স্বাধীনতা দিবসে মনে পড়ে যাই স্কুল জীবনের কথা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আজকে ২৬ শে মার্চ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য আমাদের দেশের লাখো মানুষ যুদ্ধ করেছেন এবং অনেকেই এই যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। তাদের স্মরণ করেই আজকের এই লেখাটা আমি শুরু করছি। তাদের রক্তের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি লাল সবুজের এই পতাকা। তাদের কারণেই আজকে আমরা স্বাধীন ভাবে জীবন-যাপন করতে পারছি এবং আমাদের সকলের মায়ের ভাষায় কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটা ভূখণ্ড যেখানে আমরা স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ পাচ্ছি।
স্বাধীনতা দিবস আসলেই আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে যায়। হঠাৎ ২৬ শে মার্চ কে কেন্দ্র করে আমার জীবনে অনেক ঘটনা রয়েছে যেগুলো আজও আমার মনে পড়ে। স্বাধীনতা দিবস কে কেন্দ্র করে আমাদের স্কুলে বড় ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো আর সেই অনুষ্ঠানে আমরা সকলে অনেক মজা করতাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও আমি সেই অনুষ্ঠানের কোন ফটোগ্রাফি আমার কাছে পেলাম না কারণ সেই সময়টাতে আমি মোবাইল ব্যবহার করতাম না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে আপনাদের ভাইয়ের মোবাইলে এই একটা ছবি পেলাম যেটা আমি স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ শে মার্চের দিনে ধারণ করেছিলাম। এটা আমার ছোট বোনের ছবি আর পিছনে রয়েছে আমাদের স্কুলের আরো অনেক ছাত্র-ছাত্রী যারা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনেক সুন্দর ভাবে সেজেছিল।
হাই স্কুলে ভর্তি হবার পর থেকেই দেখে আসছি যে আমাদের স্কুলে স্বাধীনতা দিবস কে কেন্দ্র করে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সেই ঘটনাগুলো সব থেকে বেশি পরিমাণে মনে পড়ার কারণ হচ্ছে এখন আর স্কুলে নেই তাই স্বাধীনতা দিবস পালন করার মত সুযোগ পায় না। শুধুমাত্র যে আমি স্বাধীনতা দিবস পালন করার সুযোগ পাচ্ছিনা সেটা কিন্তু নয় বর্তমানে রমজান মাস হবার কারণে আমাদের স্কুলের কোন ছাত্র-ছাত্রী স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারছে না।আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের স্কুলের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানটা যেন একটা উৎসবের মতো করে উদযাপন করা হয়। যেহেতু স্কুল থেকে এমন আয়োজন করা হয় তাই স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আমাদের স্কুলে অনেক ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হতো। শুধুমাত্র যে খেলাধুলার আয়োজন করা হতো তা কিন্তু নয় এই দিনটাকে কেন্দ্র করে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো আমাদের স্কুলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের সময় অতিবাহিত হতো আমাদের স্কুলের মাঠেই। এই অনুষ্ঠানে যে শুধুমাত্র স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করত তা কিন্তু নয় আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের এই স্কুলে অধ্যায়নরত বিগত সময়ের সকল এসএসসি ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা এই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করত। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ব্যাচের সাথে পিকনিক করত আর আনন্দঘন মুহূর্তের মাঝে উদযাপন করতো স্বাধীনতা দিবসটিকে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা আমাদের স্কুলের সেই দিনগুলো আজকে খুবই ভালোভাবে মনে পড়ছে। এই কমিউনিটিতে আমাদের গ্রামের যারা রয়েছেন তারা আমার এই পোস্টটা পড়লেই হারিয়ে যাবে সেই পুরনো দিনগুলোর মাঝে। আর তাদের মনে পড়ে যাবে তারা কতটা আনন্দের সাথে ২৬শে মার্চের এই দিনটিকে উদযাপন করতো।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার এই পোস্টটা পড়ে আমারও সেই স্বাধীনতার কথাগুলো মনে পড়ে গেল । কারণ আপনি যে স্কুলে থেকে এসএসসি পাশ করেছেন আমিও একই স্কুল থেকে এসএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছি যাই হোক খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্ট দেখে আপনার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া।
