পুলি পিঠা খাবার অনুভূতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার ,১৫ জুন ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।এই পোস্টটা আমি আপনাদের মাঝে সন্ধ্যার দিকে শেয়ার করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কখন যে কমেন্ট করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছি সেটা বলা মুশকিল। আসলে সারাদিন ছেলেকে নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয় তো তাই রাত হলেই কখন ঘুমিয়ে যাই ঠিক থাকে না। সত্য কথা বলতে ছোট ছেলেকে নিয়ে কাজ করাটাও অনেক কষ্টের বিষয়। যারা আমার মত মেয়ে আছেন তারা হয়তোবা জানেন যে ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে সারাদিন থাকার পরে রাতে আবার কাজ করাটা কতটা কষ্টের। তারপরও শত কষ্ট কেউ অপেক্ষা করে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে কিছু সময় অতিবাহিত করতে। কারণ এই জায়গাটা ও আমার একটা পরিবারের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা দিন এখানে সময় অতিবাহিত না করতে পারলে মনের মধ্যে অন্য রকমের একটা খারাপ লাগার কাজ করে। এই যে আজকের বিষয় দেখুন আমি কমেন্ট করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম আর ঘুম থেকে উঠেই আবারো আপনাদের মাঝে পোস্ট করার জন্য হাজির হয়ে গিয়েছে। শুধু যে আজকের ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে তা নয় আমি লক্ষ্য করে দেখেছি সারাদিন ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরে রাতের বেলায় প্রত্যেক দিনে প্রায় এভাবেই ঘুমিয়ে যাই আবার যখন ঘুম থেকে উঠে তখন আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয় পোস্ট কিংবা কমেন্ট করার জন্য।
বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এজন্য মাঝে মাঝেই আমি আপনাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের পিঠার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে যাই। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের মাঝে কোন রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়নি আজকে আমি হাজির হয়েছি একটা পিঠাকে নিয়ে আমার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। প্রত্যেক মানুষের আলাদা আলাদা কিছু পিঠা পছন্দ রয়েছে যেগুলো তারা পছন্দ করে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে যে বিষয়টা সেটার নাম হচ্ছে পুলি পিঠা। হয়তোবা এলাকার ভেদে এই পিঠাটার নাম এর পরিবর্তন হতে পারে আমাদের এলাকাতে এটাকে পুলি পিঠা বলা হয়ে থাকে। বিভিন্নভাবে এই পুলি পিঠা তৈরি করা হয় কিন্তু আমার কাছে এভাবে ভেজে যে পুলি পিঠা তৈরি করা হয় সেটাই খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের এলাকাতে সিদ্ধ করে অথবা দুধের মধ্যে ভিজিয়ে বিভিন্ন ধরনের পুলি পিঠা তৈরি করা হয়। যদিও সেগুলো ও আমার কাছে খেতে ভালো লাগে কিন্তু সবকিছু তো একটা বেশি ভালো লাগা রয়েছে আর সেটাই হচ্ছে আজকের শেয়ার করা এই পদ্ধতিটা। আপনারা যারা এভাবে পুলি পিঠাটা তৈরি করে খেয়েছেন তারা হয়তো বা জানেন যে এটা খেতে কতটা বেশি সুস্বাদু হয়। আর সিদ্ধ করে যে পুলি পিঠা তৈরি করা হয় সেটাও আমার কাছে খেতে ভালো লাগে কিন্তু এই পুলি পিঠার মত নয়। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি এভাবে তৈরি করা পিঠা যদি আমার কাছে অনেকগুলো ও দেয়া হয় তারপরও আমি খুব স্বাচ্ছন্দের সাথেই এটাকে খেয়ে শেষ করে ফেলতে পারি।
এই পদ্ধতিতে তৈরি করা পুলি পিঠা খেতে আপনার কাছে কেমন লাগে সেটা আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি প্রতিনিয়ত পোস্ট করে যাচ্ছেন। আসলে ছোট বাচ্চাকে সময় দেওয়া আর বাড়ির কাজকর্ম করা তাছাড়া কমিউনিটিতে প্রয়োজনমতো সময় দেওয়া সত্যি অসাধারণ। তাই আপনি কাজ করার সময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তারপরও ঘুম থেকে উঠে আবার কাজ গুলো কন্টিনিউ করেন অনেক ভালো লাগলো শুনে।
