ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ তাপদাহের ক্ষতিকর প্রভাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার, ১ মে ২০২৪
গত এক মাস যাবত আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে গরম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গরমের পরিমাণটা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যা গত ৭৬ বছরের তাপমাত্রা কেউ অতিক্রম করে ফেলেছে। আসলে এত দীর্ঘ সময় যাবত এত বেশি গরম এর আগে কোন সময় পড়ে ছিল না। যেহেতু এ বছর প্রচুর পরিমাণে গরম পড়ছে তাই আমরা নানা ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করছি। প্রথমত আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই হুমকির মুখে চলে এসেছে এই তাপদাহের কারণে। ঈদের পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক সপ্তাহের ছুটি দেয়া হয়েছিল। আর যখনই আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ আসলো ঠিক সেই সময়ে হাইকোর্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে দিল। আসলে বন্ধু দিবেই না কেন যে পরিমাণে গরম পড়ছে তাতে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করা তো দূরের কথা শ্রেণিকক্ষে সময় অতিবাহিত করাটাই অনেক কষ্টের। যদিও এই পাঠদান বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে কিন্তু শারীরিক দিক থেকে কিছুটা স্বস্তির মুখে থাকতে পারছে তারা।
যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই আরো একটা জিনিস খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করছি। গ্রাম অঞ্চলে গরমের দিনগুলোতে লোডশেডিং এর পরিমাণ যেন অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এত বেশি লোডশেডিং হতে থাকে তাতে যেন মনে হয় জীবন ধারণ করাটাই কষ্টসাধ্যকর হয়ে যায়। এই লোডশেডিং এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ বছরে আমরা বাড়িতে সোলার প্যানেল লাগিয়ে নিয়েছি। যেন আবু রায়হানকে এই গরমের মধ্যে কষ্ট করতে না হয়।
এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে তাই পানির লেয়ার অনেক নিচে নেমে গিয়েছে। আমি আমাদের গ্রামের লক্ষ্য করে দেখেছি যে অনেক টিউবওয়েল রয়েছে যেগুলো এখন পানি শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাহলে বুঝুন এভাবেই যদি প্রতিনিয়ত চলতে থাকে তাহলে এলাকার মানুষ পানির অভাবেই তো মারা যাবে। শুধুমাত্র এই পানির অভাবে যে মানুষের সমস্যা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন পশু পাখি সহ অন্যান্য জীবজন্তুর ও পানির অভাবে জীবন ধারণ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
গতকাল আমি লক্ষ্য করে দেখেছিলাম আমাদের জেলাতে তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি। এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে প্রত্যেকটি প্রাণীকুল আস্তে আস্তে বিলুপ্তির দিকে চলে যাবে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পারছি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে যে ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন নির্দিষ্ট তারিখেই বৃষ্টি হয় আর আমাদের পরিবেশটাকে শীতল করে দেবে। না হলে প্রত্যেকটি প্রাণীকুলের জীবন ধারণ করাটা হয়ে যাবে হুমকি স্বরূপ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের এই এদিকেও প্রচন্ড পরিমাণে গরম আপু। এই জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আপাতত আমাদের এখানেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া শুধুমাত্র আপনাদের ওখানে নয় আপু, আমাদের এখানেও প্রচন্ড পরিমাণে জলের সমস্যা হচ্ছে। মূলত এই সমস্যাগুলোর জন্য কিন্তু আমরাই দায়ী। আমরা যে পরিমাণে গাছ কেটে ফেলছি এবং প্রকৃতির উপর অত্যাচার করছি, তাতে এরকম হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এখনো যদি আমরা সচেতন না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এর থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে আমাদের।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া আজকে এই আবহাওয়ার জন্য হয়তোবা আমরাই দায়ী। সবাই যদি একটু সচেতন হয় তাহলে হয়তোবা এরকম আবহাওয়া পরিবর্তন করতে পারব ধন্যবাদ।
আমরা এখন থেকে সচেতন হওয়া শুরু করলে, অনেক বছর পর গিয়ে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান করতে পারব আপু।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল কলেজগুলো খোলার ঘোষণা থাকলেও হাইকোর্ট থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। আসলে এরকম পরিস্থিতি তে শ্রেণিকক্ষে পাঠ কার্যক্রম সম্পন্ন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়। এই অবস্থা আসলেই শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তবে পড়াশোনা থেকেও জীবন বাঁচানো এবং সুস্থ থাকা জরুরি। গরমে প্রত্যেকটা মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এই গরম এর হাত থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের কত কিছুই না করতে হচ্ছে। তবে এই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ দেওয়ার কারণে খুবই ভালো লাগছে।
যত দিন যাচ্ছে তত তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পুকুরের পানি সহ সব জায়গায় পানি কমে যাচ্ছে। এমন কি পাইপের নিচের লেয়ার কমে যাওয়ায় টিউবয়েলে পানি কম উঠছে। আর এর জন্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সকল প্রাণীদের।
আমাদের এখানে তো অনেক মানুষের টিউবয়েলে পানি উঠছে না। তবে দোয়া করবেন যেন দ্রুত আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি হয়।
হ্যাঁ আপনি একদম ঠিকই বলেছেন গতকাল আমাদের এখানে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল আজকেও ঠিক তেমনি। আর এভাবে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে তাই সব জায়গায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নিচে পানির লেয়ার অনেক নিচে চলে গেছে। তাই পাইপেও পানি উঠছে কম।
আপনি ঠিকই বলেছেন অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে হয়তো বা এরকমটা হচ্ছে।
আসলেই এবছর যেন সর্বকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ফেলছে আবহাওয়ার এই খারাপ অবস্থাটা। আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি গণমাধ্যম বারবার বলছে যে ৭৬ বছরের আবহাওয়ার রেকর্ড এবার ভঙ্গ হল। এই পরিস্থিতিতে পানি শূন্যতায় ভুগছে আমাদের এলাকা। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি দ্রুত বৃষ্টি দিয়ে আমাদের পরিবেশটা বেশি শীতল করে দেন।
আমি তো আজ পর্যন্ত দেখিনি এত রোদ। এ বছরে দেখতে হচ্ছে আর ভাবছি সামনে বছর কি হবে।
আসলে এখন যেভাবে গরমের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে অনেকে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছে। একইসাথে এই গরমের ফলে অনেকেরই অনেক সমস্যা হচ্ছে৷ একইসাথে অনেক এলাকায় পানি সংকটও দেখা দিয়েছে এবং এর ফলে মানুষজন অনেক কষ্ট করছে৷ আশা করি আল্লাহ এই থেকে বাঁচার জন্য সকলকে সাহায্য করবেন৷
ইনশাআল্লাহ দোয়া করবেন ভাইয়া আমাদের সকলের দোয়া যেন আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
জি আপু।
তা তো সবসময়ই।