"মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদের ঝিঙে বাটা/ভর্তা রেসিপি"
নমস্কার
মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদের ঝিঙে বাটা/ভর্তা রেসিপি:
অনেকদিন হলো কোনো ভর্তা রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করা হয়নি।তাই আজ ভাবলাম সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করবো ঝিঙে বাটা/ভর্তা রেসিপি।এই রেসিপিটি খুবই কম উপকরণে তৈরি করা যেমন সম্ভব তেমনি মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদের খেতেও হয়।তাছাড়া এই প্রথমবার আমি ঝিঙে ভর্তা রেসিপি তৈরি করলাম।এটি তৈরির পর এতটাই মজার খেতে হয়েছিল যে আমি একথালা ভাত খেয়ে নিয়েছি।ইচ্ছে ছিল একটু অন্যভাবে তৈরি করার জন্য কিন্তু ঝড় হওয়ার জন্য আমি ঝিঙে সেদ্ধ করে নিয়ে শীল-পাটায় নিজ হাতে বেঁটে নিয়েছি।অনেকেই হাতে বাটার ঝামেলা ছাড়াই মিক্সার মেশিনে এটি প্রস্তুত করে নেন,তবে আমার মনে হয় শীল-পাটায় বেঁটে নিলেই বেশি টেস্টি হয়ে থাকে।এই রেসিপিটি খেতে সত্যিই অনেক মজাদার ও সুস্বাদু লেগেছিল।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ঝিঙে | 1 টি |
কাঁচা মরিচ | 3 টি |
পেঁয়াজ | 3 টি |
লবণ | 1/2 টেবিল চামচ |
রসুন | 3 কোয়া |
গোটা শুকনো মরিচ | 2 টি |
পাঁচফোড়ন | 1/3 টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | 1.5 টেবিল চামচ |
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি গোটা পেঁয়াজ,ঝাল ও একটি ঝিঙে মাঝবরাবর কেটে নিয়ে ধুয়ে নেব জল দিয়ে।
ধাপঃ 2
এরপর একটি কড়াইতে জল দিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দেব কেটে রাখা সবজি।
ধাপঃ 3
এবারে মিডিয়াম আঁচে জ্বাল করে ঝিঙে সেদ্ধ করে নেব ঢাকনা দিয়ে ঢেকে।
ধাপঃ 4
তো আমার সেদ্ধ করা হয়ে গেলে একটি পাত্রে তুলে নেব সবজিগুলো।
ধাপঃ 5
এখন ঝিঙের ভিতরের জল চেপে বের করে ফেলে দিয়ে কিছুটা খোসা ছাড়িয়ে নেব ছুরির সাহায্যে।
ধাপঃ 6
এবারে পরিষ্কার শীল-পাটার মাধ্যমে বেঁটে নেব মিহি করে ঝাল,পেঁয়াজ ও ঝিঙে।
ধাপঃ 7
তো আমার বেঁটে নেওয়া হয়ে গেছে ঝিঙে,এখন তুলে নেব একটি পাত্রে।
ধাপঃ 8
এরপর লবণ,শুকনো মরিচসহ ,পেঁয়াজ কুচি, রসুন পাঁচফোড়ন ইত্যাদি উপকরন নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 9
এখন একটি পরিষ্কার কড়াইতে অল্প সরিষার তেল দিয়ে গোটা শুকনো মরিচ ও রসুন দিয়ে হালকা ভেজে নেব।
ধাপঃ 10
এবারে গোটা শুকনো মরিচ ও রসুন হালকা ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে পাঁচফোড়ন ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নেব বাদামি রঙের করে।
ধাপঃ 11
এখন ভেজে নেওয়া উপকরণগুলি তুলে নেব একটি পাত্রে।
ধাপঃ 12
এরপর পুনরায় শীল ও পাটার সাহায্যে আবারো বেঁটে নিলাম ভেজে নেওয়া রসুন ও মরিচগুলি।
ধাপঃ 13
এখন ঝিঙে বাটা,পেঁয়াজ ভাজি ও মরিচ বাটা একটি পাত্রে নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 14
এবারে সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিলাম হাত দিয়ে।
ধাপঃ 15
এরপর লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে দিলাম স্বাদ অনুযায়ী।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে সব আবারো মিশিয়ে নিলাম একসঙ্গে।তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল "মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদের ঝিঙে বাটা/ভর্তা রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে কিংবা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এই রেসিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও অসম্ভব টেস্টি হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
দারুন একটি রেসিপি পোস্ট উপহার দিলেন। ঝিঙে বাটা ভর্তা রেসিপি খেতে অনেক মজা লাগে। তবে আপনি শীল-পাটায় বেঁটে নিয়েছেন তাই বেশি টেস্টি হয়েছে। গরম ভাতের সঙ্গে ঝিঙে ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। এতটাই সুস্বাদু হয়েছিল আপনি একথালা ভাত খেয়ে নিয়েছেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গরম গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক বেশি মজা লাগবে। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
সবজি খেতে বরাবরই আমি বেশ পছন্দ করি। ঝিঙে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যেকোনো মাছ দিয়ে রান্না করলে এই তরকারিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তবে ঝিঙে কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। এই রেসিপি তৈরি করার প্রতিটা ধাপ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঝিঙ্গে সবজিটি আমার অনেক ভালো লাগে।আপনি ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখেই লোভ লেগে গেল। গরম ভাতের সঙ্গে এই রেসিপিটি খেতে অনেক মজা লাগবে।অনেকধন্যবাদ আপু দারুণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ঝিঙে ভর্তা আসলে কখনো খাওয়া হয়নি আমার।আর কাউকে দেখিও নি কখনো খেতে।এই ভর্তা রেসিপিটি একদম আনকমন লাগলো আমার কাছে।একদিন ট্রাই করবো আশাকরি।
ভর্তা অনেক খেয়েছি তবে ঝিঙে ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছিল। কালারটা সুন্দর এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা আমি কখনো খাই নাই, মুখে লেগে থাকার মত। স্বাদের এই ঝিঙ্গে ভর্তা এটা বেশ দারুন ছিল। আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরনগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
এভাবে যে কখনো ঝিঙে ভর্তা করা যায় আমি তো এটাই জানতাম না। আসলে আমি ভর্তা জাতীয় রেসিপি গুলো খুবই পছন্দ করি। কারণ গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আজকে কিন্তু আপনার মাধ্যমে একটা নতুন রেসিপি শিখে নিলাম। পরবর্তীতে কখনো সময় পেলে এ রেসিপিটা তৈরি করবো। রেসিপিটা দেখেই মনে হচ্ছে ভীষণ ভালো হয়েছে খেতে।