে আসছে সেহেতু তার বিশ্বাসটির মর্যাদা দেয়া আমার দায়িত্ব।

man-1156543_1920.jpg

বলুনতো মানুষ হিসেবে সার্থকতা কোথায়? সব কিছু কি সফলতা দিয়ে বিবেচনা করা যায়? সব কিছু কি অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা যায়? হয়তো আপনি দ্বিধায় পড়ে গেছেন প্রশ্নগুলো নিয়ে, হয়তো সত্যিটা আপনি প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না বাস্তবতা নিয়ে। কিন্তু তাতে কি সঠিক উত্তর পরিবর্তন হয়ে যাবে, প্রশ্নটা আড়ালে চলে যাবে না। না মোটেও সেটা হবে না বরং আমি আড়ালে চলে যাবো। আমি বিজয় দিয়ে সকল সফলতা নির্ণয় করি না, আমি আমার মনের তৃপ্ততা দিয়ে নিজের সফলতা বিবেচনা করি। কাজটা দ্বারা আমার মন তৃপ্ত হলো কিনা? সেটা যাচাই করার চেষ্টা করি আমি, আমার দ্বারা কারো উপকার হলো কিনা সেটা দেখার চেষ্টা করি আমি। এখন উপকার নিয়ে কেউ যদি সেটা অস্বীকার করে সেটা একান্ত্যই তার ব্যাপার, মোটেও আমার না।

আমিতো আমার জায়গায় ঠিক আছি, আমিতো আমার অবস্থানে সঠিক আছি, তাহলে সেটা নিয়ে আমি কেন চিন্তিত হতে যাবো? দেখুন বিষয়টি চিন্তা করে আমি কিছু ভুল বললাম কিনা? আমরা তো মানুষ, মানুষ হিসেবে যতটা হুশ থাকা দরকার ততোটা ঠিকই আছে কিন্তু আমরা কখনো সেটা ব্যবহার করতে চাই না বা করার চেষ্টা করি না। হয়তো অনেক কিছু বুঝেও না বোঝার ভান ধরে থাকি, হয়তো অনেক কিছু দেখেও না দেখার ভান করে থাকি, কারন সেগুলো আমার পক্ষে না কিংবা সেখানে আমি কোন সুবিধাভোগ করতে পারবো না, যার কারনে আগে থেকেই আমরা অবোঝ হওয়ার একটা অভিনয় শুরু করে দেই। যত যাই হোক নিজের অবস্থানটা পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন, নিজের জায়গা হতে নিজেকে স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করুন, হৃদয়ের তৃপ্ততা দিয়ে সবকিছু বিবেচনা করার চেষ্টা করুন।

সার্থকতা বিষয়টি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে, হয়তো অনেক অর্থের মালিক হতে পারবেন, হয়তো উচ্চতার চরম শীর্ষে আহরণ করতে পারবেন কিন্তু তৃপ্তির যে অনুভূতি সেটা কোনদিনও পাবেন না, হৃদয়ের ভেতর একটা আশাংকা সর্বদা কাজ করবে, মনের মাঝে একটা অজানা ভয় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এটাই বাস্তবতা। আজকের আবোল তাবোল কথাগুলো হয়তো গোছানো ছিলো না, কিন্তু নিজের মনের ভেতরের কথাগুলো ঠিক প্রকাশ করে দিলাম, সেটাই আমার কাছে এক ধরনের তৃপ্ত অনুভূতি তৈরী করেছে, আপনি পছন্দ করেন কিংবা অপছন্দ করেন, সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।

Image Taken from Pixabay 1 and 2

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

আপনার পোস্টে আসলে কি নিয়ে কমেন্ট করবো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। আসলে আপনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আর কিছু কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো আপনি বললেন, আসলে সেগুলো শুধুমাত্র আপনার সাথেই ঘটেনি, যারা মানুষের উপকার করে বা সবসময় পাশে থাকে তাদের সাথে সবসময় এরকম ঘটনা ঘটে। তাই বলে নিজের জায়গা থেকে সরে যাওয়া যাবে না। ভালো থাকতে হবে এবং মানুষকে ভালো রাখতে হবে। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে ফাফিজ ভাই।

 2 years ago 

আসলেই তাই, হয়তো আমার কথার সাথে কিংবা অনুভূতির সাথে অনেকের অনুভূতির সংযুক্তি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, কারন এগুলো আমাদের সাথে আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটছে। ধন্যবাদ

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

আজকে আপনার আবোল তাবোল জীবনের গল্পের মাঝে আমি একটা সত্য কথা বলি, হয়তো আপনার কাছে হাস্যকরও মনে হতে পারে। কারণ আমি যতদিনে আপনার পোস্টে কমেন্ট করতে এসেছি কিছু না কিছু অনাকাঙ্খিত কারণে আমাকে এই কাজটা ছেড়ে যেতে হচ্ছে অবশেষে ফলাফল শূন্য। আর আপনার পোস্টে কমেন্ট করা হয়না। একটা কথা আছে, বিশ্বাসে বস্তু মিলে তর্কে বহুদূর। আপনার আবোল তাবোল জীবনের গল্পর কথাগুলো একেবারেই বাস্তব। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার কথাগুলোই বলছে এবং কি আমাকে ইঙ্গিত করে বলছেন। উপকার করলে প্রতিদান হিসেবে পেতে হয় অপবাদ। তবে নিজের জায়গা থেকে শত পারসেন্ট রাইট, উপকারের কথা যারা অস্বীকার করে তাদেরকে কিছুই বলার থাকে না। এত সুন্দর করে আমাদেরকে আপনার মনের ভাব গুলো উপস্থাপন করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

