হৃদয়ের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিক- অনুভূতির ভিন্ন দিক
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি খুব ভালো আছেন সবাই, দোয়া করি সব সময় ভালো এবং সুস্থ্য থাকেন। আসলে আমাদের জীবনে আমরা চাইলেও সব সময় ভালো থাকতে পারি না, আমরা চাইলেও আমাদের ভালো মানসিকতা ধরে রাখতে পারি না । আসলে আমি মানুষটা সত্যি কখনো কোন কাজে শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারি নাই, কারন আমি নির্বোধ হতে পারি না, কারন আমি মানুষের খুব কাছে যেতে পারি না, কারন আমার ভালোবাসায় খুব বেশী খুত থাকে না, আমি একটু বেশী কাছে চলে যেতে চাই যার ফলাফলটা ভিন্নভাবে দারুণভাবে আঘাত করে হৃদয়ে। আসলে আমি চাইলেও সব সময় সব কথা বলতে পারি না, হৃদয়ের সব যন্ত্রণাগুলোকে বাহিরে আনতে পারি না, হয়তো আমার মাঝে সীমাবদ্ধতা বেশী, হয়তো আমার মাঝে ভুল কাজ করার প্রবণতা বেশী, হয়তো আমি সেভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারি না যেভাবে কাছের মানুষগুলো প্রত্যাশা করে!
মাঝে মাঝে মনে হয় আমার জীবনের অনেক কিছুই এই হয়তো কথার মাঝে আটকে ঝুলে যায়, মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনের প্রাপ্তিগুলো শূণ্যতায় হারিয়ে যায়, কারণ শেষ দৃশ্যটা কখনো আমার জন্য সুখকর থাকে না, আমি সেটাকে সুখকর করতে বা রাখতে পারি না। আমার জীবনের বড় ব্যর্থতা কি জানেন? আমি সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে পারি না, সুযোগগুলো আমার কাছে ভিন্নভাবে ধরা দেয়, আমি নিজের বিবেককে শেকলে বন্দি করতে পারি না, পারিনা নিজের সীমানার বাহিরে এসে সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে। আমার ব্যর্থতার সূত্রটা এখান হতেই ক্রিয়াশীল হতে শুরু করে, তারপর সুযোগের সাথে সাথে কাছের মানুষগুলোও একটা সময় পর আমার নিকট হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আমি ভাবলেশহীন হয়ে যাই, নিজেকে প্রশ্ন করার সাহস হারাই তারপর নির্জীব হৃদয়ে ব্যর্থতার আরো একটি চিত্র অংকন করি।
না না আমি মোটেও পেছনের দিকে ফিরে তাকাই না, ভাবনাগুলোকে ক্রিয়াশীল কিংবা বীজগণিতের সূত্র দিয়ে সেগুলোর ভিন্ন যোগফল উপস্থাপন করার চেষ্টা করি না, আমি জীবনের নিয়তিকে অবিশ্বাস করি না, করতেও চাই না, বরং ভাগ্যকে ভাগ্যের জায়গায় রেখে দিতে বেশী পছন্দ করি। জীবনের যন্ত্রণাদায়ক ফলাফলগুলোকে আপনভেবে কাছে রেখে দেয়ার চেষ্টা করি। হয়তো জীবনের শেষ মুহুর্তে মানুষগুলো ভুল সামনে আসতে পারে, হয়তো কাছের মানুষগুলোর বোধদয় নতুনভাবে জাগ্রত হতে পারে, সেই প্রত্যাশায় নিজের যন্ত্রণাগুলোর উপর ভেজা বালির আস্তর তৈরীর প্রচেষ্টা চালাই। আসলে মানুষের জীবনের একটা সাইড আমরা সর্বদা অবলোকন করি, তাদের উপরের খোলসটা দিয়ে বিবেচনা করার চেষ্টা করি এবং নিজেদের মতো করে আমরা একটা অবস্থান কল্পনার চেষ্টা করি। কিন্তু যে প্রশ্নটার উত্তর খোঁজার দরকার ছিলো সেটা হয়তো আমরা কখনো করি না বা করার চেষ্টা করি, কারণ আমরা অন্ধকারে প্রবেশ করতে ভয় পাই, অন্ধকার সরে গেলে ভিন্ন কিছুর দৃশ্য দেখার জন্য আগ্রহী হই না।
হয়তো আমার সমস্যা অনেক, আমার ব্যর্থতা অনেক, আমার যন্ত্রনা অনেক, হয়তো দিয়ে আরো অনেক কিছুই হয়তো এখানে প্রকাশ করা যেত কিন্তু খুব বেশী কৌতুহলের মাঝে আপনাদের ফেলতে চাই না, তাই সামনে আর যেতে চাচ্ছি না। আসলেই আমি যতটা চেষ্টা করি না কেন, কাছের মানুষগুলোর প্রতি যতটা দায়িত্বশীলতা দেখাতে চেষ্টা করি না কেন? তারা যতক্ষন পর্যন্ত সেখানে খুশি বা সন্তুষ্ট না থাকবে ততোক্ষন পর্যন্ত আমি তাদের কাছে ভালো হতে পারবো না, এটাই বাস্তবতা। না আমি বাস্তবতাকে কখনো অস্বীকার করার চেষ্টা করি নাই, বরং নিজের নিয়তিকে হাসি মুখে মেনে নিয়েছি। হয়তো সামনে এই রকম অস্বস্তিকর আরো একটা নিয়তি আমার জন্য অপেক্ষা করছে, হয়তো সামনে নতুনভাবে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার আরো একটা হাতছানি অপেক্ষা করছে, হয়তো নতুনভাবে নিজেকে আবার প্রস্তুত করতে হবে। এটাই জীবনের নিয়তি!
