প্রকৃতির চির চেনা রূপ- প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। যদিও শৈত্য প্রবাহের প্রভাবে সবাই কিছুটা বেশী সময় কম্বলের নিচে থাকছেন। কিভাবে বুঝলাম? ধুর এটা আবার বলে দিতে হয় নাকি? আমি নিজেও এই কাজটি করছি হা হা হা। আসলে শীত যত বেশী হবে কম্বলের নিচে থাকার সম্ভাবনা ততো বেশী হবে, আর যদি সেটা না হলে তাহলে বুঝতে হবে আপনি সত্যি লিজেন্ড, হা হা হা। শীতকালে হাসতেও বেশ কষ্ট হয়, ঠোঁটগুলো কেমন জানি আলগা হতে চায় না, না না না অন্য কিছুর ভয়ে না বরং ঠোঁট ফাঁটার কষ্টে। তাই হয়তো আপনাদেরও হাসতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে, আপনাদের ঠোঁটের জন্য আমার পক্ষ হতে শীতের কোমল সমবেদনা রইলো, হি হি হি।

না আজকে কোন ভাব গম্ভীর কিংবা কঠিন কথা বলবো না, বরং শীতের এই সুন্দর পরিবেশের সাথে প্রকৃতির চির চেনা কিছু দৃশ্য শেয়ার করবো, কিন্তু তার পূর্বে কিছু মিষ্টি কথা না বললে কি হয়? তাই শুরুতে একটু মজা করে নিলাম, যাদে আগ্রহের মাত্রাটা বেশি থাকে। আমাদের স্কুলে একটা শিক্ষক ছিলেন খুবই বুদ্ধি দীপ্ত শিক্ষক বলা হতো তাকে, কারন উনি বেশ সুন্দরভাবে ক্লাসের সময় পার করতেন, আমরা মাঝে মাঝে টেরই পেতাম। ঠিক আমার মতো করে প্রতিটি কথা কিংবা উপদেশের মাঝে মজার কিছু শব্দ থাকতো, যারা সেটা মিস করতো তারা অন্যের মুখের হাসির দিকে শুধুই তাকিয়ে থাকতে বাধ্য হতো। যার কারনে সবাই স্যারের কথাগুলোর প্রতি বেশ মনোযোগি হতেন যাতে কিছু মিস না করেন।

আমি জানি যারা আমার কনটেন্টগুলো ভালোবাসেন, তারা পুরো কনটেন্টটা পড়ার চেষ্টা করেন এবং কথার মজাগুলো ঠিক সুন্দরভাবে উপভোগ করেন। কিন্তু যারা ভালোবাসেন না, তাদের জন্য ভেতরে যতই মসলা রাখিনা কেন? তারা কোনদিনও পুরো লেখাটি পড়বেন না বা পড়ার চেষ্টা করবেন না। বরং তারা একটা কাজ খুবই সুন্দর ও দক্ষতার সাথে করবেন সেটা হলো ফটোগ্রাফির দৃশ্যগুলো দেখে একটা মন্তব্য করবেন, তারপর ভুত দেখার মতো দৌড় দিবেন। সত্যিই দৌড় দেয়, না হলে মাঝে মাঝে বেশ বানান ভুল করে এবং সেগুলো আর সংশোধন করে না। ঐ যে দৌড় দেয়ার ফলে পিছনে ফিরে তাকানোর আর সুযোগ পান না, তাই ভুলগুলো দেখেন না এবং সংশোধন করার চেষ্টা করেন না। আমি জানি এবং বুঝি এটাই সত্য, কারন অনেকের মন্তব্য পড়েই সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

অবশ্য পরামর্শ কিংবা গাইড লাইন তাদের জন্যই হয়ে থাকে, যারা কথা শুনে কিংবা গাইড লাইন অনুসরণ করেন। আর যারা শুনেন না তাদের বলে কোন লাভ নেই। আমাদের সমাজে একটা কথা বেশ প্রচলিত রয়েছে আর সেটা হলো ঘুমের মানুষকে জাগানো খুবই সহজ, জ্ঞানীকে জ্ঞান দেয়া খুবই সহজ কারন তিনি জ্ঞানের কদর বুঝেন কিন্তু জাগ্রত মানুষকে কখনো জাগানো সম্ভব না কারন তিনিতো ঘুমের ভান ধরে আছেন আর মূখ্যকে জ্ঞান দেয়া কিংবা পানি দেয়া দুটোই এক কথা, তার কাছে পানি কিংবা জ্ঞানের কোন মূল্যই নেই দুটোই সমান। আপনি দেখুন বাস্তবতা এটাই, যতই চেষ্টা করেন কোন লাভ হবে না বরং একটা সময় পর আপনি নিজে বিরক্ত হয়ে যাবেন।

এই দৃশ্যটা অবশ্য আমার বাংলা ব্লগের মডারেটরগণ খুব কাছ হতে দেখার সুযোগ পেয়ে থাকেন, কিছু সুন্দর মনের ইউজার মাঝে মাঝে আমাদের নিকট আসেন, আমরা যতই যত্নসহকারে তাদের ‍বুঝানোর কিংবা গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করি, তারা ঠিক ততোটা দক্ষতার সাথে আমাদেরকে হতাশ করেন আর মুচকি হাসেন আড়ালে গিয়ে, এটা ঠিক যেন উপরের কথাগুলোর প্রতিচ্ছবি। এই প্রতিচ্ছবিটা আমাদের প্রায় দেখতে হয়ে এবং সেটাকে নুন মরিচ ছাড়া হজমও করতে হয়। ঐ যে আপনাদের কাংখিত অবস্থা তৈরীর গুরু দায়িত্বটা আমরা নিয়েছি, যেমনটা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা দাদা শুরু হতেই করে যাচ্ছেন। যাইহোক, ভালো হোক আপনাদের সকলের, বুদ্ধির শুভোদয় ঘটুক আর আমাদের প্রচেষ্টায় সফলতা আসুক, এই কামনা রেখে আজ শেষ করলাম। আর আশা করছি আজকের দৃশ্যগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।