রেসিপি: ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি সেমাই এর রেসিপি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার,২৫ মে ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির সকলকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও সালাম। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি বেশ ভালো ও সুস্থ আছেন ।আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম । কয়েক দিন আগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম নিজের হাতে তৈরি করা সেমাই । আজকে সেই সেমাই রান্না রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমরা সব সময় বাজার থেকে কিনে এনে সেমাই রান্না করে খায় ।অনেক সময় এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়। কিন্তু আমরা যদি সবাই বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেমাই তৈরি করে খায় তাহলে এটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। আমি আজকে নিজ হাতে তৈরি করা সেমাই রান্নার রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। এই ধরনের সেমাই গুলো রান্না করতে যদি বেশি করে দুধ ও নারিকেল কুচি দেওয়া যায় তাহলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আমি যখন রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম তখন ভাবছিলাম কেমন হবে। কিন্তু তৈরি করার পর ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমার পরিবারের সবাই এই সেমাই রান্না খেতে ভীষণ পছন্দ করে। যাইহোক এখন আমি শুরু করছি আপনাদের মাঝে সেমাই রান্নার পদ্ধতি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
| ক্রমিক নম্বর | নাম |
|---|---|
| নিজের হাতে তৈরি করা সেমাই | ১ কেজি |
| দুধ | ১ কেজি |
| চিনি | ৭০০ গ্রাম |
| নারিকেল কুচি | ১টি নারিকেল |
| লবণ | স্বাদমতো |
| তেল | পরিমাণ মতো |
| এলাচ | দুইটি |
| দারচিনি | পরিমাণ মতো |
ধাপ-১
প্রথমে আমি একটি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে নিলাম। তেলটা গরম হয়ে গেলে অল্প অল্প করে সেমাই গুলো ভেজে নিলাম। এখানে অল্প অল্প করে সেমাই গুলো ভাজতে হবে একবারে দিলে সব ভেঙ্গে যাবে আর কুচি কুচি সেমাই গুলো পুড়ে যাবে।
ধাপ-২
এরপর আমি একটি পাত্রে এক কেজি পরিমাণ দুধ নিয়েছি। সেমাই গুলো আমি সম্পূর্ণ দুধ দিয়ে রান্না করবো তাই একটুও পানি দেইনি। শুধু দুধ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে। দুধটা হালকা গরম হয়ে গেলে আধা কেজির একটু বেশি চিনি দিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর চিনি গলে গেলে এর মধ্যে আমি নারকেল কুচি দিয়ে দিয়েছি। নারকেল কুচির সাথে স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৪
নারকেল কুচি নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ পর আমি কিছু দারচিনি ও দুইটি এলাচ ফল দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপর সম্পূর্ণ উপকরণ গুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে যখন দুধটা গরম হয়ে পাত্রের চারিদিকে পড়তে থাকবে তখন সেমাই গুলো দিয়ে দেব। এই সেমাই গুলো যেহেতু আমি নিজের হাতে বাড়িতে তৈরি করেছি তাই এগুলো সিদ্ধ হতে একটু দেরি হবে।
ধাপ-৬
এরপরে অনেকক্ষণ হালকা আঁচে নাড়তে হবে আর সেমাই গুলো আস্তে আস্তে সিদ্ধ হয়ে যাবে। সেমাই গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে দেখতে একটু অন্যরকম হয়ে যাবে আমি আপনাদের সেটা চামচের ওপর দেখিয়েছি। যখন সেমাই রান্না হয়ে যাবে তখন সুন্দর একটি সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে।
ধাপ-৭
এভাবে নাড়াচাড়া করতে করতে একসময় আমার রেসিপিটা সম্পূর্ণ তৈরি করা হয়ে গেল। রেসিপিটা দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছিল খেতে তার থেকে বেশি মজার হয়েছিল। আপনাদের কাছে আমার আজকের রেসিপি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আশা করছি আজকের রেসিপিটি বেশ ভালো লাগবে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর সেমাইয়ে রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ঘরোয়া পদ্ধতির রেসিপিগুলো আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগে। আশা করি খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপনার রেসিপি।
