হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি আমার মতো আছি, কারন কেউ তো আমায় আর জিজ্ঞেস করে না কেমন আছি, আজকাল পার্কেও যেতে পারি না। তবে মাঝখানে কিছুটা ভালো ছিলাম বেশ সুন্দর বৃষ্টির দেখা পেয়েছিলাম বলে। ধুর বুঝেন না কেন? হৃদয়ে জাগ্রতভাব বজায় রাখতে এগুলো বেশ কার্যকর। আরে এই জন্যই তো মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই। ভাগ্যিস পৃথিবীতে প্রকৃতি নামের কোন মেয়ে নেই, হা হা হা হা। না হলে এখানেও আপনারা আমাকে প্যাঁচে ফেলে দিতেন। ভদ্র মানুষ কিনা তাই বার বার আপনাদের ষড়যন্ত্রে প্যাঁচ খেয়ে যাই। তবে সে যাই বলুন না কেন, সুন্দর প্রকৃতি কিংবা পার্কের নিরিবিলি পরিবেশ আর বৃষ্টির সতেজ ছোয়ার বিষয়টি সহজে ভুলতে পারি না!
আসলে আমি খুবই সহজ সরল মানুষ, সেটা যেমন আপনারা সহজে বুঝেন না, ঠিক তেমনি আপনাদের ভাবিও বুঝতে চায় না। দুঃখটা হলো সহজ সরল মানুষদের অবস্থা এমনই হয়, সবাই কেন জানি ভুল বুঝে শুধু! তাতে কি? আমি মোটেও ভীত নই সাহসী যোদ্ধারা কখনো ভয়ে ভীত হয় না, আমি আমার মতো চিলচিল ভাবেই থাকবো, তাতে আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন আমাকে একদমই টলাতে পারবেন না, হি হি হি। এ জীবনে আছে আর কি, চারপাশের সৌন্দর্য-প্রকৃতির খেলা-মাঝে আপনাদের ষড়যন্ত্র, লা লা লা লা। থাক থাক আজ আর বেশী সাহস দেখাবো না, পরে আবার আন্দোলন শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে অন্য দিকে রওয়ানা দিলাম।
জ্বী আজকে অনেক দিন বাদে আবার একটা রেসিপি শেয়ার করবো, যদিও নতুন বাড়িতে আসার পর তেমন একটা সুযোগ পাচ্ছি না, সময়ের বড্ড বেশী অভাব। তবে মাঝে মাঝে ফাঁক ফোকর খুঁজি অবশ্য রেসিপির জন্য আর সেই কারনেই রেসিপি করতে পারি সেই দাবীটা এখনো ধরে রাখতে পেরেছি। আজকে একটা ভিন্নধর্মী রেসিপি শেয়ার করবো, যদিও অনেকেই এই রেসিপিটি বেশ পছন্দ করেন, শুধুমাত্র নানা প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য গুনের কারনে। কারন সজনে পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনার চোখ কপালে নিয়ে যাবে, সুতরাং নিজের চোখকে নিরাপদে রেখে তারপর স্বাস্থ্য উপকারিতা চেক কারুন, হি হি হি। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- সজনে পাতা
- পেঁয়াজ
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- শুকনা মরিচ
- তেল
- লবন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে ডাল হতে সজনে পাতাগুলো সুন্দর করে ছাড়িয়ে একটা পাত্রে নিয়েছি।
তারপর একটা পাতিলে নিয়ে সেটা চুলায় বসিয়েছি তার সাথে পরিমান মতো পানি দিয়ে, এরপর পেঁয়াজ কুচি, কাচা মরিচ ও লবন দিয়েছি।
তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি এবং কিছু সময় পর পর চেক করেছি পাতাগুলো সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখার জন্য।
তারপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল দিয়েছি, শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়েছি।
তারপর পেঁয়াজ ও রসুনের কুচিগুলো ভাজা ভাজা হয়ে আসলে সিদ্ধ করা সজনে পাতাগুলো উপর দিয়ে দিয়েছি।
ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছি, এরপর পুনরায় আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। কিছুক্ষণ পর চেক করে নামিয়ে নিয়েছি।
রান্না হয়ে গেলো আমাদের ভিন্নধর্মী এবং বেশ উপকারি সজনে পাতার শাক। প্রথমবার খেলাম এভাবে, সত্যি বেশ স্বাদের হয়েছিলো ভাজিটি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
মায়ের মুখে শুনেছি সজনে শাক নাকি শরীরের পক্ষে ভীষণ ভালো। জন্ডিস হলেও নাকি আগে খেতে দিতো। আপনার রান্না টা দেখে বেশ ভালো লাগছে। আর শাকে একটু রসুন ফোড়ন আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিলে সেই শাক দিয়েই ভাত খাওয়া হয়ে যায়।
আপনি যে বৃষ্টি বিষয়ে পিএইচডি করেছেন তা ভাবি ভালোই বুঝতে পারে, তাইতো আপনাকে আর বেশি বুঝতে চায়না।🫢
সজনে পাতাটা কখনো খাওয়া হয়নি আমার।
