"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৫৪ || আমার তৈরি করা নকশী পিঠার রেসিপি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার,১৬ মার্চ ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর যখনই দেখতে পেলাম নতুন একটা নকশী পিঠার রেসিপি এর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমিও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব। যেহেতু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আগ্রহের পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল তাই আর দেরি করলাম না। প্রতিযোগিতার জন্য আজকেই পিঠাটা তৈরি করে ফেললাম আর এখন আমি আপনাদের মাঝে সেটাই শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গিয়েছি। যেহেতু এটা খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তাই এটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | খেজুরের গুড় |
২ | চালের ময়দা |
৩ | লবণ |
৪ | তেল |
৫ | তেজপাতা |
৬ | পানি |
ধাপ-১
প্রথমে আমি চুলায় একটি কড়া বসিয়ে নিলাম। তারপর কড়াই এর মধ্যে দেড় কাপ পানি দিলাম। পানির মধ্যে এক চা চামচ লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ-২
এরপর পানি কিছুটা ফুটে উঠলে এক কাপ চালের ময়দা দিয়ে দিলাম।। তারপর ময়দা গুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে সিদ্ধ করে নিলাম। সিদ্ধ করা হয়ে গেলে ময়দা গুলো হাত দিয়ে মাখিয়ে সফট একটি ডো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-৩
এরপর অল্প একটু ময়দা মাখা নিয়ে সেটা বেলে গোল একটি ছোট্ট রুটি বানিয়ে নিলাম। এখানে রুটি টা একটু মোটা হবে। তারপর কাঁটা চামচ দিয়ে কয়েকটা দাগ দিয়ে নিলাম। এরপর হাত দিয়ে পাপড়ি মতো করে ফুল তৈরি করে নিলাম। তারপর ফুলের ওপর কাটা চামচ দিয়ে একটু নকশা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-৪
এরপর একই রকম করে আবারো ছোট্ট একটি মোটা রুটি তৈরি করে নিলাম। তারপর কাটা চামচ ও হাত ব্যবহার করে সুন্দর একটি নকশা ফুল তৈরি করলাম। এভাবে আমি চার পাপড়ি একটি ফুলের নকশা পিঠা তৈরি করলাম।
ধাপ-৫
এরপর অল্প একটু ডো নিয়ে লম্বা করে একটি পাতা আকৃতি তৈরি করলাম। তারপর ছোট্ট চিকন একটি কাঠি দিয়ে পাতার শিরা এঁকে নিলাম। এটি আমি পাতার নকশি পিঠা তৈরি করেছি।
ধাপ-৬
আবারো একই রকম করে ছোট্ট একটি নিয়ে লম্বা করে বড় পাপড়ি আকারের একটি পাতা নকশা তৈরি করলাম। এখানে পাতাটি চারদিকে একটু নকশা করে নিয়েছি।
ধাপ-৭
তারপর গোল করে একটি ডো তৈরি করে দুই হাতের তালু দিয়ে চ্যাপ্টা করে নিলাম। তারপর কাঠি দিয়ে সুন্দর গোল একটি নকশী পিঠা তৈরি করলাম। তারপর পিঠার মাঝখান দিয়ে ছোট একটি গোল করে দিলাম।
ধাপ-৮
একইভাবে আবারো একটি গোল মোটা রুটি তৈরি করে কাঠি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পিঠা তৈরি করলাম। এই পিঠাটা দেখতে অনেকটা শিউলি ফুলের নকশী পিঠার মত।
ধাপ-৯
এরপর আমি গোলাপ ফুলের মতো নকশি পিঠা তৈরি করার জন্য কিছু ছোট ছোট রুটি তৈরি করলাম। তারপর একই সঙ্গে আরেকটি জোড়া লাগালাম। এরপর এক পাশ থেকে গোল করতে করতে নিয়ে গেলাম। আমার গোল করার সাথে সাথে একটি গোলাপ ফুল তৈরি হয়ে গেল। এটি হচ্ছে গোলাপ ফুলের নকশি পিঠা।
ধাপ-১০
একই রকম করে একটি ডো নিয়ে কাঠি দিয়ে কয়েলের মত প্যাঁচানো একটি পিঠা তৈরি করলাম।
ধাপ-১১
এরপর গোল করে একটি ডো নিয়ে সেটা চাপটা করে চারদিকে চারটি করে দাগ দিয়ে দিলাম। এতেও একটি নকশি পিঠা তৈরি হয়ে গেল।
ধাপ-১২
এরপর আমার তৈরি করা পিঠাগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
ধাপ-১৩
এরপর কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণমতো তেল নিয়ে পিঠাগুলো আমি হালকা আঁচে কিছুক্ষণ ভালোভাবে ভেজে নিলাম। পিঠাগুলো খুব একটা ভাজতে হবে না হালকা লালচে হলে তুলে ফেলতে হবে।
ধাপ-১৪
এরপর একটি কড়ায় নিয়ে কড়াই এর মধ্যে এক কাপ খেজুরের গুড় আধা কাপ পানি ও দুটি তেজপাতা দিয়ে একটি শিড়া তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-১৫
এরপর শিড়ার মধ্যে পিঠাগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল করে নিলাম। এখানেই পিঠাগুলো কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে দিতে হবে যেন ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যায় আর খেজুরের গুড় গুলো পিঠার মধ্যে ঢুকে যায়।
