হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। অবশ্য চাইলেও ভালো থাকা যায় না যদি পকেটে অগণিত টাকা না থাকে। কারন আজকালতো সমাজে বা পরিবারের তাদের মূল্যটা বেশী থাকে, যার টাকা বা আয় বেশী থাকে। দেখুন আমাদের সমাজের আজকের এই অবস্থার পেছনেও কিন্তু এই একটা ইস্যু চরমভাবে দায়ী। বুঝতে পারছেন নাতো? দেখুন আমাদের সমাজে একটা সময় কমবেশি প্রতিটি পরিবারই যৌথ পরিবার ছিলো কিন্তু এখন কয়টি যৌথ পরিবার আছে খোঁজ নিয়ে দেখুন তো? সংখ্যায় হয়তো দুই একটা খুঁজে পেলেও পেতে পারেন। যৌথ পরিবারগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটা কারণ ছিলো এই টাকা, যার আয় বা টাকা বেশী থাকতো পরিবারের সবাই কেন জানি শুধুমাত্র তার কথাকেই প্রাধান্য দিতো, উল্টা পাল্টা বা ভুল বললেও সবাই সেটাকে মাথায় তুলে নিতো।
পকেটে টাকা না থাকলে বাড়ির বউতো কথা শুনে না, তার সাথে সাথে কাজের মানুষটাও কথা শুনতে চায় না, এটা এক নির্মম বাস্তবতা। ভুক্তভোগিরাই শুধুমাত্র সেটা উপলব্ধি করতে পারে। কারণ কিছু বিষয় রয়েছে যার পুরো অনুভূতিটা লিখে প্রকাশ করা যায় না কিংবা বুঝানো যায় না। টাকা ছাড়া দুনিয়া অচল, পকেটে টাকা থাকলে সম্মান পাওয়া যায় আর না থাকলে অপমান অবধারিত। কঠিন এক বাস্তবতায় বসবাস করছি আমরা। পকেটে টাকা থাকা মানে যে কোন অবস্থানে আপনার কথা ও কাজের ওজন বেড়ে যাওয়া, আপনি না চাইলেও আপনার পক্ষে সবাই সবটা করে দেয়ার চেষ্টা করবে এবং যে কোন ভুলকে শুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করবে। উল্টা পাল্টা যত কথাই বলুন না কেন, সবাই ঠিক মনোযোগ দিয়ে আপনার কথাগুলোকে শুনার চেষ্টা করবে।
যাইহোক, এসব বাস্তবতা আমরা যেমন দেখছি ঠিক তেমনি এসবের স্বীকার হয়েও দারুণভাবে তা উপলব্ধি করছি। না শুধু করছি না বরং করতে বাধ্য হচ্ছি কারন এর কোন বিকল্প আমাদের সামনে নেই, কারন ঐ যে পকেটে যথেষ্ট পরিমানে টাকা নেই। আজকে আর কিছু বলবো না, বরং তার চেয়ে ভালো হয় স্বাদের একটা রেসিপি শেয়ার করি। আজকে অবশ্য আমার পছন্দের একটা রেসিপি শেয়ার করবো, আর সেটা অবশ্যই মাছের। কারণ মাছ আমার দারুণ প্রিয় একটা আইটেম, মাছ হলে আমার আর কিছুই লাগে না, হি হি হি। আজকে যেটা শেয়ার করবো সেটা হলো বরবটি আর আলু দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি, যদিও কিছুটা ঝোল ঝোল হয়েছিলো রেসিপিটি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- টেংরা মাছ
- বরবটি
- আলু
- টমেটো
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- লবন
- আদা রসুন পেষ্ট
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মাছগুলোকে পরিস্কার করে তাতে হালকা হলুদ, মরিচের গুড়া ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি। এরপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করেছি এবং মাছগুলোকে ভেজে নিয়েছি।
তারপর একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে পুনরায় তেল গরম করেছি, তারপর পেঁয়াজ কুচি এবং তার সাথে সকল মসলাগুলো দিয়ে হালকা পানি দিয়েছি।
তারপর টমেটো স্লাইসগুলো দিয়েছি এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি। এরপর আলু এবং বরবটিগুলো দিয়ে মিক্স করে নিয়েছি, তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
তারপর ঢাকনা সরিয়ে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়েছি এবং তার সাথে পরিমান মতো পানি দিয়েছি ঝোলের জন্য।
এরপর ঝোলের পরিমান কমে আসলে কাঁচা মরিচ ও ধনিয়া পাতা কুচি করে দিয়েছি এবং কিছু সময় পর নামিয়ে নিয়েছি।