 2 years ago 

সত্যি বলতে কি জানেন? বাস্তব কথাগুলো কমবেশী আমাদের সকলের জীবনের সাথে মিলে যায় এবং সেগুলো পড়ে মাঝে মাঝে আমরাও অবাক হয়ে যাই।

 2 years ago 

প্রতিটা মানুষ নিজের মত করে সবকিছু চায় কিন্তু সবকিছু নিজের মতো পায় না। যেকোনো কাজেই গেলে প্রতিটা মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হলে একসময় কোন কিছু নিয়ে দূরত্বতা সৃষ্টি হয়। ভাইয়া আপনার আবোল তাবোল জীবনের গল্প পড়ে বুঝতে পেরেছি আপনার মধ্যে অভিমানের বিষয়টি অনেক। যেটা আমার মধ্যে অনেক কোন ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত হলে সেটা মেনে নিতে পারি না । অনেক ভালো লাগলো আসলে প্রতিটা মানুষের জীবনে অনেক কিছুই ঘটে থাকে যেটা বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিতে হবে।

 2 years ago 

হ্যা, চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে ব্যাপক একটা গ্যাপ থাকে। কিন্তু কি জানেন দিন শেষে আমাদের সব কিছুই মেনে নিতে হয় নিরবতার সাথে, কিছুই বলার থাকে না তখন।

 2 years ago 

আজকে আপনার কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। সবকিছু কি সফলতা দিয়ে বিবেচনা করা যায়। সবকিছু কি স্বার্থ দিয়ে বিবেচনা করা যায়। কখনোই না। সবকিছু স্বার্থ বিবেচনা করা যায় না। নিজের স্বার্থের জন্য সবকিছু করা এটাই প্রকৃত কাজ না। নিজের কথা না ভেবে যখন অন্যের কথা ভাবা হয় তখনই সার্থকতা হয়। জীবনে আপনি প্রতিনিয়ত আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছেন। আপনি যেটা করেন সেটা আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছেন। আসলে আপনাকে আমি অনেকবার নক করেছি এবং আপনার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছি। আপনি নিঃস্বার্থভাবে আমাদের সাহায্য করে গেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।আজকের পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।

 2 years ago 

কিন্তু তবুও আমাদের অধিকাংশ মানুষই সব কিছু স্বার্থ দিয়ে বিবেচনা করে এবং প্রাপ্তির বিচারে নিজেদের সুখী ভাবে। আমি শুধুমাত্র আমার অবস্থানটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি কারন আমি সফলতা ভিন্নভাবে বিচার করি।

 2 years ago 

আপনার লেখা গুলো সব সময়ই শিক্ষামূলক হয়ে থাকে ভাইয়া। আপনি ঠিক বলেছেন আসলে মানুষের উপকার করলে তার প্রতিদান হিসেবে অনেক বড় আঘাত পেতে হয়।আমি একটা কথার বিশ্বাসি সেটা হচ্ছে যে- মানুষ মানুষকে ছাড় দিলেও প্রকৃতি তাকে কোনদিন ছাড় দেই না অর্থাৎ যার কর্মের ফল সেই নিজে নিজে ভোগ করে। যার যে রকম কর্ম তার ফলাফল সেই রকম।ধন্যবাদ আপনাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলার জন্য এবং আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জ্বী এই বিশ্বাসটা ধরে রাখুন, অন্তত নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকুক, নিজের কাছে কখনো নিজে হেরে যাবেন না, আর সেটাই হবে আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয়।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আপনার মতো আমিও!! খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলি! আর রাগও করতে পারিনি। এখন পর্যন্ত কারো সাথে রাগ করেছি কিনা সন্দেহ আছে! তবে আপনি ঠিক বলেছেন, আমরা সুযোগ পেলেই অকৃতজ্ঞ হয়ে পড়ি। মানুষের ধর্মই বুঝি এটা! এতো উপকার করার পরও যখন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না তখন খারাপ লাগবেই! তবে তাদের বিরুদ্ধে আবার কিছু করেন না, অভিমান করে চলে আসেন! তবে ভালো লাগার বিষয় হলো হৃদয়ের তৃপ্ততা খোজাঁ। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগল। আসলে সবকিছু টাকা বা সাফল্যের সার্থকতা বিচার করাও ঠিক না।

 2 years ago 

মানুষের স্বভাবজাত একটা বৈশিষ্ট্য এটা, বিশ্বাসটা আসলেই তৈরী হয় ভালোবাসা হতে, যাদের মনে ভালোবাসা থাকে না তারা মানুষদের বিশ্বাস করতে পারে না।

 2 years ago 

সব কিছু কি সফলতা দিয়ে বিবেচনা করা যায়

এই বাক্যটা সত্যিই খুব অসাধারণ। ভালো লিখেছেন।

 2 years ago 

কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমরা জীবনের সকল কিছুই সফলতা দিয়ে বিবেচনা করি।

 2 years ago 
ভাই আপনার যেটা সমস্যা আছে আপানি মানুষের উপর রাগ করতে পারেন না এটা কোন সমস্যা না।এটা একটা মানুষের খুব ভালো দিক।তবে হ্যাঁ অভিমান থাকা ভালো অভিমান না থাকলে মনের ভিতর রোমান্টিক ভাব আসে না।কারোর মুখের উপরে সুনাম করা উচিত নয় তবুও বলছি ভাই অন্যের দুঃখে যে নিজে দুঃখিত হয় বা কষ্ট পায় সেই প্রকৃত মানুষ।তার ভিতরে মনুষত্ববোধ থাকে।আপনার লেখাগুলো পড়ে মনটা ভরে গেল অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
 2 years ago 

ওরে বাবা অভিমান নিয়ে আপনার যে বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটা কিন্তু আমার জানা ছিলো না হা হা হা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 63968.11
ETH 2756.38
USDT 1.00
SBD 2.66