"চিংড়ি দিয়ে মুলোশাক ভাজি রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সকলেই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো একটি নতুন রেসিপি।সেটা হল "চিংড়ি দিয়ে মুলো শাক ভাজি"।
মুলোশাক একটি শীতকালীন সবজি।মুলো দুই ধরনের পাওয়া যায়।সাদা ও লাল ধরনের ,তাই আমি আজ সাদা মুলো শাক রান্না করবো।মুলো শাকের আলাদা একটা গন্ধ আছে।আসলে প্রত্যেক সবজির আলাদা আলাদা এক ধরনের গন্ধ থাকে।তো মুলো শাক সামান্য তেঁতো হয়ে থাকে তবে এতে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে তেঁতো ভাবটা চলে যায়।এছাড়া এটি খুবই পুষ্টিকর ও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।এই মুলো শাক বিদেশিরা খুবই পছন্দ করেন।আমি এখানে বিদেশী বলতে শ্বেতরঙের মানুষের কথা বলছি।পূর্বে আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটি হোমে অনেক বিদেশী ছিল ।তারা প্রায় আমাদের বাড়ির পাশে হাঁটতে আসতো এবং আমাদের বাড়ির পাশে মাঠে ভলিবল খেলতে ও আসতো।তখন বিদেশীদেরকে দেখলে আলাদা এক অনুভূতি জাগতো কথা বলার জন্য।তারা হালকা বাংলা ভাষা জানতো।তাই আমরা তাদেরকে ডেকে আমাদের বাড়ির গাছের পাকা কলা খেতে দিয়েছিলাম সঙ্গে কিছু মুলোসহ শাক।তখনই জানতে পেরেছিলাম ওরা মুলো পাতা কতটা পছন্দ করে।তো চলুন রান্না শুরু করা যাক----
◆উপকরণ:
1.মুলো শাক- 400 গ্রাম
2.চিংড়ি মাছ - 50 গ্রাম
3.লবণ -1/2 টেবিল চামচ
4.হলুদ - 1/2 টেবিল চামচ
5.পেঁয়াজ ও রসুন কুচি - 2 টি ও 6 কোয়া
6.কাঁচা লঙ্কা - 6 টি
7.সরিষার তেল - 4 টেবিল চামচ
◆প্রস্তুত প্রনালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কিছু মুলো থেকে ছাড়িয়ে মুলোশাকগুলি নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর মুলো শাকগুলি বেছে নিয়ে বটির সাহায্যে কুঁচিয়ে কেটে নেব।
ধাপঃ 3
পেঁয়াজ ও রসুনগুলি কুঁচি করে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নেব।
ধাপঃ 4
কিছু কাঁচা লঙ্কা একইসঙ্গে কেটে নিয়ে ধুয়ে নেব জল দিয়ে।
ধাপঃ 5
এরপর মুলো শাকগুলি ভালোভাবে কসলিয়ে ধুয়ে নেব জল দিয়ে 2-3 বার।
ধাপঃ 6
এবার একটি চুলায় মিডিয়াম আঁচে পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে দেব ।তার মধ্যে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুঁচি দিয়ে দেব।একটি খুন্তি দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেঁজে নেব।
ধাপঃ 7
পেঁয়াজ ও রসুন ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেলে মুলো শাকগুলি দিয়ে দেব কড়াইয়ের মধ্যে।এরপর পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 8
এরপর আমি সামান্য জল , লবণ ও হলুদ দিয়ে কিছু চিংড়ি মাছ ভেঁজে নিয়েছি।
ধাপঃ 9
এরপর ভাজা চিংড়ি ও কাঁচা লঙ্কাগুলি দিয়ে দেব মুলো শাকের মধ্যে।তারপর নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 10
মুলো শাকটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব 10 মিনিটের মতো।মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে দিতে হবে।
ধাপঃ 11
তো ভাজিটি পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে গেলে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিতে হবে একটি পাত্রে।
ধাপঃ 12
তো তৈরি হয়ে গেল আমার "চিংড়ি মাছ দিয়ে মুলো শাক ভাজি"।এবার এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি একটু ভিন্ন স্বাদের রেসিপি।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটা আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
শীতকালে এমনিতেই মুলা খেতে খুব ভালো লাগে।
তার পরেও মুলার সাথে যুক্ত হয়েছে চিংড়ি মাছ। এই রেসিপিটা সত্যি আমার অনেক প্রিয়।
বিশেষ করে রান্না করার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে খেলে আরো বেশি টেস্ট লাগে। অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ এ আপনার সুন্দর সৃজনশীলতা প্রকাশ করার জন্য
ওহো, ভাইয়া আপনি মনে হয় ঠান্ডা খাবার রেসিপি খেতে বেশি পছন্দ করেন।যদি ও অনেকটা গরম খাবার খাওয়া উচিত নয় শরীরের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি দিয়ে মুলো শাক ভাজি রেসিপি আজকে আপনি দারুন ভাবে রান্না করেছেন। আসলে এটি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী এবং আমাদের উচিত এ বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়া আর চিংড়ি মাছ দিয়ে এখন প্রায় অনেক কিছু রান্না করা যায় আপনি দারুন বর্ণনা দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো সঠিকভাবে দিয়েছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু
সত্যিই আমাদের বেশি বেশি শাক সবজি খাওয়া প্রয়োজন।আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া, চিংড়ি মাছ দিয়ে সব কিছু রান্না করা যায়।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
