Diy-শৈশবের স্মৃতিচারণে: "ঝাউগাছ দিয়ে বেলুন উড়ানো"
নমস্কার
Diy-শৈশবের স্মৃতিচারণে: "ঝাউগাছ দিয়ে বেলুন উড়ানো"
আমরা সবাই ফিরে পেতে চাই আমাদের শৈশবের কিছু সুন্দর মুহূর্তগুলিকে।কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন স্মৃতি হয়ে যায় যেটি খুবই মজার আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই শৈশবে।সুতরাং সেই মুহূর্তগুলি জীবনের মজার খন্ডচিত্রে লিখিত হয়।যেন স্মৃতিগুলো আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে আছে।তাই শৈশবে আমাদের জীবনের সঙ্গে যুক্ত সেই মজার খন্ডচিত্র শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।ঝাউগাছ কিন্তু অনেক উপকারী একটি ভেষজ উদ্ভিদ।কোনো ক্ষত কিংবা কাটা স্থানে এই গাছের আঠা লাগালে তা দ্রুত সেরে যায়।ছোটবেলায় ঝাউগাছের আঠা দিয়েই আমরা বেলুন ফুলিয়ে উড়াতাম। যদিও সেই ফুলানো বেলুন দীর্ঘসময় থাকে না এবং সেই মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করা খুবই কষ্টকর।তবুও দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর সামান্য পেরেছি তুলে ধরার। আশা করি আপনাদের কাছেও বেশ ভালো লাগবে diy টি।যাইহোক তো চলুন দেখে নেওয়া যাক---
■উপকরণ:
■পদ্ধতিসমূহ:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি ঝাউগাছের থেকে লম্বা ডাটিযুক্ত ফুল ছিড়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর ফুলের ডাটি থেকে ফুল ও ফল ছিড়ে ফেলে দিলাম।
ধাপঃ 3
এবারে পরিষ্কার ডাটির সরু মাথায় একটি গিট দিয়ে দেব।
ধাপঃ 4
এখন ঝাউগাছের মোটা ডাল ভেঙে আঠা বের করে নেব।
ধাপঃ 5
এরপর সেই আঠার পুরু স্তর গিট দেওয়া ফুলের ডাটির মধ্যে ভরাট করে দেব।
ধাপঃ 6
তারপর মুখ দিয়ে হালকা ফু দিলেই আঠা থেকে কয়েকটি বেলুন হাওয়ায় উড়ে গিয়ে মিশে যাবে। আপনাদের বোঝানোর সুবিধার্থে কালো রঙের মার্ক করে উড়ে যাওয়া বেলুনটি দেখিয়ে দিলাম।
শেষ ধাপঃ
এই মুহূর্তটি অনেক আনন্দের।চাইলে আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | Diy-শৈশবের স্মৃতিচারণে: "ঝাউগাছ দিয়ে বেলুন উড়ানো" |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks..
আমরা ছোটবেলায় কোথাও কেটে গেলে এই ঝাউ গাছের রস লাগাতাম তবে এই ঝাউগাছ দিয়ে কখনো বাবল বানিয়ে উড়ানো হয়নি। তবে আমাদের এখানে অন্য একটা বন্য গাছ পাওয়া যেত যেটা দিয়ে আমরা বাবল বানিয়ে ওরাতাম। দেখি যদি কোনদিন সুযোগ হয় তাহলে এই ঝাউগাছের রস দিয়েও ট্রাই করে দেখব। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে অতীতের স্মৃতিচারণ নিয়ে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন ভাইয়া, এটা আনন্দের একটি মুহূর্ত হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।।
এই গাছটি দেখেছি কিন্তু এভাবে বাবর বানায়ে ওড়ানো যায় তা জানা ছিল না। তবে নতুন একটি জিনিস আপনার মাধ্যমে শিখতে পারলাম।আমিএটা বাসায় ট্রাই করবো বাচ্চারা অনেক আনন্দ পাবে খেলতে।ঝাউগাছ বাবর বানিয়ে উড়ানো খেলনাটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। অতীতের স্মৃতিচারণ নিয়ে বেশ দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
অবশ্যই এটা আপনার বাচ্চাদের খুশি দেবে আপু, ধন্যবাদ আপনাকে ও।
বাহ আজকে দারুন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। আমরাও এই ঝাউ গাছের কস দিয়ে এভাবে বেলুন উড়ানোর যে আনন্দটা ছোটবেলা অনেকবার করা হয়েছে। সেই স্মৃতি বিজড়িত দিনের কথা মনে পড়ে গেল। দুবলার ঘাস পেচিয়ে ঝাউ গাছের কস লাগিয়ে এভাবে বেলুন উড়াইতাম ভালো লাগলো। সেই সোনালী দিনগুলো খুবই মিস করি আপু । তারই স্মৃতি বিশেষ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট দেখে আমি শৈশবে ফিরে গেলাম।ঝাউগাছ দিয়ে বেলুন উড়ানো আমি প্রচুর পরিমাণে করেছি। আমি এই কাজটি করতাম তার দিয়ে যা আপনি করেছেন ডাল দিয়ে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করলেন এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ঝাউ গাছের আঠা কেটে গেলে বা ঝাউ গাছের পাতার রস দিলে ক্ষতস্থান খুব জলদি ভালো হয়। ঝাউ গাছ কিন্তু আমাদের খুব পরিচিত একটি গাছ। যদিও কখনো আমি ঝাউ গাছের আঠা দিয়ে বেলুন ফুলিয়ে নাই। একদিন চেষ্টা করে দেখার দরকার ছিল। তবে খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি। আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সুন্দর পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এই ধরনের কাজ ছোটবেলায় আমরা অনেক করেছি । আপনার এই বেলুন উড়ানোর মুহূর্ত গুলো পড়ে ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল খুব সুন্দর ছিল সেই ছোটবেলা। যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার ছোটবেলার স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।