"জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি গরমকে সঙ্গে নিয়েও সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।তবুও সকলকে বেশ সাবধানে থাকতে হবে এমন আবহাওয়াতে।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।
জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:
আলোকচিত্র: 1
এই পেইন্টিংটি হচ্ছে গ্রামীণ দৃশ্যের।যেখানে গ্রামের অপূর্ব প্রতিচ্ছবি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।সবুজ প্রকৃতির মাঝে ছোট ছোট ঘরবাড়ি আর সুবিশাল আকাশের নিচে কলসি কাঁখে একজন নারীকে দেখানো হয়েছে।প্রবাহিত নদীর পাশে খড়ের গাদা দেওয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ে।আর এমন গ্রামীন পরিবেশের মধ্যে কিন্তু আমার শৈশবটাও কেটেছে।
আলোকচিত্র: 2
এই পেইন্টিংটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দস্তানা কবিতার আদলে করা হয়েছে।যেখানে শীতকালের মজার ঘটনা কবিতার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়।কনকনে শীতের মধ্যে সস্তায় মোজা কিনে সেটাও হাতে ঢোকে না।ফলে ওই ব্যক্তিকে পস্তাতে হয়।যদিও কবিতাটি খুবই ছোট আর লাইনগুলি অতটা আমার মনে নেই।
আলোকচিত্র: 3
এটা হচ্ছে আব্দুল মাঝির গল্প,যেটি রবীন্দ্রনাথের লেখা।মজার চরিত্র আব্দুল মাঝির ছুঁচলো দাড়ি, গোঁফ কামানো এবং মাথা নেড়া। এই গল্পে আব্দুল মাঝি নৌকা ডুবি থেকে বেঁচে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেকড়ে বাঘের সম্মুখীন হয় ।সেখানেও সে চতুরতার সঙ্গে নেকড়ে বাঘের গলায় ফাঁস আটকিয়ে খাটিয়ে নেয় তাকে দিয়ে।তারপর আবার সেই কুমিরের সঙ্গে দেখা হওয়া।সবমিলিয়ে সময় পেলেই গল্পটি আপনারা পড়ে নিতে পারেন।সেই নেকড়ে বাঘের গলায় ফাঁস দেওয়ার দৃশ্য-ই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই পেইটিং এর মাধ্যমে।
আলোকচিত্র: 4
শরৎ মানেই সাদা রঙের কাশফুলের সমাহার।আর মা দুর্গা আসার আগমনী বার্তা।শরৎকালের হিমেল হাওয়া মন ছুঁয়ে দেয় সকলকে আর দোলায়িত কাশফুলের অপূর্ব দৃশ্যকে।তেমনি কাশফুলের মাঝে ঢাকি ভাই ঢাক বাজিয়ে শরৎ আসার কথা যেমন তুলে ধরেছেন,তেমনি দেবী দুর্গা মায়েরও আসার আভাস দেওয়ার একটি দৃশ্য ফুটে উঠেছে এখানে।যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আলোকচিত্র: 5
এটা হচ্ছে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের লেখা আমার পণ কবিতার দৃশ্য। যেখানে সকালে উঠে বই পড়তে বসার শপথের দৃশ্য ফুটে উঠেছে।যেখানে একটি ছেলে তার দুই হাত জুড়ে পবিত্র মনে সকালে প্রার্থনা করছে।ছোটবেলায় এই কবিতাটি ছিল আমার সবথেকে প্রিয়।আর এতটাই সুন্দর মুখস্ত ছিল যে,পুরো কবিতাটি এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলতে পারতাম।আমার মতোই সকলের-ই পরিচিত কবিতা এটা।প্রথম দুই লাইন হচ্ছে---
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
আলোকচিত্র: 6
তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা ছড়াটি বেশ প্রচলিত।আমরাও শৈশবে এটা পড়েছি যদিও এখন তেমন মনে নেই।এই ছোট্ট ছড়াটি খুবই মজার আর এটি কার্টুন হিসেবেও ইউটিউবে দেখা যায়।যেটা দেখে বাচ্চারা অনেক আনন্দ উপভোগ করে।জীবনের সঙ্গে যেন মিশে আছে এই ছড়া কবিতাগুলো।যেটা চিত্রের মাধ্যমে দারুণভাবে রঙে ঢঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আলোকচিত্র: 7
এটি হচ্ছে একটি কালো রঙের প্রতিচ্ছবি।এই চিত্রটির মধ্যে আমি অবশ্য বিশেষ কিছুই খুঁজে পায় নি।কখনো এটা দেখে ছেলে মনে হয়, তো কখনো আবার মনে হয় বউ।বউটি হাতে কি যেন কাজ করছে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যেখানে প্রথম আলোকচিত্রের দৃশ্য টাই আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আসলে প্রাকৃতিক দৃশ্য সবার কাছে ভালো লাগবে এটা কিন্তু স্বাভাবিক।
আপনি আজকে জলরঙে করা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই পেইন্টিং গুলো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। এর মধ্যে শরৎকালের যে সুন্দর দৃশ্য এখানে তুলে ধরেছেন এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। জলরঙ্গে করা পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।
প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি ইউনিক ছিল। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে।গ্রামীণ দৃশ্য মন কারে সকলের। প্রথম পেইন্টিং টি আমার বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ।
জল রং করা কিছু অপরূপ সৌন্দর্যময় পেইন্টিং গুলোর ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো মআসলে এই পেইন্টিং গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে মআপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফিও বর্ণনা করেছেন, দেখে ভালো লাগলো।
জলরঙ্গে আঁকা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম আপু। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই নিখুঁত এবং দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তাদের এই আইডিয়া সত্যিই খুবই ইউনিক। এভাবে যে প্যান্ডেল সাজানো যায় তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো না দেখলে বুঝতে পারতাম না। প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুবই ইউনিক আর খুবই চমৎকার। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। জল রং দিয়ে এত সুন্দর পেইন্টিং করা যায় ভাবতেই অবাক লাগে। কোনটা রেখে কোনটা সুন্দর বলবো সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। দিদি আপনি বেশ ইউনিক ও চমৎকার সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
আপু বেশ দারুন তো। আপনার এমন ফটোগ্রাফি দেখে তো আমার ছেলেবেলার কথা মনে হয়ে গেল। দারুন একটি ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফিই কিন্তু আমার কাছে দারুন লেগেছে। একেবারে সেই ছেলেবেলায় চলে গিয়েছিলাম কিছু সময়ের জন্য।
খুবই চমৎকার কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছেন আপু।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে। প্রতিটা পেইন্টিং দুর্দান্ত লাগছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।