মূলা শীতকালীন সবজি হলেও এখন প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। মূলার চেয়ে এর শাক বেশি উপকারী। এই শাকও এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। আপনি খুব সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন।মূলা শাক আমার খুব পছন্দের একটা শাক।তারপর যদি চিংড়ি দিয়ে ভাজি করা হয় তাহলে টেস্ট আরো বেড়ে যায়।শুভকামনা রইল আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এখন অধিকাংশ শীতকালীন সবজী ও সারাবছরই পাওয়া যায়।কিন্তু টেস্টের একটু পার্থক্য থাকে।যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মুলা আমি খুব একটা পছন্দ করি না। কিন্তু মুলার শাক আমার খুবই পছন্দ। একটু তিতা লাগে বটে কিন্তু ভাজি করলে অনেক সুস্বাদু লাগে।
মুলা শাক ভাজির মধ্যে চিংড়ি বেশ দারুণ রেসিপি। এইভাবে মুলা ভাজি খাওয়া হয়নি।অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
😟😟আমি দাদা নই, দিদি @emon42 ভাইয়া।হ্যাঁ এটি একটু তেঁতো লাগে তবে চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে তেঁতো লাগে না এবং এটি বেশ উপকারী।এভাবে খেয়ে দেখবেন একদিন।দারুণ স্বাদের হয়।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মুলার নাম শুনলেই আমার কাছে কেমন যেন একটা গন্ধ লাগে। আমি কখনোই মুলা খাই না। আমাদের বাসায় একদমই রান্না হয় না এই মূল বা মুলার শাক। কিন্তু আপনার আজকের মুলা শাকের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার হয়েছে। তাছাড়া চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের। শাকের মধ্যে চিংড়ি মাছ দিয়েছেন এতে আর স্বাদ আরো বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে মনে হয়।
হ্যাঁ আপু,প্রত্যেক সবজির কোনো না কোনো ধরনের গন্ধ থাকে।তবে মুলা একটু বেশি।আপনার কাছে বেশি গন্ধ লাগলে এটি হালকা ভাপিয়ে নিয়ে জলটা ফেলে দিয়ে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন।তাতে গন্ধ ও চলে যাবে সঙ্গে তেতো ভাবটা ও।অনেক ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।
চিংড়ি দিয়ে মুলা শাক ভাজি কখনো আমার খাওয়া হয়নি আপু। এমনিতে মুলা শাক ভাজি আমার পছন্দ। কিন্তু সাথে চিংড়ি দিয়ে!! সেটা জানতাম না. আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখছিলাম। আমি বাসায় ট্রাই করে দেখব।আপনার উপস্থাপনা টি অনেক সুন্দর ছিল আপু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপু,চিংড়ি মাছ দিয়ে খেয়ে দেখবেন এইবার।খুবই মজার হয় খেতে আর সামান্য তেঁতো ভাবটা ও চলে যায়।অনেক ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ দিদি, আপনি অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আজকে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মুলা শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ ভাজি রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি টা দেখে সত্যিই আমার জিভে জল এসে গেল। সত্যি বলতে মুলা আমার তেমন একটা পছন্দ না, কিন্তু মুলাশাক আমার অনেক প্রিয়। আর মুলা শাক ভাজি টা যদি চিংড়ি মাছ দিয়ে করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। চিংড়ি মাছ আমার কয়েকটি প্রিয় মাছের মধ্যে একটি, চিংড়ি মাছ দিয়ে কোনকিছু ভাজি বা ঘণ্ট করলে অনেক সুস্বাদু লাগে আপনি অনেক মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দরভাবে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটি মজাদার রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো রেসিপি খুবই স্বাদের হয় ।মুলা শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপিটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মুলা একটি শীতকালীন সবজি এই সবজী বিশেষ করে শীতের সময়ে বেশি পাওয়া যায় খেতে অনেক সুস্বাদু আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে মুলা শাক ভাজি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, শীতের সবজিগুলো অনেক স্বাদের হ্য় খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।
চিংড়ি মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ। চিংড়ি মাছ দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করতে খুবই ভালো লাগে। তবে মুলা শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ আমি কখনো খাইনি। দারুন একটি রেসিপি শিখলাম আজকে। ধন্যবাদ আপনাকে নতুন একটি ছবি শেয়ার করার জন্য।
আপু,চিংড়ি মাছ দিয়ে খেয়ে দেখবেন একবার।মুলো শাক খুবই মজার হয় খেতে।অনেক ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শাক ভাজি টা দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। চিংড়ি মাছ দিয়ে শাক রান্না করতে দেখেছিলাম আমি। চিংড়ি মাছ দিয়ে আগে কখনো শাক ভাজি দেখিনি আমি আপু। এই প্রথম দেখলাম তাও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
আপনার রেসিপিটা সত্যিই দেখার মতো ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
আপু,চিংড়ি মাছ দিয়ে খেয়ে দেখবেন একবার।যেকোনো ধরণের শাক ভাজি খুবই মজার হয় খেতে।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে আমি খুবই খুশি হলাম আপু।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।