রেসিপি: টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার তৈরি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার ,১৮ মে ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি বেশ ভালো অসুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। দুই দিন আগে আমাদের এখানে অনেক বাতাস হয়েছিল। আর সেই বাতাসে প্রায়ই গাছ থেকে অনেক আম ঝরে পড়েছে। আর এই সময় আপনাদের ভাইয়া অনেকগুলো আম কুড়িয়ে এনেছিল। সেই আমের টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এখন আম প্রায়ই পাকার সময়। এমনকি অনেক গাছে আম পেকে ও গেছে। যখন আমগুলো আচার তৈরি করার জন্য কাট ছিলাম তখন দেখলাম আমগুলো প্রায়ই লালচে হয়ে গেছে। হয়তোবা আর কিছুদিনের মধ্যেই পেকে যেত। আর এই ধরনের আমের আচার খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আমার তৈরি করা আচারটি অনেক মজার হয়েছিল। কিভাবে আমি কাঁচা আমের টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি করেছি সেটা এখন শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | কাঁচা আম |
২ | সরিষা তেল |
৩ | রসুন বাটা |
৪ | সরিষা বাটা |
৫ | লবণ |
৬ | চিনি |
৭ | দারচিনি |
৮ | পাঁচফোড়ন গুঁড়া |
৯ | শুকনো মরিচ গুঁড়া |
ধাপ-১
প্রথমে আমি কিছু কাঁচা আম লম্বা এবং চিকন করে কেটে নিলাম। তারপর আমগুলো একদিন রোদে শুকিয়ে নিয়েছিলাম।
ধাপ-২
এরপর আমি পরিমাণ মতো সরিষা ও রসুন বেটে নিলাম শিলপাটায়। বাটা হয়ে গেলে কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মত তেল দিয়ে দিলাম। এখানে তেলের পরিমাণটা একটু বেশি করে দিতে হবে। আচারে একটু বেশি করে তেল দিলে খেতে বেশি ভালো লাগে।
ধাপ-৩
এরপর তেলটা গরম হয়ে গেলে তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম সরিষা ও রসুন বাটা। তারপর একটু নেড়েচেড়ে কয়েকটি দারচিনি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৪
এরপর দুই চা চামচ পাঁচফোড়ন গুড়া ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিলাম। আমি পাঁচফোড়ন ভেজে গুড়া করে নিয়েছি আপনারা চাইলে গোটা পাঁচফোড়ন দিয়ে পারেন।
ধাপ-৫
এরপর মসলা গুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে কেটে রাখা আম গুলো দিয়ে দিলাম। এবার খুবই ভালোভাবে আম গুলোর সাথে মসলা গুলো মিশে নিতে হবে।
ধাপ-৬
আম গুলো ভালোভাবে মিশে গেলে এর মধ্যে আমি এক কেজি চিনি দিয়েছি। আপনারা আপনাদের স্বাদমতো চিনি দিয়ে দিবেন। আমি একটু বেশি মিষ্টি করবো তাই বেশি করে চিনি দিয়েছি। চিনি দেওয়ার পর কিছুক্ষণ অনবরত নাড়াচাড়া করতে হবে। কেননা অনেক সময় চিনি কড়াইয়ের সাথে লেগে যায়।
ধাপ-৭
এভাবে নাড়তে থাকলে আস্তে আস্তে চিনি গলে যাবে। আর তখন অনেক টা পানির মতো দেখাবে। আর তখনই ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলে আম অনেকটাই সিদ্ধ হয়ে যাবে।
ধাপ-৮
এরপর চিনির পানি কিছুটা কমে গেলে তখন আমি শুকনা মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিব। তারপর মরিচ গুঁড়া গুলো আমের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব নাড়াচাড়া করে। এরপর কিছুক্ষণ চুলার আঁচ হালকা মিডিয়ামে রেখে নাড়াচাড়া করতে হবে। আর এরই মধ্যে দিয়ে আস্তে আস্তে তৈরি হয়ে যাবে টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার।
ধাপ-৯
এভাবে আমের আচার তৈরি করলে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়। আমার তৈরি করা আচার গুলো অনেক মজার হয়েছিল। আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্ট কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আশা করছি বেশ ভালো লাগবে। আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আচারের কালার বেশ সুন্দর এসেছে আপু। এখন যেহেতু আমের সিজন বেশ মজার মজার আচার খাওয়া যাচ্ছে। আপনি টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার তৈরি করলেন। দেখে আপু জিভে জল চলে আসলো। কারণ আচার জিনিসটা এতই ভালো লাগে খেতে যে কারো একই অবস্থা হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি দেখে।