আসলে নিয়তির রেখাকে অতিক্রম করার যোগ্যতা বা সক্ষমতা আমাদের কারো নেই, হয়তো আমার মাঝে নেই। যার কারনে হয়তো কখনো আমি সেই চেষ্টাটা করি নাই, হয়তো নিজের দোষ কিংবা নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে নিয়ে পেছন হতে ফিরে এসেছি, হয়তো সত্যিটা কখনো প্রকাশ হোক সেটা আমি চাই নাই যার কারনে আমার অবস্থানে প্রাপ্তির হিসেবটা সব সময় গড়মিল থেকেই গেছে, নিজেকে নিজের কাছে দোষী সাব্যস্ত করার সুযোগে খুঁজে নিয়েছি। আমি জানি প্রতিটি মানুষ তার যোগ্যতা অনুযায়ী সব কিছু পায়, আমি এটাও জানি কিছু কিছু মানুষ তার যোগ্যতার বাহিরেও অনেক কিছু পায়, কিন্তু আমি কেন জানি বার বার তাদের মাঝখানে আটকে যাই, না যোগ্য না যোগ্যহীন, একটা গোলক ধাঁধায় আটকে যাই, হয়তো এটাই আমার জন্য নির্ধারিত ছিলো, হয়তো এটা নিয়েই আমাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
ভালো থাকবেন সবাই, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি নিজের হাসি মুখটাই সকলের সামনে রাখতে চেষ্টা করি সর্বদা, হৃদয়ের পেছনের অংশটুকু শুধুই নিজের বিচরণের জন্য সীমানা প্রাচীর দিয়ে আটকে রাখি। আসলে আমাদের চাহিদার কোন শেষ নেই, চাহিদার কোন সীমানা নেই, হয়তো আমার চাহিদার পরিবর্তন জরুরী, হয়তো নিজের নতুন একটা বিচরণ ক্ষেত্র জরুরী। প্রয়োজনে আমাদের বার বার সেই বিচরণক্ষেত্রগুলোর পরিবর্তন করতে হয় বা করতে বাধ্য হই।
আজকের হৃদয়টা শূণ্য মরুভূমি
আজকের আবেগটা নীরস অতি,
আজকের মনটা ভীষণ রুক্ষ
আজকের বিবেকটা অত্যন্ত বিক্ষিপ্ত।
আজকের আকাশটা ভীষণ মেঘলা
আজকের পরিবেশটা ভীষণ অন্ধকার
হৃদয়ের তৃষ্ণাগুলোর সজীবতা প্রয়োজন
ক্ষতগুলোর আস্ফালন থামানো প্রয়োজন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
সুখ দুঃখ মিলেয়েই মানুষের জীবন। আপনার পুরো পোস্ট পড়ে খুব খারাপ লাগলো৷ আপনার আক্ষেপের চিত্রগুলো লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমরা আপনাকে সব সময় হাসি মুখেই দেখতে চাই। যদিও সবার জীবনেই খারাপ সময় থাকে। তবে আমাদের এই খারাপ সময়গুলোকে ওভারকাম করে আসতে হবে। দোয়া করি আপনার ব্যক্তিগত জীবনের সব সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাক । কারণ আপনার হাসি মুখ সবাই অনেক পছন্দ করে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। ভালোবাসা নিয়েন ভাই।
সত্যিই আমাদের চাহিদার শেষ নেই।এই চাহিদাটা বদলানোও সম্ভব নয়।তবে আমরা চাইলে হয়তো আমাদের বদলাতে পারি।হাসি মুখের পেছনে থাকা কষ্টের জীবনটাও চাইলে বদলাতে পারি।কিন্তু এই চাওয়াটাকে পাওয়ায় পরিণতটা করাটা অসম্ভব প্রায়ের সমান।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
ভাই আপনারা আজকের পোস্টে একটা বিষন্নতার ভাব লক্ষ্য করলাম। মনে হচ্ছে কোন কিছু নিয়ে আপনি ভীষণ আপসেট। সুযোগের সদ্ব্যবহার করার ওপরেই যে সব সময় জীবনের সফলতা নির্ভর করে এমন কিন্তু নয়। জীবনের সফলতার প্রয়োজন আছে তবে তার জন্য নিজের স্বকীয়তা, নীতিবোধ বা আত্মসম্মান কে কখনো বিসর্জন দিতে নেই। ব্যক্তিজীবনে আপনাকে না চিনলেও আমার কাছে আপনি সদাহাস্যময় হাসিখুশি কৌতুক প্রিয় হাফিজ ভাই হিসেবেই পরিচিত। আপনার এই রুপটি আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। দুঃখী আর গম্ভীর প্রকৃতির হাফিজ ভাই আমরা চাই না। দোয়া রইল ভালো থাকবেন সবসময়।
