"বৃষ্টির দিনে রঙিন পাঁপড় ভাজা রেসিপি"

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।আজ আমি একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।আশা করি রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।

রথযাত্রার দিনে রঙিন পাঁপড় ভাজা রেসিপি:

IMG_20240710_121418.jpg

বন্ধুরা,চলছে বর্ষাকাল।আর এই বর্ষাকালে বৃষ্টি হলেও কিন্তু গরম কমছে না।তবুও যখনই ঝুমঝুম আওয়াজ করে কিংবা টিপটিপ আওয়াজ করে বৃষ্টির ফোঁটা ঘরের চালে পড়ে তখন মন আনন্দে নেচে ওঠে।আর শুধুই খেতে মন চায়,বিশেষ করে ভাজা-পোড়া জাতীয় জিনিসগুলো।তার উপরে আবার দুইদিন আগেই চলে গেল রথযাত্রা, আর সেদিন পাঁপড় ভাজা না খেলে কি চলে বন্ধুরা।তাই আজ সেই রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েই গেলাম আপনাদের মাঝে।আসলে কিছুদিন আগে যখন বারাসাতে গিয়েছিলাম তখন শেওরাফুলি বাজারে রং-বেরঙের অনেক খাবার জিনিস একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছিলো।প্রত্যেকটি প্যাকেটের দাম 10 টাকা করে।তাই আমিও কয়েক প্যাকেট পাস্তা ও রঙিন পাঁপড় কিনে নিয়েছিলাম।কিন্তু পাঁপড়গুলি ভাজা করা আর হয়ে ওঠে না।

পাঁপড় খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।প্রায় সময় মেলায় গেলে বড় সাইজের পাঁপড় আর ট্রেন থেকে ছোটবেলায় আঙুলে ঢুকিয়ে যে পাঁপড়গুলি ভয় দেখানো হতো সেই পাঁপড় খাওয়া পড়ে। তাই আজ শেয়ার করলাম "রঙিন পাঁপড় ভাজা রেসিপি"।এই রেসিপিটি তৈরির পর দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো, খেতেও তেমনি মুচমুচে ও মজার হয়েছিলো।এগুলো তৈরি করতে যদিও সময় কম লাগে তবে অনুভূতিটা কিন্তু দারুণ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----

IMG_20240710_121356.jpg

উপকরণসমূহ:

1.রঙিন পাঁপড়- 1প্যাকেট
2.সাদা তেল- 1/2 বাটি

IMG_20240710_112916.jpg

IMG_20240710_112936.jpg

প্রস্তুত-প্রণালী:

ধাপঃ 1

IMG_20240710_113030.jpg
প্রথমে আমি প্যাকেট থেকে রঙিন পাঁপড়গুলি বের করে নিলাম একটি প্লেটে।

ধাপঃ 2

IMG_20240710_113045.jpg
এরপর চুলায় মিডিয়াম আঁচে একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম।কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে দিলাম।

ধাপঃ 3

IMG_20240710_113101.jpg
এবারে সাদা তেল হালকা গরম হয়ে এলে তার মধ্যে রঙিন পাঁপড়গুলি দিয়ে দিলাম।এগুলো আমি দুইবার ধরে ভেজে নেব।

ধাপঃ 4

IMG_20240710_113115.jpg
এখন একটি ছাঁকনির সাহায্যে অনবরত নেড়েচেড়ে ভেজে নেব।

ধাপঃ 5

IMG_20240710_113126.jpg
এরপর পাঁপড়গুলি ফুলতে শুরু করবে ধীরে ধীরে।

ধাপঃ 6

IMG_20240710_113137.jpg
এবারে পাঁপড়গুলি কালো কিংবা বাদামি রঙের হওয়ার আগেই ছাঁকনি দিয়ে তুলে নিতে হবে।

শেষ ধাপঃ

IMG_20240710_113150.jpg
সবশেষে তেল ঝরিয়ে একটি পাত্রে ভেজে নেওয়া পাঁপড়গুলি নিয়ে নিলাম।

পরিবেশন:

IMG_20240710_113206.jpg

IMG_20240710_113255.jpg

IMG_20240710_121356.jpg
এখন এটি গরম গরম মুচমুচে অবস্থায় পরিবেশন করতে হবে।এটি চাইলে ডাল-ভাত কিংবা যেকোনো আচার দিয়েও পরিবেশন করা যায়।আমি অবশ্য আচার দিয়ে পরিবেশন করেছিলাম,যেটা খেতে ভারী টেস্টি লেগেছিলো।।


আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 days ago 

এই কালারফুল পাপড় ভাজা খেতে সত্যি ভালো লাগে। আপনারা রথযাত্রার দিন এই মজার খাবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। বৃষ্টির দিনে এই ধরনের খাবার খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।

 3 days ago 

রথযাত্রার দিনে অনেক বাচ্চারা রথ টেনে বাড়িতে এসে আবদার করে পাঁপড় খাওয়ার জন্য।তাই আজ আমি ও খেলাম,ধন্যবাদ আপু।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 days ago 

Thanks.

