"অবশেষে স্বস্তিদায়ক বৃষ্টির দেখা পেলুম"
নমস্কার
অবশেষে স্বস্তিদায়ক বৃষ্টির দেখা পেলুম :
বন্ধুরা,গরমকাল মানেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি।এমনিতেই এখন আবহাওয়ার কোনো ঠিক নেই।ঋতুগুলি আগের মতো ধারাবাহিকতায় পরিবর্তিত হয় না।ছয়টি ঋতুর পরিবর্তে এখন তিনটি ঋতুর সন্ধান পাওয়া যায়।অতিরিক্ত গরম,বর্ষা কিংবা শীতের দেখা মেলে।অর্থাৎ গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকাল মিললেও বাকি শরৎ, হেমন্ত কিংবা বসন্তের ছোয়া খুবই কম পাওয়া যায়।শুধুমাত্র মা দুর্গা দেবীর আগমনে শরৎকে খুঁজে পাই আর হোলি উৎসবের রং মাখামাখির ছোঁয়ায় বসন্তকে খুঁজে পাই আমরা একটুখানি।
সময়গুলো অতিবাহিত হচ্ছে মানুষের আকুতি-মিনতি দিয়ে।আগের ধারাবাহিকতায় ঋতুগুলি পরিবর্তন হয় না, সেজন্যে অবশ্য মানুষেরাই দায়ী।বৈশাখ মাস শেষ হতে চললো তবুও কালবৈশাখী ঝড়ের দেখা নেই।সেই মামার বাড়ি আম কুড়ানোর ঘটনা এখন একটা গল্পের মতো হয়ে গেছে।
কালবৈশাখী ঝড়ের দেখা পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে যেখানে আগে দুইদিন পর পর কালবৈশাখী ঝড়ের দেখা পাওয়া যেত।আর এ বছর বৈশাখ মাঝে কালবৈশাখী ঝড়ের কোনো দেখায় পাওয়া যাচ্ছিলো না।তীব্র গরমে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল মানুষ,প্রকৃতি কিংবা পরিবেশে।ছোট ছোট জীবজন্তুরাও গরমে ছটফট করে বেরিয়ে পড়ছিল যেখানে-সেখানে।সবাই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছিলো যে,কবে বৃষ্টি হবে!অবশেষে সেই প্রার্থনা পূরণ হয়ে গেল গতকাল রাতে।তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে দেখা মিললো কালবৈশাখী ঝড় এবং বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত।
তাপপ্রবাহ এখন অতীত।যেখানে মানুষ এক মিনিট ফ্যান কিংবা এসির হাওয়া ছাড়া থাকতে পারছিলো না সেখানে গতকাল রাতে আমাদের কম্বলের সাহায্য নিতে হয়েছে ভাবুন।প্রকৃতি খুঁজে পেয়েছে সতেজতা,রোদ্দুরে খাঁ খাঁ করা মাঠ পেয়েছে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া আর আমরা পেয়েছি স্বস্তিদায়ক বৃষ্টির সঙ্গে শীতলতা।কিন্তু সবাই বৃষ্টির প্রার্থনা করলেও বর্ধমানের কিছু কৃষক বৃষ্টি না হওয়ার প্রার্থনা করেছিলো।কারণ পাকা ধানে মই যাতে না হয়।এখন মাঠ জুড়ে পাকা ধানের ফসল রয়েছে, ঝড়-বৃষ্টি হলেই ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।ঝড়-বৃষ্টিতে পাকা ধানের ফসল নষ্ট হওয়ার এই ঘটনা প্রতিবছর ঘটেই থাকে। তাই তারা ধান কাটার মেশিন দিয়ে দ্রুত একটু কাঁচা থাকা ফসলও কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।
দিন দিন প্রকৃতি এখন ভয়াবহ রূপের সৃষ্টি করছে।যেখানে বৃষ্টি হলেই মন চাইতো দুই হাত মেলে ধরে ভিজতে,সেই ছোটবেলার মতো। তারপর ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে যেতে।কিন্তু এখন ঝড়-বৃষ্টি হলেই বাইরে বের হতে মন চাইনা,শুধুই অনুভবে অনুভবে সময় কেটে যায় এক কাপ চায়ের চুমুকে। কারন বজ্রপাতের সংখ্যা যে বেড়েছে! প্রতিবছর শোনা যায় কত কত মানুষ এই বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে।এই বছর গরমের তীব্রতা মরুভূমি অর্থাৎ আমাদের রাজস্থানকেও ছাড়িয়ে গেছে কলকাতাসহ অন্যান্য জেলা।সবকিছুকে শান্ত করে গতকালের বৃষ্টি মানুষকে স্বস্তি ফিরে পেতে সাহায্য করেছে এটাই ভালো লাগার বিষয়।এছাড়া আগামী দিনগুলোতেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কতদিনের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বস্তিদায়ক বৃষ্টির দেখা পেলুম।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks..