ভাই আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আসলে অনেক কিছুই বুঝতে এবং শিখতে পারলাম। আসলে নিয়তির লেখা আমাদের পরিবর্তন করা কোন সাধ্য নেই। নিয়তি আমাদের ভাগ্যে যা লিখে রেখেছে সেটা হবেই। তবে আমাদের ভাগ্য রেখাকে পরিবর্তন করতে হলে সৎ এবং সততার সাথে জীবন গড়তে হবে। তাহলে নিয়তি হয়তো আমাদের ভাগ্য ভালো কিছু লিখে রাখবে। যাই হোক আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।আসলে অনেক কষ্ট এবং যন্ত্রণা নিয়ে আমাদের পথ চলতে হয়। আমরা নিজেদের কষ্ট গুলো নিজেদের মধ্যে রাখি। পরিবারের সকলকে জানিয়ে তারা কষ্ট পায় এটা আমরা কখনোই চাইনা। তাই অনেক সময় কষ্ট গুলো বুকের মধ্যে রেখেই জীবনের পথগুলো চলতে হয়।
ভাইয়া আপনি চরম একটি বাস্তবতা তুলে ধরেছেন আসলে আমাদের কখন কোন বিষয়গুলো সম্মুখীন হতে হয় তা আমরা জানিনা ।আমিও কোন কাজের পেছনে স্থিরভাবে লেগে রাখতে পারিনা। আমরা প্রতিনিয়ত ও আমাদের আপনজনদের খুশি রাখতে ব্যস্ত কখনো পারি কখন পারিনা ।আমরা যতক্ষণ তাদের খুশি রাখতে পারি ,তাদের সন্তুষ্ট রাখতে পারি ,ততক্ষণ তারা আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট কিন্তু আপনার সীমাবদ্ধতার কারণে যদি কখনো ব্যত্যয় ঘটে দেখবেন তাদের আসল রূপ ।আপনি সারা বছর কোন কিছু দিয়েছেন কিন্তু একটা সময় যদি কখনো দিতে না পারেন তাহলে আপনার ওই দেওয়ার বা পাশে থাকার কোনো মূল্য তারা দেবেনা ।মানুষের রূপ কেন এমন বদলায়? মানুষ কেন সব সময় নিজের স্বার্থটাই দেখে বলেন? আমাদের সবার মাঝেই কিছু কষ্ট , কিছু কিছু অনুশোচনা, দুঃখ লুকিয়ে থাকে যা আমরা কারো সাথে প্রবেশ করতে পারি না। হয়তো সামান্য কিছুই প্রকাশ করি কিন্তু অন্তরে থেকে যায় গভীর ক্ষত ।ক্ষত সারিয়ে দেওয়ার মতো আমরা কাউকে কখনো পায় না। সেই ক্ষত বুকের মাঝে লুকিয়ে রেখে আপনজনকে ভালো রাখায় ব্যস্ত থাকি আমরা।
অসাধারন লিখেছেন ভাইয়া। আসলে জীবনের বাস্তবতার কাছে আমরা সকলেই অসহায়। হাসিমুখে নিজেকে উপস্থাপন করতে আমরা পছন্দ করি। কিন্তু সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে হাজার যন্ত্রণা ও বেদনা। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি সবকিছু নিয়ে ভালো থাকার। প্রিয় মানুষগুলোকে নিয়ে ভালো থাকার। আমরা সব সময় নিজের যন্ত্রগুলোকে আড়াল করতে চাই। নিজের যন্ত্রণা গুলোকে হাসি মুখের আড়ালে লুকাতে চাই। নিজের যন্ত্রণাগুলো ভেজা বালির আস্তরনে আড়াল করতে চাই। আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। 💓💓💓
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
জীবনের প্রাপ্তি গুলো সঠিক সময়ে আসিলে অনেকে তার সঠিক ব্যবহার করতে পারেন না ।এর জন্য নিয়তির উপর নির্ভর করেন কিংবা পেয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারেন না কিংবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি থাকে ।আমার মনে হয় নানান কারণে জীবনের প্রাপ্তিগুলোকে আমরা নানান ভাবে বিশ্লেষণ করে থাকি ।তবে আমিও এই পর্যায়ে পড়ি সবসময়।
জীবন কখনো ই সহজ না, জীবনকে সহজ বানিয়ে নিতে হয়। কখনও দোয়া করে, কখনও সবর করে, কখনও মাফ করে, কখনোবা এড়িয়ে চলে।💗