 6 days ago 

বৃষ্টির দিনে গরম গরম মচমচে পাঁপড় খেতে খুবই ভালো লাগে। এই রঙিন পাঁপড় আমিও অনেক কয়েকবার খেয়েছি।আপনি দারুণ ভাবে পুরো রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 6 days ago 

রঙিন পাঁপড় আপনিও খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।

এই পাপড় খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে যদি হয় বৃষ্টি দিনে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। যদি ম্যাগি মসলা দিয়ে এই পাপড় খাওয়া যায় তাহলে অনেক মজা লাগে খেতে। আপনার পাপড় ভাজার রেসিপিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে প্রতিটি ধাপ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।।

 6 days ago 

সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য,ধন্যবাদ ভাইয়া।

 6 days ago 

বৃষ্টি ভেজা দিনে এই ধরনের খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আর এই খাবারগুলো আমিও অনেক পছন্দ করি। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 6 days ago 

আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 days ago 

সত্যি কথা বলতে বৃষ্টির দিন আসলে মনটা শুধু খাবো কি খাব কি খাব করে। এমন টিপ টিপি বৃষ্টি হলে তো আমি সবসময়ই ঝালমুড়ি নুডুলস রান্না পাঁপড় ভাজা খেয়ে থাকি। আসলে পাঁপড় ভাজা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার রঙিন পাঁপড় ভাজা গুলো দেখতেও আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগছে। ভালো লাগলে এমন সুন্দর পাঁপড় ভাজা দেখে।

 6 days ago 

অনুভূতিগুলি দারুণ ছিল আপু,ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 6 days ago 

বৃষ্টির দিনে মচমচে কিছু খেতে আমাদের খুবই ভালো লাগে।বিশেষ করে পাপর ভাজি তো খুবই দারুন।অনেক দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ।

 6 days ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও।

 6 days ago 

আমরা এগুলোকে রঙিন চিপস বলি। যাই হোক বৃষ্টির দিনে এই পাপড় ভাজা খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে বেশি করে কিনে রেখে দেই। আমার ছেলে এগুলো খেতে খুবই পছন্দ করে। বিকালের নাস্তা হিসেবে এগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন কালারের হয় বলে দেখতে খুব সুন্দর দেখায়। বিশেষ করে তেলে দিলে যখন ফুলে বড় বড় হয়ে যায় তখন বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ দিদি মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

আপনারা একে চিপস বলেন জেনে ভালো লাগলো।আর আপনার ছেলের খুবই পছন্দের রঙ্গিন পাঁপড় এটা শুনেও ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।

 6 days ago 

বৃষ্টির দিনে যখন প্রচুর পরিমাণ বৃদ্ধি হয় তখন ভাজাপোড়া কিছু খেতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে শিমের বিচি আর ছোলা ভাজা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি তো রঙ্গিন পাপন ভাজা তৈরি করলেন। এই পাপন গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে অঝোর বৃষ্টির দিনে বেশি ভালো লাগে খেতে। অনেক ভালো লাগলো পাপন ভাজা খেয়ে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করলেন আপনি।

 3 days ago 

আপু,শিমের বিচি, কুমড়ো বিচি,বরবটি বিচি,পেঁয়াজু এবং ছোলা ভাজি এগুলোও প্রায় খাওয়া হয় আমাদের বৃষ্টির দিনে।আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 days ago 

বৃষ্টির দিনে এই পাঁপড় ভাজা খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।ছোটবেলায় আপনার মত আমিও আঙ্গুলের ভিতরে এই পাপড় গুলো ঢুকিয়ে দিয়ে খেতাম।এই পাপড় ভাজা গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে।দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।

 3 days ago 

আমি তো শৈশবের মতো করে এখনো খাই সেই পাপরগুলি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে ও।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 64854.61
ETH 3478.75
USDT 1.00
SBD 2.52