রেসিপি: ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোগলাই তৈরি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার,১৪ জুন ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি সবাই ভালো ও অসুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোগলাই পরোটা রেসিপি। বাইরের এই ধরনের খাবারগুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় এই খাবারগুলো আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত হয় না। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় এই ধরনের খাবারগুলো বাড়িতে তৈরি করে খাওয়ার জন্য। বাড়িতে তৈরি করলে আমি ইচ্ছামতো আমার সমস্ত জিনিসপত্র কমবেশি ব্যবহার করতে পারি। আমি এই রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম খেতে সত্যি অনেক মজা হয়েছিল। তবে এই ধরনের রেসিপি গুলো গরম গরম খেতে একটু বেশি মজা লাগে। কিভাবে আমি সম্পূর্ণ রেসিপিটি তৈরি করলাম এখন শুরু করছি। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ ধাপ বুঝতে পারবেন এবং ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | ময়দা |
২ | তেল |
৩ | চিনি |
৪ | লবণ |
৫ | পেঁয়াজ কুচি |
৬ | কাঁচা মরিচ কুচি |
৭ | ডিম |
৮ | মশলা গুঁড়া |
৯ | পানি |
ধাপ-১
প্রথমে আমি একটি বাটিতে চা কাপের এক কাপ ময়দা নিয়ে নিলাম। তারপর এরমধ্যে দিয়ে দিলাম স্বাদমতো লবণ ,এক চা চামচ চিনি ও ২ চামচ তেল।
ধাপ-২
এরপর উপকরণ গুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। ময়দা গুলো একদম তেলতেলে আর ঝরঝরে হয়ে যাবে। তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মথে সুন্দরভাবে একটি ডো তৈরি করতে হবে।
ধাপ-৩
এরপর সম্পূর্ণ ডো দিয়ে আমি একটি রুটি বেলে নিয়েছি। এই রুটি টি হালকা মোটা ও অনেক বড় হবে।
ধাপ-৪
এরপর আমি একটি পাত্রে একটি ডিম, পরিমাণ মতো কাঁচা মরিচ কুচি ও পেঁয়াজ কুচি।একটু বেশি করে ধনিয়া পাতা , স্বাদ মতো লবণ ও একটু মসলা গুড়া। একসাথে চামচ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-৫
এরপর আগে থেকে বেলে নেওয়া রুটির উপর এগুলো সম্পূর্ণ ঢেলে দিলাম। তারপর রুটি চারিদিকে তুলে তুলে ভালোভাবে লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ-৬
এরপর চুলায় একটি কড়া বসিয়ে তার মধ্যে বেশি করে তেল দিয়ে মোগলাই এর রুটি দিয়ে দিলাম। তারপর আস্তে আস্তে এপাশ ওপাশ করে অনেকক্ষণ ধরে ভেজে নিলাম। এগুলো আস্তে আস্তে ভাজতে হবে তাহলে অনেকটাই ফুলে উঠবে।
ধাপ-৭
ভাজা হয়ে গেলে এটি আমি একটি পাত্রে তুলে ছুরি দিয়ে কেটে অনেকগুলো টুকরো করে নিলাম। তারপরে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। আপনাদের কাছে আমার আজকের রেসিপি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আশা করছি বেশ ভালো লাগবে। আজকে এখানেই শেষ করছি পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
যাক আপু আপনার মাধ্যমে তাহলে একটি রেসিপি শেখা হয়ে গেল। এমন করে যদি ঘরেই মোগলাই বানানো যায় তাহলে আর দোকন থেকে কিনে খাওয়ার দরকার কি। সব মিলিয়ে আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে রেসিপিটি।
আমার শেয়ার করার রেসিপিটি দেখে আপনি শিখতে পেরেছেন আপু। জানতে পেরে সত্যি আমার ভীষণ ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মোগলাই আমার প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে একটা। মাঝে মধ্যেই খাওয়া হয় তবে আপনার তৈরী ঘরোয়া মোগলাইটি দেখতে বেশি স্বাস্থকর এবং সুস্বাদু লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু বাড়িতে নিজে যেকোন জিনিস তৈরি করলে সেটা নিজেদের মধ্যেই হয় অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর। ধন্যবাদ আপু।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোগলাই তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে বাজার থেকে কিনে খাওয়ার থেকেও বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারলে বেশি ভালো হয়। বাড়ির পাশে একটা হোটেল দিন বেশ ভালো লাভবান হবেন। মাঝে মাঝে আমাদের ফ্রি ফ্রি খাওয়া হবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
হোটেলে কে রান্না করবে আমি তো পারি না। তাহলে তোমাকে রান্নার কাজে রেখে দেব ঠিক আছে।
বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এমন সুন্দর রেসিপি দেখলে আমার খুবই ভালো লাগে। খেতেও বেশ ভালো লাগে এই জাতীয় রেসিপি গুলো। রেসিপি তৈরি করাটা অসাধারণ ছিল কিন্তু।
আমার তৈরি করার রেসিপি এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোগলাই রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। আমরা তো সাধারণত হোটেল বা রেস্টুরেন্টে মোগলাই খেয়ে থাকি। কোনদিন কোন সময় ঘরের মধ্যে এই রেসিপিটা বানানো হয়নি। কিন্তু আপনি আজকে খুব সুন্দর ভাবে দক্ষতার সাথে বাসার মধ্যে মোগলাই তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন । খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাজারে ঘাটে মোগলাই রেসিপি অনেক খেয়েছে তবে বাড়িতে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনি যেভাবে রেসিপিটা তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ইনশাল্লাহ একদিন বাড়িতে ট্রাই করে দেখব ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
খেতে ভীষণ মজা হয়েছিল ভাইয়া ধন্যবাদ।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোগলাই তৈরি করেছেন। তাছাড়া মোগলাই খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে এই মোগলাই খাওয়া হয়। তবে বাহিরের কেনা মোগলাই এর থেকে ঘরে তৈরি করে খাওয়া স্বাস্থ্য মত। দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ ধাপে ধাপে পোস্টটি উপস্থাপন করার জন্য।
ভাইয়া বাহিরে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র মোগলাই এর মধ্যে দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা যদি বাড়িতে তৈরি করে খায় তাহলে এটি খুবই স্বাস্থ্যকর হয়।
খুব সুন্দর লাগছে মোগলাই রেসিপিটি। আসলে বাইরে মোগলাই খেতে ভালো লাগলেও এগুলো স্বাস্থ্যসম্মত হয় না। অনেকদিন আগের তেল বা নোংরা সব পানি সব বাইরের খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ব্যস্ততার জন্য সব সময় ঘরে বানানো ও হয়ে ওঠে না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোগলাই তৈরি করেছেন। এভাবে ঘরে তৈরি করলে খেতেও ভালো লাগে। নিজ হাতে বানানোর জন্য অন্যরকম আনন্দ কাজ করে। খুব সুন্দর ভাবে ধাপগুলো উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপুকে কিভাবে যে তৈরি করে সত্যি এটা খারাপ। আমি তো ভেবেছি এখন থেকে এইসব জিনিসপত্র বাড়িতে নিজে তৈরি করে খাব।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোগলাই তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে আপু। যদি মাংস যুক্ত করতেন তাহলে এই মোগলাই এর টেস্ট আরো বৃদ্ধি পেত যাই হোক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া এইটি দুই ধরনের হয় ডিম এবং মাংস আমি মাংস দেই ডিম দিয়েই তৈরি করেছি প্রথম তো।