আপু সব মিলিয়ে কাজ করা সত্যি অনেক কঠিন। তারপরে চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য।
শীতের সকাল বেলা পুলি পিঠা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পুলি পিঠা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে শীতকালে এই পিঠা টি খেতে অনেক মজা লাগে।আর মুচমুচে করে তৈরি করলে অনেক বেশি মজা লাগে খেতে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীত কালেই পিঠাগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে শীতের সময় এই পিঠাগুলো সিদ্ধ করে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখা হয় সেটা আরও বেশি ভালো লাগে।
ছোট বাচ্চা থাকলে কতটা কষ্ট হয় শুধু মেয়েরাই জানে না ছেলেরাও জানে। বাচ্চাদের শুধু মেয়েরাই বুঝি মানুষ করে ছেলেরা করে না। যাইহোক পুলিপিঠা আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা। একটা সময় ছিল প্রচুর খেয়েছি এই পিঠাটি। কিন্তু বর্তমান সময় সেভাবে আর খাওয়া হয় না। সত্যি বলতে সময় সব সময় এক যায় না। ধন্যবাদ সুন্দর পিঠাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া বাচ্চা ছেলে মেয়ে দুজনেই মানুষ করে তবে মায়েদের কষ্ট একটু বেশি হয়। দেখবেন বাচ্চা অসুস্থ হলে আপনি যতটা কষ্ট পাচ্ছেন তার থেকে বেশি কষ্ট পায় আপু। যাই হোক অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই বাড়িতে বাচ্চা থাকলে কাজ করা মুশকিল হয়ে যায়।তার উপরে আপনি সুন্দর পুলি পিঠা তৈরি করেছেন।দেখেই লোভ লেগে গেল, দুধে ভিজালে বেশি ভালো লাগে।যাইহোক আপনার পিঠাগুলি অনেকটা শিমের মতোই দেখতে লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি তো আপু পিঠাগুলো শিমের মত দেখতে লাগছে এটা তো আমি ভাবি নি। আপনার কমেন্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু ।নতুন একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম ধন্যবাদ।
বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে তাকে সামলানোর পর কাজ করা সত্যি অনেক কঠিন ব্যাপার।।সময় পাওয়া যায় না একদম। আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে আপু। যাইহোক আপু আপনার বাসায় তৈরি করা এই পিঠাগুলো দেখে ভালো লাগলো। পিঠা খেতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কাজ করা সত্যি অনেক মুশকিল।
যে কোনো ধরনের পিঠা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। পুলি পিঠা খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। আপনার পুলি পিঠা খাওয়ার অনুভূতি সত্যি বেশ দারুণ। আসলে আমাদের দেশে মা বোনেরা অনেক রকম পিঠা তৈরি করে থাকে। এই ধরনের পিঠা খেতে সত্যিই বেশ অসাধারণ। পুলি পিঠা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
শীতকাল আসলে পিঠা পুলির ধুম পড়ে যায়। বাংলাদেশে তৈরি হয় হরেক রকমের পিঠা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নারিকেল দিয়ে তৈরি পিঠার ভিতরে সব থেকে বেশি আমি পুলি পিঠ খেতে বেশি পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দর করে নারকেল দিয়ে পুলি পিঠা তৈরি করেছেন। এবং পুলি পিঠা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি কথা বলতে কি পিঠা দেখে এখন আমার ইচ্ছা করছে পিঠা খেতে।
সত্যি ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কাজ করা খুবই কষ্ট।ছোট বাচ্চা নিয়ে যে আপনি নিজের এক্টিভিটিস বজায় রেখেছেন সেটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পুলি পিঠা খাওয়ার দারুন কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার অনুভূতিগুলো করে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।