হ্যালো বন্ধুরা,
মাছ আমি খুব বেশী খাই আমার খুব বেশীও খাই না, মাঝা মাঝি বলতে পারেন আমাকে। তবে এটা সত্য আমাদের বাড়ীতে মাছ তুলনামূলকভাবে একটু বেশী খাওয়া হয়। প্রায় প্রতিদিন দুপুরে অথবা রাতে মাছ থাকবেই আমাদের বাড়ীতে। তবে এটা যে শুধুমাত্র এখন হচ্ছে তা কিন্তু না, ঐতিহ্যগতভাবে এটা চলে আসছে, আর আমি তো ঐতিহ্য বিরোধী না, হে হে হে হে। তাই সুযোগটা গ্রহণ করে মাছ খাওয়ার চেষ্টা করি, একটু স্বাদ বেশী নেয়ার চেষ্টা করি।
এটাও কিন্তু সত্য যে আমি তুলনামূলকভাবে সবজি বেশী পছন্দ করি, সবজি ছাড়া আমার খাওয়াটা একদমই অপূর্ণ থেকে যায়। অল্প হলেও প্রতিদিন একটা সবজির আইটেম থাকে। তবে হ্যা, মাংস আমি সবচেয়ে বেশী এড়িয়ে চলি, হঠাৎ কোন মেহমান কিংবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠান ছাড়া আমি মাংস একদমই কিনি না এবং খাই না। আমার দৃষ্টিতে মাংসের মাঝে কোন স্বাদ নেই, মানুষ শুধু শুধু আয়েশ প্রকাশের জন্য মাংসের পিছনে ছুটে। না না আপনাকে কিছু বলি নাই, আপনার টাকা আছে, সুযোগ আছে, যত খুশি খান, তাতে আমার কি? কিচ্ছু না, হে হে হে।
কথা প্রসঙ্গে কথা আসে আর আমার কথাতো শেষই হতে চায় না, লিখতে বসলে মনে হয় মেশিন চালু হয়ে গেছে, লাইন ছেড়ে বেলাইনে চলে যাই, যা মনে আসে লিখে ফেলি। আচ্ছা থাক বাদ দিন। মূল আলোচনায় চলে আসি। মাছের মাঝে মাঙ্গাস মাছ নিয়ে অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি একটু ভিন্ন, অনেকেই পাঙ্গাস মাছ খেতে চান না, তাদের কাছে নাকি একটু গন্ধ আসে। তবে আমার কাছে এসবের কোন বালাই নেই, গন্ধ টন্ধ ভুলেও আমার কাছে আসে না, কারন যাইহোক আমি খাওয়া বন্ধ করবো না, হে হে হে ।
আজ পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি শেয়ার করবো। তবে আমি শুধু পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করি না বরং সাথে টমেটোও থাকে কারন টমেটো দিলে স্বাদটা দ্বিগুন হয়ে যায়। চলুন তাহলে পাঙ্গাস মাছ ভুনা রেসিপি দেখি-
উপকরণ সমূহঃ
- পাঙ্গাস মাছ
- টমেটো
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- আদা-রসুন পেষ্ট
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মাছগুলোকে হলুদ, মরিচ গুড়া ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নিবে। কারন ভুনা করার পূর্বে আমি মাছগুলোকে ভেজে নিবো।
একটি প্যান চুলায় দিয়ে কিছু পরিমানে তেল দিয়ে গরম করবো তারপর মাছগুলোকে ভেজে রাখবো।
এখন একটি কড়াই চুলায় দিয়ে কিছু তেল দিবো তারপর পেঁয়াজ কুচিগুলো ঢেলে দিবো।
তারপর মসলাগুলো একে একে সব দিয়ে কষা করার চেষ্টা করবো, তার সাথে একটু পানি মিশিয়ে নিবো।
টমেটো স্লাইসগুলো দিয়ে আরো কিছুটা সময় কষা করার চেষ্টা করবো।
কষা হয়ে যাওয়ার পর প্রয়োজন অনুসারে ঝোল রাখার জন্য পানি দিবো তার মাছে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিবো।
কিছু সময় পর ধনিয়া পাতা এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে দেব। প্রয়োজন মতো ঝোল থাকা অবস্থায় নামিয়ে ফেলবো। আমি হালকা পরিমানে ঝোল ঝোল রেখেছি।