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন সহজ সরল মানুষকে কেউ বুঝতে চায় না, সেটা ঘরের মানুষ আর বাইরের মানুষ হোক। যাইহোক আপনার আজকে সাজনা পাতার রেসিপি দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি, এইসব রেসিপি অনেক উপকারী। তারপরে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সাজাতে রেসিপি তৈরি করলেন। আসলে আমি সাজনে পাতার রেসিপি কথা শুনেছি কিন্তু কখনো খাইনি। যাই হোক আজকে আপনার ভাজি রেসিপি তৈরি করার উপস্থাপন ভালোভাবে দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তীতে তৈরি করব ইনশাল্লাহ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আজকাল সজনে পাতার উপকারিতা মোটামুটি সবাই জানে। তাই সবাই কম বেশি সজনে পাতা খায়। ঢাকা শহরে সজনে পাতা তেমন পাওয়া যায় না । আমিও বাড়ি গেলে সজনে পাতা নিয়ে আসি বেশ কয়দিন খেতে পারি মত করে। আমি ডাল ও আপনার মত ভাজি করে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ঠিকই বলেছেন আপনার মত সহজ সরল মানুষ এই পৃথিবীতে আর একটা আছে কিনা সন্দেহ আছে। তবে আপনাকে যদি প্রতিদিন কাছে পেতাম অবশ্যই খোঁজখবর নিতাম। একেবারে সত্যি একটা কথা বলেছেন ভাইয়া, প্রকৃতি নামের কোন মেয়ে থাকলে আপনি নির্ঘাত বিপদে পড়তেন। কিন্তু সজনে পাতার রেসিপিটা দেখেই জিভে জল চলে আসছে। কারণ আমার প্রিয় একটা শাক। আর এর গুনাগুন কথা ঠিকই বলেছেন শুনলে চোখ কপালে উঠে যাবে। যাইহোক যেহেতু আমি জানি আমার চোখ সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছি। আমাদের মাঝে আপনার মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
কে বললো প্রকৃতি নামের মেয়ে নেই 🤪।খালি পার্ক আর বৃষ্টি বৃষ্টি করবেন আর বলবেন ষড়যন্ত্র, তাই না 🤪🤪।ভাবিকে বলতে হবে চোখে চোখে রাখতে বলা তো যায় না কখন কি করে ফেলেন🤪🤪।যাই হোক এভাবে সাজনে পাতা খাওয়া যায় আমি জানতাম না, তবে মনে হচ্ছে খেতে মনে হয় মচমচে হবে🤪🤪।মচমচে হলে আমার,এই ধরনের শাক ভাজি খেতে ভালো লাগে।দারুম একটা রেসিপি দিলেন।ধন্যবাদ
ভাইয়া, আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করছি কেমন আছেন ভাইয়া? আশা করি ভালো আছেন।ভাইয়া, এটা কিন্তু ঠিক না প্রকৃতি বলতে মেয়েদের নাম আছে এখন তো চিন্তা করছি কোন প্রকৃতির কথা বলছেন হিহিহিহি। সত্যি কথা বলতে কি আমি যখনই আপনার পোস্টগুলো পড়ি তখন আমার খুব ভালো লাগে।পোস্টের লেখার ভিতরে হাসি আনন্দ এবং শিক্ষামূলক কিছু কথা লেখা থাকে যেগুলো পড়লে সত্যিই খুব ভালো লাগে। ভাইয়া,সজনে পাতা আসলে একটি পুষ্টিকর শাক-পাতা বিভিন্ন ঔষধি গুণে ভরপুর। আমি সজনে পাতা ভাজি খেতে খুব পছন্দ করি এই ভাজি গরম ভাতের সাথে খেলে কিন্তু বেশ দারুন লাগে। ভাইয়া,আপনি খুবই এবং লোভনীয় ভাবে সজনে পাতা ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর লেখা এবং খুবই সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া যতবারই আপনার পোস্টগুলো পড়ি ততবারই আমার মনে হয় আপনি বেশ রসিক একজন মানুষ। যাইহোক আমার কিন্তু কোন ষড়যন্ত্র করার প্ল্যান নাই। সজনে পাতা ভাজি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আমি সবসময় সজনে পাতা ভর্তা করেই খেয়েছি। আমার আম্মুরা সব সময় আলু দিয়ে মাছ দিয়ে সজনে পাতা ভর্তা করি। আপনার সজনে পাতার রেসিপিটি দেখে খুবই সুন্দর লাগছে। শুকনো মরিচ দেওয়াতে মনে হচ্ছে সজনে পাতা ভাজিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
আহা রে বেচারা !!!
এতো সুন্দর সহজ সরল ভাই টি তবুও ভাবি ভুল বোঝে ৷ সত্যি আফসোস হচ্ছে আমরা ৷ একদিন ভাবীকে আমাদের সাথে কথা বলায় দিবেন ৷ আমরা সবাই বুঝায় বলবো যে এতো সুন্দর ভাইটিকে আপনি এতো কষ্ট দেন কেন ৷ হিহিহি৷
যা হোক সজনে পাতা হলো গ্রামের মানুষের প্রায় নিত্যদিনের তরকারি বলা যায় ৷ সজনে পাতা কচু দিয়ে ছেকা কি যে স্বাদ সত্যি যা বলে বোঝানো সম্ভব না ৷
আপনার সজনে পাতার ভাজি রেসেপি টিও অনেক ভালো লাগলো ৷ পিয়াজ রসুন মরিচ দিয়ে কি সুন্দর ভাজি করেছেন ৷
ধন্যবাদ ভাই