বড়শুল ইয়ং মেনস এসোসিয়েশন দুর্গাপূজা প্যান্ডেল: "অক্ষরধাম মন্দির"
নমস্কার
বড়শুল ইয়ং মেনস এসোসিয়েশন দুর্গাপূজা প্যান্ডেল: "অক্ষরধাম মন্দির"
বর্ধমানের শক্তিগড় একটি ঐতিহাসিক জায়গা।আর শক্তিগড় জায়গাটি ল্যাংচার জন্য বেশ জনপ্রিয়।এই বর্ধমান শহরের আলাদা একটা ঐতিহ্যও খ্যাতি যেমন রয়েছে তেমনি বেশ পরিচিতিও রয়েছে।বর্ধমান শহরের শক্তিগড়েও আগেকার দিনে অনেক জমিদার ও রাজ -রাজাদের বসবাস ছিল।বর্তমানে সেই জমিদারীত্ত্ব না থাকলেও তাদের কিছু বংশধর রয়েছে,আবার কোনো কোনো রাজা তার সম্পত্তি কলেজ কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে দান করে গিয়েছেন।কোনো কোনো জমিদারের বাড়ি আবার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাখি কিংবা ছোট ছোট প্রাণীর বসবাসের স্থান হয়ে রইয়ে গেছে। যাইহোক আমি নবমীর দিনে বর্ধমান শহরের শক্তিগড়ের বড়শুলে পূজা দেখতে গিয়েছিলাম।আর ঘুরে ঘুরে মোট ছয়টি প্যান্ডেলের পূজা দেখেছি।প্রত্যেকটি প্যান্ডেল আলাদা আলাদা থিম ও বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি।তাই ইতিমধ্যে চারটি প্যান্ডেলের বর্ননা বা ছবি আমি আপনাদের সঙ্গে আগেই শেয়ার করে ফেলেছি।আজ ফোনের গ্যালারি ঘাটতেই এই ছবিগুলো চোখে পড়লো,যেগুলো সময়ের অভাবে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক---
বড়শুল জাগরণী ক্লাবের দুর্গামা দর্শন করার পর আমরা আবারো কিছু পথ রোদ্রের মধ্যে হেঁটে বাস স্টপে চলে গেলাম।তারপর গরমে কদবেল মাখা কিনে খেলাম সঙ্গে বাড়ির জন্যও কয়েকটি কিনে নিলাম।তারপর চলে আসলাম বড়শুল ইয়ং মেনস এসোসিয়েশন দুর্গাপূজা প্যান্ডেলে।
বড়শুল ইয়ং মেনস এসোসিয়েশন
◆থিমের নাম:(অক্ষরধাম মন্দির)
এটি হচ্ছে বর্ধমানের শক্তিগড়ের আকর্ষণীয় বড়শুল ইয়ং মেনস এসোসিয়েশন।আর প্রতিবার ইয়ং মেনস এসোসিয়েশনের পূজা বেশ জাঁকজমক হয়ে থাকে।তবে 2022 সালে দারুণ একটি প্যান্ডেল তৈরি করা হলেও এই বছর প্যান্ডেলের ভিতরে তেমন কোনো বিশেষত্ব আমি অন্তত খুঁজে পায়নি।তবে পূজার থিম ছিল অক্ষরধাম মন্দির।মজার বিষয় হচ্ছে--মন্দিরের ছবিটি ক্যাপচার করার সময় একটি উড়ন্ত ঝিঁঝিঁপোকাও ধরা পড়েছে।
এই প্যান্ডেলটি দিল্লিতে অবস্থিত অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে তুলে ধরা হয়েছে।দূর থেকে দেখতে অসাধারণ লাগছিলো মন্দিরটি।যেটি প্লাই দিয়ে তৈরি করা হয়েছিলো।প্যান্ডেলে প্রবেশদ্বারের দুইপাশেই ছিল দুটি বড় আকারের সিংহমূর্তি অর্থাৎ সিংহদ্বারও বলা চলে।মন্দিরের নীচে আবার ছোট ছোট সাদা রঙের হাতিদের চলাচলের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।কেউ কেউ অক্ষর ধাম মন্দিরকে আবার অযোধ্যার রাম মন্দির এবং স্বামী নারায়ণ মন্দিরও বলে থাকেন।
সবজায়গায় একই ধরনের কারুকাজ ছিল আর ভিতরে ছিল চোখ ধাঁধানো শিল্পীদের তৈরি দূর্গামায়ের অপূর্ব মূর্তি।আর সঙ্গে গণেশ,কার্তিক,সরস্বতী এবং লক্ষ্মী ঠাকুরের মূর্তিগুলোও অসাধারণ ছিল।প্যান্ডেলের ভিতরে সুন্দর একটি ইয়া বড় ঝাড়বাতিও ছিল।যেটা বেশ নান্দনিক ছিল।চারিদিকে মন্দিরের গায়ে ছিল গণেশ,রাম এবং হনুমানজির নানা মূর্তির নিদর্শন।
এই এসোসিয়েশনের মাঠে বিশাল বড় মেলা বসেছিল।তারপর নিজের কয়েকটি ছবি তুলে চলে গেলাম মেলা ঘোরার উদ্দেশ্যে।যদিও তখন মেলার অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল, তবুও কিছুক্ষণ মেলায় ঘোরাঘুরি করে কয়েকটি ঠাকুরের ছবি এবং পূজার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিলাম।সবশেষে কিছু খাবার কিনে টোটো ধরে চলে আসলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে বাস ধরবো বলে।সবমিলিয়ে বেশ দারুণ সময় কেটেছিল আর প্যান্ডেলটিও অনেক সুন্দর ছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 এবং redmi note 10 pro max |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমানের শক্তিগড়, বড়শুল |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
বাহ! আজকে এই মন্দিরটা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম সেই সাথে এর ইতিহাস জেনে আমি সত্যি অনেক আনন্দিত। এই ধরনের মন্দিরগুলো দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে এমন সাজে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
ভাইয়া, এটা কিন্তু পূজার প্যান্ডেল।যেটা খুবই স্বল্প দিনের জন্য বানানো হয়ে থাকে।আসল মন্দির স্থায়ীভাবে দিল্লিতে রয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই আনন্দিত হলাম। বর্ধমানের শক্তিগড়ের বড়শুল ইয়ং মেনস এসোসিয়েশনের দুর্গাপূজা প্যান্ডেলের বিবরণ ও ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। আপনার লেখনী ও ছবির মাধ্যমে প্যান্ডেলের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ দাদা, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বেশ দারুণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বর্ধমানের শক্তিগড় একটি ঐতিহাসিক জায়গা। সেই শক্তিগড়ের বড়শুল ইয়ং মেনস এসোসিয়েশনের দুর্গাপূজার প্যান্ডেলের বিবরণ ও ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মন্দিরটি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং সেই ইতিহাস জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।