হয়ে গেলো আমাদের আজকের স্বাদের পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি টমেটো দিয়ে, দেখুন বুঝা যায় কিনা কতটা স্বাদের হয়েছে? আমি তো এখনই ঝাঁপ দিবো স্বাদ নেয়ার জন্য, হে হে হে ।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাইয়া শুধু খাই খাই করে কিন্তু ভাইয়া খাওয়ার বেলায় আসলে কিছুই না। আপনি আমাদের মাঝে পাঙ্গাস মাছ ভুনার খুব সুন্দর রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। তবে আপনি খাবার তালিকায় সবজি থাকা চাই। আমিও এর ব্যতিক্রম নয়, আমি সত্যি খুব পছন্দ করি সাথে যদি একটা ভর্তা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। তবে আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার পাঙ্গাস মাছের রেসিপি টা আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এই মাছ জনসাধারণের হাতের নাগালে দাম যদিও কম প্রচুর পরিমাণে স্বাদ। এবং বাচ্চাদের জন্য এর কোন বিকল্প নেই। মাংসের প্রতি অনীহা অনেক বেশি, মাংস আমি ও তেমন একটা পছন্দ করি না বললেই চলে। যাই হোক আমাদের সাথে এত সুন্দর পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
পাঙ্গাস মাছ আমার সব থেকে বেশি পছন্দের। বহুদিন হলো খাওয়া হচ্ছে না। এই মাছের যেমন স্বাদ তেমন খাওয়ার দিক থেকে ঝামেলা মুক্ত, কাঁটা বাছা লাগে না হা হা। তবে আমি সবকিছুর ভুনা একটু কম খাই, ঝোল মতো না হলে খেতে পারিনা। পাঙ্গাস আমার কাছে আবার ভাজাও অনেক ভালো লাগে।
পাঙ্গাস মাছ ভাজা এবং পাঙ্গাস মাছের ঝোল আমি খুবই পছন্দ করি। কারণ এই মাছের কাটা তেমন একটা নাই।আর খেতেও খুব সুস্বাদু । ভাইয়া সত্যি বলতে আপনার পাঙ্গাস মাছ ভুনা রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে আসতেছে।ধন্যবাদ এরকম একটা সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হুম, এটা সত্য তুলনামূলক বিবেচনা করলে পাঙ্গাস মাছে কাটা নেই। ধন্যবাদ
কি বলব ভাইয়া জাস্ট অসাধারণ, সত্যি বলতে আমিও আপনার মত পাঙাশ মাছ অনেক বেশি পছন্দ করি। পাঙাশ মাছ এত বেশি পছন্দ হওয়ার কারণ হল, এই মাছের মধ্যে কাঁটা খুবই কম, আর কাঁটা কম থাকার কারণে খুব দ্রুতই ভালোভাবে খাওয়া যায়। আমি আপনার কথা সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণ করছি যে, অনেকেই আছে যারা পাঙাশ মাছ খেতে পছন্দ করে না😒 কিন্তু আমি সেরকম না, আমার কাছে পাঙাস মাছের কোন গন্ধই আসেনা। পাঙাশ মাছ রান্না করলে সেদিন আমার কাছে ঈদের দিনের মতো খুশি মনে হয় হা হা হা। 😃😃তবে সত্যি বলতে মাংস কিন্তু আমার অনেক প্রিয়, কিন্তু আপনি তো দেখছি মাংস তেমন একটা বেশি পছন্দ করেন না। যাইহোক পছন্দ-অপছন্দের মধ্যেই মানুষ।
আপনার পাঙ্গাস মাছের রেসিপি টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক দারুন ভাবে আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত মজাদার একটি পাঙ্গাস মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ💞🎊🎊
