"আজ সকালে ঘটে গেল একটি বীভৎস ঘটনা"
নমস্কার
আজ সকালে ঘটে গেল একটি বীভৎস ঘটনা:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি অনুভূতি নিয়ে।যেটা হয়তো সচরাচর ঘটে আবার সচরাচর ঘটে না।মানুষের জীবন কতটা স্বল্প এবং অনিশ্চিত তা বলা মুশকিল।এই অনিশ্চয়তা মাখা জীবনে আমরা ছুটতে গিয়েকত আশা করি, কত স্বপ্ন দেখি তা হয়তো বলা কঠিন হয়ে যাবে।যাইহোক এই ঘটনা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে নাকি খারাপ লাগবে সেটা আপনাদের উপরই সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল।তো চলুন শুরু করা যাক---
এখন নিশ্চয়ই আপনারা ভাবছেন কি ঘটনা ঘটেছে।হ্যাঁ, ঘটনা তো ঘটেছে তবে আমার সঙ্গে নয়।কিন্তু যে পরিবারের সঙ্গে এটা হয়েছে সেই পরিবারের অবস্থা কেমন সেটাই চিন্তা করার।সবসময়ের মতো আমি আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে 7 টার বাস ধরলাম টিউশন পড়তে যাবো বলে।আর টিউশন পড়ার এটাই লাস্ট দিন ছিল ।যদিও আমাদের 26 তারিখ থেকে এক্সাম হওয়ার সম্ভাব্য ডেট ছিল কিন্তু বর্ধমান ইউনিভার্সিটির সমস্যা থাকার জন্য এক্সাম কয়েকটি দিন পিছিয়ে দিয়েছে।যাইহোক বাস ধরে চলে গেলাম আমাদের পালসিট স্টেশনে, তারপর ট্রেনের টিকিট কেটে 7.13 এর ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করলাম।
আজকের ট্রেনটি সঠিক সময়ে এসেছিল,অন্যদিনগুলো প্রচুর দেরি করে।বর্ধমানে যাওয়ার মেন লোকাল ট্রেনটি সঠিক সময়ে আসলেও বারেবারে থামছিল কিছু সময় পর পর।গরমে আমার শরীরটা ভালো লাগছিলো।কেমন যেন মাথা ভার করে চাপ ধরে ব্যথা অনুভব করছিলাম সঙ্গে কেমন বমি বমি ভাব।তাই কোনরকমে লক্ষ্মী মেয়ের মতো চুপচাপ বসে বসে কয়েকটি কমেন্ট করে বসে রইলাম।উল্টো দিক থেকে গাড়ি আসছিলো তাই এই বারেবারে থামানো।এভাবে আমরা ল্যাংচা বিখ্যাত শক্তিগড় স্টেশন পেরিয়ে গেলুম। কিন্তু মুশকিল বাঁধলো গাংপুর ও শক্তিগড়ের মাঝামাঝি জায়গায়।অর্থাৎ ট্রেন লাইনের মাঝ দিয়ে দুই সাইডের মানুষের আনাগোনা এমন জায়গায়।এই জায়গার পাশে একটি মন্দির রয়েছে সেভাবেই চিনি ওইখানটি।
হঠাৎ ওখানে ট্রেনটি দ্বার করিয়ে দিলো।রাস্তার দুইপাশেই মানুষের জড়ো দেখলাম।একপাশে পুলিশকে দেখলাম।আমাদের কামরার অনেক মহিলা ঝুকে দেখতে লাগলো ট্রেনের নীচে,এপাশ-ওপাশ।আমি অবশ্য উঠে গিয়ে দেখিনি বীভৎস ঘটনাটি।তবে তাদের মুখ থেকে শুনলাম, একটি ছেলে ট্রেনের তলায় কাটা পড়েছে।রক্তের স্রোত বইয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মাংস পিসে গেছে অনেকখানি।সম্ভবত তখন ছেলেটি রেল লাইনের মাঝ দিয়ে যাতায়াত করা রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছিলো।কিন্তু হঠাৎ করেই কর্ড লাইনের গাড়ি এসে পড়েছিল।দুই খন্ড শরীরের কথা শুনেই আমার গা শিউরে উঠছিলো।
মানুষের জীবন স্বল্প।আমি ভাবছি,কতই বা বয়স হবে ছেলেটির,তার মা-বাবা এবং পরিবারের কথা ভাবতেই কেমন মনে একটা দুঃখের অনুভূতি কাজ করছে।ঈশ্বর তার আত্মার শান্তি দিক সেটাই কামনা করি।।উপরের ছবিগুলো আপনাদের বোঝার সুবিধার্তে দেওয়া হয়েছে আমাদের স্টেশনের।এমন রেল লাইনের মাঝ দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে সেটাই বোঝানোর জন্য ছবিটি দেওয়া।সবশেষে আমি স্টেশনে নেমে 2 কিলোমিটার মতো হেঁটে চলে গেলুম স্যারের বাড়ি।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks..
সত্যিই আপু ঘটনাটি অনেক মর্মান্তিক। আপনার পোস্টটি যখন পড়ছিলাম তখন আমার গা শিউরে উঠেছে। আসলে আমাদের খুব সাবধানতার সাথে ডানে বামে সবদিকে খেয়াল করে চলাফেরা করা উচিত।আপু আপনিও সাবধানে চলাফেরা করবেন। সত্যিই মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী।সৃষ্টিকর্তা ছেলেটাকে যেন ওপারে ভালো রাখে এই দোয়াই করি।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ে সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
অতিরিক্ত গরমে আমারও আপনার মতো শরীর গোলায় ও বমি বমি লাগে।আজকে যে ঘটনাটি ভাগ করে নিয়েছেন তা ভীষণ মর্মান্তিক ঘটনা দিদি।আসলে এতো কম বয়সে এরকম দূর্ঘটনায় জীবন হারালো মা,বাবার কি অবস্থা হয়েছে সেটাই ভাবছি শুধু।বাংলাদেশও অনেকেই সুইসাইডের জন্য রেললাইনকেই বেঁছে নেয়।তবে ছেলেটি রাস্তা পার হতে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে জীবন হারালো জেনে খারাপ লাগছে।ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দিদি,এটা শুধু বাংলাদেশের ঘটনা নয় আমাদের ভারতেও এমন ঘটনা ঘটে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে কখন কার মৃত্যু কিভাবে হয় কেউ জানে না। তবে রেললাইন পারাপারের মুহূর্তটা খুবই সাবধানতার সাথে অবলম্বন করতে হবে। কারণ এভাবেই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষ। রায় রেল লাইনে মানুষ কাটা পড়ে এমন কথা শোনা যায়। তবে যাই হোক এ সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে নিজেদের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। কারণ দুর্ঘটনা ঘটতে সময় লাগে না।
একেবারেই ঠিক বলেছেন ভাইয়া, সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।ধন্যবাদ আপনাকে।