হয়ে গেলো আমাদের আজকের স্বাদের টেংরা মাছের রেসিপি আলু ও বরবটি দিয়ে। একটু ঝোল ঝোল হলেও খেতে কিন্তু দারুণ হয়েছিলো সত্যি বলছি, হি হি হি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন সমাজে যার যত বেশি টাকা তার তার সম্মান ও তত বেশি । আর টাকা ছাড়া লোকের সম্মান কেউ দিতে চায় না । তবে আপনার কথা শুনে বেশ অবাক লাগলো টাকা না থাকলে বাড়ির বউ কথা শুনে না বুঝলাম কিন্তু কাজের লোক যে কথা শুনে না এটি নতুন জানলাম । যাই হোক বেশ ভালো ছিল কথাগুলো । তবে আপনার আজকের রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে ।কালার টি এত লোভনীয় হয়েছে দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে । মনে হচ্ছে আজকে তরকারিতে একটু ঝোল বেশি রেখেছেন । আপনি তো এতটা ঝোল ঝোল রাখেন না । তবে টমেটো দেওয়ার কারণে খেতে মনে হয় অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল । আমি অবশ্য টেংরা মাছ কখনো ভেজে রান্না করিনি, আপনারটা দেখে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে।
অর্থ বা টাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যার যত অর্থ তার ততো দাম বা মূল্য এটা মিথ্যে নয়।এই টাকা আছে বলেই তো তাজা টেংরা বাজার থেকে এনে আলু ও বরবটি দিয়ে রান্না করলেন। 😊 মাছগুলো খুব ফ্রেস।তাই রান্নার পর খেতেও খুব মজার হয়েছে আশাকরি।ভাইয়া রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আলু ও বরবটি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপিটি বেশ মজাদার হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। রেসিপিটির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি অত্যন্ত সাজানো ও গোছানোভাবে রেসিপিটির প্রস্তুত প্রণালী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া আমাদের সমাজ এমনি, যার টাকা আছে তার সব কিছুই মাপ। আসলে যার টাকা আছে তারই থাকে তারপরেও সবাই তাকে মান্য করে।যাইহোক ভাইয়া আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। সত্যি টেংরা মাছ আমার অনেক প্রিয়। তবে আপনি টেংরা মাছ ভেজে নিয়েছেন, আমি কষিয়ে রান্না করি। আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ে যার টাকা আছে তার সব আছে একমাত্র টাকা তার সব চাহিদা পূরণ করছে। মাঝে মাঝে এ বিষয়টি নিয়ে ভাবি টাকায় কি জীবনের সকল সুখের মূল আবার মাঝে মাঝে নিজের কাছেই বিষয়টি অদ্ভুত লাগে। নতুন সবকিছুই এখন টাকার কাছে মাথা নত যাই হোক টেংরা মাছের রেসিপিটি দারুণ লেগেছে। আসলে টেংরা মাছের সাইজ দেখে অনেক ভালো লাগলো অনেক বড় সাইজের টেংরা মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।
হি হি হি হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল। আপনি খেলেন ও বেশ। আবার রাধেনও বেশ। দুটোতেই সমান সমান। তবে টেংরা মাছ দিয়ে এরকম করে বরবটি দিয়ে জীবনে কখনও রান্না করে খাওয়া হয় নাই।রান্নাটি দেখে তো মনে হচেছ এবার যদি বাড়ির বৌ কথা শুনে। আর না শুনে আর কিছুই করার নেই। কারন এতো ইয়াম্মী রেসিপি দেখলে তো ভাবীর মাথা ঘুরে যাওয়ার কথা। বেশ সুন্দর আর কালারফুল একটি রেসিপি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলে যাদের টাকা থাকে না তারা অন্যদের কাছ থেকে সম্মান পায় না। কিন্তু যাদের অনেক বেশি টাকা থাকে, তাদের খারাপ কথা হোক অথবা ভালো কথা, সবাই তাদের কথাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে মাথায় তুলে নাচে। এই বিষয়টা কিন্তু সত্যি বলেছেন, যাদের টাকা নেই তাদেরকে কাজের লোকও সম্মান দেয় না, তারা কথাও শোনে না। যাইহোক আলু ও বরবটি দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপিটা খুব মজা করে খেয়েছিলেন বুঝা যাচ্ছে। রেসিপিটা দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন।
টেংরা মাছ আমার খুবই প্রিয়, তাই আপনার টেংরা মাছের রেসিপি দেখে যেন সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আলু ও বরবটি দিয়ে এই সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।