আসলে যারা খেতে পারেন না, তাদের কাছে পাঙ্গাস মাছ ভালো না কিন্তু আমরা যারা খেতে পারি আমাদের কাছে সব সময়ই এটা সেরা। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
পাঙ্গাস মাছ আমি ছোটবেলা থেকেই খায়না। এবং আমাকে ছোট বেলায় অন্য মাছ বলে পাঙ্গাস খাওয়ায় তো 🤭😅😅হ্যাঁ সবজি ছাড়া খেতে অপূর্ণ লাগে আর একটা কথা মাংস দিয়ে কিন্তু ভাত খাওয়া যায় না বেশি।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার রান্নার ধরনটি খুবই ভালো ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভাই আমার ছেলেও খেতে চায় না, তার কাছেও নাকি গন্ধ আসে। ধন্যবাদ আপনাকেও।
বাঙালির কাছে ইলিশ এর পরেই পাঙাশ এর অবস্থান দামে কম।মানে ভালো থাকায় এবং স্বাদ টাও দারুন হওয়ার কারনে বাঙালি এটা বেশিই পছন্দ করে। আপনার রেসিপটি খুবই সুন্দর হয়েছে তবে একা খাওয়া উচিত না😁😁😁😁
ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা।
দামের বিবেচনা করলে এটা সত্য পাঙ্গাস মাছ অনেক সস্তা এবং সব সময়ই বাজারে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ
আমরা তো আবার মাছে ভাতে বাঙালি সেজন্যই ঐতিহ্যগতভাবে মাছ খাওয়ার রীতি চলে আসচ্ছে। মাছ খেতে আমার তেমন একটা খারাপ লাগে নাহ।আবার প্রতিনিয়ত হলে সেটা মুখরুচির বিরোধী। সবজি জাতীয় খাবার যিনি বেশি খায় তিনিই খাবারের পুষ্টি গুণ সম্পর্কে ভালো জানে।আমার কাছে পাঙ্গাশ তেমন একটা স্বাদের নয় কিন্তু মাঝে মাঝে খেতে ভালোই লাগে।অসাধারণ হয়েছে পাঙ্গাশ মাছের ভুনা রেসিপি আমার খাওয়ার চাহিদা একটু বেড়ে গেল। 😍😍
জ্বী, বাঙালিদের মাছ ছাড়া একদমই চলে না। আমার কাছে ভালো লাগে পাঙ্গাস মাছ। ধন্যবাদ
খুবই সুন্দর করে পাঙ্গাস মাছ ভুনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।দেখতে খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে খেতে ও অনেক সুস্বাদু হবে।
হুম খেতেও কিন্তু অনেক স্বাদের হয়েছিলো। ধন্যবাদ
ভাইয়া কি বলব,আপনার লিখাগুলো পড়তে পড়তেই হাসি,এত হাস্যকর কিছু লিখেন যে হাসি আসেই। আর পাঙ্গাস মাছের কথা,হ্যাঁ অনেকেই এটি পছন্দ করে না। আমার কাছে কিন্তু খেতে ভালোই লাগে। আপনি তো বড় পিচ রান্না করেছেন,একদিন ছোট পিচ করে একটু ঝাল দিয়ে রান্না করে দেখবেন,সেটাও খুব মজা হয় খেতে৷ অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, মাছের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ফ্রিতে একটু বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করি, আপনাদের ভালো লাগে এটাই আমার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ আপু
মাছে ভাতে বাঙ্গালী। অন্যদের তুলনায় বাঙালিরা মাছ একটু বেশিই খাই। আমি মাছ সবজি সবই খাই। তবে মাংসের মধ্যে কোনো স্বাদ নেই আপনার এই কথাটা আমি মানতে পারলাম না ভাই। মাংস আমার খুবই পছন্দের।
এবং একটু গন্ধ থাকার কারণে আমি নিজেও পাঙ্গাস মাছ সেরকম খাই না। তবে আমার বাড়ির অন্যরা খাই।
পাঙ্গাস মাছের ভূনা রেসিপি টা দারুণ হয়েছে ভাই। এবং পোস্টের উপস্থাপনা টাও অনেক ভালো ছিল।।