পরিবেশন
আমার তৈরি করা নকশী পিঠার এই রেসিপিটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রথমেই অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি যে পিঠা তৈরি করেছেন দেখতে বেশ লোভণীয় লাগছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক টেস্টি হয়েছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার তৈরি ধাপগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপু আপনার তৈরি করা নকশি পিঠা দেখে অনেক ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন আর মজার একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সত্যি পিঠা টি দারুন মজা হয়েছিল আপু।
প্রাথমেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার বানানো নকশী পিঠাগুলো দেখতে দারুন লোভনীয় হয়েছে। আশা করছি খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছে।
জি আপু অনেক মজা হয়েছিল খেতে।
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার জন্য। আমার বাংলা ব্লগ থেকে খুবই সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। নকশি পিঠা আমার অনেক পছন্দের। তবে সবার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের নকশি পিঠা রেসিপি দেখতে পাবো।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
এই প্রতিযোগিতা দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল ভাইয়া ধন্যবাদ।
আপু প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগে সুন্দর এই পিতা তৈরির রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নকশি পিঠা তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। খেজুরের গুড়ের পিঠা খাইতে অনেক সুস্বাদু হয় সত্যি বলেছেন। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করেছি ভাইয়া সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
সর্বপ্রথম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য। অনেক সুন্দর সুন্দর নকশি পিঠা তৈরি করেছেন। দেখে বেশ ভালোই লাগছে আপু। খেতে বেশ ভালোই হবে বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মনে করবেন কেন ভাইয়া খেজুর গুড় দিয়ে যেকোনো পিঠাই খেতে বেশ ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতের সময় আমার আম্মু নকশি পিঠা রেসিপি অনেক তৈরি করতেন তখন অনেক মজা করে খেতাম তবে যেদিন থেকে বড় হয়েছি জীবনের মর্ম টা বুঝতে পেরেছি সেদিন থেকেই বাইরে চলে এসেছি যাই হোক এখন আর পিঠাগুলো খেতে পারিনা আপনার পিঠাগুলো দেখে ওগুলো অনেক মিস করছি। যাই হোক আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
বাইরে থাকলে বাড়ির অনেক অনুষ্ঠান বা পিঠাপুলি খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয় ভাইয়া। তারপরেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে এগুলো কিছুই মনে হয় না।
আপু আপনিতো পাকা রাধুনীর মত নকশি পিঠা তৈরি করেছেন। কেননা আপনার তৈরি নকশি পিঠাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব খুব মজা হয়েছিল। বিশেষ করে খেজুরের গুড় দিয়ে এই পিঠা তৈরি করা হয়েছে বলে, খাওয়ার সময় খেজুরের গুড়ের একটা আলাদা ফ্লেভার পাওয়া যাবে, তা বেশ বুঝতে পারছি। আপু খুবই লোভনীয় ও সুস্বাদু পিঠা রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া সবেমাত্র রান্না শিখেছি। আপনি ঠিকই বলেছেন খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা তৈরি করলে ফ্লেভারটা সুন্দর আসে।
প্রথমে আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই । আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু। নকশী পিঠার রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। বিভিন্ন রকম নকশি পিঠা দেখে খুব ভালো লাগলো। নকশী পিঠা তৈরি প্রক্রিয়া খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। হরেক রকম নকশি পিঠা দুর্দান্ত ভাবে তৈরি করেছেন । এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আচ্ছা মূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।