আপু আমি আচার তৈরি করলে মরিচ ব্যবহার করি। একদম মিষ্টি আচার আমার ভালো লাগে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আপনার রেসিপি পোস্টটা পড়ে আমার বলার কোন ভাষা নেই। কেননা আপনার রেসিপি পোস্টটা পড়তে পড়তে আমি দুই তিনবার মুখের ভিতরে জল খেয়ে ফেলেছি। কারণ আপনার রেসিপিটা দেখে আমার বারবার জিভে জল চলে আসছিল। আসলে আমার মনে হচ্ছে আপনার এই মিষ্টি আমের আচার খুব সুস্বাদুর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে আচার তৈরি করা আমি আমার শাশুড়ির কাছ থেকে শিখেছি ভাইয়া। খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আমের আচার গুলো।
ঝড়ের কারনে ঝরে পড়া আম কুড়িয়ে চমৎকার সুস্বাদু টক,ঝাল আচার বানিয়েছেন আপু।আমের আচার ভীষণ সুস্বাদু একটি আচার। সারাবছর এই আমের আচার খাওয়া যায়।ধাপে ধাপে আচার তৈরি পদ্ধতি আমাদের সঙ্গে সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন আম প্রায়ই পেকে যাবে আর এই সময় আমগুলো খুবই মোটা এবং শক্ত হয়ে যাই এর আঁটি গুলো। আর এই ধরনের আম দিয়ে আচার তৈরি খুবই ভালো হয় আপু।
আজকে বেশ দারুণভাবে টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার তৈরি করেছেন। আমের আচার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার এই প্রক্রিয়াগুলি বেশ সুন্দর ছিল। খুব সাবলীলভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া খুবই সহজ ভাবে আমি আচার তৈরি করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ আচার গুলো অনেকটা মোরব্বার মতন দেখতে। এগুলো খুবই স্বাদের হয়ে থাকে। খেতেও দারুণ লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে আঁচার তৈরি করেছেন। আমার তো এই আঁচার দেখে জিভে পানি এসে গেলো আপু। পার্সেল করিয়েন একটু।
কাঁচা আম অল্প শুকিয়ে আচার করলে মোরব্বার মতই লাগে কিছুটা ভাইয়া। তবে খেতে কিন্তু ভীষণ সুস্বাদু।
কিছুদিন আগে আমের আচার খেয়েছিলাম। আজকে আবারো আমার সামনে আমের আচার দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। আমের আচার আমার খুবই প্রিয়। খুব সুন্দর হয়েছে আসার তৈরি করা। দেখে বেশ লোভনীয় মনে হল।
খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল।
কাচা আমের সীজনে এমন লোভনীয় আমের আচারের রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে এলো আপু! আর ছবিতে দেখা যাচ্ছে কাচা আর কিছুটা পাকা আম মিলেই এই আচার টা তৈরি করেছেন। তাই এটার স্বাদ বেশ দারুণ হওয়ার কথা। আর আপনি পাঁচ ফোড়ম ভেজে গুড়া করে নিয়েছেন, এতে তার স্বাদ আরো বহুগুণ বেড়ে যায়! আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে আপু!
আম প্রায় পাকা সময় চলে এসেছে আপু। তাই এখানে কিছু কাঁচা কিছু আধপাকা ও কয়েকটা পাকা আম রয়েছে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মধ্যেই কাচা আমের আচার তৈরির একটি আমেজ উঠেছে। আপনি আজকে দেখছি কাঁচা আম দিয়ে টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা আচারের রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আচারের রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে আচার টি বেশ মজাদার হয়েছিল।
এখন আমের সিজন চলছে ভাইয়া। তাই প্রতিটি ঘরেই কমবেশি আচার তৈরি হবে আমের।
টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার আমারও খুব প্রিয়। এবারও বাড়িতে প্রস্তুত করেছিলো সেটা খেয়েছি ।বিশেষ করে ডাউল দিয়ে ভাতের সাথে খেলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
প্রস্তুত প্রণালী অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির সাথে উপস্থাপনা করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে সেটা হয়েছিল।
ঠিক ভাইয়া ডাউলের সাথে এই ধরনের আচার গুলো খেতে খুব মজা লাগে।