হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকতে চাইলে সেটা কিন্তু হুট করেই সম্ভব হবে না, বরং ধৈর্যের সাথে অনেক কিছু মেনে নেয়ার মানসিকতা হবে এবং সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। কারন পারপাশের অনেক কিছু হয়তো আমাদের উত্তেজিত করে তুলবে এবং যার উত্তেজনা নিয়ে আমরা হয়তো ভুল কিছু করে ফেলবো। ফলশ্রুতিতে ভালো থাকাটা আরো বেশী দুস্কর ও কঠিন হয়ে যাবে। তাই ভালো থাকার জন্য ধৈর্যের মানসিকতা বড্ড বেশী প্রয়োজন আমাদের জন্য। যদি সেটা কাংখিত পর্যায়ে রাখতে পারি তাহলে কেবল ভালো থাকার সুযোগ তৈরী করতে পারবো।
প্রসঙ্গক্রমে আরো একটা কথা বলি, পরিবেশ এবং পরিস্থিতি হয়তো আপনার চারপাশের মানুষগুলোকে আপনার বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিবে এবং তারা নানাভাবে হয়তো আপনাকে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করবে। সেখানে আপনাকে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। কারণ অনেক কিছুই তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে সঠিক সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হয়, সঠিক সময়ের অপেক্ষা ছাড়া কিছু করতে গেলে সেটা বিপরীত হয়ে উঠতে পারে আরো। চুপ করে শুনা মানেই সবটা মেনে নেয়া না, প্রতিবাত না করার মানেই ভীত হয়ে যাওয়া না, আপনার চারপাশের মানুষগুলো যতই উস্কানি দিক না কেন, আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে সঠিক সময়ের, ধৈর্যের চরম পরীক্ষায় পাশ করতে হবে আপনাকে।
যাইহোক, বাস্তবতা হয়তো আমাদের সবটা শিখিয়ে দিবে এবং সময়ের সাথে সাথে আমাদের আরো বেশী বাস্তবমুখী হতে শেখাবে। তবে এখানেও ধৈর্যের সাথে সবটা উপলব্ধি করতে হবে, না হলে যেই লাউ সেই কদুই থেকে যাবে। মাঝ খানে আমাদের জীবনের কিছু মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। আজকে অবশ্য একটা কবিতা শেয়ার করবো, সেদিন ডিসকর্ডে দুষ্টমি করতে গিয়ে চারটি লাইন লিখেছিলাম, পরবর্তীতে সেটা নিয়ে পুনরায় কিছু লাইন যোগ করে একটা আস্ত কবিতা বানিয়ে ফেলি, হি হি হি। চলুন তাহলে কবিতাটি পড়ে দেখি-
কবিতা আমি বুঝি না
ছন্দ আমি খুঁজে পাই না,
তবুও কি সব লিখি
উলট পালট হাবিজাবি।
বৃষ্টিতে ভিজে শীতলতায় হারাই
আবোল তাবোল গল্প সাজাই,
হৃদয়ের অনুভূতি চঞ্চল হয়
ছন্দের মাঝে কল্পনা নিশ্চল রয়।
মেঘ দেখলে হৃদয় নাচে
অন্ধকারে চায় মন হারাতে,
ভীত হৃদয়ে উঠে কম্পন
বজ্রপাতের শব্দে বাড়ে স্পন্দন।
প্রকৃতির সজীবতা বাড়ায় স্পৃহা
কাউকে আপন করার কামনা,
সায় দেয়না হৃদয় তাকে ছুঁতে
আবেগের অনুভূতি থাকে আড়ালে।
অনুভূতির চঞ্চলতা থাকে অন্তরালে
বুঝাতে পারি না হৃদয়ের আবেগ,
যা ভাসে কল্পনার আকাশে
তবুও লিখি নিয়ে হৃদয়ের উদ্বেগ।
ভালোবাসার মানুষগুলো তবুও বলে
কথার সাথে দারুণ ছন্দ থাকে,
মুগ্ধতায় আমি তাইতো লিখি
