অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-২৭)steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। যদিও মানসিকভাবে আমরা সবাই এই মুহুর্তে কিছুটা ভিন্ন রকম অস্থিরতার মাঝে রয়েছি। কারন রাজনৈতিক পরিস্থিতি যতক্ষন পর্যন্ত স্বাভাবিক না হবে ততক্ষন পর্যন্ত এই অস্থিরতা দূর হবে না। আসলে বাস্তবিক অর্থে অনেক গুলো সমস্যা এই মুহুর্তে আমাদের বেশ আতংকগ্রস্থ করে তুলছে কিংবা আতংক হতে বাধ্য করছে। যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় অফিসে যাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই কিন্তু তবুও জীবনের তাগিয়ে যেতে হচ্ছে অনেকটা রিস্ক নিয়ে। আমরা সাধারণ মানুষ এই মুহুর্তে খুবই রিস্কের সাথে শহরের মাঝে যাতায়াত করছি, সব সময় একটা ভয়ের মাঝে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। তবুও আমাদের প্রত্যাশা সব কিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

IMG_20230326_181439.jpg

IMG_20230326_181318.jpg

IMG_20230326_181322.jpg

আজকে অবশ্য কলকাতা ভ্রমণের ২৭তম পর্ব শেয়ার করবো। আগের পর্বে শেয়ার করেছিলাম হাওড়া ঘাট হতে টিকেট কাটার মুহুর্তটি। আজকে তার পরের দৃশ্যগুলো শেয়ার করবো। তার সাথে সাথে মজার একটা ষ্ট্রিটফুড খাওয়ার অনুভূতি। আসলে টিকেট কাটার পর আমাদের আর তর সইছিলো না, তাই আমরা দ্রুত ভেতরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করি। ঘাটে এসে দেখি বেশ মানুষের উপস্থিতি, সবাই আমাদের মতো নদীর মাঝ হতে পুরো হাওয়া ব্রীজের দৃশ্য উপভোগ করতে ইচ্ছুক। সত্যি সেখানে এতো মানুষের উপস্থিতি দেখে দারুণ একটা উত্তেজনা অনুভব করতেছিলাম আমরা।

IMG_20230326_181648.jpg

IMG_20230326_181732.jpg

IMG_20230326_181736.jpg

মনে হচ্ছিল সময় যেন ফুরাতে চাইছে না। ফেয়ারলিঘাট হতে লঞ্চ আসবে এবং তারপর সেটাতে করে আমরা যাবো। সুতরাং সেই লঞ্চটি না আসা পর্যন্ত আমাদের এখানে অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমাদের কাছে অপেক্ষা মনে হয় নাই, দারুণ একটা পরিবেশ ভিন্নভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম। আশে পাশের মানুষগুলো দেখছি, তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঢেউ দেখছি। তারপর এদিক সেদিক ফিরে কিছু দৃশ্যগুলো ক্যাপচার করার চেষ্টা করছি। নদীর ওপাশের লাইটগুলো বেশ দারুণভাবে আকৃষ্ট করতেছিলো। তারপর নদীর বুকে অন্য দিক হতে আসা লঞ্চগুলোর লাইটিং দারুণ লাগছিলো দেখতে।

IMG_20230326_181958.jpg

IMG_20230326_182001.jpg

IMG_20230326_182012.jpg

এর মাঝেই কিংপ্রস ভাই ঘটি গরম খাওয়ার বিষয়টি বললে আমরা সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম। কারন সন্ধ্যার পর এই খাবারটি দারুণ লাগে। আমার কাছে এটা বেশ পরিচিত এবং স্বাদের একটা খাবার। নারায়ণগঞ্জে যখন ছিলাম তখন বেশ খেতাম এটা, যদিও এখন খুব একটা দেখি না। তাই ঘটি গরম খাওয়ার ব্যাপারে আমরা আগ্রহটা বেশ ছিলো। আমরা সবাই একে একে বেশ আনন্দ দিয়ে স্বাদটা উপভোগ করলাম। হালকা ঠান্ডা বাতাসের সাথে এই রকম গরম কিছুর স্বাদ সত্যি দারুণ একটা অনুভূতি তৈরী করেছিলো।

IMG_20230326_181512.jpg

আমরা যখন ঘটি গরম খাওয়ায় ব্যস্ত তখন একটা লঞ্চ দারুণ সাউন্ড বাজিয়ে ছুটে চলছিলো। সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করে আমরা সেই দৃশ্য ক্যাপচার করার চেষ্টা করলাম। গাঢ় অন্ধকার তার মাঝে লাইটিংসহ কিছু একটা ছুটে যাচ্ছে, দারুণ একটা মুহুর্ত তৈরী করেছিলো এটা। গরম গরম কিছু খাওয়ার সাথে এই একম একটা মুহুর্ত সত্যি অনুভূতিকে আরো বেশী চঞ্চল করে দিয়েছিলো।

তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ হাওড়া ব্রিজ, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

ভাই আপনার পোস্ট পড়ার সময় আমার মনে হচ্ছিল, আমিও আপনাদের সাথে আছি। কারণ এতো মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ছিলাম এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম যে, একেবারে পোস্টের মধ্যে ঢুকে পরেছি। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতেও খারাপ লাগবে না। ভাই আমাদের নারায়ণগঞ্জে ঘটি গরম চানাচুর একসময় প্রচুর পাওয়া যেতো। এখন অবশ্য চোখে পড়ে না। অনেকদিন পর তাহলে ঘটি গরম চানাচুর খেয়ে বেশ ভালোই মজা পেলেন। যাইহোক পরবর্তী পর্বে তাহলে লঞ্চে চড়ে, নদীর মাঝখান থেকে হাওড়া ব্রীজ দেখার অনুভূতি জানতে পারবো আপনার কাছ থেকে। সেই অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আজ কলকাতা -২৭ পর্ব শেয়ার করলেন ভাইয়া।এর আগের পর্বে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাওড়া ব্রিজে।লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। যা চমৎকার লাগলো। এরপর ঘটি গরম এলো।এই খাবারটার সাথে আমিও বেশ পরিচিত।আমার শ্বশুরবাড়ি গেলে সন্ধ্যায় আগে দেখতাম রঙ চঙ ড্রেস পরে ঘটি গরম ঘটি গরম বলে ডাকতো।যাই হোক এর পরে লঞ্চে বসে হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্য আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাবো আশাকরি।অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 59218.43
ETH 2534.91
USDT 1.00
SBD 2.44