"কলেজে কাটানো একটি দিন"
নমস্কার
কলেজে কাটানো একটি দিন:
বন্ধুরা, পরশুদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল আমাদের এডমিশন ফি জমা দেওয়ার দিন।আসলে কলেজে প্রত্যেক সেমিস্টারে আমাদের নতুনভাবে ভর্তি হতে হয়।এখন যেহেতু আমি অনার্স লাস্ট ইয়ারের লাস্ট সেমিস্টারের স্টুডেন্ট তাই চাপও অনেক বেশি।তাছাড়া আমাদের বর্ধমান জেলায় এই একটিই মহিলা কলেজ থাকার ফলে ইচ্ছেমতো বেশি টাকা নিয়ে নেয়।তেমনি বৃহস্পতিবার দিন ভর্তি ফি 2460 টাকা জমা দেওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লাম সকাল সকাল বাড়ি থেকেই স্নান সেরে।
তারপর দাদার সাইকেল করে স্টেশন পৌঁছে টিকিট কেটে ট্রেন ধরলাম।বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে সোজা চলে গেলাম কয়েক মিনিট হেঁটে টোটো স্ট্যান্ডে।তারপর টোটো ধরে কলেজ পৌঁছে গেলাম।গিয়েই দেখি কয়েকজন এসেছে মাত্র।অর্থাৎ আমি গিয়েছি 5 জনের পর কারণ লাইন দেওয়ার ব্যাপার ছিল।আমাদের হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট এর ও ভর্তি ফি জমা দেওয়ার ডেট ছিল একই দিনে একই সঙ্গে।যাইহোক গরমে অবস্থা নাজেহাল।খোলা বেলকনিতে যেখানে আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে এক বান্ধবীর কাছ থেকে হাত পাখা নিয়ে কয়েক মিনিট হাওয়া করলাম।কারন বেলকনিতে ফ্যান ছিল না।তাই অন্যদের বলে আমি আমার আরেক বান্ধবীর সঙ্গে চলে গেলাম আমাদের ক্লাস রুমে।তারপর 10 মিনিট ফ্যান চালিয়ে শরীরকে একটু প্রশান্তি দিলাম নানান গল্পের মাধ্যমে।
আমার মুসলিম সেই বান্ধবীর নাম খুখুমণি/আয়েশা।তো সবাই ওকে খুখুমণি নামেই ডেকে থাকে।যাইহোক আয়েশা বললো-এডমিশন ফি জমা দেওয়ার পর লাইব্রেরি যাবো ঘুরতে।আমি প্রথমে রাজি না হলেও পরে বললাম -ঠিক আছে।আমরা লাইনের প্রথম দিকে থাকায় খুব একটা দেরি হয় নি এডমিশন ফি জমা দিতে।তারপর জমা দেওয়ার রিসিপ্ট নিয়ে সোজা চলে গেলাম লাইব্রেরি বিল্ডিং এর উদ্দেশ্যে।যাওয়ার সময় গাছ থেকে একটি ফুলের ছোট্ট ডাল ছিড়ে নিল আমার বান্ধবী।আমি জিজ্ঞাসা করায় সে বললো আমি কঙ্কালকে উপহার দিতে চাই, তো সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম।শুরু হলো ছবি উঠার পর্ব।
এরপর তিনতলায় সিঁড়ি বেয়ে উঠে জিওগ্রাফি রুমের সামনে এলাম।ভুতুড়ে মতো অন্ধকার রুমগুলি ,অনেক কিছু দিয়ে সাজানো।ভিতরে আবার ল্যাব রয়েছে, তো আয়েশা কঙ্কালকে পাতা উপহার দিচ্ছে এমন একটি ভিডিও করে দিতে বললো।আমি ছোট্ট একটি ভিডিও করে দিলাম, এবারে উপরের তলায় দিকে যাচ্ছিলাম আমরা।কিন্তু প্রচুর রোদ্দুর তাই লাইব্রেরি একজন ম্যাম সেখানে যেতে নিষেধ করলেন আমাদের।আমরা অগত্যা ফিরে এসে তাই ফাঁকা করিডোরে ইচ্ছেমতো ছবি তুলতে থাকলাম, দারুণ মজা হয়েছিল ওই সময়টি।
এই মুহূর্তটি লাস্ট সেমের জন্য একটি স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার জীবনে।আর মাত্র কয়েক মাস তারপর সবাই যার যার গন্তব্যে।যার যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।তখনই এই অতীত স্মৃতি আমাদের সঙ্গী হয়ে উঠবে।আমার ট্রেন ধরার ব্যস্ততা ছিল তাই অল্প কিছু সময় কাটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কলেজ থেকে।রাস্তার এসে আয়েশা আর অন্যান্যদের বিদায় জানিয়ে টোটোতে চেপে চলে গেলাম বর্ধমান ট্রেন স্টেশনে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
কলেজে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলো আপু এমন দৃশ্য গুলো সত্যি স্মৃতি করে রাখার মতো। আপনি আপনার বান্ধবীকে নিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,আসলেই এটা স্মৃতি হয়ে থাকবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
কলেজে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন। এই কলেজের সময়গুলো একটি সময় স্মৃতি হয়ে থাকবে। একটা সময় যার যার জীবন নিয়ে সে সে ব্যস্ত হয়ে থাকে এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অসাধারণ ছিল। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি ও আপনাকে খুব সুন্দর লাগছিল। ধন্যবাদ আপু
পোস্টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আপনার সুন্দর মতামত পড়ে খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