হৃদয়ের মাঝে ভাসা সকল অনুভূতি।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আবোল তাবোল হাবিজাবি দিয়েও এতো সুন্দর কবিতা হয়, অবাক তো।আর ভাইয়া আপনার কথাগুলো জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। আমি খুবই ধৈর্যশীলা।ধৈর্য ধরে আমিও উপলব্ধি করি সঠিক সময়টা কখন,কিভাবে আসবে।ডিসকর্ডে দুষ্টমি করে লেখা চার লাইন আজ ধৈর্য ধরে লিখে একটি কবিতা। দারুন আপনার উপলব্ধি। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর এই কবিতাটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু, আসলেই এটাই আমাদের জীবন, প্রতিটি পদক্ষেপ বেশ ধৈর্যের সাথে নিতে হয়।
আসলে ভাইয়া বাস্তব জীবনে আমরা এমন সব মানুষদের সাথে চলি যে তাদের কিছু কিছু কথার প্রতি উত্তর ইচ্ছে করে সাথে সাথেই দিয়ে দেই। কিন্তু ওই যে ধৈর্যের পরীক্ষা ধরা সেটা ভেবেই আবার চুপ হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে সেটা মেনে নেয়া না। ভাইয়া আসলে যারা কবি তারা আবোল তাবোল লিখলেও কবিতা হয়ে যায়। কারণ তাদের মনের মাঝে আবোল তাবোল নয় বরং কবিতার ছন্দ গুলোই খেলা করে। তাইতো আপনি চার লাইন কবিতা থেকে এত বড় কবিতা লিখে ফেলেছেন।
হুট করে হয়তো অনেক কিছুরই উত্তর দেয়া সম্ভব কিন্তু সেখানে ধৈর্য্য ধরতে পারাটা বেশ কষ্টকর, আর এই ক্ষেত্রে চুপ থাকাটা সর্বোচ্চ ফল এনে দেয় পরবর্তীতে। ধন্যবাদ
আসলে এটা কিন্তু সত্যি পরিবেশ এবং পরিস্থিতি আমাদেরকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যায়, আর তখন আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো আমাদের সম্পর্কে অনেক কথা বলে। আর তখন আমাদের ধৈর্য ধরে থাকা উচিত এবং সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। সঠিক সময় আসলে সবকিছুই ঠিক হবে। ডিসকোর্ডে দুষ্টামি করতে গিয়ে এই কবিতাটির চার লাইন লিখেছিলে। এখন এই কবিতাটি কে সম্পূর্ণভাবে লিখেছেন আরো বেশ কয়েকটা লাইন দিয়ে এটা দেখে ভালো লেগেছে। অনেক ভালো লেগেছে কবিতাটা পড়তে।
মাঝে মাঝে আমরা পরিস্থিতির কাছে খুব বেশী অসহায় হয়ে পড়ি এবং নিরুপায় হয়ে সবটা নিরবভাবে সহ্য করে যাই। অনেক ধন্যবাদ।
আসলে বাস্তবতা আমাদেরকে অনেক কিছুই শিখিয়ে দিয়ে যায়। আমরা ভবিষ্যতে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব, বাস্তবতার তখন আমাদেরকে আরো অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যাবে। আসলে বেশিরভাগ মানুষ আমাদের সম্পর্কে অনেক কথা বলে, আর এটা কিন্তু ঠিক তাদের এই কথাগুলোর দিকে কান না দেওয়া ভালো। তবে যাই বলি না কেন ভাইয়া, আপনার লেখা কবিতা গুলো পড়লে মনটা একেবারে ভরে যায় আমার। তেমনি আজকের কবিতাটিও অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
হুম, কিন্তু বাস্তবতা হলো আমরা সেই সকল মানুষদের ভিন্ন রকম কথা আমাদের দারুণভাবে প্রভাবিত করে এবং মাঝে মাঝে খুব বেশী নিরুপায় হয়ে যাই। ধন্যবাদ