অনেক অনেক মিস করি সেই দিন গুলো। কত যে আনন্দ করে ২৬ শে মার্চে তা আর ভাষায় প্রকাশ করার যাবে না। এখন আর সেই আনন্দ পাওয়া যায় না। আগের মতো সেই উত্তেজনা ভেতরে সৃষ্টি হয় না। মন চাই আমার যদি সেই আগের দিন গুলা ফিরে পেতাম কতই না ভালো হতো।
ভাইয়া আগের দিনগুলোর মত এখন আর ২৬ শে মার্চে তেমন একটা মজা হয় না। তবে এ বছর আরো কম রমজানের কারণে।
ঠিক কথা গত কয়েক বছর ২৬ মার্চ এ অনুষ্ঠান করতে পারছিনা তাই খুবই মিস করছি দিনটাকে। আজকে সকালে যখন মনে হলো যে আজকে ২৬ শে মার্চ তখন মনে হল যে কতই না মজা করতাম এই দিনটিতে।
রমজান মাস না হলে অনেক বেশি মজা হতো।
আসলেই স্কুল জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনেক আয়োজন হতে বেশ মজা করতাম। আপনার পোস্টটা পড়ে আমারও সেই পুরনো স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল।
স্কুল লাইফ শেষ তাই স্কুলের সেই স্মৃতিময় জীবনটাকে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে আয়োজন করা হতো। বর্তমান সেটা খুব কম হয়। সেই দিনগুলো আমরা হারিয়ে ফেলেছি। অনেক ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তাছাড়া প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করা হতো । সেই দিনগুলো ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। যেটা আপনি আজকে স্মরণ করেছেন।
আর কোন অনুষ্ঠান না হলেও প্রতিটি স্কুলে ২৬ শে মার্চ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয় ভাইয়া। তাই এই দিনটি আজকে উদযাপন না করার কারণে তেমন একটা ভালো লাগছে না।
স্কুলের জীবন হলো প্রতিটা মানুষের শ্রেষ্ঠ জীবন। ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস এই দিনটা আসলে সত্যিই আমাদের মনে পড়ে যায় সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। এই দিনটা আসার আগের দিন আমরা কত মজা করতাম। ২৬শে মার্চের দিন কত হইহুলা খেলাধুলা খাওয়া-দাওয়া সব কিছু একত্রে করতাম। আসলে সময়ের পরিবর্তনের ফলে সবকিছুই পরিবর্তন ঘটছে। আপনারা ঔ সুন্দর সময়টার কথা গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কি আর করব ভাইয়া আজকে 26 মার্চ তার পরেও কোন অনুষ্ঠান করতে পারছি না হচ্ছে না তাই পুরনো স্মৃতিগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
আপনার পোস্ট পড়ে আমারও স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবস এই দিনগুলো স্কুলে খুব সুন্দর ভাবে উদযাপন করা হতো। সেই দিনগুলো আসলেই খুব ভালো লাগতো। আমরাও অনেক আনন্দ করতাম এই দিনগুলোতে। আজকের পোস্টে আপনার স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো। আমাদের আগের দিনগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল।
আমরা যেই দিনগুলো ফেলে আসছি সেগুলো আমাদের কাছে স্মৃতি। এই স্মৃতি গুলো সব থেকে বেশি সুন্দর।
আসলে স্কুলে যখন ২৬ শে মার্চ পালন করা হতো তখন স্কুলে অনেক ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো এবং সেই অনুষ্ঠানগুলো আমরা অনেকে উপভোগ করতাম৷ সে অনুভূতিগুলো এখন মনে পড়লে অনেকটাই কষ্ট হয়৷ আসলে তখনকার সময় আমরা সকলে একসাথে যেভাবে খেলাধুলা করতাম এবং সকলে একসাথে অনুষ্ঠান উপভোগ করতাম এখন আর সেরকমটা হয়ে উঠে না৷
২৬ শে মার্চ উপলক্ষে গান বাজনা সহ খেলাধুলা আমাদের স্কুলে তো দুইদিন ধরে পালন করা হতো এই মহান স্বাধীনতা দিবস।
বাহ! দুইদিন। আমরা তো একদিনেই সব কাপিয়ে ফেলতাম। আর দুইদিন হলে কি হতো তা তো আল্লাহই ভালো জানেন৷