লেখাপড়া অধ্যায়ের শেষ সেমিস্টার ফি দেয়ার মুহূর্তটা খুবই সুন্দর ছিল। আসলে এই মুহূর্তগুলো একসময় স্মৃতি হয়ে থাকবে। হয়তো এই প্রিয় বিদ্যাপীঠ খুবই মিস করবেন। বন্ধু-বান্ধব যারা জীবনের অনেক বড় একটি অংশ তাদের সাথে এরকম সাক্ষাৎ আর হবে না। ভালো লাগলো কলেজে কাটানো মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি দেখে। আরো সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত জীবনে ফিরে আসুক সেটাই প্রত্যাশা করি।
বাস্তবধর্মী কথা বলেছেন ভাইয়া।মিস করলেও এটাই মেনে নিতে হবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, ধন্যবাদ আপনাকে।
কলেজে খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন আপনি। এবং সেখানে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। জিওগ্রাফি রুমের সামনে যে কঙ্কাল ফটোগ্রাফি করেছেন সেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার কলেজের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কঙ্কাল ফটোগ্রাফিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
আপনি এখন অনার্স লাস্ট সেমিস্টারের লাস্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। এটা যেহেতু মহিলা কলেজ আর শুধুমাত্র একটাই রয়েছে, তাই সবকিছুতে টাকা তো বেশি নিবেই। এরকমই হয়ে থাকে বেশিরভাগ সময়। আপনারা দুই ফ্রেন্ড মিলে দেখছি ভালোই সময় কাটিয়েছিলেন ফি জমা দেওয়ার পরে। বেশ কিছু ছবিও তুলেছিলেন, যেগুলো কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। এই ধরনের মুহূর্ত গুলো স্মৃতি হয়ে আজীবন থেকে যায় মনের গ্যালারিতে। খুব ভালো লাগলো আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে।
আপনার সুন্দর মতামত পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে ও।
ভর্তি ফি জমা দিতে গিয়ে দেখছি ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন আপনার ফ্রেন্ডের সাথে। এরকম সময় খুব তাড়াতাড়ি গেলেই ভালো। তাহলে লাইনে দাঁড়ানো যায় খুব তাড়াতাড়ি। আপনারা সহজেই এবং অল্প সময়ে ফি জমা দিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। রোদের কারণে আপনারা ওখান থেকে ফিরে এসে ভালো করেছেন। আর চলে আসার পর অনেক সুন্দর কিছু ছবি তুলেছেন দুজনে। সময়টা নিশ্চয়ই খুব ভালো কাটিয়ে ছিলেন। এই সময়গুলো আমাদের জীবনের এক একটা অংশ হয়ে থাকে সব সময়। যেগুলো কখনোই ভুলতে পারিনা আমরা।
আপু, আসলে ওখানে রোদ ছিল না।তবে ভিড়ে ফ্যান না থাকায় গরম লাগছিলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখতে দেখতে অনার্স লাইফটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে দিদি। বর্ধমান জেলার আপনাদের একটি মাত্র তাহলে মহিলা কলেজ। কলেজটি বেসরকারি হওয়ায় মেবি ভর্তি ফি বেশি নেয়। খুকুমণি আপুকে নিয়ে গরমের মাঝেও ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর কয়দিন পরে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাবেন তবে ছবিগুলোই স্মৃতিহিসেবে থেকে যাবে।
@haideremtiaz ভাইয়া, বেসরকারি নয় । সরকারি স্পনসর কলেজ,আসলে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা বর্ধমান।আর বর্ধমান আবার 2 টি ভাগে বিভক্ত।পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান।
আর পুরো বর্ধমান জুড়ে একটিই মহিলা কলেজ রয়েছে এইজন্য বেশি টাকা নেয় ইচ্ছেমতো।তাছাড়া কলেজের মধ্যে ক্যান্টিন,ঘোরাফেরার মাঠ রয়েছে বড় বলে বেশি নিয়ে থাকে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
2460 টাকার কথা শুনে কলেজ লাইফের কথা মনে পড়ে গেল। হা হা হা... আমাদের থেকেও যে এরকম কত টাকা নিয়েছে তার কোন হিসাব নেই। তবে সব মেনে নিলাম কিন্তু কঙ্কালকে উপহার দেওয়ার কথা তো জীবনে কখনো শুনিনি বোন। হা হা হা...🤭🤭 যাইহোক, ভালো লাগলো তোমার পোস্ট টি পড়ে। আসলে কলেজ লাইফের এই দিনগুলো খুব মজাতে কাটে কিন্তু বন্ধুবান্ধব যখন পড়া শেষ করে যে যার গন্তব্যে চলে যায়, তখন মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়।
হ্যাঁ দাদা,আমার বান্ধবী জেদ করেছিলো কঙ্কালকে উপহার দেবে আর সেটার ভিডিও করতে।বেশ মজা হয়েছিল,ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্যের জন্য।