আসলে প্রচণ্ড রোল আর এই গরমের মাঝে যদি এভাবে বৃষ্টি আসে তাহলে মনের মধ্যে যে কতটা আনন্দ অনুভব হয় সেটা হয়তো বোঝানো সম্ভব নয়। যাহোক আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি আমাদের এদিকেও মহান সৃষ্টিকর্তা খুব তাড়াতাড়ি স্বস্তির বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।
আপনাদের ওখানেও বৃষ্টি হোক তাড়াতাড়ি সেই প্রত্যাশাই করি, ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ বর্তমানে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে প্রতিনিয়তই টিভি খুললে দেখা যায় বজ্রপাতে মানুষ মারা গিয়েছে। তবে আমার সাথে আপনার অনুভূতির দেখি ভালোই মিল আছে বৃষ্টির সময়ে এরকম বৃষ্টি দেখতে দেখতে চায়ের কাপে চুমুক দিতে আমারও কিন্তু বেশ দারুন লাগে।
আপনার অনুভূতি আমার অনুভূতির সঙ্গে মিলে গেছে জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রচন্ড গরমে সকলেই আমরা বৃষ্টি চাচ্ছি। আর এই বৃষ্টিতে ভেজার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ। আপনার ওখানে স্বস্তির বৃষ্টি নামলো। তবে বৃষ্টির সাথে সাথে এখন বজ্র পাত্রের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা যেন আমাদের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর একটা বিষয়।
আসলেই,বজ্রপাত খুবই ভয়ংকর।ধন্যবাদ আপনাকে।
দীর্ঘ গ্রীষ্ম আবহাওয়ার পর ঝুম বৃষ্টি সত্যিই স্বস্তির, আপু।
এইতো বাংলার চিরকালীন আবহাওয়ার রূপ, দেখা যায় টানা একটা সময় খরা তাপপ্রবাহ চলছে, হঠাৎ ঝড়োবৃষ্টির কারণে শীতলতা নেমে আসে।
কালবৈশাখী এখনো আসে নি, বোধহয় আরো কিছুদিন পরে হয়তো তার তান্ডব নিয়ে হাজির হবে। কিন্তু সবসময়ের চাওয়া সেই একই থাকলো, যাতে বৃষ্টি বা অতিবৃষ্টি, টানা ঝড়ের জন্য কৃষক, সাধারণ মানুষ সহ সবাইকে বিপদে না পড়তে হয়।
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো, 💐💖
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন, আমরাও সেটাই প্রত্যাশা করি যাতে কারো ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়।স্বাগতম ও ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশেষে তাহলে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে স্বস্তিদায়ক বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন। আমাদের এদিকেও প্রচন্ড রকম ছিল তবে আজ দুদিন যাবত হালকা বৃষ্টির ছিটেফোঁটা করেছে যার কারণে প্রকৃতিটা অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। আসলে এখন আর আগের দিনের মতো কালবৈশাখীর ঝড় দেখা যায় না আর কালবৈশাখী ঝড় হলেও আম কুড়ানোর সেই অনুভূতিটা নিজের মধ্যে আর খুঁজে পাই না এখন শুধু অনুভবে অনুভব করতে মন চায়। যদিও প্রকৃতির এরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা মানুষেরাই দায়ী। আর আমি মনে করি বজ্রপাতের সময় বাহিরে বের না হওয়াটাই ভালো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার অনুভূতি তুলে ধরার জন্য।
একদম-ই তাই।এ সবের জন্য মানুষেরাই দায়ী,ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদমই সত্যি কথা গরম মানেই অস্বস্তিকর পরিবেশ। আর এই পরিবেশে সুন্দরভাবে টিকে থাকাটা কঠিন। সত্যি বেশ কিছুদিন ধরে এরকম একটা পরিবেশে আমরা কাটিয়েছি। তবে যখন বৃষ্টির দেখা পেলাম তখন যেন অনেকটাই স্বস্তিকর পরিবেশে ফিরে আসলাম। আপনার আজকের লেখাগুলো পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। এমনকি সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরলেন।
আপনার কাছে আমার লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
অল্প সময়ের মধ্যে যুগের ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সব জায়গা বৃষ্টিপাত খুবই কম হচ্ছে । আগে এই সময় বৈশাখী ঝড় কালবৈশাখী ঝড় এগুলো দেখতে পেতাম । যেটা এবার এখনো দেখতে পায়নি আমাদের এখানেও গতকাল বৃষ্টি হয়েছে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজমান । আপনাদের ওখানে স্বস্তিদায়ক বৃষ্টি হয়েছে যেটা সবাই আশা করে। আসলে এরকম বৃষ্টিময় দিন সবাই উপভোগ করতে পছন্দ করে । আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
আসলেই সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
যাক আপু আপনারা অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা পেয়েছেন এটাই অনেক কিছু। অনেক অপেক্ষার পরে, সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। কিন্তু আমরা এখনো অপেক্ষমান রয়েছি। কারণ এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। তবে বৃষ্টির সময় অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আপনার লেখাটি পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ওখানেও বৃষ্টি হোক সেই প্রত্যাশা করি, ধন্যবাদ ভাইয়া।