ঘরোয়া পদ্ধতি বলতে গেলে আপু ,সেমাই গুলো আমি নিজ হাতে তৈরি করেছিলাম মেশিনের সাহায্যে।
সেমাই আমার পছন্দের একটি খাবার। বেশি করে দুধ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনার নারিকেল এবং দুধ দিয়ে অনেক সুন্দর করে সেমাই রান্না করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিলো। ভালো লাগলো রেসিপি দেখে ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সেমাই রান্না খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে সেমাই তৈরি করেছেন। সেমাইটি খেতে অনেক সুন্দর ছিল হয়তো।ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সে সেমাই খেতে সত্যি ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল ভাইয়া । ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করার সময় গুলো খেতে আসলে অনেক ভালো লাগে। কয়েকদিন আগে আমি দেখেছিলাম আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে সময় তৈরি করেছেন। আজকে সময়ের এই রেসিপিটা আমি খেয়ে দেখেছি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।
আমার রান্নার এরকম সুন্দর প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে আজকে আপনার এই সেমাই তৈরীর রেসিপিটা দেখতে দেখতে আমার ঈদের কথা মনে পড়ে গেল। আসলে ঈদের সময় এই ধরনের সেমাই আমরা বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে গিয়ে খেয়ে থাকি। আর ঈদের সেমাই খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আপনার আজকের রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। একদিন এইভাবে বাড়িতে সেমাই তৈরির জন্য চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমাই রান্না করে খাই ভাইয়া। তবে নিজের হাতে তৈরি করা না প্যাকেট সেমাই রান্না করে খায়।
সেমাই আমার খুব পছন্দের। সেমাইয়ের মধ্যে দুধ আর নারকেল দিলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার সেমাই এর রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। সেমাই রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। সেমাই দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া দুধ ও নারকেল বেশি করে দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়।
গত কয়েকদিন আগে শুধুমাত্র এই সেমাই তৈরি করে আপনি রোদে শুকিয়ে ছিলেন সেই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন। আসলে এগুলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে রান্না করে খেতে বেশ ভালো লাগে। যদি নারিকেল দেওয়া যায় তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনি সবগুলো উপাদান একসাথে দিয়ে বেশ দারুন ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সেমাই রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন কয়েকদিন আগে আমি সেমাই তৈরির পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কিন্তু এই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই আমাকে বলেছিল এই সেমাই রান্নার পোস্ট দেখবে। তাই এই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
আপনার পোস্ট দেখেছিলাম নিজের হাতে তৈরি করা সেমাইয়ের। খুবই ভালো লেগেছিল। আজ আবার দেখতে পাচ্ছি সেই সুন্দর সেমাই রেসিপি।দারুণ চমৎকার হয়েছে আপু।নারিকেল কুড়া দেয়ার কারণে চমৎকার সুস্বাদু হয়েছে সেমাই গুলো।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর পদ্ধতিতে সেমাই তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও মজাদার সেমাই রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাদের জন্য এই রেসিপিটা শেয়ার করেছি আপু। তবে আপনি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপু এই সেমাই গুলোকে হাতে কাটা সেমাই বলা হয়। আর সেমাই গুলো এই সময়েই বেশীরভাগ মানুষ নিজ হাতে তৈরি করে। আর পরে রৌদ্রে শুকিয়ে নেয়। রোদে শুকানোর পরে তেলে ভেজে নেয় এবং তারপরে দুধ চিনি দিয়ে রান্না করে। এবার এই সেমাই আমি নিজেই তৈরি করেছিলাম এবং রান্না করে খেয়েছি আসলে দারুন স্বাদ লাগে এই সেমাইগুলো। আপনার তৈরি এই সেমাই দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এই সেমাই রান্নার রেসিপিটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ভাই আপনার কমেন্ট গুলো বরাবর আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে কমেন্ট করেন ধন্যবাদ।